নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রথম ফুল

প্রথম ফুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রত্যাবর্তিনী [২]

০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০২

**********(এই গল্পে সমাজের কিছু অন্ধকার কোণকে তুলে ধরা হয়েছে। চরিত্রদের ভাষা বা দৃষ্টিভঙ্গীকে আদর্শ বলে না ধরতে অনুরোধ জানাই। গল্পে প্রাপ্তমনস্ক বিষয়ের উল্লেখ আছে, নাবালকরা পড়বেন না।)***********
প্রত্যাবর্তিনী
(২য় পর্ব)
__________________________________________________

-শনিগিরিরত্নমালা ২৩ সর্গ, ২৯৮ শকাব্দ-

"সেনানায়ক ভল্লীঘোষ যে রাজকুমারীকে সম্মুখ-আক্রমণ করেন নাই, তাহার কারণ নিতান্ত ভীরুতাই বলিতে হয়। বাহুবলে রাজকুমারীর শ্রেষ্ঠত্ব পূর্বেই মল্লভূমিতে প্রমাণিত হইয়াছিল, ভল্লীঘোষ সম্ভবত সেই কথা ভোলেন নাই। তাই, যে তিনজন সাক্ষাৎ আক্রমণের ভার নিয়াছিল তাহারা সকলেই মন্দিরবহিরস্থ কুঞ্জে আত্মগোপন করিয়াছিল। রাজকুমারী উত্তরা মন্দিরপ্রাঙ্গণ অতিক্রম করিয়া সিঁড়ি বাহিতে যাইবার সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে শ্রীপতি পশ্চাৎ হইতে রাজকুমারীকে শরাহত করে, অতঃপর ভল্লীঘোষ বাম দিক হইতে আত্মপ্রকাশ করিয়া কুমারীর জানুদেশে মুষলাঘাত করে। জগৎকুমার আঘাত হানিয়াছিলেন সবার পরে, ভূলুণ্ঠিত কুমারীর শরীরের মধ্যভাগে ভল্ল বিদ্ধ করিয়া ব্যর্থ কামের প্রতিশোধ লইবার বিষচেষ্টা করিয়াছিলেন। ন্যায় যুদ্ধে এই তিন কাপুরুষ উত্তরার বিক্রমে ধূলিবৎ নিশ্চিহ্ন হইয়া যাইত। কিন্তু অমিততেজা বীরশ্রেষ্ঠা হইয়াও কুমারী কোন প্রতিরোধ করিতে পারেন নাই, শ্রীপতি বিষাক্ত শর প্রয়োগ করিয়াছিল।"

-মহিষমর্দিনীতন্ত্র, রুদ্রাগ্রন্থী ৩।।৩৮।।-

"দেবী সাধুর প্রতি সাধুতা, শঠের প্রতি শঠতা, সরলের প্রতি সারল্য এবং কুটিলের প্রতি কুটিলতা অবলম্বন করেন। শঠের শাস্তিবিধান তাহার শঠতার অনুক্রমে: প্রতারকের শাস্তি প্রতারণায়, পেশীশক্তির শাস্তি পেশীশক্তিতে, কামুকের শাস্তি কামে, ধর্ষকের শাস্তি ধর্ষণে, নিষ্ঠুরের শাস্তি নিষ্ঠুরতায়।"


-আর্যর কথা-

পরের বছর ছুটির পর যখন স্কুল খুলল, তখন আমরা সবাই একটাই কথা ভাবছিলাম, - রোহিণীকে ছুটির পরে কিরকম দেখব। ও অন্য স্টেট থেকে এসেছিল বলে প্রথমে নীচের ক্লাসে ভর্তি নেয়া হয়েছিল, কিন্তু শুনছিলাম যে ওর ভাল রেজাল্টের জন্য ওকে আমাদের ক্লাসে এগিয়ে আনা হবে। শোনা অবধি আমাদের উত্তেজনার শেষ ছিল না। ক্লাস এইটেই ও যা করেছিল, তাতেই স্কুলের সব ছেলেমেয়ের মধ্যে ওর নাম ছড়িয়ে গিয়েছিল। বিক্রমের ঘটনাটা পাড়াতেও ছড়িয়েছিল, কিন্তু সবাই জানত না, আমাদের গ্রুপগুলো জানত। রোহিণীর পাড়া ছিল একদম অন্যদিকে, ওর বাবা বড় সরকারি চাকরি করত, ট্রান্সফার নিয়ে নতুন শনিগড়ে এসেছিল। তাই তখনো এলাকার সবাই ওদেরকে চিনত না।

বিক্রম বলেছিল যে ও আর পরের বছর স্কুলে ফিরবে না। আমরা ভেবেছিলাম, সত্যি তো, ওরকমভাবে মার খাওয়া আর অপমানের পরে ওর না ফেরারই কথা। কিন্তু আমাদের সবাইকে অবাক করে দিয়ে নাইনের প্রথম দিন ও স্কুলে এল। আমরা ভাবলাম হয়ত ও মনে মনে জিনিসটা মেনে নিয়েছে, বা সামলে নিয়েছে। পরে বুঝলাম যে সেরকম নয়। বিক্রমকে রোহিণী যা করেছিল, তাতে বিক্রমের মাথা ওর পায়ের তলায় চিরদিনের মত বিকে গিয়েছিল। রোহিণীর আশপাশ ছেড়ে ও অন্য স্কুলে কোনদিনও যেতে পারত না।

আমরা দেখতাম যে বিক্রম আরো বেশি করে জিম করা স্টার্ট করেছে। একদিন বাপ্পা ওকে জিজ্ঞেস করেছিল এটা নিয়ে। আমরা আন্দাজ করেছিলাম যে হয়ত বিক্রম ওর গায়ের জোর বাড়িয়ে বদলা নিতে চায়। তাই একদিন ছুটি হওয়ার সময় ওকে ধরলাম। বাপ্পা জিজ্ঞেস করল, 'বিক্রম, তুই ভাই আজকাল তো আলাদা লেভেলে জিম করছিস, কি ব্যাপার?'

বিক্রম বলল, 'কই, আমি তো জিম করতামই।' কিন্তু আমরা দেখলাম, ওর মুখটা বলার সময় কেমন যেন ফ্যাকাসে হয়ে গেল।

বাপ্পা বলল, 'সে তো আমরা সবাই করি, কিন্তু তুই এখন অনেক হার্ড ট্রেন করছিস। সাপ্লিমেন্টও নিচ্ছিস মনে হচ্ছে।'

বিক্রম কথা ঘোরানোর চেষ্টা করে বলল, 'না না, সেরকম কিছু না।'

নরেশ বলল, 'তুই একটা কিছু তো করছিস।' তপন বিক্রমের পাশেই হাঁটছিল। থেমে, ওর কাঁধ ধরে বলল, 'সত্যি বল তো ভাই, তুই রোহিণীর ওপর বদলা নেওয়ার জন্য করছিস, তাই না?'

বিক্রমের মুখ সাদা হয়ে ছিল, এই কথাটা শুনে মুখটা লাল হয়ে গেল। তারপর নিচু গলায় বলল, 'তোরা কি পাগল? রোহিণীর ওপর বদলা নেব আমি? আমার কি মরার শখ হয়েছে?'

আমরা কিছু বুঝতে না পেরে তাকাচ্ছি, বিক্রম আবার বলল, 'তোরা রোহিণীর ক্ষমতা জানিস না, তাই এরকম বলছিস। আমি ওর পায়ের নিচে কুকুরের মত লুটিয়ে গেছিলাম। আমি দশ বছর, বিশ বছর জিম করলেও ওর ক্ষমতার কাছে যেতে পারব না। ওর শক্তি তোরা জানিস না। ওর শক্তি... ওর পায়ের শক্তি...' --- আমরা দেখলাম বলতে বলতে বিক্রমের মুখ আবার যেন ফ্যাকাসে হয়ে যেতে থাকল, --- ' ওর পায়ের শক্তির কাছে আমি... আমি... ওর থাই দিয়ে ও আমাকে...' আমরা দেখলাম, যেন একটা কোন ভয়ে বিক্রমের মন অন্য কোথাও চলে গেছে, ও যেন কোনো পুরোনো কথা মনে করে শিউরে উঠছে। '..ওর থাই দিয়ে আমাকে চেপে.... না, না, আমি পারব না, আমি পারব না...' --- তপন হঠাৎ চমকে উঠল, তারপর আমাদের চোখের ইশারায় দেখাল, বিড়বিড় করতে করতে বিক্রমের শরীরটা থরথর করে কাঁপছে!!...

সেদিন আর কথা বলা হল না। সন্ধেবেলা নরেশ এসে বলল, ও বিক্রমের সঙ্গে কথা বলেছে। আমরা যা ভেবেছিলাম তার একদম উল্টো। বিক্রম রোহিণীর ওপর বদলার জন্য জিম করছে না, রোহিণীই বিক্রমকে বলেছে আগের থেকে বেশী করে ওয়ার্ক আউট করতে। বিক্রমের সাহস নেই রোহিণীর অবাধ্য হওয়ার। আর ইচ্ছেও নেই। কারণ যেটা শুনলাম সেটা শুনে আমাদের মন টাটিয়ে উঠল। বিক্রম বলেছে যে রোহিণী ওকে ওর পোষা কুকুর করে নিয়েছে। এই কথা বলার সময়, আমরা খেয়াল করলাম, বিক্রমের মুখে কেমন একটা বংশবদ ভাব ফুটে উঠছিল, যেন ও সত্যিই ওর মালিক বা কোন রাণীর কথা বলছে। বিক্রম যদি রোহিণীর কথা মতো চলে, তাহলে রোহিণী ওকে দিয়ে ওর পা ম্যাসেজ করায়। রোহিণীর মাসল-ঘন থাই, কাফ, পা বেয়ে বিক্রম হাত বুলিয়ে দেয়, এমনকি পায়ের পাতা চেটে দেয়। এতদিন আমরা জানতাম মেয়েরাই ছেলেদের যৌনদাস হয়। কিন্তু বিক্রমকে নিয়ে এই মেয়ে কী করছে? এ কি এতদিনের এই ইতিহাসের প্রতিশোধ নিচ্ছে? রোহিণী বিক্রমের চুলের মুঠি ধরে ওর মুখটা থাইয়ে চেপে ধরে, ওকে দিয়ে নিজের মসৃণ, ফর্সা, ফোলানো কাফগুলো চাটিয়ে চাটিয়ে নেয়..... --- শুনতে শুনতে আমাদের মনে আকুলিবিকুলি আগুন জ্বলে উঠত, আর সেইসাথে শিরদাঁড়া বেয়ে ঠাণ্ডা আতঙ্কের স্রোত নামতে থাকত। বাঘের দাঁতকেই হরিণ ভয় পায়। কিন্তু যেদিন হরিণের লাথিতে বাঘের কাতর আর্তনাদ শোনা যায়, সেদিন পৃথিবীর চেনা হিসেবগুলো কেমন যেন ঘেঁটে যায়। আমরা ছেলে হয়ে...

* * *

আমরা নিজের চোখে রোহিণীর অসুরমর্দিনী রূপ দেখলাম শিগগিরই একদিন।

যুগল আমাদের থেকে এক বছর সিনিয়ার ছিল, ব্যাক পেয়ে আমাদের ক্লাসে এসেছিল। ও ফুটবল খেলত কিন্তু কোন স্কিল ছিল না, গায়ের জোরে খেলার চেষ্টা করত বলে বড় ম্যাচের সময় ওকে গেমস টিচার টিমে রাখত না। আমাদের সঙ্গেও ওর তেমন সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু ওর কয়েকজন ওর চেলা ছিল, স্কুলে নানারকম মাস্তানি করত বলে ওদেরকে ছেলেরা ভয়ও পেত। যুগল জিমও করত, কিন্তু আমাদের সঙ্গে না। আর তাই, বিক্রমের সঙ্গে কি হয়েছিল সেটা যুগল নিজের চোখে দেখেনি।

রোহিণী এখন আমাদের ক্লাসে, আমাদেরই সেকশনে। আমরা জানতাম, একদিন না একদিন রোহিণীর সঙ্গে যুগলের লাগবেই। যুগলদের গ্রুপটা সব মেয়েদের সঙ্গেই অসভ্যতা করত। রোহিণীর বন্ধু, এরকম কারো সঙ্গে কিছু হওয়াটা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা।

একদিন সেটাই হল। এইট ক্লাসের তিতলিকে যুগলরা একদিন মেয়েদের টয়লেটের বাইরে আওয়াজ দিল। তিতলি ছোটখাট চেহারার হলেও ওর বুক খুব ডাঁসালো ছিল, আমরা অনেকেই ওকে দেখতাম। সেইদিন যুগলরাও সেরকমই করছিল, সিটি মারছিল, টোন কাটছিল। তিতলি প্রথমে পাত্তা না দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ফেরার সময় যুগল পাশ থেকে ওর বুকে গ্রোপ করে। তিতলি লজ্জায় ছিটকে গিয়ে দৌড়ে ক্লাসে চলে যায়। পেছন থেকে ধাওয়া করে যুগলদের হাসি আর সিটি।

আমরা জিনিসটা নিয়ে বলাবলি করেছিলাম আর তার পর ভুলেও গেছিলাম। কিন্তু সেদিন বিকেলে খেলার মাঠে বিক্রম আমাদের এক সাইডে ডাকল, কিছু একটা বলার জন্য। আমি, তপন, বাপ্পা, আর নরেশ গিয়ে ওর কাছে দাঁড়ালাম। নরেশ জিজ্ঞেস করল, 'কি রে?'
বিক্রম চাপা গলায় বলল, 'তোদের রোহিণী যেতে বলেছে।'

আমরা অবাক হয়ে গেলাম। এ আবার কি? নরেশ বলল, 'রোহিণী? কোথায় যাব?'

বিক্রম বলল, 'আজকে তিতলির সঙ্গে যে কেসটা হল দেখেছিস তো?' আমরা ঘাড় নাড়লাম। তপন বলল, 'রোহিণী কি বদলা নেবে নাকি?' বিক্রমের মুখটা এই প্রশ্নে ফ্যাকাসে হয়ে গেল। প্রায় বন্ধ গলায় বলল, 'হ্যাঁ।'

তার পরে আমাদেরকে বিক্রম যা বলল, তা হল এই। তিতলির কাছ থেকেই রোহিণী সব ঘটনা জানতে পারে। আর জানতে পেরে ঠিক করে যে যুগলকে সাজা দেওয়ার সময় চলে এসেছে। সুন্দরী রোহিণী, লাস্যময়ী রোহিণী, ড্যান্সে ফার্স্ট প্রাইজ পাওয়া আর স্পোর্টসে রেকর্ড ভাঙা জিমন্যাস্টিকস্ করা অপরূপ সুঠাম শরীরসম্পন্না রোহিণী এবার যুগলকে নিজের হাতে শাস্তি দেবে! সত্যি এমন হবে?

বিক্রম বলল, ওকে রোহিণী বলেছে, কাল বিকেল পাঁচটার সময় স্কুলের সেমিনার হলের বাইরে লুকিয়ে অপেক্ষা করতে। যা হবার নাকি ওখানেই হবে। আর বিক্রমকে দিয়ে বলে পাঠিয়েছে, যেন ও ওর বন্ধুদেরও নিয়ে যায়। রোহিণী বলেছে, 'আমি জানি তোরা সবাই সিক্রেটলি এটা দেখার জন্য অনেকদিন থেকে অপেক্ষা করছিলি।'

অন্যদের কথা জানি না, কিন্তু সেদিন রাতে বাড়ি ফিরে আমার শুধু মনে পড়ছিল রোহিণীর চুম্বকের মত শরীরটার কথা। ঘুমিয়ে পড়ার আগে এপাশ ওপাশ করতে করতে ভাবছিলাম, থৈ-! থৈ-! করে রোহিণীর সুন্দর, ফর্সা পা দুটো যুগলের বুকে নেচে নেচে লাথি মারছে..... আমি জানি না আমার কি মনে হচ্ছিল। শুধু এটুকু বলতে পারি যে একসঙ্গে কাম আর অসহায় দুর্বলতা ওরকমভাবে আর কোনদিন ফিল করিনি...

* * *

পরের দিন কিন্তু আমাদের পাঁচটার সময় যাওয়া হল না। একটা এক্সট্রা ক্লাসের জন্য বাড়ি ফিরতে ফিরতে আমাদের দেরি হয়ে গেল, আর বাড়ি থেকে আবার স্কুলের দিকে বেরোতেও। আমরা যখন স্কুল পৌঁছলাম তখন সাড়ে পাঁচটা বেজে গেছে। আমরা সেমিনার হলের কাছাকাছি যেতেই শুনতে পেলাম, ভেতর থেকে কাদের গলার আওয়াজ আসছে। একটা হাসির শব্দ, আর তার সঙ্গে একটা কাতর গলায় অনুনয়-বিনয় করার শব্দ।

আমরা আস্তে আস্তে একটা জানলার কাছে গিয়ে ভেতরে উঁকি দিলাম। যা দেখলাম, তাতে আমাদের নিঃশ্বাস ঘন হয়ে উঠল। এক অদ্ভুত কুস্তির লড়াই চলছে যেন। রোহিণী আর যুগল দু'জনে দু'জনের হাতের পাঞ্জা ধরে ঠেলছে, একে অন্যকে ঠেলে হাঁটু গাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু রোহিণীর এ কি অসম্ভব মূর্তি! ওয়ার্কআউট ড্রেস পরা, শরীরের দুধ-সাদা রঙের ওপর টকটকে লাল একটা স্পোর্টস ব্রা উদ্দাম বুকদুটোকে কোনোমতে চেপে ধরে রেখেছে, আর নিচে কলাগাছের মতো মসৃণ কিন্তু তার চেয়েও ভারী, মাসকুলার থাই আর জমাট, দৃঢ় বাটসের গায়ে লেপটে থাকা একটা লাল শর্টস! শ্বাস বন্ধ করে তাকিয়ে থাকলাম আমরা রোহিণীর আগুনের মত রূপের দিকে। দেখতে লাগলাম ওর পাথর-কোঁদা শরীরের অদ্ভুত সৌষ্ঠব, তার পাগল-করে-দেওয়া যৌন আবেদন! কী প্রচণ্ড শক্তি ঠাসা শরীরটায়! উল্টোদিকে যুগলের দিকে এতক্ষণে খেয়াল হল। যুগলকে দেখে স্পষ্ট বুঝতে পারলাম, ও হারছে। ওর মুখে যন্ত্রণার মত ভঙ্গি ফুটে উঠেছে। দেখলাম, রোহিণীর নিখুঁত সুন্দর হাতদুটোয় বাহুর পেশী ফুলে উঠেছে, আর যুগলের হাতের পাঞ্জা যেন আস্তে আস্তে মুচড়ে যাচ্ছে।

পাশে একটা শব্দ পেয়ে দেখলাম, বিক্রম ওই দৃশ্য দেখতে দেখতে হাঁটু মুড়ে বসে পড়েছে। মুখ ফাঁক হয়ে গেছে, চোখ বড় বড় হয়ে গেছে, যেন ওর আমাদের দিকে আর জ্ঞান নেই। আমাদেরও অবস্থা ভাল ছিল না। নরেশ আর বাপ্পা দরদর করে ঘামছে, আমরা একসাথে এতজন না থাকলে হয়ত লজ্জার বাঁধ ভেঙে যেত। আমি কোনো রকমে সামলে রাখলাম নিজেকে, কারণ ব্যপারটা কি হয় সেটা জানার ইচ্ছা আমাকে পেয়ে বসেছিল। - "অআ-আ-আ-হ্‌হ্!!" একটা তীব্র ককিয়ে ওঠার আওয়াজ পেয়ে ঘরের ভেতরে চোখ চালিয়ে দেখলাম, যুগল মাটিতে বসে পড়েছে হাঁটু ভেঙে, রোহিণীর হাতের চাপ আর নিতে না পেরে। ওর হাত দুটো বাঁকিয়ে মুচড়ে ধরে রেখেছে রোহিণী, মুখে একটা চটুল বাঁকা হাসি। আমরা অবাক হয়ে দেখলাম, এবার রোহিণী আস্তে আস্তে যুগলের হাতদুটো মাঝখানে জড়ো করে এনে এক হাতেই ওর দুইহাত চেপে ধরল, আর অন্য হাতটা কোমরে রেখে সারা শরীরে দোল তুলে হাসতে আরম্ভ করল। যুগলের মুখটা ব্যাথায় আর দয়াভিক্ষায় বেঁকে গেছে, কিন্তু রোহিণীর সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই, যুগলের কাতরানি ছাপিয়ে ওর ব্যাঙ্গমাখা অট্টহাসি উঠছে ওই কাম-মাখানো দেহে গর্বের দমক তুলে। শুনলাম হাসতে হাসতে রোহিণী বলছে, 'কি রে, পারছিস না? - নে দেখ এবার পারিস কি না.....' বলে ডান পাটা তুলে ধরে, এক মুহূর্ত যেন যুগলকে দেখার সুযোগ দিল ওই অপ্সরার মত সুবর্তুল কাফের সৌষ্ঠব, আর তার পরেই ওর বাঁ কাঁধে চাপিয়ে দিল, পায়ের সামনের অংশটা কাঁধের ওপর দিয়ে পিঠের দিকে ঝুলিয়ে দিয়ে।

কুহকিনী মেয়েটার উরুর ভরে যুগলের শরীরটা চাপ খেয়ে একদিকে বেঁকে গেল। যুগলের যেন কোনো বোধ নেই, অসহায়ভাবে রোহিণীর ডান উরু ঠেলার চেষ্টা করে যাচ্ছে সে, আর বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে আছে চোখের সামনের যৌবনোদ্ধত বাঁ উরুর দিকে, মোমের মত মসৃণ নিখুঁত থাই-মাসলটার দিকে। রোহিণী খিলখিল করে হাসতে হাসতে হঠাৎ যুগলের চুলের মুঠি ধরল, তারপর মুখটা চেপে ধরল ওই বাঁ থাইয়ের ভেতরদিকে। থাইয়ের মসৃণ, নরম মাসলের ওপর হার-মানা তাগড়া ছেলেটার মুখ চেপে ধরে ঘষতে লাগল রঙ্গিণী মেয়ে- আর যুগলের মুখ দিয়ে শুধু বেরোতে থাকল চাপা-পড়া গোঙানির আওয়াজ। আমরা দেখলাম, রোহিণীর ভরাট, ঠাসা বুকদুটো ওর দমের সঙ্গে সঙ্গে উঠছে-পড়ছে, প্রচণ্ড কামের তৃষ্ণায় ফুলে ফুলে উঠছে ওর ব্যায়াম-করা কাঁধ, সাপের মত ঢেউ খেলিয়ে উঠছে ধবধবে ফর্সা পিঠের বলিষ্ঠ খাঁজ, পাথরের মূর্তির মত শক্তিতে ঠাসা মনে হচ্ছে ওর দুই নিটোল হাত - পুরো মাখন-মসৃণ দেহটা কাম আর শক্তিতে ফুঁসে ফুঁসে উঠছে। যুগলের বাঁ কাঁধ সাপটে চেপে ধরে আছে রোহিণীর ডান উরু, হাঁটু-গাড়া যুগল প্রাণপণ শক্তি লাগিয়েও উঠতে পারছে না। এক হাতে রোহিণী যুগলের মুখটা ওর বাঁ থাইয়ের কামার্ত মাসলের ওপর ঠেসে ধরে হাসছে। আমরা যুগলের কাতরানি শুনতে পাচ্ছি, 'উহ্‌-ম-উহ্‌ম্-ঊম্‌ম্‌হ্‌হ্-!!' ভয়ের শিহরণ অনুভব করতে করতেও টের পেলাম, মনে মনে যুগলকে যেন হিংসে করছি--- মনে মনে চাইছি রোহিণীর ওই দেবীর মত মাসলগুলোয় মুখ ঘষে ঘষে গোঙাতে...

* * *

কিছুদিন কেটে গেল। রোহিণীর নামডাক ছড়িয়ে যাচ্ছিল সবার মধ্যে। ওর কাফ দেখে তো এমনিতেই ক্লাসের সবাই তাকাত। স্কার্টের তলায় দেখা যেত, মোজার ভেতর ফুলে থাকত অনবদ্য পেশীর গড়ন। এমনকি কয়েকজন স্যাররাও তাকাত লুকিয়ে লুকিয়ে। ও জানত সেটা। তাই রোহিণী ফার্স্ট বেঞ্চে বসত ইচ্ছা করে, যাতে ওর পা দেখা যায়। যখন দেখত কোনো স্যার চোরা চোখে তাকাচ্ছে, ও ইচ্ছে করে একটা কাফ গোল করে ফুলিয়ে দিত, বা দুটো কাফই আস্তে আস্তে ধিকি-ধিকি করে নাচাত। স্যারদের কখনো কখনো এত খারাপ অবস্থা হয়ে যেত যে আমরা দেখে বুঝতে পারতাম। তখন ওরা চেয়ারে বসে যেত, বা বোর্ডের দিকে ফিরে লিখতে শুরু করে দিত, যাতে আমাদের দিকে ফেস করতে না হয়। যে স্যারদের এসব আলুগিরি ছিল না তাদের সাথে কিন্তু রোহিণী কোনরকম এসব নাটক করত না।

কিন্তু সবচেয়ে বড় কেস হয়েছিল স্পোর্টস ক্লাসে, আমাদের গেমস স্যারের সঙ্গে। সেই কথা এখন বলছি।

রোহিণী যেকোন রকম খেলাধূলায় অসাধারণ ভাল ছিল। প্রথম স্পোর্টসেই ও স্কুলের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড করেছিল। তাই স্যারও ওকে চিনে গেছিল। গেমস স্যার তো মেয়ে চেনার ব্যাপারে এমনিতেই বরাবরই ওস্তাদ ছিল, সে সব আমরা সিনিয়রদের থেকেও প্রচুর শুনেছি। কিন্তু সেটা নিয়ে কিছু বলার সাহস কোনদিন কারো ছিল না। গেমস স্যার এককালে ওয়েটলিফটিং-এ স্টেট চ্যাম্পিয়ন ছিল, তখনকার কিছু কিছু নামডাক মানুষের এখনও মনে ছিল। ও মালকে কেউ ঘাঁটাত না।

রোহিণীকে স্পেশাল কোচিং করানোর জন্যও মাঝে মাঝে স্যার ওকে ডাকত, ওকে একা নয়, সব ভাল স্পোর্টস স্টুডেন্টদেরই ডাকত। কিন্তু এটা আমাদের মধ্যে ওপেন সিক্রেট ছিল যে স্যার রোহিণীর পায়ের দিকে তাকানোর চান্স পেলে ছাড়ত না। মাঠে প্র্যাকটিসের সময় রোহিণীর দিকে বেশীক্ষণ অ্যাটেনশন দিত, কোচিং করাত কাছে গিয়ে। মেয়ের স্পোর্টস ইউনিফর্ম শর্টস ছিল, রোহিণী কখনো কখনো স্কার্ট পরেও চলে যেত। যাই পরুক, সেটা ঢাকত মাত্র হাঁটুর ওপর অবধি, আর গোড়ালি অবধি মোজা থাকত। রোহিণী লম্বা মোজা পরলেও সেটা গুটিয়ে নিচে চলে যেত, ওর কাফ অবধি থাকতে পারত না। টাইট হত, আর হাঁটার সময় মাসল ফুলে ফুলে ওঠার জন্য আস্তে আস্তে স্লিপ করে নেমে যেত নিচে। আমরা পেছনের বেঞ্চের থেকে দেখতাম, রোহিণী থিক্..থিক্.. করে কাফ নাচাতে নাচাতে ক্লাস শুনছে, একটা পায়ের ওপর মোজা আছে, আরেকটা পায়ে মোজা নেমে গিয়ে সেক্সি, স্মুথ মাস্‌লটা আস্তে আস্তে মুখ বার করছে। অন্য কোন মেয়ের জন্য আমাদেরকে কোনদিন এইভাবে কুকুরের মত ছোঁকছোঁকাতে হয়নি, যখন যার সাথে যা মনে হয়েছে ওপেনলি করেছি। এই একটা মেয়ের জন্য নিজেদের রাস্তার ভিখারি মনে হত।

ফুটবলের সময় স্যার তাকাচ্ছে দেখলে রোহিণী মাঝে মাঝে একটু খুনসুটি করে ওর শক্তি শো-অফ করত। বলে পা রেখে নিচের দিকে দাবাত, পায়ের মাসলটা ফুলত, আর বলটা চাপের চোটে একটু একটু করে চ্যাপ্টা হতে থাকত। দেখে বোঝা যেত যে আর বেশি চাপ দিলে বার্স্ট করে যাবে। রোহিণীর মুখ দেখে কিন্তু বোঝা যেত না যে ও কোনো জোর লাগাচ্ছে, অনায়াসে গল্প করতে করতে ও অন্যমনস্ক ভাবেই যেন এগুলো করত। আর স্যার দেখত আড়চোখে, কিন্তু বেশিক্ষণ দেখতে পারত না, এমব্যারাসিং অবস্থা হয়ে যেত বলে।

একদিন কাবাডি ট্রেনিং-এর সময়, স্যার দেখাচ্ছিল কিভাবে অন্য টিমের প্লেয়ারকে ধরে ট্যাকল করে ফেলে দিতে হয়। তখন, এক্সপ্লেন করার পরে, রোহিণীকে ডাকল ভলান্টিয়ার হিসেবে। আমরা সবাই জানতাম কেন ওকে ডাকছে। রোহিণীকে ডাকার ইচ্ছা আমাদের কার না ছিল? রোহিণী যাওয়ার পরে স্যার বলল, 'তুমি শক্ত হয়ে দাঁড়াও, আমি তোমাকে ট্যাকল করে মাটিতে ফেলব, সবাই টেকনিক স্টাডি করবে যে কিভাবে করতে হয়।'

রোহিণী জাস্ট একটু চুলটা মাথার পেছনে পনিটেল করে নিল, করে দাঁড়াল। স্যার পোজিশন নিয়ে ট্যাকল করার জন্য এগোল, কিন্তু ট্যাকলিং-এর ঠেলাতে রোহিণী নড়লও না। স্যার আবার ট্রাই করল, - রোহিণীকে ফেলতে পারল না। আমরা পাশের মাঠ থেকে দেখছিলাম ব্যাপারটা, মনে মনে স্যারকে হিংসে করতে করতে। দু'বার চেষ্টা করেও যখন পারল না, তখন স্যার ডেসপারেট হয়ে রোহিণীর দুই পা ধরে যত জোর আছে লাগিয়ে ঠেলতে শুরু করল। এক' দু মিনিট চলে গেল, স্যার বার বার গায়ের জোর লাগিয়ে যাচ্ছে, একটা হাত ওর থাইএর ওপর, একটা হাত অন্য পায়ের কাফের ওপর রেখে ঠেলে যাচ্ছে। কিন্তু রোহিণী পা মাটিতে চেপে দাঁড়িয়ে আছে, নড়ছে না, শুধু মুখ টিপে হাসছে। ছয় ফুট লম্বা হাইটের গেমস টিচার, নিয়মিত ব্যায়াম করা চেহারা, সেই লোকটা প্রাণপণ শক্তি দিয়েও বিভোল রূপসিনী ছাত্রীর কাছে অসহায়ভাবে হেরে যেতে লাগল বারবার। তারপর স্যার হাল ছেড়ে দিল। দম ফেলতে ফেলতে বলল, "আচ্ছা গুড, তুমি চলে যাও।" রোহিণী ওর ক্লাসমেটদের দিকে পিঠ ফিরিয়ে ছিল; আমরা দেখলাম, ও কথাটা শুনে স্যারকে হালকা করে একটা চোখ মারল, তারপর সটান ঘুরে গিয়ে সোজা লাইনে ফিরে গেল। যাওয়ার সময় যখন হাঁটছিল, মনে হল যেন একটু চেপে চেপে কদম ফেলে কাফ দুটো বেশি করে ফুলিয়ে দেখাতে দেখাতে যাচ্ছিল, যেন ও জানত স্যারের চোখ দুটো ওই দিকেই জ্বলজ্বল করে তাকিয়ে আছে...

পরে আমরা বিক্রমকে জিজ্ঞাসা করলাম ওকে রোহিণী এটা নিয়ে কিছু বলেছে কি না। বিক্রম বলল, রোহিণী খালি একটাই মন্তব্য করেছে - 'এখনো অনেককিছু বাকি।' সেটার মানে আমরা বুঝলাম আরো কয়েকমাস পরে।

একদিন স্কুলে লাঞ্চের সময় বিক্রম বলল, 'শোন, আজকে স্কুলের পরে রোহিণী থাকতে বলেছে। জিমনাসিয়ামের কাছে কিছু একটা হবে। পেছনের জানলার ওখানে থাকতে বলেছে, কিন্তু যেন কেউ টের না পায়।' আমরা বুঝে গেলাম আবার কিছু একটা দেখতে চলেছি। শুনলাম নাকি গেমস স্যার স্কুল শেষের পরে রোহিণীকে কিছুক্ষণ থাকতে বলেছে জিমনাসিয়ামে কিছু কাজের জন্য।

ঠিক তাই হল। স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ার পরে সবাই যখন গেটের দিকে যাচ্ছে, আমরা কয়েকজন চলে গেলাম পেছনদিকে, যেদিকে জিমনাসিয়াম। গিয়ে পেছনের জানলার বাইরেটায় যেখানে থাকার কথা, সেখানে গিয়ে লুকিয়ে বসলাম। খানিকক্ষণ পরেই শুনলাম গলার আওয়াজ, রোহিণী আর স্যার জিমের সামনে এসে গেছে। জানলার ভেতর দিয়ে দেখলাম, দরজা খুলে দু'জন ভেতরে ঢুকল। দূর থেকেও বোঝা গেল, রোহিণীর শার্টের ওপরের একটা বটন খোলা। অন্য কেউ হলে মনে হত এমনি, কিন্তু রোহিণীর বেলা তা হওয়া অসম্ভব। এই মেয়ে সম্পূর্ণ ক্যাজুয়াল থাকলেও অঙ্গে অঙ্গে কাম চুঁইয়ে পড়ে; ওরকম ড্রেসে থাকলে তো ছেড়েই দিলাম। যাই হোক, স্যার ওকে কয়েকটা ইকুইপমেন্টস ঠিক করে গুছিয়ে দিতে বলে নিজে অন্য কয়েকটা জিনিস ঠিক করতে লাগল। রোহিণী গোছাচ্ছিল। এইভাবে কয়েক মিনিট গেল, স্কুলে আর কোনো স্টুডেন্ট নেই তখন, সবাই বেরিয়ে গেছে। এমন সময় স্যার আস্তে আস্তে রোহিণীর কাছে এসে দাঁড়াল।

চারদিক চুপচাপ বলে আমরা সব কথা জানলার বাইরে থেকে শুনতে পাচ্ছিলাম। শুনলাম স্যারের গলা, 'রোহিণী, তোমার পায়ের তো খুব ভালো শেপ, তুমি কি একসারসাইজ করো?' রোহিণী অবাক হওয়ার ভান করে বলল, 'কী শেপ স্যার?' বলে পা-টা সামনের দিকে বাড়িয়ে ঘুরিয়ে দেখাল একটু, তারপর একটা আঙুল দিয়ে মেঝের ওপর চেপে পা-টা কাত করে ঘুরিয়ে ধরল কাফটা ফুলিয়ে। তারপর বলল, 'এইটা বলছেন স্যার?' স্যার দেখলাম হাঁ হয়ে গেছে, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গলা শুকিয়ে গিয়ে ঢোঁক নামছে মনে হল। তাও কন্ট্রোল রেখে কোনমতে বলল, 'হ্যাঁ - কী করে বানালে... একসারসাইজ করো খুব?' স্যারের মুখ লাল হয়ে গেছে, গলা শুকিয়ে গেছে ওইভাবে অমন পা দেখে। রোহিণী স্যারের কথা শুনে হাসতে হাসতে পা-টা *থই* *থই* করে দু'বার মেঝেতে মারল, - দিয়ে বলল, 'না স্যার, একসারসাইজ না, নেচে বানিয়েছি।' স্যার বলল, 'সেকি, নেচে এরকম হয় নাকি?' রোহিণী শুনে উথলে হেসে উঠল, তারপর বলল, দেখুন না স্যার, আপনিই তো বললেন।' বলে আবার কাফটা নাচাল কয়েকবার। স্যার অগোছালোভাবে 'তাই তো, ঠিক' বলতে বলতে কোনরকমে ওখান থেকে সরে গেল। আমাদের অবস্থা এত খারাপ যে মুখ চাওয়াচাওয়ি করতেও পারছি না, জানি প্রত্যেকের মনে মনে কি চলছে।

রোহিণী হেঁটে একটু দূরে গিয়ে কাজ করছে, কিন্তু আমরা দেখছি স্যার বার বার ওর দিকে তাকিয়ে থাকছে, ওর পা-গুলো যেন চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে। হঠাৎ রোহিণী কাজ থেকে থেমে ডাক দিয়ে বলল, 'স্যার, আমার পায়ের এখানটায় কেমন টান ধরে গেছে, দেখুন না স্যার কাছে এসে।' স্যার এগিয়ে এল, তখন ঠোঁট কামড়ে হেসে 'এই যে এখানটায়' বলে নীচু হয়ে রোহিণী ওর ডান কাফ মাসলটা হাত দিয়ে ধরল। ধরে টিপতে টিপতে বলল, 'এটায় লাগছে স্যার..' - আমি আর থাকতে পারলাম না। আওয়াজে বুঝলাম তপনেরও একই অবস্থা। রোহিণী কাফ টিপতে টিপতে বলে যাচ্ছে, 'ক্র্যামপ ধরে গেছে স্যার, একটু ম্যাসেজ করতে হবে নাহলে কাজ করতে পারছি না..' স্যারের তখন আর কন্ট্রোল করার ক্ষমতা নেই, মনে মনে হয়ত ভাবছে কন্ট্রোল করার দরকারই বা কি? সঙ্গে সঙ্গে বলল, 'আমাকে দাও, আমি ঠিক টেকনিক মতো ম্যাসেজ করে দিচ্ছি, কমে যাবে।' বলে, নিচে বসে রোহিণীর পা-টা ধরল দুই হাতে করে। দেখলাম স্যারের দুটো হাতের তালু পুরো ভরে গেল ক্লাস নাইনের মেয়ের মাসকুলার, পেশল কাফে। ওইভাবে স্যার একটা কাফ চেপে ধরেছে, ধরে দুই হাতে ফিল করতে করতে চটকাতে চাইছে, তখনি রোহিণী এক কাজ করল; অন্য পা-টা তুলে স্যারের ঘাড়ের ওপর পায়ের পাতাটা রাখল, দিয়ে এক চাপে ঠেসে ফেলল মাটিতে। স্যারের বডিটা বসা অবস্থা থেকে শোয়া অবস্থায় পড়ে গেল পায়ের প্রেশারে।

পাগলের মত বিস্ফারিত চোখে দেখলাম রোহিণী স্যারের ঘাড়ে পা রেখে চেপে আছে মেঝেতে, আর স্যার 'কী করছ, কী করছ' বলে জোর লাগিয়ে উঠতে যাচ্ছে। উঠতে গেল, কিন্তু পারল না, রোহিণী হাসতে হাসতে আবার চেপে বসিয়ে দিল। আবার যত জোর আছে লাগিয়ে, দুই হাতে ভর দিয়ে উঠতে গেল, রূপসিনী আবার এক পায়ে ঘাড়ে চাপ দিয়ে নামিয়ে দিল ভারি তাগতদার পুরুষশরীরটাকে, হাসতে হাসতে চাপতে থাকল মেঝেয় ঠেসে ধরে। স্যার তখন ব্যাথায় চেঁচাতে শুরু করেছে, 'আ-আঃ, আ-আ-আঃ লাগছে, আআ-লাগছে রোহিণী, রোহিণী ছাড়ো লাগছে প্লিজ - আঃ-আঃ আহ্‌হ্..!!' রোহিণী দমক দিয়ে হাসতে হাসতে বলতে লাগল, 'কেমন জোর আমার পায়ে স্যার?' স্যারের মোটা মজবুত গর্দানটা নাচ-করা পায়ের তলায় চাপতে চাপতে বলতে লাগল, 'ফিল করছেন, স্যার? - পায়ের শেপটা বেশ ভালো, না স্যার?' - শুধু এরকম বলছে আর চাপছে.. বলছে আর আরো চাপছে। স্যার ছয় ফুট লম্বা বডি নিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে, পারছে না.. বার বার আছড়ে আছড়ে পড়ে যাচ্ছে রোহিণীর পায়ের তলায়। তারপর বিকট স্বরে কাতরাতে শুরু করল, 'ছেড়ে দাও-- মা রে.. আ-আ-আহ্‌ - রোহিণী... অ্যা-গ-হহ- -ছেড়ে দাও--...'

রোহিণী পা দিয়ে স্যারের উপুড় হওয়া শরীরটা কাত করে গলায় পায়ের পাতা রেখে মুখের সামনে কাফটা ফাঁপিয়ে ধরে বাঁকা হেসে বলল, 'কই স্যার ম্যাসেজ করুন না?' স্যারের চোখ দিয়ে যন্ত্রণায় জল বেরিয়ে গেছে, মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা পড়ছে, শুধু ককিয়ে ককিয়ে দয়া ভিক্ষার আওয়াজ বেরোচ্ছে 'আর্‌গগগ---আরররগগ্--' করে। রোহিণী গলা থেকে পা-টা সরিয়ে নিল, দেখলাম স্যারের ঘামে ভেজা বুকটা হাপরের মত ওঠানামা করছে, রোহিণী সেটার ওপর একটা লাথি মারল, স্যারের মুখ দিয়ে একটা বিকৃত চিৎকার বেরোল - 'র্গ্যা-অ্যা-অ্যা-!' রোহিণী ওই পা দিয়েই স্যারের মুখটা পিষে ধরল একবার, তারপর মেঝেয় ফেলে রেখে দরজার দিকে রওনা দিয়ে দিল। দেখলাম, পেছনে হীনবীর্য, লাথি-খাওয়া, দলিত-পিষ্ট পুরুষকে ফেলে রেখে দেবী রোহিণী অসীম লাস্যভরে দর্পিত পায়ে জিমনাসিয়াম থেকে বেরিয়ে চলে গেল।

আমাদের তখন মুখ লাল, জামা ঘামে ভেজা, মাথা দপদপ করছে --- কারোর আর এক ফোঁটাও শক্তি বাকি নেই।


মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: যদিও বালিকা রোহিনীর ব্যাপারটা অনেকটাই অতিমানবীয় বলে মনে হয়েছে তবে সমাজে নারীমাংসলোভী পুরুষ নামক কুকুরদের
শায়েস্তা করার জন্য রোহিনীদের দরকার এই সমাজে অনেক বেশী।

নারী মাংসের লোভে অনেক সময় অনেক সম্মানিত মানুষেরা (শিক্ষক-ধর্মগুরু-নেতা) যেভাবে কুকুরের মত আচরন করে তাতে আসল কুকুরদেরও লজ্জা হবে কারন আসল কুকুররা শুধু বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে কুকুরীর সাথে মিলনের জন্য লজ্জা ত্যাগ করে তবে এই মানুষরুপী কুকুররা সারাদিন-বছর-পবিত্র স্থান - শিক্ষালয় কোন কিছুই বাদ দেয়না।

আর তাদের জন্যই রোহিনী হতে পারে বিকৃত মানষিকতার পুনর্বাসনের ঔষধ।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৮

প্রথম ফুল বলেছেন: হ্যাঁ রোহিণী সাধারণ ধরনের মানুষ নয়, ওর পেছনে একটি গুপ্ত রহস্য আছে। ইচ্ছা আছে গল্পের শেষে প্রকাশ করার।

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:১০

বিটপি বলেছেন: রাজকুমারী উত্তরার সাথে কি অন্যায় করা হয়েছে সেটা এখনো পরিষ্কার হয়নি। কিন্তু রোহিনী আমাদেরকে স্বপ্নের জগতে নিয়ে গেছে। সিনেমায় নয়, আমি বাস্তবে দেখতে চাই, ইভটিজিং করা একটা ছেলের হাত ধরে মুচড়ে দিয়েছে একটি মেয়ে। অথবা নেশাখোর অত্যাচারী স্বামীকে পায়ের নিচে ফেলে প্রবল আক্রোশে পিষছে একটা অসহায় গৃহবধু, বা নির্জনে একটা মেয়েকে একা পেয়ে বদ উদ্দেশ্য চারতার্থ করতে চাওয়া একটা কামুক পুরুষের গোপনাংগ টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছে একটি অল্প বয়েসী মেয়ে।

আসলে চারিদিকে ঘটে যাওয়া এত এত অন্যায়ের সামনে আমরা এত বেশি অসহায় যে এসব ফ্যান্টাসিতে ডুবে থাকা ছাড়া আমাদের কোন স্বস্তির জায়গা নেই।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৮

প্রথম ফুল বলেছেন: আসলে চারটি পর্বে অল্প অল্প করে ফ্ল্যাশ-ব্যাকের আঙ্গিকে উত্তরার ঘটনাটি প্রকাশ পাবে। পুরোটা জোড়া দিয়ে প্রাচীন ঘটনাটির আভাস পাওয়া যাবে।
এবং হ্যাঁ, রোহিণী অবশ্যই আমাদের সবার একজন ফ্যান্টাসিসম্পৃক্ত প্রতিনিধি। এবং আংশিকভাবে বাস্তব কয়েকটি ঘটনার উপরেও ভিত্তিকৃত। আপনি যে দৃশ্য দেখার কথা বললেন, সেরকম ঘটনা সত্যিই ঘটছে মাঝে মাঝে, যদিও সেগুলি সবই প্রায় ওয়েস্টার্ন দেশগুলিতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.