![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নারীদের চেয়ে পুরুষ কবিদের সংখ্যা বেশি।
অনেক কারণে নারী’রা মহাকবি বা বিখ্যাত কবি কম হয় বা হতে পারে না।
এদের মধ্যে দুইটি অন্যতম কারণ:
তাঁরা নানা কারণে লেখালেখিতে সময় দিতে পারে না। জীবনের অনেকটা সময় তাঁদের দিতে হয় রান্না ঘরে।
সম্ভবত পুরুষেরা সবচেয়ে খুশি হয় যখন তাঁরা দেখে স্ত্রীরা ঘরের কাজে ব্যস্ত।
কোনো এক অবসরে মনের গভীর থেকে বেরিয়ে আসা ছন্দ নারী কবি’রা হতো নিজেরাই সেন্সর করতে বসে, সাজাতে বসে নতুন করে। কোন শব্দ কিভাবে প্রকাশ করলে নারী রূপের প্রতি আঁচ আসবে না অথবা এমন কথা লিখলে কেউ কিছু মনে করবে কিনা ইত্যাদি তখনই আসল কথা হারিয়ে যায় আর কবিতা’রা মরতে বসে। তাঁরা নিজেরাই হয়তো কবিতা’কে লাইফ সাপোর্টে নিয়ে যায়।
ভালোবাসা যারে ধরে
তারে সর্বস্বান্ত করে ছাড়ে
এমন কবিতা একজন নারী কবি তাঁর অগ্রজ কোনো কবি'র লেখায় অনুপ্রাণিত হয়ে লিখতে পারে এ কথা ভাবার আগে পাঠক হয়তো অন্য কিছু ভাবতে শুরু করবে।
‘এই কবিতার জন্য আর কেউ নেই, শুধু তুমি...
এ-কবিতা মধ্যরাতে তোমার নিভৃত মুখ লক্ষ্য করে
ঘুমের ভেতরে তুমি আচমকা জেগে উঠে
টিপয়ের জল খেতে গিয়ে জিভ কামড়ে এক মুহূর্ত ভাববে
কে তোমার কথা মনে করছে এত
রাত্র...’
এই ভাষায় কোনো নারী কবি লিখলে তো সর্বনাশ!
নীল লোহিত বাবুকে পাঠকগণ যে গতিতে মাথায় তুলেছে তার দ্বিগুণ গতিতে নারী কবিকে মাটিতে পুতে ফেলবে। সংসার থেকে হবে বিতাড়িত আর সমাজ করবে তাঁকে ভিটে ছাড়া। আমরা নিজেকে যত আধুনিকই ভাবি মনে প্রাণে অনেক পুরুষেরা নারীদের বিষয়ে যেমন ছিলো তার চেয়ে অনেক বেশি রক্ষণশীল হয়েছে বলে মনে হয়। তাঁরা বন্ধুর বউ এর সাথে চুটিয়ে গল্প করবে অথচ নিজের বউকে রাখবে অন্তরালে।
অতএব
হে নারীবৃন্দ
আপনারা পৃথিবী প্রলয় হওয়া পর্যন্ত নিজের মুখের গ্রাস সন্তানদের মুখে তুলে দেন আর তাঁরা আজীবন আপনাদের মাতৃভক্তিতে অঞ্জলি দিক---
যে কথা বলছিলাম নারীগণ প্রেমের কবি, ব্যর্থ কবি, বিদ্রোহী কবি, মহাকবি কোনো নামেই হয়তো ভূষিত হতে পারবে না।
দুঃখজনক হলেও সত্য সাহিত্যাঙ্গনেও মেয়েরা বিপদমুক্ত নয়।
(খসড়া)
০১ লা মে, ২০১৪ ভোর ৫:১৪
ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: আপু, এই জন্য মেয়েদের অর্থাৎ মায়েদের অবদান কম নয়। যত আধুনিক মেয়েই হোক মা হওয়ার পরে সে বনেদি মা বনে গিয়ে ছেলেকে এমন ভাবে বড় করে তোলে পরবর্তী জীবনে ছেলেরা (পুরুষেরা) শুধু মায়ের রূপই খুঁজে পেতে চায়। এটাই হয়তো বৃত্তাকারে চলতে থাকে। অশেষ ধন্যবাদ আর শুভকামনা আপু রেজওয়ানা আলী তনিমা
২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪৯
এম এ কাশেম বলেছেন: নারী ও কবিতার বিষয় মেনে নিতে পারলাম না,
নারীর লেখার পথে
একটা সময় ছিল অনেক বাধা ,
এখন তো বাধা নাই,
৩য় বিশ্বের কথা বাধ দেন,
এই আমেরিকা ইউরোপে নারী স্বাধীনতার দেশে ও কেন
নারী কবি মহাকবি হয়ে উঠে আসছে না,
এখানে তো পুরুষের থেকে নারীর স্বাধীনতা বেশী,
শুভ কামনা।
০১ লা মে, ২০১৪ ভোর ৫:১৫
ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন:
ভাই, ঢেঁকি স্বর্গে থাকলেও ঢেঁকিই। সারা পৃথিবীতেই পুরুষেরা ডমিনেট করে আসছে। বিদেশ বলতে বিলেতের কথা বলতে পারবো। এখানের মেয়েরা বেশি আত্মনির্ভরশীল এটাই তফাৎ। আপনি আমার লেখার বিষয় মেনে নিতে পারেন নি সেটা কিন্তু নারীদের জন্য সুখবর অশেষ ধন্যবাদ আর শুভকামনা ভাই এম এ কাশেম
৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:০৪
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
বাংলাদেশে নারী কবিদের অধিকাংশ একই ধরনের কবিতা লিখেন।
এটাও সমস্যা।
০১ লা মে, ২০১৪ ভোর ৫:১৬
ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: সত্যি কথা বলতে কী কবিতা বা গান আমাকে টানতে না পারলে আমি অসহায় হয়ে পড়ি। সাম্প্রতিক নারী কবিদের লেখা সম্পর্কে আমার বেশি অভিজ্ঞতা নাই। কবিতা যদি সরাসরি পাঠকের হৃদয়ে প্রবেশ না করতে পারে সে লেখা কখনো জনপ্রিয় হয় না। সাধারণত spontaneous লেখাগুলোই হৃদয়ে আঘাত হানতে পারে কিন্তু নারীরা অনেক অনুভূতি পুরুষদের মতো করে প্রকাশ করতে পারে না এটাই আমাদের কালচার। এর বাইরে আসা সহজ নয়। অশেষ ধন্যবাদ আর শুভকামনা ভাই আশরাফুল ইসলাম দূর্জয়
৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫৮
সোজা কথা বলেছেন: না তো! আমার বান্ধবীর কবিতা পড়ার জন্য আমরা সবাই মুখিয়ে থাকি। অনেক উৎসাহ দিই।
০১ লা মে, ২০১৪ ভোর ৫:১৭
ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: শুনে খুব ভালো লাগলো। যাঁদের লেখার শখ আছে তাঁদেরকে প্রেরণা দেয়া উচিৎ। অনেকেই লেখেন আমি বলছি নানা প্রতিকূলতায় স্বতঃস্ফূর্ত অনুভূতিগুলো নারীরা প্রকাশ করতে বাঁধাগ্রস্ত হয় কখনো নিজের জন্য কখনো বা সামাজিক কারণে। অশেষ ধন্যবাদ আর শুভকামনা ভাই সোজা কথা
৫| ০১ লা মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের তসলিমা আপু যেভাবে কবিতা বা গল্প বা জীবনী লেখেন, সেভাবে কোনো পুরুষ লিখলে কবিকূল তাঁকে সাহিত্যভুবন থেকে বহিষ্কার করে দিত
পুরুষ কবিরা নারীর ছ্যাঁকা (উভয় অর্থে) খেয়ে কবি হোন। নারী কবিরা কি কখনো ছ্যাঁকা খেয়ে কবি হয়েছেন? আমার জানা নেই, জ্ঞান দাও।
পুরুষগণ নারীবন্দনা বা নারী-কামনা করেন, নারীরা কি পুরুষবন্দনা বা পুরুষ-কামনা করেন না?
০২ রা মে, ২০১৪ রাত ১:৪৬
ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: লেখক বলেছেন: তোমাদের তসলিমা আপুর কথা আর বলার কিছু নাই।
সব কবিদের কবি হওয়ার পিছনে যে নারীদের ছ্যাঁকা তা জানতাম না
নারীরা কারো পিছনে ঘুরে না তাই ছ্যাঁকা খায় না এখন বুঝলাম এই জন্য বড় কবিও হয় না। তাঁদের তো মনে হচ্ছে কবি বানাতেই জীবন শেষ!(নিজের ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে)
পুরুষদের মতো নারীরা মনে হয় মাল্টি বন্দনায় পারদর্শী নয় (আনুমানিক)
ছ্যাঁকা খাওয়া কবিদের জন্য শুভকামনা রইলো সোনাবীজ;
৬| ০২ রা মে, ২০১৪ রাত ১:৪৮
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
নারী কবি, কবি পুরুষ !
কবিরা মানুষ হোক ...
০২ রা মে, ২০১৪ ভোর ৪:২৪
ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: সেদিন হঠাৎ করেই বিষয়টি ভাবালো।
ভাগ্যিস ভাবনাটি মাথায় এসেছিলো না হলে তো
এতো কিছু জানতে পারতাম না
অশেষ ধন্যবাদ আর শুভকামনা ভাই অন্ধবিন্দু
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কিছু খাঁটি কথা বলেছেন। এটা শুধু কবিদের বেলা না, অন্যান্য সৃষ্টিশীল কাজের বেলাতেও দেখা যায়। মেয়েরা কাব্যের উপমা হিসেবে মানানসই , রচয়িতা হিসেবে না- মুখে যাই বলুক মনে মনে এরকম ভাবা লোকের সংখ্যাই বেশী।