![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এডিটেড লেখা
অনেক বিষয়ের মধ্যে যে বিষয়টি আমাকে বেশি পীড়া দেয় সেটা পুরুষদের কান্না। বিষয়টি কেন আমাকে কষ্ট দেয় তার কারণ হিসাবে নিজের বাবার প্রতি অঘাত ভালোবাসাকেই ধরে নেই। ব্রিটেনে কর্মক্ষেত্রে অনেক পুরুষ মানুষকে হাউমাউ করে কাঁদতে দেখেছি যাঁদের প্রত্যেকেই বিদেশে থাকার জন্য এখানের মেয়েকে বিয়ে করে সংসার ভাঙা বা অশান্তির শিকার। বিদেশে না থাকার বিষয় নিয়ে দু’জন মানুষের দু’টি ঘটনা আমার মনে দাগ কেটেছে। একজন ভদ্রলোক বিয়ে করে এসেছিলো ইংল্যান্ডে। নতুন সংসারে সমস্যা শুরু হতেই মেয়েটি বলেছিলো আরো দু’বছর এদেশে থেকে স্থায়ী ভিসা হওয়ার পরে ডিভোর্স তাকে দিতে। বিদেশে থাকার জন্য থাকবে না বলে সেই ভদ্রলোক দেশে ফিরে গিয়েছিলো। অপরজন ছিলেন একজন মা। আমেরিকাতে ভিসা পেয়ে ভাইয়ের বাসায় ছিলো তিনি কিছুদিন পরে বাংলাদেশে ফেরার পথে আমাকে বলে গেলো ‘ছেলেমেয়েদের বড়ো করে দিয়েছি, এখন আমেরিকা তাদের আনতে পারবো একথা চিন্তা করে এই বয়সে আমি ন্যাপি চেঞ্জ করতে পারবো না’(মা-বাবারা একটা সময় আমেরিকা বসবাসের পরে ছেলেমেয়েদের সেখানে নিতে পারে। আমেরিকায় ভাইয়ের বাসায় থাকা অথবা চিলড্রেনস হোমে কাজ করা কোনোটাই তাঁর পছন্দ ছিলো না)।আমি এঁদের স্যালুট জানাই। এ ধরণের বিয়ে করে অনেক পরিস্থিতিতে অনেক মানুষকে নানা ভাবে ভুগতে দেখেছি এবং দেখি। আমি ভাবি এভাবে বিদেশে থাকা এটা কি কোনো জীবন হলো?
আজ যে কথা বলতে বসেছি।
যে কারণেই হোক বিদেশে থেকে যাওয়ার জন্য বিদেশী বা বিদেশে জন্ম নেয়া দেশী মেয়েকে বিয়ে করলে অ্যাডজাস্ট করতে অনেক ধরণের সমস্যা হয় এর মধ্যে দৈনন্দিন জীবনযাপনে খাবারদাবারের অমিলও একটা। আজকের কথা ডাঃ সিনহাকে নিয়ে। দাদার স্ত্রী ছিলেন ইংরেজ। কেন একথা বলছি এ লেখার শেষে বুঝা যাবে।
সিংহা দা(ডাঃ সিনহা)আমার জি পি সার্জারিতে মাঝে মাঝে কাজ করতেন(ইংল্যান্ডে এধরণের কাজকে বলে লোকাম ডাক্তার)। তিনি মাকে অনেকবার দেখেছেন কারণ তাঁর কাছে গেলে মা বাংলায় নিজের সমস্যার কথা নিজে বলতে পারতেন। বৌদি ইংরেজ ছিলেন বলে দাদা হয়তো দেশি মাছ খেতে পারতেন না। দাদা একদিন আমাকে বললেন পাবদা মাছ খেতে ইচ্ছে করছে। তিনি কোলকাতার হলেও স্বভাবে বোঝা যেত গায়ে বাংলাদেশি রক্ত আছে(বেশি ইমোশনাল)। যাহোক আমি দাদাকে মাছ খাওয়াবো বলে পাবদা কিনলাম এ কাজে সে কাজে দাদার আর আমাদের বাসায় আসা হয় না বা আমাদেরও সময় হয় না দাদাকে ডাকার। একদিন তিনি মুখ ফুটে বললেন তাঁর বউ ইংরেজ বলে মাছ খেতে পারেন না। দাদাকে মাছ খাওয়ানো দরকার সময় হচ্ছে না এর মধ্যেই আমাদের আবাসিক ডাক্তার চাকুরী নিয়ে অস্ট্রেলিয়া চলে গেলো। প্রায় দেড় বছর আমি অস্ট্রেলিয়া, ইউ কে আর বাংলাদেশের ফ্লাইট পাহারা দেয়ার কাজে আকাশ পথেই কাটালাম(আমি ঘন ঘন যাওয়া আসার মধ্যে থাকতাম দাদাকে আর ডাকা হতো না)। তবুও মাঝখানে দাদাকে বললাম মাছ খাওয়ার জন্য বাসায় আসতে। তিনি একদিন বললেন তাঁর ভাইয়ের বৌ মারা গেছে সাত পরে আরেকবার বললাম তিনি বললেন তাঁর ভাই মারা গেছে বাসায় আসতে পারবেন না। অস্ট্রেলিয়ার পাঠ চুকিয়ে ব্রিটেনে ফিরেছি ২০১৩ র মে মাসে। এই এক বছরে দাদাকে মাছ খাওয়াতে হবে একথা ভুলি নাই ডাকছি ডাকবো করে আর ডাকা হয় নাই। প্রায়ই বলি সিনহা দাকে বাসায় ডাকতে হবে আর না হলে রান্না করা মাছ তাঁর বাসায় দিয়ে আসতে হবে।
আজ একটু আগে শুনলাম, ‘একটা খারাপ খবর আছে...’ঘুরে তাকাতেই শুনলাম সিনহা দা আর নাই।
মনটা প্রচন্ড অস্থির।
৩০শে মে, ২০১৪
গতকাল সংবাদটি পেয়ে এতই অস্থির হয়েছিলাম। কি লিখেছি আর পড়ে দেখি নাই।
শিক্ষাঃ এলোমেলো মনে লেখা এলোমেলোই হয়। ইন বিটুইন লাইন না পড়তে পারলে বুঝা সহজ নয়। সর্বজনের জন্য সহজবোধ্য লেখার জন্য মন শান্ত থাকা আবশ্যক। কিছু লাইন বা শব্দ অ্যাড করে লেখাটির কি পরিবর্তন হলো কমপেয়ার করার জন্য আগের লেখা রেখে দেয়া হলো।
বিঃদ্রঃ
শিরোনামঃ কাল করবো বলে কোনো কাজ রাখতে নাই মা এ কথা সব সময় বলেন। তাঁর কথা না শুনে বাকি জীবন পাবদা মাছ দেখে কষ্ট পেতে হবে।
বিদেশে থাকার জন্য বিয়ে করাঃ ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতায় যতজনকে দেখলাম একজনও বললো না দাম্পত্য জীবনে সুখে আছে। এই আমি এধরণের বিবাহ বিরোধী। বিষয়টি আলাদা লেখা যেত কিন্তু সিনহা দা আমাকে এতো স্নেহ করতেন তাঁর তিরোধানের খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ মনে হয়েছিলো দাদা যদি নিজের দেশের মেয়ে বিয়ে করতেন তাহলে আমার কাছে তিনি মাছ খেতে চাইতেন না আর আজ আমি এতো কষ্টও পেতাম না।
প্রথম লেখা
অনেক বিষয়ের মধ্যে যে বিষয়টি আমাকে বেশি পীড়া দেয় সেটা পুরুষদের কান্না। ব্রিটেনে কর্মক্ষেত্রে অনেক পুরুষ মানুষকে হাউমাউ করে কাঁদতে দেখেছি যাঁদের প্রত্যেকেই বিদেশে থাকার জন্য এখানের মেয়েকে বিয়ে করে সংসার ভাঙা বা অশান্তির শিকার। দু’জন মানুষের ঘটনা মনে দাগ কেটেছে। একজন ভদ্রলোক বিয়ে করে এসেছিলো এদেশে। সংসারে সমস্যা শুরু হতেই মেয়েটি বলেছিলো আরো দু’বছর থেকে ভিসা হওয়ার পরে ডিভোর্স দিতে। বিদেশে থাকার জন্য থাকবে না বলে সে দেশে ফিরে গিয়েছিলো।
অপরজন একজন মা। আমেরিকাতে ভিসা পেয়ে ভাইয়ের বাসায় ছিলো বাংলাদেশে ফেরার পথে বলে গেলো ‘ছেলেমেয়েদের বড়ো করে দিয়েছি, এখন আমেরিকা আনতে পারবো একথা চিন্তা করে এই বয়সে আমি ন্যাপি চেঞ্জ করতে পারবো না’(ভাইয়ের বাসায় থাকা অথবা চিলড্রেনস হোমে কাজ করা কোনোটাই তাঁর পছন্দ নয়)। আমি এঁদের স্যালুট জানাই। এ ধরণের পরিস্থিতিতে বহু মানুষকে নানা ভাবে ভুগতে দেখেছি এবং দেখি।
আমি ভাবি এটা কোনো জীবন হলো?
যে কথা বলতে বসেছি সিংহা দা (ডাঃ সিনহা) আমার জি পি সার্জারিতে মাঝে কাজ করতেন (লোকাম)। মাকে অনেকবার দেখেছেন কারণ তাঁর কাছে গেলে মা বাংলায় নিজের কথা নিজে বলতে পারতেন। বৌদি ছিলো ইংরেজ। দাদা একদিন আমাকে বললেন পাবদা মাছ খেতে ইচ্ছে করছে। তিনি কোলকাতার হলেও স্বভাবে বোঝা যেত গায়ে বাংলাদেশি রক্ত আছে (বেশি ইমোশনাল)। যাহোক আমি পাবদা কিনলাম এ কাজে সে কাজে দাদার আর আসা হয় না বা দাদাকে ডাকা হয় না। একদিন বললো তাঁর বউ মাছ খেতে পারে না।
এর মধ্যেই আবাসিক ডাক্তার চাকুরী নিয়ে অস্ট্রেলিয়া গেলো। প্রায় দেড় বছর আমি অস্ট্রেলিয়া, ইউ কে আর বাংলাদেশের ফ্লাইট পাহারা দেয়ার কাজে আকাশ পথেই কাটালাম। মাঝখানে দাদাকে বললাম বাসায় আসতে একবার বললো তাঁর ভাইয়ের বৌ আরেকবার বললো তাঁর ভাই মারা গেছে আসতে পারবেন না। অস্ট্রেলিয়ার পাঠ চুকিয়ে ব্রিটেনে ফিরেছি ২০১৩ র মে মাসে। প্রায়ই বলি দাদাকে ডাকতে না হলে রান্না করা মাছ দিয়ে আসতে।
একটু আগে শুনলাম, ‘একটা খারাপ খবর আছে...’ ঘুরে তাকাতেই শুনলাম সিনহা দা নাই। মনটা প্রচন্ড অস্থির।
২৯শে মে, ২০১৪
৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:১০
ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: এলোমেলো মনের আধা বলা আধা না বলা কথা বুঝতে পারার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা রইলো। আপনিও ভালো থাকবেন। অনেক শুভকামনা। আলজাহাঙ্গীর
২| ২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:১০
জনাব মাহাবুব বলেছেন: লেখাগুলো আরো সহজ সরলভাবে উপস্থাপন করলে বুঝতে সুবিধে হতো।
কেমন ঘটনাগুলো ঘোলাটে ঘোলাটে মনে হলো।
আপনার ঘটনাগুলো অনেক মর্মস্পর্শী।
৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:১১
ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: অস্থির মনের লেখাটি শেয়ার করা হয়তো ঠিক হয়নি।
এডিটেড লেখাটি পড়ার অনুরোধ রইলো।অশেষ ধন্যবাদ আর শুভকামনা। জনাব মাহাবুব
৩| ২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৫০
অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: লেখা বড় এলোমেলো।
৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:১৩
ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: সহমত। এডিটেড লেখাটি পড়ার অনুরোধ রইলো। অশেষ ধন্যবাদ আর শুভকামনা। অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট
৪| ৩০ শে মে, ২০১৪ ভোর ৬:০৭
সকাল হাসান বলেছেন: গোছানো না ঠিকঠাক মত। বুঝতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:১৮
ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: সহমত। এডিটেড লেখাটি পড়ার অনুরোধ রইলো। অশেষ ধন্যবাদ আর শুভকামনা। সকাল হাসান
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:০২
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
প্রিয় মানুষদের প্রস্থান হয়ত মেনে নেয়া কষ্টকর ৷ তবু মহাকাল পরশ দিবে আশা করি ৷
দাদার জন্য শ্রদ্ধা রইল ৷
আবার আপনার ভাষ্যমতে বাংলাদেশীদের রক্তে একটু বেশি আবেগ আছে ৷ সুন্দর থাকুন আর মাটির মায়ায় থাকুন ৷