নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনোয়ারা মণি

মনোয়ারা মণি

ব্লগপাতায় কামরুন নাহার

কামরুন নাহার আমার নাম নয় আমার নাম মনোয়ারা মণি

ব্লগপাতায় কামরুন নাহার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘোমটা এবং কিছু কথা

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৪৯

আমাদের সংস্কৃতিতে নারীদের জন্য ‘ঘোমটা’ শব্দটির একটি বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কারো ব্যক্তিগত কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনা করা সমীচীন নয় কিন্তু সেই ব্যক্তিগত কাজ যদি সমষ্টিগত বা জাতিগত ভাবে প্রশ্নের মুখোমুখি করে তবে সে ক্ষেত্রে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা না করাও অনুচিত।

মাথায় ঘোমটা দেয়া বাঙালি নারীদের ঐতিহ্য। সৌন্দর্যও বটে। সৌদি আরবে কর্মরত অবস্থায় মাথায় ঘোমটা দিতে হতো কারণ সেটা ঐ দেশের আইন।

শাড়ির আঁচল দিয়ে মাথায় কাপড় দিলে দেখতে নিজের কাছেও ভালো লাগতো। ব্রিটেনে বসবাস কালে শীতকাল বা বরফের সময় ছাড়া মাথা ঢাকার প্রয়োজন হয় না কারণ এদেশের আইনে এটা বাধ্য গত নয়। অনেক সময় বেশিক্ষণ মাথা ঢাকা থাকলে মাথা ব্যথা হতে দেখা যায় আবার সিনথেটিক কাপড় দিয়ে মাথা ঢাকাও নাকি মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে বিশেষ করে গরমের দেশে । ড্রেস মানুষের পরিচিতির অংশ। ইদানীং আরেকটা বিষয় পরিলক্ষিত হয় এদেশে রেসিজমের ভয়ে অনেকেই সহজে নিজেকে আইডেন্টিফাই করতে চাচ্ছেন না। বর্তমান অবস্থা তো বেশ নাজুক। শপিং এ যারা মাথা ঢেকে যায় অনেক ক্ষেত্রে তাদেরকে নীরবে ফলো করা হয়। যাহোক যে কথা বলছিলাম --

ঘোমটা দেয়া আমাদের বাঙালিদের ঐতিহ্য। আমরা মাথায় ঘোমটা দেই আর না দেই কিন্তু এই ঐতিহ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অধিকার আমাদের আছে বলে আমি মনে করি না। ভাবতেও খারাপ লাগে যখন মনে পড়ে সৌদি আরবে মাথা এবং মুখ ঢেকে অনেক নারীদের অনৈতিক কাজ করতে দেখেছি। নিজের দেশে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা অন্যরকম। পরিচিত মহলে কেউ কেউ বলে, ‘চুল পেকেছে দেখাতে চাই না তাই মাথায় ঘোমটা দেই...’ কেউ বলে ‘বাচ্চাদের স্কুল থেকে নেয়া আনার সময় বার বার ড্রেস বদলাতে ভালো লাগে না তাই লম্বা ড্রেস পড়ি...’। সব চেয়ে বেশি লজ্জিত হই যখন দেখি একজন নারী বা মা মাথায় ঘোমটা দিয়ে আঁচল টানতে ভুলে যায় অথবা ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে মাথা ঘোমটা খুলে ফেলে দেয়। সমাজে পরিচিতি আছে এমন ব্যক্তিদের এসব কাজ মানুষের চোখ এড়ায় না। তারা কি একবারও ভাবে না এসব কার্যকলাপ সমগ্র নারী জাতির ঐতিহ্যকে হেয় প্রতিপন্ন করে বা করতে পারে? এসব কর্মকাণ্ড তো নারীদের সুনাম এনে দেবে না। ঘোমটা দেয়া বা না দেয়া যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার কিন্তু এই ‘ঘোমটা’ কে সমাজের সামনে ইচ্ছে মত ব্যবহার করা কতটুকু উচিৎ? আমার কথা হলো যদি কেউ ঘোমটা দেন তবে মন থেকে দেন, যদি না দেন কেউ তো জোর করছে না। এসব প্রসঙ্গে পুরুষেরা কথা বললেই হয়তো বলা হবে নারীর স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে। কেউ কেউ আমাকে আমি নারী বিদ্বেষীও মনে করতে পারে, আসলে কিন্তু তা নয়।

নারীদের প্রতি বা তাঁদের কর্মকাণ্ডে কেউ আঙ্গুল তুলে কথা বললে আমার আঁতে ঘা লাগে বলেই এই লেখা।



Happy International Women's Day !!

Best wishes for all Men and Women !!

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫

গাজী ইলিয়াছ বলেছেন: এ পৃথিবীর নগ্নতা রোধ ও বসবাসের উপযোগী তথা বিশুদ্ধ এ দুনিয়ার জন্য হিজাব প্রথা একান্ত জরুরী মনে করি।

০৯ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:২৫

ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: মানুষ তার নিজের নাকি অন্যের প্রথা আপন করবে সেটা যার যার ব্যক্তিগত পছন্দ। নিত্যদিনের চলার পথে যে সব দৃশ্য অনেকের সামনে আসে না দুর্ভাগ্যজনক হলেও একজন চিকিৎসককে সেই সব দৃশ্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়। নগ্নতা শুধু মেয়েদের নাকি পুরুষদের ক্ষেত্রেও হতে পারে বা কত ধরণের হতে পারে সে বিতর্কে যেতে চাইছি না। আপনার মন্তব্যে অনেক দেখা ঘটনার কথা মনে পড়ে গেলো...জীবনের যে ক্ষেত্রেই হোক কারো উপর কিছু চাপিয়ে দিয়ে সাধারণত ভালো ফলাফল পাওয়া যায় বলে মনে হয় না। মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই গাজী ইলিয়াছ ।

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭

বিদগ্ধ বলেছেন: ভালো বলেছেন। ঘোমটা/হিজাব/সিঁদুর ধর্ম ও সংস্কৃতি অনুসারে থাকতেই পারে। তবে এগুলোর মধ্যেও উশৃঙ্খলতা বা অসভ্যতা থাকতে পারে। হিজাবও আজকাল অত্যাধুনিক হয়ে গেছে। তাই সবার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো শিষ্টতা।

০৯ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:২৫

ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: সহমত। আসল কথা শিষ্টতা। বিশুদ্ধতা। অশেষ ধন্যবাদ আর শুভকামনা ভাই বিদগ্ধ।

৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ভাল লাগলো ।++++++++++

০৯ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:২৬

ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: এতোগুলো প্লাস দিয়ে ভালো লাগার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আর শুভকামনা ভাই গিয়াসলিটন।

৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ঘোমটা সম্পর্কে নতুন কিছু অনুভূতি জানা গেল । ভাল লিখেছেন ।

০৯ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:২৬

ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ আর শুভকামনা পাঠ ও ভালো লাগার জন্য। আপনাকে দেখলেই হুমায়ূন ফরীদি মনে করে চমকে উঠি। কথাটি অনেক দিন বলি বলি করেও বলা হয় নাই। ভালো থাকবেন সুহৃদ সেলিম আনোয়ার :)

৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:৫২

আরজু পনি বলেছেন:

ভালো একটা বিষয়ের অবতারনা করেছেন।

নারীদের প্রতি বা তাঁদের কর্মকাণ্ডে কেউ আঙ্গুল তুলে কথা বললে আমার আঁতে ঘা লাগে বলেই এই লেখা।

কেউ কেউ যখন টাইট ফিটিংস বোরখা পড়ে শরীরের পুরো অবয়বকে স্পষ্ট করে বেরোয় তখন কথা শুনতে হয় আরো বেশি যে কথায় তাদের গায়ে না লাগলেও আমাদের গায়ে লাগে ।

আজ খেয়াল করলাম আপনার নাম "মনোয়ারা মণি"।

অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্যে।

০৯ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২৪

ব্লগপাতায় কামরুন নাহার বলেছেন: স্বাগতম, আপু।
সহমত আপনার সাথে।
এই লেখার প্রথম কমেন্টটি দেখে মনে হচ্ছে বিষয়টি কখনো কখনো মেয়েদের উপরে চাপিয়ে দেয়া হয়। চাপিয়ে দেয়া বিষয়গুলির ফল কখনো ভালো হয় না।
সে চাপানো ঘর, পারিবার, সমাজ বা দেশ যেখান থেকেই হোক না কেন।
আমার নাম Inverted commas এর মধ্যে সম্ভবত এই প্রথম দেখলাম।
কামরুন নাহার নামটিও আমার প্রিয়। পাঠ আর মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। অনেক শুভকামনা আপনার জন্যও আপু আরজুপনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.