| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিবাদি রাজ খান ইমন
জাহাঙ্গীরগনর বিশ্ববিদ্যালয়ে নাকি মাদক সেবন করার সময় হাতেনাতে দুই শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহায়তায় গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলের ৩৩৫ নাম্বার কক্ষ থেকে তাদের আটক করা হয়।এদের মধ্যে একজন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক বলে জানা গেছে। (খবরে প্রকাশ)
যেহেতু ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী হেরোইন সহ ধরা পড়েছে সেহেতু মাদক সেবী সংগঠন হলো ছাত্র ইউনিয়ন।
... শুনতে কেমন লাগলো !!! একটু লাগলো কি নিজেদের প্রগতীর ধ্বজাধারী বলে দাবী করা আমার বন্ধুরা? উপরের এই কথাগুলো রাজনৈতিক বক্তব্য যদিও। ছাত্র ইউনিয়ন করা মেয়েটা অত্যাচারীত হয়ে মারা গ্যাছে - সোজা কথায় একজন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং সেটা করেছে তারই বন্ধু (খবরে প্রকাশ)।
এই হত্যার বিচারের বাধা হলো হত্যাকারী প্রভাবশালী এটা ধরে নিয়ে বলা যায় এই হত্যাকান্ডের বিচার চেয়ে পথে ও লেখনিতে আমরা কথা বলবো - যেনো হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি হয়। কিন্তু কি দেখছি ? সেই গতানুগতিক রাজনৈতিক বক্তব্য - একটি ছাত্র রাজনিতীর দল কে ও তার মুল সংগঠনকে দায়ী করে রাজনৈতিক বক্তব্য আসছে - এই মেয়েটির জীবনও রাজনিতীর কড়ি হয়ে উঠলো!! আপনারা হয়তো জানেন না বা জানবার প্রয়োজন মনে করেন নি - এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে নিহত আফসানার নিজ জেলাতে যে প্রতিবাদ হয়েছে সেখানে অগ্রগামী কাতারে ছিলো ছাত্রলীগের ছেলেরাই। আপনারা আফসানাকে পুঁজি করে গালাগালি করে বেরাচ্ছেন পুরো ছাত্রলীগকে - রাজনৈতিক ফায়দা লুটবার টাউট বাটপারীতে নেমে পড়েছেন। নিজেদের প্রগতির ধ্বজাধারী বলে ঢোল পেটালে সেটা হওয়া যায় না ছাত্র ইউনিয়নকে এই হত্যার বিচার আদায় করে ঘরে ফিরতে - আমারও আকাঙ্খা - শুধু ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী বলে নয় প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের ছাত্ররা প্রতিবাদে মুখরিত হউক কিন্তু সেই সাথে বন্ধ হোক সস্তা রাজনৈতিক পুজি পকেটে ভরবার টাউট বাটপারী।
হে জাগরণের ধ্বজাধারীগণ, হে প্রগতিশীলতার স্বঘোষিত কর্মীগণ, হে মেধাবী গণ, হে সমাজতন্ত্রের আদর্শে উজ্জীবিত যুবক গণ - সস্তা রাজনিতী আর কত করবেন? স্বাধীনতার এত বছর পরও নিজেদের অবস্থান মুল্যায়নের, বিফলতার কারণ উদঘাটনে আপনাদের কোন প্রয়াস নেই, কোন আত্ম সমালোচনা নেই, গতানুগতিকতার বাইরে নেই কোন উদ্ভাবণী চিন্তা - মুর্খ বড়দের শিখিয়ে দেওয়া বাটপারী বুলি আর কত!! মেরুদন্ড সোজা করে দাড়ান - রাস্তায় স্টান্টবাজীর মিছিল না করে, রাজনৈতিক সুবিধা হাসিলের দোষারোপ না করে, সবাই মিলে হত্যাকারীকে ধরতে করণিয় ঠিক করেন। আফসানা হত্যাকারীকে গুড়িয়ে দিয়ে ছাত্র জনতার শক্তি দেখান - তবে আবার অনুরোধ টাউট বাটপারী ছাড়েন আর কত? আপনারা হয়রানও হন না দেখতে দেখতে আমি যে হয়রান হয়ে গেলাম।
©somewhere in net ltd.