![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনটা বড্ড তেঁতো এ মুহূর্তে! জীবনের বাকীটা সময় একটুখানি টক,ঝাল,মিষ্টির অপেক্ষায় ... যে কেউ মেইল করতে চাইলে : [email protected]
দিনদিন আমার শারীরিক এবং মানসিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে । আমি আর আগের মতো হাসতে পারি না , খেলতে পারি না । এমন কি বন্ধু দের সাথে আড্ডা দেবার ক্ষমতা ও আর অবশিষ্ট নেই । ইদানিং ঘর থেকে বের হই না বললেই চলে । পেপার পত্রিকা কিংবা রেডিও টেলিভিশন দেখা বন্ধ করে দিয়েছি প্রায় বছরখানেক হলো। মাঝে একটা সময় ছিল যখন খুব কাদঁতাম একা একা কিন্তু এখন আর আমার কান্না পায় না !
যে কারণে আমি আজ এরকম :
প্রাককথন :
সেই ছোট্টবেলা থেকেই আমি চিরকাল মার খেয়ে আসছি । ছোটবেলায় আমার বন্ধুরা বিভিন্ন কৌশলে আমাকে মারতো । একটা খেলা ছিল বোমবাষ্টিং নামে - যেখানে একটা টেনিস বল দিয়ে একজন আরেকজনের গায়ে লাগাতে হতো । খেলার নিয়ম ছিল - যার হাতে বল থাকবে সে তার নিকটবর্তী খেলোয়াড়কে জ্বলাবে (গায়ে বল ছুড়ে মারবে) । কিন্তু, আমার বন্ধুরা কেন যেন আমাকেই টার্গেট করতো আর ষড়যন্ত্র করে আমাকেই শুধু জ্বলাতো । আমি এর কোনো কারণ খুঁজে পেতাম না । আর ওদের থেকে শক্তি ও আমার কম ছিল তাই কখনো প্রতিবাদ করতে পারতাম না আমি । প্রতিদিন মার খেতাম আর বাসায় এসে একা একা কাঁদতাম !!! কিন্তু পরদিন বিকেলে ঠিক ই আবার খেলতে যেতাম এই ভেবে যে - হয়তো আজ আর মার খাবো না । কিন্তু সেদিন ও চোখের জল নিয়েই আমাকে বাড়িতে ফিরতে হতো
বাসার ভেতরকার অবস্থা ছিল আরো ভয়াবহ । আমার মায়ের অত্যাচারের সেই সব দৃশ্য মনে পড়লে এখনো আমি বাকরুদ্ধ হয়ে যাই ! তার কয়েক ধরনের শাস্তির ভেতরে ছিল -
* বাথরুমে কয়েক ঘন্টা আটকে রাখা । দিনের বেলায় তবু সহ্য করা যেত কিন্তু রাতের বেলা লাইট বন্ধ করে যখন আটকে রাখতো তখন ভয়ে আমার অন্তরাত্বা শুকিয়ে যেত । তাছাড়া বাথরুমে প্রায়ই বড় সাইজের মাকড়সা আর টিকটিকি থাকত যেগুলোর ভয় দেখানো ও ছিল শাস্তির একটা অংশ ।
* পেটে এমন খিমচি (জোরালো চিমটি) দিতো যে গলগল করে রক্ত বেরিয়ে আসতো । তখন আমার বয়স বড়জোর ছয় কি সাত । আর এ শাস্তি চলেছে আমি যখন ক্লাস এইটে পড়ি সেই পর্যন্ত ।
* হাতের দু 'আঙুলের ভেতরে কলম ঢুকিয়ে জোরে চেপে ধরতো যার ফলে পরবর্তীতে আমার হাতের কয়েকটা আঙুল বিভিন্ন দিকে বেঁকে যায় । অবশ্য এটা ছিল ক্ষুদ্রতম শাস্তি
* কখনো কখনো খাওয়া বন্ধ করে দিতো , কখনোবা বাসার বাইরে বের করে দিতো দু'চার ঘন্টার জন্য , কখনো হয়তো ঘুমের ভেতরে বেধড়ক মার শুরু করতো ... বেত, খাটের স্ট্যান্ড , চেয়ারের পায়া , বাথরুমের একটা খোলা স্টিলের পাইপ ছিল - যখন যেটা হাতের কাছে পাওয়া যেত সেটাই চলতো আরকি ...
* সবথেকে ভয়াবহ শাস্তি ছিল - দেয়ালের সঙ্গে মাথা ধরে বাড়ি দেয়া ! অর্থাৎ সে আমার মাথাটা ধরে দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা দিতো ।
এটা আমার ক্লাস ফাইভ এ থাকাকালীন তোলা ফটো ।
( কেউ ভাবতে পারে আমি হয়তো খুব খারাপ ছিলাম বিধায় এ ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা । কিন্তু তাদের সে ভাবনা ভুল । কারণ , ছোটবেলা থেকেই এমন টাইপের ছিলাম যে - কেউ মারলে তাকে উল্টে না মেরে বরং তার হাত ধরে বলতাম - ব্যাথা পাননি তো ? )
তাহলে শাস্তি কেন পেতাম ? খুব ছোটখাটো কারণে যেমন : দুপুরে না ঘুমানো , পড়ার সময় কোনো টিভি সিরিয়াল দেখার বায়না ধরা , সকালবেলায় ঘুম থেকে দেরীতে ওঠা , গল্পের বই পড়া, ছোট ভাই-বোনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি কিংবা মারামারি .......
মা যে শুধু নিজে শাস্তি দিয়েই ক্ষান্ত থাকতেন তা নয় । বাবা অফিস থেকে ফিরলে তিনি বাবার কাছে পুনরায় নালিশ দিতেন । তারপর ঐ এক অন্যায়ের কারণে বাবার মার ও খেতাম । সবচাইতে কষ্ট লাগতো তখন যখন ছোট ভাই-বোন মিথ্যা নালিশ করে আমাকে ডাবল মার খাওয়াতো ।
ক্লাস নাইন এ থাকাকালীন আমি প্রথম এর প্রতিবাদ করি । প্রতিবাদ করায় অত্যাচারের মাত্রা আরো বেড়ে যায় । এরপর শাস্তি দিতে কোনো ই্যসু লাগতো না । যখন তখন বিনা নোটিশেই ...
এ মুহূর্তে একটু অন্য প্রসঙ্গে যাই । আমার মা সেলাই জাতীয় টুকিটাকি কাজ (ব্লক , বাটিক, এমব্রয়ডারী, এপলিক ...) করতেন বাসায় । এ সময়টায় তিনি পুরোপুরি এতে আত্ননিমগ্ন হয়ে যান । সারাদিন ই প্রায় বাইরে বাইরে থাকতেন আর সন্ধ্যা হলেই বাসায় ফিরে আমাকে আর অন্যান্য ভাইবোনগুলিকে শাসন শুরু করতেন । সারাক্ষণ ই কেন যেন তার মেজাজ গরম থাকতো ।
.......
২০০৫ সালের কথা । এস.এস.সি তে আরো অনেকের মতোই জি.পি.এ ৫ পেলাম । আমার বন্ধুরা কেউ কেউ ঢাকায় চলে গেল । আমি ও দিনরাত স্বপ্ন দেখতে লাগলাম হয়তো এ যন্ত্রনা থেকে এইবার মুক্তি পাওয়া যাবে ! খুব ইচ্ছা ছিল নটরডেমে পড়ার । কিন্তু আমাকে সেখানে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগটা ও দেয়া হলো না । অনেক কাকুতি মিনতি করলাম বাসায় - অন্তত ঢাকার যে কোনো ভালো একটা কলেজে পড়বো বলে ! তা ও হলো না ।
আমাকে বলা হল - আমি নাকি মশারি টানাতে পারি না , একা একা খেতে পারি না , বাইরে রাস্তা পার হতে পারি না ...
এইসব ফালতু অযুহাত দিয়ে তারা আমার ঐ সময়কার স্বপ্নটাকে মাটি চাপা দিলো আমাকে ভর্তি হতে হল আমার বাসার নিকটবর্তী একটা কলেজে । মূলত, তখন থেকেই আমার জীবনের ছন্দপতন হয় । কলেজে যেতাম ঠিক ই কিন্তু রাগ করে ক্লাস করতাম না । এতদিনকার সঞ্চিত রাগ তখন আমার বুকের ভেতরে চক্রবৃদ্ধিহারে বাড়ছে । দুঃখ, কষ্ট, যণ্ত্রনা আমাকে একটু একটু করে শেষ করে দিচ্ছিলো । রাত জেগে লিখালিখি করতাম - তেমন কিছু না , শুধু আমার কষ্টের কথাগুলোই লিখতাম কখনো গল্পাকারে কখনো বা কবিতাকারে । মাঝে মাঝে ধরা পড়ে এর জন্য ও শাস্তি পেয়েছি । যাকগে সেসব কথা । ইন্টার ফার্ষ্ট ইয়ার চলে গেল । ইয়ার ফাইনাল না দিয়ে বাবাকে আরেকবার অনুরোধ করে বললাম - বাবা , আমি আর বাসায় থাকবো না । হয়তো এখানেই কোনো হোষ্টেলে নয়তো ঢাকায় গিয়ে পড়বো । আবেদন নাকচ হলো । বাসার সবার ডিসিশন - আমাকে এখানেই ফাষ্ট ইয়ারের সাথে আবার ক্লাস করতে হবে । আমি বহুদিন ওদের ক্লাসের সামনে গিয়ে দাড়িয়ে থেকেছি , ভেতরে ঢুকতে পারিনি শুধু লজ্জায় ! টেষ্ট পরীক্ষা চলাকালীন একদিন আমি বাবার দু'হাত জড়িয়ে অনেক কাঁদলাম
বাবা বুঝতে পেরে আমাকে কয়েক দিনের মধ্যেই ঢাকার একটা বেসরকারী (কারণ, ইয়ার গ্যাপের ফলে সরকারী কলেজে পড়তে পারবো না) কলেজে ভর্তি করিয়ে দিয়ে চলে আসলেন । কলেজের নিজস্ব হোষ্টেল ছিল । সেখানেই থাকতাম । তবে সেখানকার খাবার এতটাই সস্তা আর অরুচিকর ছিল যে প্রথম প্রথম কিছুদিন আমি খেতে পারতাম না । পরবর্তীতে অভ্যস্ত হয়ে গেলাম । আমার তখনকার সবথেকে বড় মনঃকষ্ট ছিল এই যে - আমি আমার ক্লাসমেট কিংবা রুমমেটদের কখনোই আমার ইয়ার গ্যাপের কথা বলতে পারতাম না । তাদের সঙ্গে মুক্তমনে কোনো আলোচনায় অংশ নিতে পারতাম না । সবসময় লুকোচুরি করতে হতো । যে দু'টি প্রশ্ন আমাকে সব থেকে বেশি বিদ্ধ করত তা হলো -
* কেউ যখন জানতে চাইতো - 'তোমার বয়স কত ?'
* কেউ যখন প্রশ্ন করতো - 'এ প্লাস পেয়ে তুমি এইরকম নামহীন একটা কলেজে ভর্তি হলা কেন ?'
বেশিরভাগ সময় আমি অন্য প্রসঙ্গ টেনে এড়িয়ে যেতাম, মাঝে মাঝে মিথ্যে বলতে হতো । সত্য বলতে শঙ্কা হতো - যদি তা শুনে সবাই ধিক্কার দেয়, এড়িয়ে চলে !
আমি তখন বাইরে খুব একটা বের হতাম না । যদি আগের কোনো ক্লাসমেট কিংবা ব্যাসমেটের সঙ্গে দেখা হয় এই লজ্জায় ! এভাবে একসময় এইচ.এস.সি পরীক্ষা ও হয়ে গেল । ইউ.সি.সি তে 'ক' ইউনিটে ভর্তি হলাম ভার্সিটি কোচিং করার জন্য । মাত্র ৭ দিন ক্লাস করার পর জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে বাসায় চলে আসি । প্রায় দেড় মাস পর ফিরে গিয়ে দেখি ক্লাস শেষ , তখন স্পেশাল কেয়ার নিচ্ছে যারা ইউ.সি.সি তে পরীক্ষায় ভালো করেছে তাদের । আমি যেহেতু পরীক্ষা দিইনি তাই স্পেশাল কেয়ার এর আওতাভুক্ত নই । কিন্তু এতদিন হয়ে যাওয়া ক্লাসের লেকচার শিটগুলো (অসুস্থতার কারণে যে লেকচারগুলি পাইনি) আমার দরকার ছিল তাই গেলাম নিতে । অফিস থেকে বললো - এটা চেয়ারম্যানের রুম থেকে নিতে হবে । ইউ.সি.সি চেয়ারম্যান তখন মিঃ পাটোয়ারী ।
গিয়ে বললাম - স্যার, আমি অসুস্থার জন্য গত দেড়মাস ক্লাস করতে পারিনি । আমাকে লেকচার শিটগুলি দেন ।
তিনি বললেন - কি হয়েছিল ?
'জন্ডিস ।'
'তুমি যে সত্যিই অসুস্থ ছিলে তার প্রমাণ কোথায় ?'
জানতাম এরকম একটা কিছু হবে । তাই মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে গিয়েছিলাম । ওটা দেখালাম ।
তিনি বললেন - ঠিক আছে । তোমার গার্জিয়ান কে খবর দাও । সে আসলে তোমার লেকচার শিট দিব ।
আমি বললাম - স্যার, আমার গার্জিয়ান এখানে থাকেন না ।
তিনি বললেন - গার্জিয়ান ছাড়া লেকচার শিট দেয়া যাবে না ।
আমি বললাম - ঠিক আছে স্যার । আমার লেকচার শিট লাগবে না ।
ইন্টারমিডিয়েটে থাকা অবস্থায় ।
এটাই ছিল ইউ.সি.সির সঙ্গে আমার শেষ সাক্ষাৎ । ঐদিন ই আমি প্রতিজ্ঞা করলাম - বাংলাদেশের কোথা ও 'ক' ইউনিটে আমি পরীক্ষা দেব না
রুমে এসে Physics, Chemistry, Biology, Math বই আর গাইড দড়ি দিয়ে বাঁধলাম এবং ঐ বিকেলেই সবগুলো কেজিদরে (সম্ভবত ৬৭ টাকায়) বিক্রি করে দিলাম । এরপর আমি পড়াশুনা ছেড়ে দিলাম । সারাদিন শুধু ঘুমাতাম । ওহ্ এর মাঝে এইচ.এস.সির রেজাল্ট দিয়েছে যা আমার হতাশার মাত্রাকে (মাত্র ৪.২) প্রলম্বিত করলো । আমি খাওয়া-দাওয়া প্রায় ছেড়ে দিলাম । দিনরাত শুধু ঘুমাতাম । শরীর শেষ হয়ে গেল ।
এসময় কয়েকটা ভার্সিটিতে পরীক্ষা দিলাম (শুধুমাত্র 'ঘ' ইউনিট) ; যে আমি কোনোদিন সাধারন জ্ঞান পড়ি নাই একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞানে চান্স পেয়ে ভর্তি হলাম । সাল তখন ২০০৯ । অর্থাৎ, আমার সেশন ২০০৯-১০ ।
ইস্ ! কষ্টগুলি যদি তখনো আমাকে ছেড়ে যেত বোধহয় কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারতাম । কিন্তু তা আর হবার উপায় কোথায় ? জন্ডিস আবার ধরলো , তারপর পক্স । পরীক্ষার ঠিক আগে আগে চোখে সমস্যা দেখা দিল ; অপারেশন করালাম , চশমা নিলাম । পরীক্ষা আর দেয়া হলো না । আবারো ফার্ষ ইয়ারে । কিন্তু এখন আর আগের লজ্জা নেই ।শুধু বিষন্নতা আর ঘুমের সমস্যার দরুন এখন ক্লাস করতে পারি না । হয়তো অচিরেই পড়াশুনা ছেড়ে দিতে হবে !
.............................
এখন আমি একটাই স্বপ্ন দেখি আমার থেকে হাজার গুন বেশি কষ্ট পাওয়া একজন মানুষকে নিয়ে
- যাকে আমি ভালোবাসি
- যার বিরহে অহর্নিশি একলা একলা কাঁদি-হাসি ।
তাকে নিয়ে অন্য কোনো গ্রহে ছুটে যেতে ইচ্ছে করে খুব ! -যে গ্রহে কোনো মানুষ নেই , নেই কোনো শারীরিক কিংবা মানসিক শাস্তির আতংক !
পুনঃশ্চ : কিছুদিন ধরেই আমি খুব কাদার চেষ্টা করছি কিন্তু পারছি না । তবে, আমি জানি আমাকে কাঁদতে হবে নইলে আমি বাঁচবো না !
২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৭:৩৮
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: আমার এখন আর খারাপ লাগে না । সত্যি কথা বলতে - অনুভুতিগুলি এখন আর আগের মতো কাজ করে না । তবে, স্বপ্ন দেখি এখনো ; জানি তা কখনো সত্য হবেনা , কখনো না !
২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৬:৫৫
হোদল রাজা বলেছেন: ভাই আবিদ, পুরোটা গল্প না তো? যদি সত্যি হয় তাহলে একটা মানুষ যতখানি খারাপ ভাবে বড় হতে পারে তারচেয়েও খারাপ ভাবে বড় হয়েছেন আপনি! চরম মানসিক নির্যাতন। আপনাকে কেউ করছে বলার চেয়ে বলবো আপনি হয়েছেন। সত্যিই মনটা খারাপ হয়ে গেলো আপনার লেখাটা পড়ে!
তবে আশার কথা হলো, আমি সচেতনভাবে খারাপ থাকার সাইকেলটা ধরতে পারছেন এবং আমি সিওর এই চক্রটাকে আমি ভাংতেও পারবেন খুব সহজে! একটু শক্ত হতে হবে আপনাকে!
আমি আরও সিওর আপনার জীবনে যা খারাপ কিছু আসার ছিল তা এসে গেছে। এখন শুধু ভালোর অপেক্ষায়...
২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৭:৪৪
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: হ্যা , এটা আমার জীবনে ঘটে যাওয়া গল্পই বটে ।
এত কষ্ট করে এ অথর্বের এই কষ্টমাখা জীবনঘনিষ্ঠ পোষ্ট পড়েছেন বলে ধন্যবাদ । এরকম যেন আর কারো জীবনে না ঘটে - এইটাই প্রত্যাশা ।
৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৭:১০
জালিস মাহমুদ বলেছেন: ভাই আবিদ, পুরোটা গল্প না তো? । যদি সত্যি হয় তাহলে এটা খুবই দুঃখজনক । তোমার প্রতি সমবেদনা রইল
২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৭:৪৮
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: না গল্প না । সমবেদনা ছাড়া আর কিছুই আমার ভাগ্যে নেই
৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৭:৫৫
জালিস মাহমুদ বলেছেন: তোমার জন্য কয়েকটা গান দিলাম শোন
Nazrul Sangeet - Khelichho E Bishwa Loye
২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৩৫
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: শুনলাম । ২য় গানটার ভেতরে অনেক উজ্জীবনী শক্তি আছে । কিছুটা উজ্জীবিত হলাম । অসংখ্য ধন্যবাদ জ।লিস ভাই ।
৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৮:০২
ঈশান বলেছেন: যতোদূর বুঝলাম, আপনার কনফিডেন্সের অভাব। একজন মানুষ সারাজীবন মার খেতে পারেনা। ঘুরে দাঁড়ান। পড়ালেখা ভালোভাবে করেন। আপনি যা চান, তা কেউ আপনার হাতে তুলে দিবেনা, আদায় করে নিন। ভালো থাকুন
২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৪৩
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: কনফিডেন্সের অভাব কিনা জানি না । হতে পারে আপনার অনুমান সত্য । আমি ও চাই ঘুরে দাড়াতে । পড়ালেখা করতে আর ইচ্ছা করে না - ইহাই বর্তমান চিত্র কিংবা এখনকার বাস্তবতা আমার জন্য ।
ভালো থাকবেন আপনি ও ।
৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৮:০৬
স্রাবনের রাত বলেছেন: ভাই আপনার লেখাটা পরলাম । অনেক এর শৈশব এমন কেটেছে । আপনি হতাশ হবেন না । জীবনটাকে পজিটিব ভাবে দেখুন । এই যে আপনি আমাদের সাথে কষ্ট গুল শেয়ার করলেন । তাতে দেখবেন আপনার দুঃখ কষ্ট গুল অনেক কমে যাবে ।
আপনার প্রতি সমবেদনা রইল ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৪৭
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: আমি ও চাই হতাশ না হতে তবু হতাশা আমায় তাড়া করে ফেরে । সমবেদনার জন্য ধন্যবাদ ।
৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৮:১০
স্বপ্নবাজ জুয়েল বলেছেন: আপনার সাথে আমার অনেক মিল। এমন কি ছবিটা পর্যন্ত! তবে আমি এখনও আশাবাদী। খোদার কাছে প্রার্থনা মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত যেন চেষ্টা করে যেতে পারি। ভাই আপনিও পারবেন সব কষ্ট সহ্য করতে। শুধু বিশ্বাস করুন।
দয়া করে এই লেখাগুলো পড়ুন; আশা করি কাজে লাগবেঃ
http://quantummethod.org.bd/questions
২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৫৯
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: ' আমার সাথে আপনার অনেক মিল ' - জেনে একই সঙ্গে কষ্ট আর আনন্দমিশ্রিত অনুভূতি হচ্ছে ।
লেখাগুলো পড়লাম । কাজে লাগার মতোই । ধন্যবাদ ।
৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৮:৩০
১১স্টার বলেছেন:
কষ্টে যাদের জীবন গড়া, মানুষ তাদের নাম।
প্রত্যেক বাবা মাই তার সন্তানের মঙ্গল চান আর সে জন্য হয়ত তারা সামান্য শাস্তি ও দিয়ে থাকেন তবে আপনার বেলায় তা একটু মাত্রাতিরিক্ত ছিলো বলে মনে হয়।
জীবন তো একটাই যেখান থেকে শুরু করবেন সেখান থেকেই শুরু পিছনের কথা ভুলে যান শুরু করেন স্বপ্ন দেখা সেই আপনার থেকে হাজার গুন বেশি কষ্ট পাওয়া একজন মানুষকে নিয়ে।
শুভ কামনা রইলো।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০২
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: কষ্টে যাদের জীবন গড়া, মানুষ তাদের নাম। - খুব ভালো লাগলো কথাটা ।
আপনার জন্য ও শুভকামনা ।
৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:০২
ফারিয়া বলেছেন: আপনি নিজেকে ভালবাসুন, তাছাড়া যা করবেন তাতে আপনার পছন্দের মুল্য দিন। নিজেকে জানার চেষ্টা করুন, পজিটিভ ভাবনা অন্যদের মনে তৈরি করুন, তা করতে হলে আপনার মতামত সবার সামনে তুলে ধরতে হবে।আপনাকে নিজের কষ্টগুলো কারো সাথে ভাগ করতে হবে।আর মনে রাখবেন, যা আপনি করবেন তা নিয়ে আপনার সংশয় না থাকাই ভালো।নিজের সাথে প্রতারনা করবেন না।আর হাসবেন অনেক।
''ভালো থাকুন''
২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২১
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: আমি আমার পছন্দের মূল্য সব সময় ই দিই , যা আমার পরিবার কিংবা এ সমাজ দেয় না । হাসতে পারবো কিনা জানি না , তবে চেষ্টা করবো আজীবন । 'আপনি ও ভালো থাকবেন অনেক !'
১০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৩৪
মাহিরাহি বলেছেন: নামাজ পড়ুন। ধর্মকর্ম মানুষকে বদলে দিতে পারে সহজেই।
ভাল একজন বন্ধু জোগাড় করুন, যার সাথে সব কিছু শেয়ার করুন।
সবকিছুকেই চ্যালেন্জ হিসাবে নিন, কোন কিছুর কাছেই হার মানব না মনোভাবটুকুই আপনাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
শুনলে অবাক হবেন, আপনি যে সমস্যাটিতে পড়েছেন, ওরকম এমন একটি সমস্যাতে সবাইকে ভুগতে হয় জীবনের একটা সময়ে, তবে আপনারটা দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
আর মনে বদ্ধমুল ধারনা জন্মাতে শুরু করেছে এর থেকে কোন পরিত্রান নেই।
একটা সময়ে এই চক্র থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন, এই বিশ্বাসটুকুই আপনাকে মুক্তি দেবে।
আর্থসামাজিক কিংবা মনোদৈহিকভাবে আপনার চাইতেও খারাপ অবস্থায় যারা আছে তাদের কথা ভাবুন।
তারাও জীবন ধারন করে আছে, ভাল একটি সময়ের আশায়, আপনি হার মানবেন কেন?
২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৩
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: আপনার কথাগুলো মনে থাকবে । আর ভাল একটি সময়ের আশায় আমি ও এখন পর্যন্ত বুক বেঁধে আছি , ভবিষ্যতে ও থাকবো । যদি ও অনুভূতিগুলো আর আগের মতো কাজ করে না । তবে আমার বিশ্বাস - একটা ভালো সময়ে কিছু সুখর সংশ্রবে হয়তো ওগুলো ও কাজ করতে শুরু করবে ।
অনেক চমৎকার কিছু পরামর্শের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ গ্রহণ করুন ।
১১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৫০
আমার- নাম- মেহেদী বলেছেন: ভাই আপনি যে ঘটনা গুলো বললেন এরকম বেশ কয়েকটি আমার সাথেও ঘটেছে। আসলে খোঁজ নিলে দেখা যাবে আমাদের সবার মাঝেই এরকম কিছু না কিছু চাপা কষ্ট আছে যা আমরা কারো সাথে শেয়ার করতে পারি না। হাল ছেড়ে দিবেন না ভাই। এর মাঝেই আমাদের বাঁচতে হবে। ভালো থাকবেন।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৫
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: এর মাঝেই আমাদের বাঁচতে হবে। ভালো থাকবেন আপনি ও ।
১২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:৫৪
ভাবুক আমি বলেছেন: আপনি হতাশ হবেন না । জীবনটাকে পজিটিব ভাবে দেখুন । এই যে আপনি আমাদের সাথে কষ্ট গুল শেয়ার করলেন । তাতে দেখবেন আপনার দুঃখ কষ্ট গুল অনেক কমে যাবে ।
আপনার প্রতি সমবেদনা রইল ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪০
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: সমবেদনার জন্য ধন্যবাদ ।
১৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:৩২
তাহসিন আহমেদ বলেছেন: প্রথমেই বলি,আপনি যেভাবে স্কুল কয় পার করে ইউনি পর্যন্ত এসেছেন,তা অনেক কষ্টের।তবে এর চেয়েও কষ্টে পড়ালেখা করে কেউ কেউ এখন বলার মতো ভালো জায়গায় চাকরি করছে,ব্যাবসা করছে।আপনি তাদের মতো কাউকে যখন সামনে পাবেন,তাদের জীবন কাহিনী শুনবেন,তখন আপনার নিজের জীবন কে এগিয়ে নেওয়ার শক্তি পাবেন।
আমি ঢাকায় বিশেষ করে মিরপুরে একে বারে ছোট হতে বড় হয়েছি।আমার সাথে স্কুল(মনিপুর হাই স্কুল) কলেজ(গভ সাইন্স কলেজ) জাহাংগীরনগর (সিএসই)এ যারাই পড়তো,সবচেয়ে খারাপ ছিলো আমার অবস্থা।পারিবারিক,সামাজিক, সব দিক দিয়ে চরম সংকটে ছিলাম।টাকার জন্য অনেক কিছু করতে পারিনি।অনেক কিছু।কিনতু পড়ালেখা চালিয়ে গেছি।আমার ও স্বপ্ন ছিলো নটরডেমে পড়বো।টিকিনাই।আমার বড় ভাই নটরডেম থেকে পাশ করা।আমি সিটি কলেজে টিকলাম ৩য় হয়ে,১৯৯৯ সালে ১২ হাজার টাকা দিয়ে ভর্তি হতে হবে।আমার এসএসসি এর ফরম ফিলআপের ১৬০০ টাকা আমার পরিবার দিতে পারেনি,সবদার আলী স্যারের(হেড স্যার) বাসায় গেছিলেন আমার প্রয়াত মা আমাকে নিয়ে।এটা লজ্জার ছিলো কিনা জানি না।তাই আমার সিটি কলেজে পড়া হয়নি।সরকারি কলেজে ভর্তি করানো হলো।
সেই থেকে একা একা পথ চলা শুরু করলাম।চলার পথে আল্লাহ আমাকে অনকে দয়া করেছেন।আমি ২০০১ সালে জাবিতে ই কেমিস্ট্রি ও এনভায়রনমেনটাল সাইন্সে টিকি।আগে কেমিস্ট্রি তে ভর্তি হই।পরে এনভায়রনমেনটাল সাইন্সে সুযোগ আসলে আমাকে আবারও বাসা থেকে না করে ভর্তি হতে।এতো মন খারাপ হয়,আমি মনে মনে ডিসিশন নেই,আবার ও এডমিসন টেস্ট দিবো।পরের বছর ২০০২ সালে জাবিতেই সিএসই তে মেরিটে চান্স পাই।বাসায় মা-বাবা সবাই খুশি।কিনতু আমি জানতাম না টিকলে আমার অবস্থা আরও করুন হতো।২০০৫ সালে মা মারা যান।এর পর সব এলোমেলো হয়ে যায়।এখন ও আমি এমএস করিনি।ইনশাল্লাহ ঢাকা এলে করবো।সোনালী ব্যাংক লি: এ সিনিয়র অফিসার (আইটি),সুনামগন্জ জব করছি।
জীবন টা আপনার,লড়াই করেন ভাই।আল্লাহ এক জন আছে,জেনে রাখেন।যার কেউ নাই,তার জন্য আল্লাহ ই যথেষ্ট।নামায পড়েন,মন শান্ত থাকবে।কাজ করে যান।ভালো থাকবেন।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৩
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: আপনার জীবন-কাহিনী শুনে আমার ও খুব কষ্ট হচ্ছে ! বিশেষত, আপনার সিটি কলেজে ভর্তি হতে না পারার আফসোস , মা হারানোর বেদনায় আমি মর্মাহত ।
আপনি অনেক সংগ্রামী কারণ , ১ম বার জাবিতে কেমিস্ট্রি তে ভর্তি ( পরিবারের বিরোধীতায় এনভায়রনমেনটাল সাইন্সে ভর্তি হতে না পেরে ) হবার পর আপনি ২য় বার পূর্ণোদ্দমে পরীক্ষা দিয়ে জাবিতেই সিএসই তে চান্স পেয়ে যান । কিন্তু, আমি ১ম বার রাবিতে Philosophy , Psychology আর জগন্নাথে ‘D’ ইউনিটে টেকার পর আমার ইচ্ছানুসারেই রাবি Psychology তে ভর্তি হই । নানান রকম শারীরিক অসুখ-বিসুখ আর মানসিক উৎপীড়নে ২য় বার আর চেষ্টা করতে পারিনি ।
এত কিছুর পরে ও আপনি এখন একটা ভালো জব করছেন শুনে ভালো লাগছে । ভালো থাকবেন অনেক ।
১৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৩৯
অ্যামাটার বলেছেন: এইগুলো কোনও ব্যাপার না। তোমার থেকেও অনেক খারাপ অবস্থায় অনেকে আছে। আর নিজের অবস্থান নিয়ে কেউ সন্তুষ্ট না থাকলে সে যত ভাল অবস্থায়ই থাকুক না কেন, সবসময় হিনমন্যতায় ভুগবে। তাই যে যেখানে যেভাবে আছে, সবার তা মেনে নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। পেছনের কথা মনে না করে সামনে আগায়া যাও মিয়া। লাগাও দৌড় আবুল হোসেন!
২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১২
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: মেনে নিয়েছি তো ! ভাগ্য কে তো আর কখনো অস্বীকার করা যায় না । আর আমি জানি , জরা-জীর্ণ স্মৃতি মানুষকে শুধু জীর্ণতার দিকেই টানে , পঙ্গু করে দেয় তার ভবিষ্যৎ আশা-আকাঙ্খা আর স্বপ্নের জগতটাকে ! আমি সেই পঙ্গুত্বকে বরণ করতে চাই না কখনো । এখনো স্বপ্ন দেখি সব কিছু পিছু ফেলে সামনে এগোবার ।
১৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৫০
অ্যামাটার বলেছেন: এই ছবিটা দেখে ইন্সপায়ার্ড হতে পারোঃ
২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২২
আবিদ ফয়সাল বলেছেন:
ট্রায়িং টু বি ইন্সপায়ার্ড ।
১৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২০
মেহবুবা বলেছেন: ভাল লাগল ক্লিক করেছি , সেটা তোমার জীবন কাহিনী তে নয় ; এখানে শেয়ার করবার জন্য ।
তোমার ক্লাস ফাইভের ছবিটায় একটা নিষ্পাপ সরল মুখ; অনেকসময় যারা বেশী সরল তারা অনেক ক্ষেত্রে বেমানান হয়ে যায় । বাস্তবের জটিলতায় তাদের খাপ খাওয়ানো মুশ্কিল ।
আমরা যখন ছোট ছিলাম, আমার আব্বার একটা অপারেশন হয়েছিল পুরো অজ্ঞান করে । পরে জেনেছি উনি অপারেশনের আগে আম্মাকে বলেছিলেন , " আমার যদি কিছু হয়ে যায় , মেয়েদের তুমি উচ্চশিক্ষিত করবার দায়িত্ব নিও, ছেলেদের যদি নাও পারো । ছেলেরা যে কোন অবস্থায় চেষ্টা করে কোমর সোজা করে দাড়াতে পারে " ।
আব্বা সেবার ভাল হয়ে গেলেন , কিন্তু ছোটবেলায় শোনা কথাটা অনেক দেখার মধ্যে দিয়ে সত্য প্রমানিত হল ।
তোমার নিকটা অমন কেন ? সাইকো আবিদ মানে কি ?
আত্মবিশ্বাস কোথায় তোমার ? কতটুকু ?
আমি এটা হতে চেয়েছি, ওটা হতে চাইনি এসব হিসেব ঠেলে ফেলে দাও। যা তোমার দ্বারা সম্ভব শুরু করো, খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটো ক্ষতি নিয়ে ; এগিয়ে যেতে যেতে পথই তোমাকে ধরে রাখতে মসৃন হবে ।
আমার পরিচিত একটা ছেলে এখন বিশ্বখ্যাত একটা প্রতিষ্ঠানের হয়ে আফ্রিকায় গেছে একটা অবজারভেশন টিমে; একদিন আমায় বলেছিল " আপা কষ্ট কাকে বলে জানেন, আমি ছোটবেলায় ইট পর্যন্ত ভেঙ্গেছি এবং কোনদিনও ছোটবেলায় তিনবেলা পেট ভরে খাইনি" ।
অনেক কথা বলা হয়ে গেল । বুক ভরে শ্বাস নাও, জীবনটা তোমার , এই দিনটা তোমার , তুমি তোমার নিজের হাতে আছো মনে রেখে ভাল থেকো ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:৫৯
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: আমি ছোটবেলা থেকেই চেয়েছিলাম একটা সহিংশতামুক্ত সুস্থ জীবন - যেখানে ছোটবড় সবার স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের, মুক্তভাবে চলার অধিকার থাকবে । আমার এই চাওয়াটাকে কেউ যদি অতিরিক্ত সরলতা কিংবা কিছুক্ষেত্রে বোকামী মনে করে - আমার তাতে কোনো দুঃখ নেই কিংবা তাদেরকে আমার বোঝাবার ও কিছু নেই ।
আর আমি একটা ছেলে কিংবা একটা মেয়েকে এক পরিচয়েই দেখি , তার পরিচয় সে মানুষ । একটা ছেলের থেকে একটা মেয়ের এ সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে যে অতিরিক্ত বেগ পেতে হয় সে দোষ এ সমাজের - কখনোই ঐ ছেলেটার বা ঐ মেয়েটার না । এটা বললাম আপনার (ছেলেরা যে কোন অবস্থায় চেষ্টা করে কোমর সোজা করে দাড়াতে পারে " ।) কথার পরিপ্রেক্ষিতে ।
আমার নিক এরকম হবার কারণ - যেকথা অনেকে বলতে সংকোচ বোধ করে , আমি তা নিসংকোচে প্রকাশ করি । আত্মবিশ্বাস হয়তো অনেকটাই খুইয়ে ফেলেছি ।
আপনি বলেছেন : আমার পরিচিত একটা ছেলে এখন বিশ্বখ্যাত একটা প্রতিষ্ঠানের হয়ে আফ্রিকায় গেছে একটা অবজারভেশন টিমে; একদিন আমায় বলেছিল " আপা কষ্ট কাকে বলে জানেন, আমি ছোটবেলায় ইট পর্যন্ত ভেঙ্গেছি এবং কোনদিনও ছোটবেলায় তিনবেলা পেট ভরে খাইনি" ।
উনি নিঃসন্দেহে একটা ভালো উদাহরণ অন্যদের সামনে এগিয়ে যাবার জন্য । তবে আমি আজ একটা কথা বলি - আপা , এমন কিছু বিষয়/কষ্ট থাকে যা লোকের কাছে/ব্লগে প্রকাশ করা যায় না । তিনবেলা না খেতে পাওয়ার কষ্ট নিঃসন্দেহে অনেক বড় কষ্ট । কিন্তু যাদের সামনে খাবার থাকে অথচ খেতে পারে না (অন্য কারো কথা ভেবে) - এই কষ্ট খুব সহজে বলা/ব্যাখ্যা করা যায় না ।
ভালো থাকবেন । আমার মতো তুচ্ছের কোনো কথায় মনে কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা করবেন ।
১৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৫
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া মনোবল বলে একটা কথা আছে সেটা কি তুমি জানোনা?
তুমি আজীবন যা মেনে নিয়েছো কষ্ট পেয়েছো তা একটা ২ বছরের বাচ্চাও মেনে নেবেনা। এত সরলতা দিয়ে জীবন চলেনা।
এখন থেকে যা কিছুই অন্যায় মনে হবে তা প্রতিবাদ করতে শিখবে। হতাশাও জীবনে চলার পথে এক বিরাট বড় প্রতিবন্ধকতা।হতাশাকে ঝেড়ে ফেলো।
সামনে এগিয়ে চলার পথ একটাই না।একটি বন্ধ হয়ে যাওয়া মানেই আরেকটি পথ উন্মুক্ত হয়ে যাওয়া।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:০৯
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: জানি আপু । ২ বছরের বাচ্চা মেনে নেবে কিনা জানিনা কিন্তু আমাকে গত ২৩ টা বছর ধরে এই নির্মমতা মেনে নিতে হয়েছে ।
সময়মতো প্রতিবাদ করতে না পারায় এখন হয়তো আমার বিবেক ই আমার বিগত ( সব কিছু মুখ বুজে মেনে নেয়া ) আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে প্রতিমুহুর্তে দংশন করছে ।
সামনে এগিয়ে চলার পথ একটাই না।একটি বন্ধ হয়ে যাওয়া মানেই আরেকটি পথ উন্মুক্ত হয়ে যাওয়া। - খুব সত্য কথা । আমি সেই পথের সন্ধানী চিরকাল !
১৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:০৮
মিঠাপুর বলেছেন: আবিদ ভাই, আমিও বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে।তারপরও এমন মাইর খেয়েছি, কি আর বলবো!
একটা কথা বলি- আব্বা আমাকে পিটিয়ে একটা স্টিলের স্টিক ভেংগে ফেলেছে...
আর আম্মা'র কথা কি বলবো- মাঝে মাঝে মনে হত, এরা আমার আপন কেউ না।
*** আপনার কথা শুনে তাই খুব একটা খারাপ লাগে নি। শুধু আপনি না।খোজ নিলে দেখবেন শুধু আপনি না, এই ব্লগের অনেককেই পাবেন যাদের জীবন এমন কেটেছে।
কারো বেশি বা কারো একটু কম। আপনি এমন বেশিদের দলের একজন।
জীবন সময়ের সমষ্ঠি, আপনি শুধু সামনের দিকে তাকিয়ে পথ চলা শুরু করুন। আর পড়াশুনা করুন ভাই...
এত কষ্ঠ পেয়েও যখন এতদূর আসতে পেরেছেন, তখন বাকিটা পথও যাবেন কোন সন্ধেহ নাই।
আমিও অনেক বার অনেক কষ্ঠে পড়াশুনা ছেড়ে দিতে চেয়েছি, তারপরও মনকে নিজেই বুঝিয়েছি...
আমি এখন একজন ইন্জিনিয়ার। আমাকে নিয়ে অনেকেই এখন গর্ব করে। আর আমি মনে মনে ওদের জন্য করুনার হাসি হাসি।এরাই একটা সময় আমাকে কি ভীষণ কষ্ট টাই না দিয়েছে।
আপনি তাও আত্মহত্যা করেন নি।আমি একবার তাও করতে গিয়েছিলাম।এখন মনে পড়লে হাসি।
আর ব্লগে অনেকেই আছে যারা নেগেটিভ বললেও - মেডিটেশান করে দেখতে পারেন।
আর এমন অবেলা হওয়ার কিছু নাই ভাই। এরপর যেই আসবে আপনার সামনে -- দরকার হলে তাকে আগে হিট করুন।
আপনিই আগে মাইর দিবেন।দেখবেন ও আর এগুবে না। বেশির ভাগ মানুষই কিন্তু ভীতু।
আর মাইর যদি খাইতেই হয় -খাইবেন।
**আপনার তো এক্সপিরিয়েন্স আছেই।
সবকিছু নিয়েই ফান করুন। ভাল থাকুন
৩০ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ২:৩৩
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: আর আম্মা'র কথা কি বলবো- মাঝে মাঝে মনে হত, এরা আমার আপন কেউ না। - একমত । শাসন যখন অত্যাচারে পরিণত হয় তখন তার প্রভাব যে কত ভয়াবহ তা আপনার এই কথায় প্রকাশ পেয়েছে । আসলে অনেক মা-বাবাই এরকম আছেন যারা নিজেরা ছোটবেলায় এ ধরনের কোনো পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছেন বিধায় তাদের সন্তানদের ওপর ও তা পুরামাত্রায় প্রয়োগ করেন । এ দোষটা পুরোপুরি তাদের না । এটা একটা সাইকোলজিক্যাল ব্যাপার । যুগের পর যুগ চলে আসছে । মাঝে মাঝে আমার মনে হয় - ' ইস্ ! এটা যদি বদলে যেত ! '
জ্বি , মেডিটেশন একটা ভালো সহায়ক হতে পারে
ভাই রে আত্মহত্যার চেষ্টা আমি ও করেছি । কিন্তু জীবনের মায়া তখন প্রবল হলো (কিংবা আত্নহত্যার সাহসের অভাবে ) তাই করা হয় নাই ।
একটা ফানি মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধইন্যা
১৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৩:৫৪
রাশেদ হাসান নোবেল বলেছেন: আবিদ ফয়সাল ভাই বুকে আই ভাই। আমার একই অবস্থা ।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৮:২৭
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: আসেন কোলাকুলি করি আমাদের যেহেতু অন্য কেউ কোলে তুলে নেবে না তাই নিজেরাই নিজেদের কোলে নিই
২০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৪:০৬
রাশেদ হাসান নোবেল বলেছেন: ভাই যা হবার তা হইছে । এখন আপনার হাতে যা আছে তাই যত ভাল করে করা যায় সেই চেষ্টা করেন।
জিবনে সবি পাওয়া ভাই হারান বলতে কিছু নেই। (আমি মনে করি) সব বাদ দিয়ে এখন থেকে এই মুহুরত থেকে আপনি বাঁচুন জাস্ট লিভ ।
পড়ালেখা করার চেষ্টা করুন ভাই আমি করতেছি জানি অভ্যাস নষ্ট হয়ে গেছে তবু যতদূর পারেন চেষ্টা ছালিয়ে জান । ভাল কিছু হবেই।
আর শাশ্তি নিয়া দুঃখ করেন ।
আমারে একবার বাইর কইরা দিচিল বিশেষ ভাবে । :!>
এইসব ব্যাপার না ভাই বড় হইছেন এইসব নিয়া এখনও অভিমান করলে কেমনে হইব।
সবকিছুর পরেও এই দুনিয়াই পরিবার বাবা মা এর উপ্রে কিছু নাই ভাই। অতীত বাদ্দিয়া সামনে তাকান সামনে আপনার অন্য গ্রহ জাইয়া আমারে ভুইলা জাইয়েন না। দেখা হবে গ্রহান্তরের পথে।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:০৫
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: যা হবার তা হইছে - এ কথা আমি ও বলি । কিন্তু মন মানে না !
ভাই রে , আপনার সাথে দেখি আমার মিলের অভাব নাই । আমারে ও বাইর কইরা দিছিল ক্লাস টেন এ থাকাকালীন । পকেটে ছিল মাত্র দুই টাকা । ফেরী পার হয়ে আমার জেলা থেকে অন্য এক জেলায় চলে গেছিলাম হেঁটে হেঁটে । ইচ্ছা ছিল পৃথিবীর ওপারে ( আর না হোক অন্তত দেশের বাইরে চলে যাব হেটে হেঁটেই ) । পকেটে যে দুই টাকা ছিল তা দিয়া দুপুরে দুইটা বিস্কুট খাইছিলাম । বিকাল থেকে শুরু হল বৃষ্টি । সে কী অবিরাম বর্ষণ রে ভাই না দেখলে বুঝা যাবে না ।
দুপুর ১২ টায় বাহিরে বের করিয়া দিয়াছিল আর রাত ১১ টায় মাইক্রোবাসে করিয়া অতি যত্নে কোলে করিয়া বাসায় নিয়া আসিয়াছিল আমার বাবা ।
এইসব ব্যাপার না- জানি । তবে মূল কষ্টটা অন্যখানে যেইটা ব্লগে বলা যাবে না কি বুঝলেন ?
না, আপনারে ভুলুম কেমনে ? যে গ্রহেই যাই না কেন কাছে থাকবেন সারাক্ষন
২১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৪:২৩
রাশেদ হাসান নোবেল বলেছেন: আর একটা কথা বলে রাখি ভাই আমি আপ্নারে বুকে নিলেও আপনার অতীত আমার থিকা অনেক ভাল ।
আপনার জিবনে কি হোল না হোল টা নিয়া কেও পরে থাকবে না। আজ শুনবে কিছু োলবে কাল ভুলে যাবে। কারও জন্য কেও বসে থাকেনা কেউবা ভাই আবার বলচি কেউনা। বুঝে নিবেন। সুতরাং কে কি ভাবল তাই দিয়া নিজে অস্বস্তিতে থাকা বোকামি ।
সত্য বলে মাথা উছু করে চলুন প্রিথিবির সবাই বিদ্দা সাগর হইতে আসেনি ।
শুভ কামনা । আর আমার জন্য দুয়া করবেন
।
খাদের সামনে ঝুলতেচি পড়ে গেলে সাঁৎরাতে হবে আমি ভাল সাঁৎরাতে পারিনা। আর না পড়লে পাঙ্খা
হিরু হুন্দা নিয়া ভু পিপ পিপ
৩০ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:০৯
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: পড়বেন না আশা করি । আর যদি একান্তই পড়ে যান ভালো সাঁতারু হয়ে যাবেন তৎক্ষণাৎ
২২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৩
রাশেদ হাসান নোবেল বলেছেন: কষ্টটা অন্যখানে যেইটা ব্লগে বলা যাবে না কি বুঝলেন ?
বুজছি বেথার আগুন
বেথার আগুনে অবুঝ আঙ্গুল রাখলাম
ছুয়ে দিলে বুক কুরে কুরে খাই
সোনা পোকা
এ পাড়াই কাদবেনা এমা ছিছি বোকা ।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪২
আবিদ ফয়সাল বলেছেন:
২৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ১:৪৫
পুশকিন বলেছেন: তোমাকে ভুলতে চেয়ে আরো বেশি ভালোবেসে ফেলি
তোমাকে ছাড়াতে গিয়ে আরো বেশি গভীরে জড়াই,
যতোই তোমাকে ছেড়ে যেতে চাই দূরে
ততোই তোমার হাতে বন্দি হয়ে পড়ি
তোমাকে এড়াতে গেলে এভাবেই আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা পড়ে যাই
এভাবেই সম্পূর্ণ আড়ষ্ট হয়ে পড়ি;
তোমাকে ছাড়াতে গেলে আরো ক্রমশ জড়িয়ে যাই আমি
আমার কিছুই আর করার থাকে না
তুমি এভাবেই বেঁধে ফেলো যদি দূরে যেতে চাই
যদি ডুবে যেতে চাই তুমি দুহাতে জাগাও।
এমন সাধ্য কী আছে তোমার চোখের সামান্য আড়াল হই,
দুই হাত দূরে যাই
যেখানেই যেতে চাই সেখানেই বিছিয়ে রেখেছো ডালপালা,
তোমাকে কি অতিক্রম করা কখনও সম্ভব
তুমি সমুদ্রের চেয়েও সমুদ্র
আকাশের চেয়েও আকাশ তুমি আমার ভেতরে জেগে আছো।
তোমাকে ভুলতে চেয়ে তাই আরো বেশি
ভালোবেসে ফেলি,
তোমাকে ঠেলতে গিয়ে দূরে আরো কাছে টেনে নেই
যতোই তোমার কাছ থেকে আমি দূরে যেতে চাই
ততো মিশে যাই নি:ম্বাসে প্রশ্বাসে,
ততোই তোমার আমি হয়ে পড়ি ছায়ার মতন;
কোনোদিকে যাওয়ার আর একটুও জায়গা থাকে না
তুমিই জড়িয়ে রাখো তোমার কাঁটায়।
তোমাকে ছাড়তে গিয়ে আষ্টেপৃষ্ঠে আরো জড়িয়েছি
তোমাকে ভুলতে গিয়ে আরো ভালোবেসেছি
তোমাকে।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪৫
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: পুশকিন ভাই কী এটা আমাকে লিখলেন ???
০৬ ই অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৫:২০
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: তুমি সমুদ্রের চেয়েও সমুদ্র
আকাশের চেয়েও আকাশ তুমি আমার ভেতরে জেগে আছো।
খুব ভালো বলেছেন ! ভাল থাকবেন অনেক ।
২৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:০৫
দীপ্তপন বলেছেন: আরে ভাই এই বয়সটা হল পরিশ্রম করার। পরিশ্রম করুন। যেহেতু আপনার হাতের নেট আছে প্রোগ্রামিং শিখুন।অতীতকে ভুলে সামনে এগিয়ে যান। আমার ধারনা আপনি পারবেন কারন এত প্রতিকুলতার মাঝেও আপনার রেজাল্ট ভাল।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৪৯
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: অতীতকে ভোলা সম্ভব কিনা আদৌ জানিনা । তবে তাকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি । জ্বি, প্রোগ্রামিং শেখার ইচ্ছা আছে ।
২৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫৩
মডেল।রাহি বলেছেন: brother amr baba sotobelai mara jai.amr notun bap amk onkta unlike kore,bt ami tate kono kosto nijeke deina,borong parle ore dhoira maira falaite monchai.r ami altime amr
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫৫
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: ছ্বি ছ্বি কি বলছেন ! নতুন বাবাকে যদি একেবারেই সহ্য করা অসম্ভব হয় তবে ওনার থেকে সামান্য দূরত্ব বজায় রেখে চলুন । এতে করে উভয়েই ভালো থাকবেন ।
আপনার সম্পূর্ণ মন্তব্য পেলে আরো ভালো লাগতো ।
২৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৫৩
আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: বাবাকে ঐ চিঠিটি লেখার সময় আপনি কোথায় ছিলেন?
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:২৭
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: ঢাকায় । কলেজ হোষ্টেলে ।
২৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৪৩
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: আপনার জীবনের দু;খের চক্র টা খুব শীঘ্রি পালটে যাক, এই কামনা করি।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৩১
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । আপনার কামনায় ফুলচন্দন পড়ুক
২৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৮:০৮
সান্তনু অাহেমদ বলেছেন: একটা কথা মনে রাখবেন - নিজের চেয়ে আপন এই পৃথিবীতে আর কেউ নেই। নিজেকে ভালোবাসুন। আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন। আর সব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। আশেপাশের সবাইকে, সবকিছুকে ভালোবাসুন। বাঁচবেন আপনি। খুব সুন্দর করে বাঁচবেন।
আপনার কষ্টগুলো আমি তালুবন্দি করে নিলাম।
দোয়া করি মনেপ্রাণে আপনি সুস্থ হয়ে উঠুন। নিজেকে চিনুন, নিজেকে জানুন।
শুভ কামনা ভাই।
০৫ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৩১
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: আপনার কষ্টগুলো আমি তালুবন্দি করে নিলাম।
সত্যি ই মনে হয় কষ্টগুলো আপনার তালুতে চলে গেছে অন্তত এক মুহূর্তের জন্য হলে ও । আর এই কষ্টমুক্ত একটি মুহূর্ত আপনি আমায় দিয়েছেন ! আমি চির কৃতজ্ঞ রইলাম ।
আপনি ও ভাল থাকুন অনেক অনেক ।
২৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৪:৩২
প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার বলেছেন:
০৬ ই অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৫:১৭
আবিদ ফয়সাল বলেছেন:
অনেক কষ্ট করে এ অভাগার ব্লগে এসে মন্তব্য করে অভাগাকে ঋণী করেছেন ! ভাল থাকবেন কবি । আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ।
৩০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৭:৩৪
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: পড়ে খুব মন খুব খারাপ হল
কেন জানি মনে হয় যাদের জীবনে এসব ছোট ছোট কষ্টের স্মৃতি থাকে তারা একদিন নিজের মত করে ফিল করতে পারে "লাইফ ইজ বিউটিফুল", যেটা অন্যরা পারেনা। আপনারও সেদিন আসবে ব্রাদার -
আপনে পুরাপুরি সুস্হ হয়ে উঠুন - আপনার মন আনন্দে ভরে উঠুক সেই দোয়া রৈলো
০৬ ই অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ২:০২
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: সেদিনের অপেক্ষায় আছি ব্রাদার । আপনার দোয়া কবুল হোক - এ মোর প্রার্থনা !
ভাল থাকবেন অনেক । আপনার জন্য শুভকামনা ।
৩১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১২ ভোর ৬:৫৪
অন্যসময় বলেছেন: মায়ের শাস্থির প্রাথমিক বিবরণ শুনে ভেবেছিলাম পরে আপনি বলবেন উনি আপনার স্টেপ মাদার ছিলেন, কিন্তু না, আমি নিরাশ হলাম।
আপনার কথা গুলো আমাকে অনেক অনেক অনেক যাতনা দিলো, আপনাকে কিছু বলার ভাষা নেই। আল্লাহর কাছে আপনার একটা সুন্দর জীবনের দুয়া করছি। আল্লাহ্ পাক আপনাকে ভালো রাখুন।
০৭ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:০৭
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: জ্বি, একথা ভেবে আমি ও নিরাশ হই । নিজেই বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, অন্যরা কিভাবে করবে ?
আল্লাহর দরবারে আপনার দোয়া কবুল হোক ।
অনেক অনেক ভালো থাকবেন । আপনার জন্য শুভকামনা
৩২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১০:১৭
সবুজ পাওয়ার বলেছেন: চোখে পানি এসে গেল
২২ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:৫৩
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই এত কষ্ট করে পড়র জন্য । চোখের পানি মুঁছে ফেলুন । এত সহজে কাঁদতে নেই ।
আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ।
৩৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০১
শীলা শিপা বলেছেন: আমার বিশ্বাস করতেই কষ্ট হচ্ছে।আমার এখন মনে হচ্ছে আমি তো আপনার তুলনায় বেহেশতে ছিলাম।
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: বিশ্বাস করা আর না করা আপনার ব্যপার।
হে হে , আপনার ব্লগ থেকে আপনার কোটেশনটি ই তুলে দিলাম
অনেক অনেক ভালো থাকবেন । আপনার জন্য শুভকামনা
৩৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:১৫
ফজলে আজিজ রিয়াদ বলেছেন: সমবেদনা জানাবো না
এই ভেবে খুশি হতে চাই আপনি অনেক সামলে উঠেছেন।
ভালো থাকবেন
২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:২৭
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই ।
আপনি ও ভালো থাকবেন
৩৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:৫৪
নীল-দর্পণ বলেছেন: অট: পড়াশুনা কি ঠিক মত করছেন। (ঠিক-ঠাক চললে ফোর্থ ইয়ার চলার কথা)
উপদেশ ভাববেন না। পরামর্শ....সম্ভব হলে কষ্ট করে হলেও পড়াশুনাটা শেষ করুন। অ্যাটলিস্ট একটা সার্টিফিকেট থাকুক
শুভকামনা সবসময়ের জন্যে
২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০৮
আবিদ ফয়সাল বলেছেন: জ্বি না আপু , ঠিক মত করছি না ।
ভাল পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ !
আপনার জন্য ও শুভকামনা
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৬:৪৮
নেমলেসবেসট বলেছেন: তোমার লেখা পরে খুবই খারাপ লাগছে। আমাকেও আমার বাবা মা মানসিক কশট দিছে।আমি তোমাকে বলব নিজেকে ভালবাস।শুধু নিজেকে।সাথপর হও।জীবন শেষ হইনি।নতুন করে স্বপ্ণ দেখ।