নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সম্পর্কে আমি আর কি বলবো! আমার পরিচয় দেওয়ার মত তেমন কিছু নেই। আসলে নিজের সম্পর্কে কিছু বলা/লিখা অনেক কঠিন একটা কাজ, আমি মনে করি যে, পৃথিবীতে কোন মানুষই তার নিজের সম্পর্কে ১০০% সঠিক তথ্য দিতে পারবে না।

ডেড ম্যান ওয়াকিং

আমি একজন সত্য প্রচারে নিয়োজিত আল্লাহর অতি নগন্য গোলাম।

ডেড ম্যান ওয়াকিং › বিস্তারিত পোস্টঃ

সড়ক দুর্ঘটনায় আর কত প্রাণ হারাবে

০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩

প্রতিদিনই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে, প্রাণহানি হচ্ছে, আবার কেউবা পঙ্গুত্ব বরণ করছে। একটি দুর্ঘটনা একটি পরিবারের সারা জীবনের কান্না। কোন ভাবেই দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে সভা, সেমিনার, মানববন্ধন, মিছিল-মিটিং, তদন্ত কমিটি সবকিছু হলেও কার্যত ফলাফল শূন্য। এভাবে সড়ক দুর্ঘটনা মৃত্যুর মিছিল আর কত দীর্ঘ হবে, তা আমরা কেউ বলতে পারি না।

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুজনিত কারণে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণও কম না। দুর্ঘটনা এড়াতে সরকার মহাসড়কে টেক্সী চলাচল বন্ধ করলে অন্যদিকে গণপরিবহন সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে মহাসড়কে গাড়ী চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারী করা প্রয়োজন ছিল। সবকিছুতেই সমন্বয়হীনতা বাস্তব চিত্র ফুটে উঠছে। মালিক, চালক ও সরকার এই তিন পক্ষকে দুর্ঘটনা বিষয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এক হতে হবে এবং কিছু সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটলে আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে এই দায় এড়ানো যাবে না। অনভিজ্ঞ ড্রাইভার, এক ড্রাইভার দিয়ে দৈনিক ১৮ঘন্টারও বেশি সময় গাড়ী চালানো, হেলপার দিয়ে গাড়ী চালানো, ফিটনেস বিহীন গাড়ী চলাচল এবং রাস্তার বেহাল দশা, মহাসড়কে দূরপাল্লার গাড়ীর সাথে নসিমন, করিমন, ভটভটি, ভ্যানগাড়ী, ঠেলাগাড়ী, ট্রাক্টর, রিক্সা, টেক্সী, সাইকেল, মোটরগাড়ী, লবণবাহী গাড়ী ইত্যাদি চলাচলের কারণে অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
সড়কে নিরীহ পথচারী, সবচেয়ে অরক্ষিত সড়ক ব্যবহারকারী, তাকে কোনো গাড়ি আঘাত করলেই পরিণতি খুব খারাপ হয়।

আমাদের দেশে বাণিজ্যিক গাড়ি হচ্ছে বাস ও ট্রাক। প্রস্তুতকারকেরা বাসগুলোতে যেভাবে সিটসংখ্যা বসান, মালিকেরা তার থেকে কিন্তু আরও বেশি করে ফেলেন। এতে ভেতরে যে নিরাপদ সিট হওয়ার কথা, সেটা হয় না। এগুলোতে দুর্ঘটনা ঘটার পর পরিণতি অনেক মারাত্মক হয়। বাসের ওপর কোনো রেলিং লাগানো মূল প্রস্তুতকারকেরা অনুমোদন করেন না। ওপরে অতিরিক্ত ওজন নিলেই বাস কিছুটা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। পাশাপাশি ট্রাকের ক্ষেত্রেও লোড বেশি করার জন্য লম্বা ও চওড়া করা হচ্ছে এবং উচ্চতাও বাড়ানো হচ্ছে। ওভারলোডিং কিন্তু চালক, গাড়ি ও রাস্তার জন্য খারাপ এবং ভয়ানক ঝুঁকিপূর্ণ। সবচেয়ে বেশি মারাত্মক হচ্ছে ট্রাকের দুই পাশে তিনটি তিনটি করে যে অ্যাঙ্গেল লাগানো হয়েছে এটা একটা মারণাস্ত্রের মতো বাসের সবচেয়ে দুর্বল অংশ জানালায় আঘাত করে মানুষসহ সবকিছু ছিঁড়ে ফেড়ে নিয়ে যায়।

গাড়ীর চালককে গাড়ী চালানো অবস্থায় মোবাইল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ড্রাইভারকে শিক্ষিত হতে হবে। কারণ তার একজনের খামখেয়ালীপনার কারণে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। তাই সবার আগে ড্রাইভারকে প্রশিক্ষণ দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে বাস্তব ধারনা দিতে হবে। মহাসড়কে গাড়ী চলাচলের নীতিমালা তৈরি করা প্রয়োজন। হঠাৎ হঠাৎ নতুন নতুন সিদ্ধান্ত দিয়ে জনসাধারণকে ভোগান্তিতে না ফেলে বাস্তব সম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

বিজন রয় বলেছেন: মানুষই তার নিজের সম্পর্কে ১০০% সঠিক তথ্য দিতে পারবে না।

তাহলে??

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯

ডেড ম্যান ওয়াকিং বলেছেন: উন্নত বিশ্বের দিকে তাকিয়ে দেখুন ওরা পারে তাহলে আমরা কেন পারবো না।

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: দুর্ঘটনা থামবে না। কমবে না। বরং দিন দিন বেড়েই যাবে।
এর কারন সরকার এবং আমরা।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

ডেড ম্যান ওয়াকিং বলেছেন: এখানে আমি আপনার সাথে একমত, তবে আমার কাছে মনে হয় চেষ্টা করলে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.