![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিহত স্মৃতির আহত সত্তা বিধ্বস্ত কায়া।
জিন বলতে আমরা কি বুঝি?
মানুষ যেমন স্বতন্ত্র ১ সৃষ্টি তেমনি জিন জাতি মানুষের থেকে আলাদা ১ সৃষ্টি। জিন শব্দের অর্থ গুপ্ত, অদৃশ্য, লুক্কায়িত, আবৃত ইত্যাদি।
জিনঃ
জিন্নাত বা জিন জাতির কুকুর ও ইতর শ্রেনিকে বলা হয় জিন।
জানঃ
জান হচ্ছে জিন জাতির আদিপিতা।
জিন কি শয়তান?
শয়তানরা হচ্ছে ১ ধরণের জিন যারা আল্লাহর অবাধ্য এবং এরা (অভিশপ্ত) ইবলিশের বংশোদ্ভূত। [তথ্যসূত্রঃ কিতাবুল ফুনুন]
মারাদাহঃ
জিন জাতির মধ্যে সেইসব জিনকে মারাদাহ বলা হয় যারা খুবই অবাধ্য ও চূড়ান্ত পর্যায়ের পথভ্রষ্ট।
জিন জাতি কত শ্রেণি?
হাফিয ইবনে আবদুল বার্ বলেছেনঃ ভাষাতত্ত্ববিদদের মতে, জিনদের কয়েকটি শ্রেণি রয়েছে। যেমনঃ—
ক) জিনঃ অর্থাৎ সাধারণ জিন।
খ) আমির; বহুবচনে উম্মারঃ যারা মানুষের সাথে থাকে।
গ) আরওয়াহ্ঃ যারা সামনে আসে।
ঘ) শয়তানঃ যারা উদ্ধত, অবাধ্য।
ঙ) ইফরীতঃ যারা শয়তানের চেয়েও বিপজ্জনক।
জিন জাতির সৃষ্টির দিনঃ
আল্লাহ তায়ালা বুধবার ফিরিশতাদের, বৃহস্পতিবার জিনদের, এবং হযরত আদম (আঃ)—কে শুক্রবার সৃষ্টি করেছেন।
তথ্যসূত্রঃ কিতাবুল আযামাহ
জিনদের দেখা কি সম্ভব?
কাযী আবু বকর বাকিলানী (রঃ) বলেছেনঃ ”আমার কথা হচ্ছে যারা জিনদের দেখেছে, আসলেই তারা তাদের দেখেছে। কেননা আল্লাহ্ তায়ালা জিনদের দৃশ্যরুপ সৃষ্টি করেছেন এবং যাদের দৃশ্যরুপ সৃষ্টি করেননি তাদের কেউ দেখতে পারে না। এসব জিনেরা বিভিন্ন সুরতের ও কোমল শরীর বিশিষ্ট হয়।”
জিন সৃষ্টির উপাদানঃ
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেনঃ
”আদমের আগে আমি জিন সৃষ্টি করেছি সামূমের[১] উত্তপ্ত আগুন দিয়ে।”
[সূরা আল—হিজর, আয়াতঃ ২৭]
[১] জিন সৃষ্টি করা হয়েছে 'সামূম'—এর আগুন দিয়ে। যা জাহান্নামের আগুনের ৭০ ভাগের ১ ভাগ এবং দুনিয়ার আগুন সে সামূম আগুনের ৭০ ভাগের ১ ভাগ।
জিনের প্রকারঃ
হযরত আবু দারদা (রা)—এর বর্ণনা, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ
আল্লাহ্ তায়ালা ৩ প্রকার জিন সৃষ্টি করেছেন। প্রথমতঃ জিন হল সাপ, বিচ্ছু ও জমিনের পোকামাকড়। দ্বিতীয়তঃ যে জিন থাকে শূণ্যে হাওয়ার মত, আর তৃতীয় প্রকার জিন হল— এমন জিন যাদের জন্য রয়েছে (পরকালের) হিসাব ও আযাব।
সাপের সুরতে জিন
হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ
”সাপ হচ্ছে রুপান্তরিত জিন, যেমন বাঁদর ও শুকরে রুপান্তরিত হয়েছিল বণী ঈসরাঈলের কিছু লোক।
জিন সম্পর্কে কিছু বিস্ময়কর ইতিহাস —
✓ কোনো কোনো কুকুরও জিন।
✓ কালো কুকুর হচ্ছে শয়তান।
✓ খর্বকায় জিন; বেঁটে বামনঃ এই জিনের উচ্চতা মাত্র ২ আঙুল।
✓ শয়তান বাম হাতে খানা—পিনা খায়।
✓ জিনদের মধ্যে বিয়ে—শাদি হয় এবং জিনদের সন্তানাদিও হয়।
✓ ইবলিশের স্ত্রী সম্পর্কিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
✓ হিজড়ারা জিনদের সন্তান। [বিস্তারিত জানতে মন্তব্য করুন]
✓ রাণী বিলকিসের মা একজন জিন ছিলেন।
✓ জিনদের মধ্যে 'ফিরকা' আছে, এর মধ্যে শিয়া নিকৃষ্টতম ফিরকা।
✓ জিনদের মধ্যে মুসলিম ও মুশরিক (হিন্দু) জিনও আছে।
✓ জিনদের মধ্যে কোনো নবী—রাসূলগণের আগমন ঘটেনি।
✓ জিন—ইনসান সকলের নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)।
✓ 'বিসমিল্লাহ' হচ্ছে জিনদের সামনে পর্দা।
✓ জিন সম্প্রসায় ২ ভাগে (মুসলমান ও কাফির) বিভক্ত।
✓ জিনদের মধ্যে দল—উপদল আছে।
✓ মুমিন জিনরা মানুষের কোরআন তিলওয়াত শোনে।
✓ সব মসজিদে জিনেরা নামায পড়ে।
✓ জিনেরা লেবু বিদ্যমান ঘরে প্রবেশ করে না।
✓ বিসমিল্লাহ বলে মানব জাতি খাওয়া শুরু করলে জিনদের খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
✓ মানুষের মধ্যে মুগরাবীন (মুগরাবীন— যেসব জিন মানুষের সাথে মিশে থাকে) মিশে থাকে।
✓ ইবলিশের ডিমঃ ইবলিশ ৫টি ডিম পেড়েছে। তার বংশধর সে ডিম থেকেই হয়েছে।
✓ রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, ”হামাহ্ বিন হাইম বিন লাকীস (ইবলিশের নাতি) জান্নাতে যাবে।”
✓ আল্লাহ্ তায়ালা মানব জাতি ও জিন জাতিকে ১০টি ভাগে (৯ ভাগ জিন ও ১ ভাগ মানুষ) ভাগ করেছেন। যখন ১টি মানবসন্তান জন্মায়, জিনদের তখন ৯টি জন্ম নেয়।
✓ জিন বহুরুপী হতে পারে। যেমনঃ চতুষ্পদ পশু, সাপ, বিচ্ছু, উট, গরু, ছাগল, ঘোড়া, খচ্চর, গাধা, এবং পশুপাখির প্রভৃতি রুপ ধারণ করতে পারে।
✓ খারাপ জিনদের বাসস্থান ইরাকে। কারণ, শতকরা ৯০ ভাগ জাদু সেখানে আছে, পাপী জিনরা সেখানে থাকে এবং অচল করে দেওয়ার মত রোগও সেখানে আছে।
✓ গোশতের চর্বি লাগা কাপড়ে খবীসরা (দুষ্ট জিনরা) অবস্থান করে।
✓ জিনদের ঘর হচ্ছে গর্ত; পানিতে এবং জলাভূমির বিলেও জিনেরা থাকে।
✓ মানুষদের মতো জিনরাও খাওয়া—দাওয়া করে। হাড়, কয়লা, গোবর, উটের লাদি এবং বিভিন্ন ধরণের খাবার হচ্ছে জিনদের খাদ্য।
[সংক্ষিপ্ত বর্ণনা]
✓ মানব সমাজের জাদুকরদের মত জিনদের জাদুকর আছে। জাদুকর জিনদের 'গাইলন' জিন বলা হয়। এই জাদুকর জিন (গাইলন) মানুষদের পথ ভুলিয়ে দেয় (অর্থাৎ গোলকধাঁধায় ফেলে)।
✒ টীকাঃ গাইলন দেখতে পেলে নামাযের আযান দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যার (আযানের) বরকতে আল্লাহর ফিরিশতারা পথহারা মানুষদের ঠিকপথে এনে দেয়।
জিনদের সম্পর্কে কিছু ঘটনা—
[১] ১টি অবাক করা ঘটনা
১ জিনের বিয়েতে হযরত আ'মাশ (রহ) উপস্থিত ছিলেন। বিয়েটি হয়েছিল মানুষ ও জিনের মধ্যে। তিনি জিনদের জিজ্ঞাসা করলেন, ”তোমরা কোন খাবার বেশি পছন্দ কর?”
তারা বলল, ”ভাত।”
ফলে লোকেরা জিনদের কাছে ভাতের খাঞ্চা আনতে লাগল আর ভাত শেষ হতে লাগল কিন্তু (খানেওয়ালাদের) হাত দেখা যাচ্ছিল না।
[২] ১ জিন নারীর ঘটনা
হযরত আবু ইউসুফ সারুজী (রহ) বর্ণনা করেছেনঃ
১বার মদিনায় ১ মহিলা ১ ব্যক্তির কাছে এসে বলল, 'আমরা তোমাদের বসতির কাছে এসে নেমেছি, কাজেই তুমি আমাকে বিয়ে করে নাও।'
মহিলার প্রস্তাবে লোকটি তাকে বিয়ে করল। রাত হলে সে মহিলার বেশ ধরে স্বামীর কাছে আসত। ১দিন সে জিন মহিলাটি স্বামীর কাছে এসে বলল, 'আমরা চলে যাব, সুতরাং এখন তুমি আমাকে তালাক দিয়ে দাও।'
লোকটি তাই করল।
পরবর্তীতে কোনো ১ সময় সে লোকটি মদীনার কোনো ১ রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ সে জিন মহিলাটিকে রাস্তায় শস্যদানা কুড়ানো অবস্থায় দেখতে পেল। তা দেখে লোকটি বলল, 'আরে, তুমি এখানে দানা কুড়াচ্ছ?'
এ কথা শুনে মহিলাটি লোকটির দিকে চোখ পাকিয়ে তাকাল এবং বলল, 'তুমি আমাকে কোন চোখ দিয়ে দেখেছ?'
লোকটি বলল, 'এ চোখ দিয়ে।'
তখন মহিলাটি নিজের আঙুল দিয়ে ইশারা করা মাত্রই লোকটির চোখ উপড়ে বাইরে বেরিয়ে পড়ল।
[৩] শয়তানদের তথ্য চুরি
১বার রাসূলুল্লাহ (সঃ) সাহাবীদের নিয়ে উকায বাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। তখন শয়তানদের সামনে আসমানে যাওয়া ও সেখান থেকে খবরাদি সংগ্রহ করে আনার কাজে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিল এবং তাদের উপর উল্কাপিণ্ড নিক্ষিপ্ত হল। এমন অবস্থা দেখে শয়তানরা তাদের কওমের কাছে গিয়ে বললঃ
আমাদের এবং আসমানের খবরাদি সংগ্রহের মধ্যে কোনো জিনিস বাঁধা হতে পারে না। মনে হচ্ছে কোনও নতুন কিছু ঘটেছে। তোমরা পৃথিবীর চারদিকে ঘোরাঘুরি কর। দেখ যে, কোন জিনিস তোমাদের ও আসমানের খবর সংগ্রহের মধ্যে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং তারা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পৃথিবীর পূর্ব—পশ্চিমে খোঁজাখুঁজি শুরু করতে লাগল। তাদের মধ্যে একটি দল 'তিহামার' দিকে ঘুরতে ঘুরতে রাসূলুল্লাহ (সঃ)—এর দিকে এল। সে সময় রাসূলুল্লাহ (সঃ) সাহাবীদের নিয়ে 'নাখলা' এলাকায় ফজরের নামায পড়ছিলেন। জিনের দলটি রাসূলুল্লাহ (সঃ)—এর মুখে কোরআন পাক শুনে তিনার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বলতে লাগলঃ
”আল্লাহর কসম! এ সে বিষয়, যা আমাদের ও আসমানের সংবাদ সংগ্রহের মধ্যে বাঁধা হয়েছে।”
এরপর তারা নিজেদের কওমের কাছে ফিরে গিয়ে বলতে লাগলঃ
”হে আমাদের (জিন) সম্প্রদায়! আমরা তো ১ চমৎকার কোরআন শুনেছি, যা সঠিক পথনির্দেশ করে, তাই আমরা সে কোরআনের উপর ঈমাণ এনেছি এবং আমরা কখনও আমাদের প্রতিপালকের সাথে কোনোকিছুকে শরিক করব না।”
[তথ্যসূত্রঃ বুখারী শরীফ]
[৪] শয়তানের নাতির ইসলাম গ্রহণের ঘটনা
হযরত উমর (রা) এর বর্ণনাঃ
আমরা রাসূলুল্লাহ (সঃ)—এর সাথে 'তিহামা'র পাহাড়্গুলোর মধ্যে ১টি পাহাড়ে বসেছিলাম। এমন সময় হাতে লাঠি নিয়ে ১ বৃদ্ধ আমাদের সামনে উপস্থিত হয়ে রাসূলুল্লাহ (সঃ)—কে সালাম দিল। তিনি সালামের জবাব দিয়ে তার ভাষাতেই তাকে জিজ্ঞাসা করলেন,
”তুমি কে?”
সে বলল, ”আমি হামাহ্ বিন হাইম বিন লাকীস বিন ইবলিশ।”
নবীজী বললেন, ”তাহলে তোমার আর ইবলিশের মাঝে মাত্র ২ পুরুষের ব্যবধান। আচ্ছা, তুমি কত যুগ পার করেছ?”
সে বলল, ”আমি দুনিয়ার আয়ু শেষ করে ফেলেছি। কেবল সামান্য কিছু বাকি আছে। কাবীল যখন হাবিল্কে কতল (হত্যা) করেছিল সে সময় আমি ছিলাম কয়েক বছরের শিশু। কথা বুঝতে পারতাম। ছোট ছোট পাহাড়ে বা টিলায় লাফালাফি করতাম। খাবার নষ্ট করে দিতাম। আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট করার হুকুম দিতাম...।”
তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন, ”বিচ্ছেদ সৃষ্টকারী বৃদ্ধ এবং অলসতা সৃষ্টকারী যুবকের কাজ বড়ই জঘন্য। ”
সে আগুন্তক বৃদ্ধ তখন বলে উঠল, ”আমাকে এ বিষয়ে ক্ষমা করুন। আমি আল্লাহর কাছে তওবা করেছি। আমি হযরত নূহ্ (আ)—এর সাথে তিনার মসজিদে সেসব লোকের সাথে ছিলাম যারা তার সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে তার প্রতি ঈমাণ এনেছিল। আমি সবসময় হযরত নূহ্কে, নিজ সম্প্রদায়কে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার জন্য তিরস্কার করতাম। শেষ পর্যন্ত তিনি কেঁদে দেন এবং আমাকেও কাঁদান। তিনি বলেন, ”আমি যদি তোমার কথা শুনে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া ছেড়ে দেই, তাহলে অপমানিত অবস্থায় পতিত লোকদের শামিল হওয়া থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাই।”
আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, ”হে নূহ্ আমি হলাম তাদের ১জন, যারা কাবীল বিন আদম কর্তৃক ভাগ্যবান শহীদ হাবীলের হত্যাকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত ছিল। আপনি কি মনে করেন আল্লাহর দরবারে আমার তওবা কবুল হবে?”
তিনি বললেন, ”হে হামাহ্, সওয়াবের ইচ্ছা কর এবং দুঃখ—অনুতাপে ভেঙে পড়ার আগে সৎকাজে লেগে পড়। আল্লাহ তায়ালা আমার উপর যা নাজিল করেছেন, তাতে আমি পড়েছি, যে ব্যাক্তি পরিপূর্ণ দ্বীনদারীর সাথে আল্লাহর পথে ফিরে আসে— তওবা করে, আল্লাহ্ তায়ালা তার তওবা কবুল করেন। ওঠ, ওযূ করে ২'রাকায়াত নামায পড়।”
কাজেই তখনই আমি হযরত নূহ্—এর নির্দেশ অনুযায়ী আমল করা আরম্ভ করি। এরপর তিনি আমাকে ডেকে বললেন, ”মাথা তোল, তোমার তওবা কবুল হওয়ার খবর আসমান থেকে নাজিল হয়েছে।”
তাই আমি আল্লাহর ওয়াস্তে ১ বছর ধরে সিজদায় পড়ে থাকলাম।
আমি হযরত হুদ (আঃ)—এর সাথেও সিজদায় শরীক ছিলাম, যখন তিনি নিজ কওমকে সাথে নিয়ে সিজদা করেছিলেন। তাকে আমি তার অজ্ঞ সম্প্রদায়কে বারবার দ্বীনের দাওয়াত দেওয়ার কারণে তিরস্কার করতাম। শেষ পর্যন্ত নিজ কওমের কিথা ভেবে তিনিও কাঁদেন এবং আমাকেও কাঁদান।
আমি হযরত ইয়াকূব (আঃ)—এর সাথেও দেখা করতাম এবং হযরত ইউসূফ (আঃ)—এর মজলিশে বিশ্বস্ততার পদে আসীন ছিলাম।
হযরত ইলিয়াস (আঃ)—এর সাথে উপত্যকায় দেখা করতাম এবং এখনও তার সাথে দেখা করি।
আমি হযরত মূসা (আঃ)—এর সাথেও সাক্ষাৎ করেছি, তিনি আমাকে তাওরাত (আসমানী কিতাব ১০৪ খানা; বড় কিতাব শুধুমাত্র ৪ খানা, তন্মধ্যে তাওরাত ১টি) শিখিয়ে বলেছিলেন যদি হযরত ঈসা (আঃ)—এর সাথে তোমার সাক্ষাৎ হয়, তাহলে তাঁকে আমার সালাম বলবে।
আমি হযরত ঈসা (আঃ)—এর সাথে সাক্ষাৎ করেছি এবং হযরত মূসা (আঃ)—এর সালামও তাঁকে জানিয়েছি।
এসব কথা শুনে রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) অশ্রুসিক্ত হয়ে কাঁদতে লাগলেন। এরপর বললেন, ”ঈসা (আঃ)—এর প্রতিও দুনিয়া থাকা পর্যন্ত সালাম (শান্তি) বর্ষিত হউক এবং হে হামাহ্, আমানত পৌঁছানোর জন্য তোমার প্রতিও সালাম।”
হামাহ্ তখন বলে, ”হে আল্লাহর রাসূল, আপনি আমার সাথে তাই করুন, যা করেছিলেন হযরত মূসা বিন ইমরান (আঃ)। তিনি আমাকে তাওরাত শিখিয়েছিলেন।”
রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে সূরা ওয়াক্বিয়াহ, সূরা মুরসালাত, সূরা আম্মা ইয়াতাসায়ালূন, সূরা ইযাশ্ শামসু কুউবিরাত এবং 'মুআউওয়াযাতাইন' (সূরা ফালাক্ব—নাস) ও কুল হুওয়াল্লা—হু আহাদ শেখালেন এবং বললেন, ”হে হামাহ্, নিজের প্রয়োজনের কথা আমাকে বল আর আমার সাথে যোগাযোগ রাখা বন্ধ করে দিও না।”
হযরত ওমর (রাঃ) বলেছেন, পরে রাসূলুল্লাহ (সঃ)—এর ইন্তিকালের হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটল এবং তার খবর আমরা আর পেলাম না। জানিনা সে জীবিত আছে না মারা গেছে।
[৫] ......... সময় স্বল্পতার কারণে আরও বিশদ ঘটনাবলী দেওয়া সম্ভব হয় নি। ভবিষ্যতে আরও সুন্দর ঘটনাবলি দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ। আশা করি, ভূল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
তথ্যসংগ্রহঃ জিন ও ফেরেশতাদের বিস্ময়কর ইতিহাস।
সম্পাদকঃ স্ফিঙ্গেল।
সম্পাদকের আরজিঃ সবাই দোয়া করবেন যাতে জ্ঞানের আলো প্রতিটি নিহত জ্ঞানের মননের মাঝে ফুটিয়ে তুলতে পারি। আল্লাহ আপনাদের হেফাজত করুক (আমিন)। ভালো থাকবেন।
২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৬
স্ফিঙ্গেল বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রমরের ডানা আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যখানার জন্য।
৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮
সনেট কবি বলেছেন: অনেক কিছু জানাগেল।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৭
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
বিশাল ব্যাপার !