নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবার দেখা হবে কোনো এক আহত দেয়ালের কিনারায়, যেখানে ঠিকরে পড়ে কলুষিত কায়ার অব্যক্ততার ব্যক্ততা

স্ফিঙ্গেল

নিহত স্মৃতির আহত সত্তা বিধ্বস্ত কায়া।

স্ফিঙ্গেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাশ প্রতিলোম

১৩ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৩:৫৮

মক্কা শরীফে ১বার খুব বৃষ্টি হল। বৃষ্টির পানিতে রাস্তাঘাট সব ডুবে গেল আর জান্নাতুল মুয়াল্লার কবরগুলো বৃষ্টিতে ধ্বসে পড়েছিল। আত্মীয়-স্বজনরা কবর মেরামত করতে যখন যার যার আত্মীয়ের কবর মেরামত করতে গেল তখনই ১ আশ্চর্য ঘটনা ঘটল।

কিছুদিন পূর্বে মৃত ১ আলেমের কবরে গিয়ে দেখা গেল সেখানে নির্দিষ্ট আলেমের মৃতদেহের পরিবর্তে ১ ইংরেজ যুবতীর লাশ। অনেক খোঁজা-খুজির পরও ঐ আলেমের লাশ পাওয়া গেল না। এ আশ্চর্যজনক সংবাদটি গোটা শহরে ছড়িয়ে পড়ল। অদ্ভূত এ দৃশ্য দেখতে কবরের পাশে মানুষের প্রচণ্ড ভিড় জমে গেল। লন্ডন থেকে ১ ব্যাক্তি সেখানে হজ্জ্ব করতে এসেছিলেন। তিনি কবরের দিকে তাকিয়ে আবেগে ভরে উঠলেন এবং চিৎকার দিয়ে বলে উঠলেন, “আমি এ মহিলাটিকে চিনি।” ফলে জনতার কৌতুহল আরও বৃদ্ধি পেল এবং সবাই হাজী সাহেবকে ঘিরে দাঁড়ালো। হাজী সাহেব বলতে লাগলেন, “এ মহিলার বাড়ী লন্ডন। সে গোপনে আমার নিকট মুসলমান হয়েছিল এবং আমার কাছে কুরআন শরীফ অধ্যয়ন করত। প্রায়ই সে বলত,
আমি মৃত্যুবরণ করলে এদেশের মানুষ আমাকে খৃষ্টানদের প্রথা অনুয়ায়ী কফিনে রাখবে। কিন্তু আমি যে মুসলমান! আমি কিভাবে এটা সহ্য করি? ভাগ্য যদি এমন হত যে মুসলমানদের দেশে মক্কা শরীফে আমার কবর হত তাহলে আমার জন্ম স্বার্থক হত!”

হাজী সাহেবের এ আবেগ ভরা কথা শ্রবণ করে উপস্থিত জনতা শিহরিত হয়ে পড়ল। জনতার মধ্য থেকে কে ১জন বলে উঠল, “তাহলে লন্ডনে গিয়ে এ নারীর ব্যাপারে জেনে আসা যাক।” এ প্রস্তাবে সবাই ১মত হলো এবং হাজী সাহেবকে নিয়ে কিছুসংখ্যক লোক লন্ডনে রওয়ানা হয়ে গেল। লন্ডনে পৌঁছে হাজী সাহেব এ নারীর পিতা-মাতার নিকট থেকে জানতে পারলেন যে মহিলাটি কিছুদিন হয় মৃত্যুবরণ করেছে এবং তাকে খৃষ্টীয় প্রথা অনুযায়ী দাফন করা হয়েছে। অনুমতি নিয়ে সেই কবর খুঁড়ে দেখা গেল কবরে নির্দিষ্ট মহিলাটির লাশ নেই এবং কবরটি দেখে সবার গা শিউরে উঠল; যা দেখার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিল না। কবরটিতে যে লাশটি রয়েছে সেটা হলো মক্কা শরীফে দাফন করা সেই আলেমের লাশ। কিন্তু কেন এমন হল? আল্লাহর লীলা কে বুঝতে পারে?

হাজী সাহেব লন্ডন থেকে মক্কা শরীফ প্রত্যাবর্তন করলেন। উক্ত আলেম সাহেবের বাড়ীতে গিয়ে তার স্ত্রীর নিকট ব্যাপারটি বললেন। স্ত্রীর নিকট তথ্য পাওয়া গেল যে, লোকটির তেমন কোন দোষ ছিল না; তবে স্ত্রী-সহবাস করার পর যখন গোসল করতে যেত তখন তিনি বলতে যে, “খৃষ্টান ধর্মের এ নিয়মটি খুব সুন্দর যে - স্ত্রী-সহবাসের পর গোসল করা ফরজ হয় না।”
এ বিষয়টি সবার নিকট স্পষ্ট হল যে, আল্লাহর কাছে আলেম লোকটি কেন মরদূদ হল আর মহিলাটি গ্রহণীয় হল।
আশা করি, সম্পূর্ণ ব্যাপারটি বুঝতে আর কারো কিছু বাকী থাকলো না।

বস্তুত, এ কাহিনীতে আলোচ্য হাদীসের ব্যাখা পাওয়া গেছেঃ
“ব্যক্তি (দুনিয়াতে) যাকে পছন্দ করবে (আখিরাতে) তার সাথেই থাকবে।”

বিখ্যাত গ্রন্থঃ "আল-এফাযাতুল য়াওমিয়্যাহ্"

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.