![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গল্প ১: সালাহউদ্দিনের ক্ষমা
১১৮৭ সাল। সালাহউদ্দিন আইউবি জেরুজালেম দখল করেছেন। তার সেনারা প্রস্তুত—শত্রুরা তো একসময় হাজারো মুসলমানকে কেটে ফেলেছিল, এখন প্রতিশোধের সময়।
কিন্তু সালাহউদ্দিন থামিয়ে দিলেন।
বললেন, “তারা যা করেছে, আমরা তা করবো না। আমরা মুসলমান, আমাদের ধর্ম আমাদের ধ্বংস নয়, জীবন দিতে শেখায়।”
তিনি বহু খ্রিস্টান পরিবারকে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেন। বৃদ্ধ, শিশু ও নারীদের জন্য অতিরিক্ত সুরক্ষা দেন।
একজন খ্রিস্টান যাজক কাঁদতে কাঁদতে বললেন, “আমরা তোমাদের মানুষ ভাবিনি। অথচ তুমি আমাদের ফের মানুষ করেছো।”
গল্প ২: বাইবার্স ও মোঙ্গল বন্দিরা
১২৬০ সাল। মোঙ্গল সেনারা মুসলিম ভূমি ধ্বংস করেছে, বাগদাদে রক্তের নদী বইয়ে দিয়েছে। তখন মামলুক নেতা বাইবার্স তাদের পরাজিত করেন।
তার সামনে আনা হয় শত শত মোঙ্গল বন্দি।
জবাই করার অনুমতি চায় সেনারা।
কিন্তু বাইবার্স বললেন,
“তাদেরকে শিক্ষা দাও, ন্যায়বিচার কী জিনিস। আমরা ওদের মতো হবো না।”
তিনি অনেক বন্দিকে মুক্তি দেন এবং কিছুকে ইসলামের কথা শোনার সুযোগ দেন। তাদের অনেকেই পরে মুসলিম হয়ে যান।
গল্প ৩: মোহাম্মদ আল-ফাতেহ ও জেরুজালেম
১৪৫৩ সাল। কনস্টান্টিনোপল জয় করে শহরে ঢুকেছেন সুলতান মোহাম্মদ ফাতেহ।
একটি গির্জার সামনে একদল মুসলিম যুবক দাঁড়িয়ে। তারা ঢুকতে চায়।
সুলতান এসে বললেন:
“এই গির্জা খ্রিস্টানদের। ইসলাম কখনো উপাসনালয় ধ্বংস করে না।”
তিনি গির্জার চাবি তুলে দেন এক যাজকের হাতে।
সেই যাজক পরে বলেন, “এই মানুষটা বিজয়ী, তবুও তাঁর অন্তরে দয়া—এরকম তো আমরা কল্পনাও করিনি।”
(সম্ভাব্য ভবিষ্যত): মুসলমানদের বিজয় হলে কী হবে?
যদি ভবিষ্যতে আল্লাহর ইচ্ছায় মুসলমানরা বিজয় লাভ করে, তাহলে ইতিহাসের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী সম্ভাব্য ঘটনা হতে পারে—
গাজার সাধারণ ইহুদি নারী-শিশুদের হত্যা করা হবে না
ইহুদি ধর্মীয় উপাসনালয় ও সাধুজনদের রক্ষা করা হবে
শত্রু সেনাদের মধ্যে যারা আত্মসমর্পণ করবে, তাদের বিচার হলেও বেপরোয়া প্রতিশোধ নেয়া হবে না
তাদের সাথে সালাহউদ্দিন, বাইবার্স কিংবা ফাতেহের মতো আচরণ করা হবে
বিশ্ব অবাক হয়ে দেখবে—যারা এতটা অত্যাচার সহ্য করেছে, তারাই মানবতার আদর্শ দেখাচ্ছে
এই ইতিহাসগুলো দেখায়—
ইসলাম কখনো প্রতিশোধ বা বর্বরতার ধর্ম নয়, বরং ন্যায়, দয়া আর সংযমের আদর্শ তুলে ধরে। মুসলমানদের শক্তি কেবল অস্ত্রে নয়, বরং তাদের চরিত্র ও নীতিতে।
কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়—
ইহুদিরা কি এই কথাগুলো জানে বলেই এত নিশ্চিন্তে মুসলমানদের উপর জুলুম চালায়?
তারা কি জানে, মুসলমানরা কখনো তাদের মতো করে প্রতিশোধ নেবে না,
শিশুদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেবে না,
নারীদের ধর্ষণ করবে না,
গির্জা, সিনাগগ বা উপাসনালয় ধ্বংস করবে না?
তারা কি এই সংযমকেই দুর্বলতা ভাবছে?
নাকি এটাকেই তারা ব্যবহার করছে একজাতীয় নীরব ঢাল হিসেবে—
একটা জানোয়ারও যেভাবে জানে, তার মালিক তাকে মারবে না, তাই সে কামড়াতে সাহস পায়?
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: মুসলমানরা আসলে সব কিছু থেকেই পিছিয়ে আছে। এর প্রধান কারন তগাদের ধর্ম।
৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৫০
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
নতুন ইতিহাস আপনি লিখা শুরু করৃন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:১০
রাসেল বলেছেন: আপনার মতো আমরা অনেকেই জানি, ইসলাম ক্ষমা করতে উৎসাহ দেয়। কোনো ধর্মই অসহিষ্ণুতা সমর্থন করে না। তবে ইসলামে মুনাফিকদের (রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয়) বিষয়ে কোনো ক্ষমা নাই। বর্তমান বাস্তবতায়, ইসলামকে আশ্রয় করে জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রভাব দেখা যায়। এই জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামের অনুসারী নয়, তাহলে তারা কেন ইসলামের আশ্রয় নিয়ে জঙ্গিবাদের প্রচার করে। আমি মনে করি, ইসলাম সঠিকভাবে উপস্থাপিত না হওয়াটা মুসলিমদের ব্যর্থতা।
গাজায় নিরপরাধ সাধারণ মানুষদের হত্যা করা হইতেছে, এজন্য বিবেকবান মানুষদের উচিত নিজেদেরকে অপরাধী ভাবা এবং আইনের ভিতরে থেকে প্রতিবাদ করা।