![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দাঙ্গা-সহিংসতা সৃষ্টিতে প্রথম আলো পত্রিকার কারসাজি!
গত ছয় জানুয়ারি প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সনে ছবিটি ছাপা হয়। ছবিটিতে পরোক্ষভাবে স্পষ্টতই বোঝানো হয় যে পাঁচ জানুয়ারিতে যারা ভোট দিয়েছে তারা অধিকাংশই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। তারপরই যশোর এবং দিনাজপুরে শুরু হয় হিন্দুদের ওপর আক্রমণ, হামলা ও লুটপাট।
ছবিটি আগে চোখে পড়েনি। আজ সকালে এক বন্ধুর ওয়াল থেকে ডাউনলোড (মোবাইল থেকে) করে দেখলাম। যারা পিসি থেকে দেখছেন তারা পরিস্কার দেখতে পাচ্ছেন। যারা মোবাইলে আছেন তারা ছবিটি ভিউ ফুল সাইজ অথবা ডাউনলোড করে দেখুন।
ছবিটিতে যে স্পষ্টতই মহিলাদের কপালে এবং মাথায় ফটোশপের মাধ্যমে টিপ এবং সিদুঁর এঁকে দিয়ে তাদেরকে হিন্দু হিশেবে হাইলাইট করা হয়েছে এটা বুঝতে ফটোশপ স্পেশালিস্ট হতে হয় না। একটি ছবির সবটুকু অংশই সমানভাবে উজ্জ্বল হবে। কিন্তু লক্ষ্য করুণ, বাঁ থেকে ছয় এবং সাত নম্বর মহিলার কপালে টিপ এবং সিদুরের স্পষ্ট ভাসমান অধিক উজ্জ্বলতা দেখা যাচ্ছে। যেটা মূল ছবির উজ্জ্বলতার ভারসাম্যের সাথে যায় না। মূল ছবিতে ঘষামাজা করেই এটা করা হয়েছে। এর প্রমাণ আট নম্বর মহিলার সাথে মিলিয়ে নিন। উনিও কিন্তু কপালে সিঁদুর নিয়েছেন, যেটা ছবির অন্যান্য অংশের সাথে স্বাভাবিক, অনুজ্জ্বল। এছাড়া তিন, চার, ছয়, সাত এবং আট নম্বর মহিলার টিপও উজ্জ্বল করে হাইলাইট করা হয়েছে।
অনলাইনে তোপের মুখে পড়ে ছবিটি প্রথম আলো সরিয়ে নিয়েছে। কিন্তু তাতে কি? আমি জানি, প্রযুক্তির এই যুগে অনেকের কাছেই খবর সহ ছবিটির স্ক্রিনশট আছে। তাছাড়া ছবিটি তোলা সাংবাদিককে (সাজিদুল হক সম্ভবত) ধরে ঠিকমতো প্যাদানি দিলেই মূল ছবিটি পাওয়া যাবে। এখন এর বিরুদ্ধে কিভাবে আইনি পদক্ষেপ নেয়া যায় সেটা ভাল আইন জানা ব্যক্তি মাত্রই পারেন। আর সরকারের সাতান্ন ধারা (নাকি এটা শুধু তথাকথিত নাস্তিক ব্লগার-ফেইসবুকারদের জন্যই) ধারা অনুযায়ী সরকার যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এটা প্রতিবাদ, দাবি জানিয়ে সরকারকে সবাই মনে করিয়ে দেন।
নিরীহ জনসাধারনের ওপর সহিংসতায় উসকে দেয়ার, শত শত ঘরবাড়ি ধ্বংসের এবং হাজার হাজার মানুষের চোখের জল ও অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট সরাসরি প্রত্যক্ষ করে হাইকোর্টের এমন রুল কি আমরা পেতে পারি না যে, কেন প্রথম আলোকে দ্বিতীয় 'আমার দেশ' হিশেবে নিষিদ্ধ করা হবে না এবং মতি মিয়াকে গ্রেফতার ও উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হবে না!
আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ সহ অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং এর উস্কানিদাতা হিশেবে প্রথম আলো প্রকাশ প্রকাশনা নিষিদ্ধ চাই।
২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৫
জনাব মাহাবুব বলেছেন: মতিরে ঠ্যাং উপরে আর মাথা নিচে দিয়ে হিন্দু ভাইদের দ্বারা আচ্ছামত প্যাদানী দেওয়া দরকার। তাহলে ওর খাসলত যদি বদলায়
বাংলাদেশে মানুষের মাঝে বিভেদ সৃষ্টিতে প্রথম আলুর কোন জুড়ি নেই। উস্কানিতে এরা পারদর্শী।
৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২১
এম এ কাশেম বলেছেন: এর মান প্রথম কালো
শালা হলুদ সাংবাদিক।
৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২৬
Palol বলেছেন: হিন্দুরা ভোট দিলেই তাকে মারতে হবে ?
৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৪
প্যাপিলন বলেছেন: যুক্তিসঙ্গত কথা বলেন। প্রথম আলোতে ছবিটি প্রচারের পরপরই হিন্দুদের ওপর হামলা হয়েছে এটা খুবই হাস্যকর। জামাত শিবিরের পছন্দের তালিকায় কখনই প্রথম আলো ছিলনা। প্রথম আলোর জন্মের আগেও এদেশে হিন্দুদের ওপর অনেক হামলা হয়েছে, প্রথম আলো না থাকলেও হিন্দুদের ওপর হামলা হবেনা এর কোনও নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবেনা। আসলে নির্বাচন নিয়ে প্রথম আলোর নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশের পরপরই প্রথম আলোকে সাইজ করার জন্য বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে। প্রথম আলোর স্বার্থান্বেষী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে পছন্দ করিনা বটে, কিন্তু কারো স্বার্থ সিদ্ধির জন্য জলঘোলা করাটাকেও সমর্থন করবেনা।
৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৬
লিটল হামা বলেছেন: প্রথম আলোকে সরাসরি মদদদাতা বলা যায় না, কিন্তু তাদের এই ফটোশপিত ছবির ব্যাখ্যা কী? বিষয়টাকে হালকাভাবে নেয়ার কোন সুযোগ নেই।
৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:২৮
না প্রেমিক না বিপ্লবী বলেছেন: প্রথম আলু
তুই জঙ্গিদের খালু॥
৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২২
মাইন রানা বলেছেন: ফটোশপ স্পেশালিস্টরা যারা মন্তব্য করছেন তাদের বলছি এই ছবিটি এডিট করা নয়।
যে এই ছবি তুলেছে তার এলবামের লিংকঃ
Click This Link
তবে প্রথম আলো যে বাংলাদেশের এক নম্বর হলুদ আলো এতে কোন সন্দেহ নেই।
প্রথম আলো একটি বিশেষ মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে.।।।
৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২৮
সুমন্ত বলেছেন: এই একটি ছবিফটো শপ কারসাজিতে সৃষ্ট। পিসিতে দেখলে তা পরিস্কার বোঝা যায়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১১
মিতক্ষরা বলেছেন: হিন্দুরা ভোট দিয়েছে - এইটা কে বলল? সারাদিন টিভি ক্যামেরার সামনে বসে থেকেও তো সেরকম কিছু দেখা যায় না। শুধুমাত্র এই একটি ছবি (ফটো শপ হলেও) যে হামলার উস্কানি হিসেবে কাজ করেছে তা অবিশ্বাস্য।
নির্বাচনের সময় ছিল বেশ কড়া নিরাপত্তা। তা সত্ত্বেও প্রশাসন এরকম ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটতে দিয়েছে। সুতরাং এটি আরেকটি আওয়ামী চাল হওয়া বিচিত্র কিছু নয়। আগেও অনেক সময় হামলার সাথে আওয়ামী লীগের লোকজনের নাম পাওয়া গিয়েছিল।