![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন বয়ে চলে অজানা পথে
হারভার্ড ছাত্রদের দ্বারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে কটাক্ষ করে তৈরী একটি ছবি। হাটতে হাটতে ক্যাম্পাসের নোটিশ বোর্ডে ছবিটা দেখে হাসতে হাসতে মরেই যাচ্ছিলাম।
পার্ক থেকে বেড়িয়ে সময়ের সাথে পাল্লা দেবার জন্য উবার পাকড়াও করে ছুটে গেলাম বিখ্যাত হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় দর্শনে। কমন স্পেস হল চত্বর ইত্যাদিতে ঘোরাঘুরি করলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৬৩৬ সালে প্রতিষ্ঠিত। আমেরিকার সবচেয়ে পুরনো বিশ্ববিদ্যালয় হারভার্ড ।
একজন শিক্ষক এবং ৯ জন ছাত্র নিয়ে হারভার্ডের যাত্রা শুরু আর এখন ৩ লক্ষ ৬০ হাজার জীবিত সফল ব্যক্তি (Alumni) রয়েছেন সারা আমেরিকা এবং বিশ্বের ১৯০ টি দেশ জুড়ে।
চার্লসটনের অধিবাসী জন হারভার্ডের নামে বিশ্ববিদ্যালয়টির নামকরন করা হয়েছে। ১৬৩৮ সালে মৃত্যুর আগে তিনি তার লাইব্রেরী এবং সম্পদের অর্ধেক এই বিদ্যাপীঠকে দান করেন।
বারাক ওবামা, মিশেল ওবামা, আলগোর, জন,এফ, কেনেডি এখানে পড়াশুনা করেছেন।
ভর্তি হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা জিপিএ ৪.০ (বাংলাদেশের জিপিএ কিনা জানিনা) তারপর পরীক্ষা দিয়ে চান্স পেতে হবে।
হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রামে ভেরিতাস (ল্যাটিন শব্দ) মানে বহুমুখী অথবা সত্য । বহুমুখী সত্যানুসন্ধানই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মটো।
বিদ্যানুরাগী জন হারভার্ড বই হাতে নিয়ে সবাইকে জ্ঞান অনুসন্ধান করতে বলছেন।
দর্শনার্থীরা ওনার পা ছুয়ে সম্মান জানাচ্ছেন এবং ক্যামেরার স্মৃতিতে সংরক্ষন করছেন। (আমি ভেবেছিলাম পাক, বাংলা, ভারতেই এই সংস্কৃতি রয়েছে ।)
হ্যারী এলকিন উইডেনার এর স্মৃতি রক্ষার্থে প্রতিষ্ঠিত লাইব্রেরী।
লাইব্রেরীর প্রবেশ পথ।
হ্যারী এলকিনের মা তার প্রিয় সন্তানের স্মৃতি রক্ষায় এই লাইব্রেরী গড়ে তোলেন হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে যাতে ছাত্রছাত্রীরা জ্ঞানের মশাল জ্বালাবার উপাদান (কেরোসিন, পেট্রল ) এখান থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। কিন্তু হ্যারী এলকিনের মা কেন এই কাজ করলেন নীচের ছবিতে তার ব্যাখ্যা রয়েছে।
হ্যারী এলকিন ছিলেন হারভার্ড গ্র্যাজুয়েট যিনি টাইটানিক জাহাজ ডুবিতে সলীল সমাধি প্রাপ্ত হয়েছিলেন।
ইউনিভারসিটি চত্তর চাইনিজ শিক্ষা ট্যুর ছাত্র ছাত্রীদের জমায়েত।
হারভার্ড ক্যাম্পাসে একটি গীর্জা (উপাসনালয়)
বিজ্ঞাণ অনুষদের সামনের চত্ত্বর।
ভীষন গরম তাই বাহিরে পানির কুয়াশা সদৃশ্য ঝর্না।
এখানে ঢোকা নিষেধ থাকা সত্বেও ঢুকে পড়ে প্রথম স্বয়ংক্রিয় হিসাব মেশিন (কম্পিউটার) দেখার সৌভাগ্য হলো।
কম্পিউটার
এটা আইবিএম এর তৈরী।
যেখানে ছবিই কথা বলে সেখানে ভাষা নিরব রাখাই শ্রেয়।
ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনের পিছন দিকের দৃশ্য পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা দেখে মুগ্ধ । বিশ্ববিদ্যালয় তো এমনই হওয়া উচিৎ।
আরেকটি সুন্দর ফ্যাকাল্টি ভবন ।
‘ল’ স্কুল বারাক ওবামা এবং মিশেল ওবামা এই ভবনে পড়াশুনা করেছেন। বিল্ডিংটা একটু ছুঁয়ে দেখলাম মনে হলো যেন বিখ্যাত সব ব্যাক্তিদের ছোঁয়া পেলাম।
‘ল’ স্কুলের প্রবেশ পথ।
‘ক্যাম্পাস’ সামনে ফল তাই কিছু ঝরাপাতা বেদনাবিধুর মলিন চেহারা নিয়ে ঘাসের আশ্রয়ে আছে ইতিউতি।
দারুন একটা হ্যান্ড পাম্পের রেপ্লিকা।
হ্যান্ড পাম্পের ইতিকথা।
হারভার্ড হল। বাহিরে ঐতিহ্যের (আভিজাত্যের) ছাপ।
হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ ও নির্গমনের আনুষ্ঠানিক গেইট।
আনুষ্ঠানিক কারনঃ বৎসরে মাত্র দুবার এই গেট খোলা হয় প্রথমবার যেদিন নুতন ছাত্ররা বিদ্যা পাঠের জন্য প্রবেশ করে সেদিন এবং দ্বিতীয়বার যেদিন বিদ্যা পাঠ শেষ করার পর ছাত্রদের বিদায় দেওয়া হয় সেদিন। পাশেই আরেকটা গেইট আছে যেটা সারাক্ষন খোলা থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরে শহরের চত্তর।
ইনি হুইল চেয়ারে বসে গান গাইছেন সাহায্যের আশায়। পাচঁ ডলার দিয়ে দিলুম পাঁচ টাকা মনে করে। (হায়! হায়! করলাম কি? )
আপনাদের জন্য স্যুভেনির নিয়ে এলুম যত খুশী নিয়ে নিন হা হা হা।
আরো কিছু।
এটাও একটা গেইট।
কিছু তথ্যের জন্য গুগল মামার স্মরনাপন্ন হয়েছিলাম।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১
পুলক ঢালী বলেছেন: হা হা হা সুন্দর প্রশ্ন। যখন যেখানে গিয়েছি সেখানকার আত্নীয়রাই ঘুরিয়েছে কেউ কেউ বেশ কিছু ডলার গিফ্ট করেছে। কিছু দুরত্বে তো খরচ তেমন হয়নি গাড়ীতেই নিয়ে গেছে যেমন বোস্টন, ডিসি, মেরীল্যান্ড,পেনসেলভিনিয়া, নিউইয়র্ক। কিছু খরচ হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায়। লসএঞ্জেলস,সানবার্নাদিনো,আর লাসভেগাস বেড়াতে। কয়েকটা জায়গায় গেলেও ঘোরা হয়নি যেমন বাল্টিমোর, ফিলাডেলফিয়া এবং অকল্যান্ডে।
আশাকরি আপনার কৌতুহল নিবৃত হয়েছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬
রাকু হাসান বলেছেন:
ছবি তো বরাবরের মত সুন্দর । তবে আগের পোস্টের মত, এই পোস্টেও একজন বিটলা কে দেখলাম ।
। প্রথম ছবিটা দেখেই হাসি পাই । বেশ কিছু তথ্য জানা ছিল না একদম ,জানলাম কৃতজ্ঞতা ভাইয়া । পা ছুঁয়ে সালাম করার সংস্যেকৃতি যে আমেরিকানদের মধ্যেও আছে ,সেটা অবাক করলো । আমিও ভাবতাম উপমহাদেশে প্রচলিত এটা ।
তথ্য --- খাদিজাতুল খোবরা বাংলাদেশের একমাত্র বোলার যে সবচেয়ে কম রানে বেশি উইকেট পেয়েছে । সাকিব,মুস্তা,ম্যাশ সব পেছনে । উল্লেখ্য খাদিজা একজন স্পিনার । ইহা কমেন্টের সাথে বোনাস তথ্য ছিল ।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯
পুলক ঢালী বলেছেন: রাকু হাসান ভাই মজা পেলাম আপনার মন্তব্যে। তথ্যের জন্য ধন্যবাদ ভাল থাকুন।
৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, "আশাকরি আপনার কৌতুহল নিবৃত হয়েছে। "
-আমার প্রশ্ন ছিলো, "আমেরিকা ভ্রমনে আপনার কি পরিমাণ টাকা লেগেছে? "
-আপনার কি পরিমন লেগেছে; আত্নীয়দের খরচের পরিমাণ বলার দরকার নেই!
১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০১
পুলক ঢালী বলেছেন: দুই হাজার।
৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমার সবচেয়ে প্রিয় দেশ।
এই দেশে আমি বেড়াতে যাবোই।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০২
পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই। অবশ্যই যাবেন বেড়াতে। থাকার জন্য বাংলাদেশই ভাল।
৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:২২
জ্ঞান পাগল বলেছেন: ছবিগুলা খুব ভাল লাগল
১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৪
পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ জ্ঞান পাগল ভাই। ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো। ভাল থাকুন।
৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৩৩
কাতিআশা বলেছেন: খুব ভাল লাগল পোস্ট টা!..স্বপ্নের ইউনিভার্সিটি! এই উইকেন্ডেই ঘুরে এলাম মেয়ের কাছে বোস্টনে!
১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৬
পুলক ঢালী বলেছেন: ধন্যবাদ কাতিআশা ভাই/বোন । ভাল থাকুন।
৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ছবি গুলো দেখে অনেক ভাল লাগল পুলক ভাইয়া।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪১
পুলক ঢালী বলেছেন: ভাললাগা ব্যক্ত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ সোহেলভাই । ভাল থাকুন।
৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার পোস্ট !! ভার্চুয়াল ভ্রমণ হয়ে গেল। ধন্যবাদ।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪২
পুলক ঢালী বলেছেন: মন্তব্যে অনেক ভাললাগা রইল। ভাল থাকুন সুমন কর ভাই।
৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৪
আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার। চমৎকার। চমৎকার।
আমাদেরকেও আপনি হার্ভার্ড ঘুরে আনলেন।
ইতিহাস ঐতিহ্যকে ধরে রাখার কি কঠোর প্রয়াস। ওরা এগিয়ে যাবে নাতো কি আমরা যাবো.....
অনেক অনেক ভালোলাগা পোস্টে।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০৫
পুলক ঢালী বলেছেন: পোষ্টের মর্ম উদ্ধারকারী একদম সঠিক একটি মন্তব্য পেলাম । ছবিতো ছবিই কিন্তু ছবি যে কথা বলছে সেটা অনুধাবন করতে পারাটাই আসল বিষয়। মন্তব্যে অনেক ভাল লাগা রইলো । ভাল থাকুন আখেনাটেন ভাই।
১০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:০৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম সবকিছুতেই মামা ' র সাহায্য দরকার ।
এইসব নাম হচ্ছে স্বপ্ন !! ছবি দেখে বুঝলাম , আসলেই স্বপ্নের মত।
চমৎকার তথ্য সম্বলিত লেখায় ভালোলাগা।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:১৮
পুলক ঢালী বলেছেন: হা হা হা । জ্বী! প্রিয় মনিরা ম্যাডাম। জানেনই তো মামু মই না ধরলে গাছে উঠা (সাফল্যের সোপান বেয়ে ---) যায়না । আমার খুব ভাল লাগে গুগল মামুরে বিরক্ত করতে -- এমন ধৈর্য্যশীল মামুরে কে না পচন্দ করে
নাম হচ্ছে স্বপ্নের মত একদম মনের কথা বলেছেন। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাবারও উপায় নেই তাই স্পর্শই কাফী।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাল থাকুন।
(অঃটঃ ওওও বলতে ভুলে গিয়েছিলাম মনে হচ্ছে ডিসেম্বরের ফার্ষ্ট উইকে আবার উড়াল দেবো, দুবাইতে স্টারবাকে এ্যারাবিয়ান কফি জুটলে অবশ্যই চেখে দেখবো। )
১১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আচ্ছা আচ্ছা !!
এয়ারপোর্ট নেমে অবশ্যই টারজানীয় হাঁক দিবেন। জুটলে জুটতেও পারে উ নেভার নো ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০৬
পুলক ঢালী বলেছেন: হুম! কয়েকটা চিন্তা ভাবনা করে রাখলুম। টারজানীয় হাক দিতে গেলে লতাপাতা শিকড় ধরে ঝুলতে হবে নাহলে ওরকম হাকের জোষ আসবেনা। দুবাই এয়ারপোর্টে শিকড় বাকর নিয়ে ঢোকা যাবেনা কিন্তু ডিজ-এ্যাসেম্বল্ড ম্যাগনেটিক ডিভাইস উইথ রোপ নেয়া যাবে । রুফে ম্যাগনেট লাগিয়ে ঝুলে পড়ে ভাবছি দস্যু বনহুর হয়ে মনিরা মনিরা হাক ছাড়বো (পুলিশরা নির্ঘাৎ দস্যুটার ঘাড়ে ক্যাক করে ধরে বারো শিকের অন্দরে আটকে রাখবে
)
নাহ্ ! বরঞ্চ পিএ সিষ্টেমে ডাকাডাকি শুরু করে দেবো, "প্রিয় মনিরা সুলতানা ম্যাডাম আপনি কোন কফিশপের মালিক যদি বলতেন তাহলে আপনার দরবারে এই বান্দা হাজিরা পেশ করতে পারতো।"
হা হা হা আপনার মন্তব্যে দারুন মজা পেলুম। ভাল থাকুন ম্যাডাম।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমেরিকা ভ্রমনে আপনার কি পরিমাণ টাকা লেগেছে?