নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পারভেজ রশীদ

পারভেজ রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কয়েকটি জনপ্রিয় গানের লিরিক

১৮ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬

১।ওরে বেয়াক্কেল সঙ্গে কি আর যাবেরে সাইকেল
নকুল কুমার বিশ্বাস
===========================

ওরে বেয়াক্কেল
সঙ্গে কি আর যাবেরে সাইকেল
তোর পড়ে থাকবে খাট-পালঙ্ক চৌধুরী টাইটেল।

যেদিন তোর দেহের ব্যাটারি হবেরে ফিউজ
সেদিন তুই ক্যামনে শুনবি বিবিসি’র নিউজ
যাবি কেমন করে শ্মশানে পায়ে দিয়া বাটার স্যাণ্ডেল।
ওরে বেয়াক্কেল
সঙ্গে কি আর যাবেরে সাইকেল ।।

তুই ছিলি শিশু হলি যুবক ওরে ও চাঁদু
আর ক’টা বছর গেলেই তুই হবিরে দাদু
ও তোর ব্যাক ব্রাশ চুল পড়ে হবে মাথাটা কটবেল।
ওরে বেয়াক্কেল
সঙ্গে কি আর যাবেরে সাইকেল ।।

ও তোর চুল ঝরিবে দাঁত পড়িবে তারপরে ঘোড়ায় চড়বি
গায়ের চামড়া হবে ঢিলা থাকবে না অতো চর্বি
আসছে এমারজেন্সি খবর নিয়ে যমের তুফান মেল।
ওরে বেয়াক্কেল
সঙ্গে কি আর যাবেরে সাইকেল ।।

নকুল কয় শোনো পাত্রীরা তোমাদের বলি আমি
মানুষের চেয়ে যার কাছে টিভি আর ক্যাসেট দামী
তোমরা তারে করো না কেউ জীবনের মক্কেল।।


২। একদিন কান্নার রোল উঠবে আমার বাড়িতে
============================

একদিন কান্নার রোল উঠবে আমার বাড়িতে
আমায় নতুন করে দেখতে সবাই আসবে সারি সারিতে

বন্ধু-বান্ধব আসবে যারা
নানা প্রশ্ন করবে তারা
বন্ধু-বান্ধব আসবে যারা
কত প্রশ্ন করবে তারা
আমি থাকব শুয়ে বালিশ ছাড়া
পারব না ঠোঁট নাড়িতে

আপন যারা তারা এসে
সাজাবেরে নতুন বেশে
আমি টিকিট ছাড়া উঠবো শেষে
ইঞ্জিন ছাড়া গাড়িতে



৩। চাচায় চা চায় চাচী চ্যাঁচায়
==================

চাচায় চা চায়
চাচী চ্যাঁচায়
চা চড়াতে চায় না চাচী চচ্চড়ি চুলায়।

চাচার চিকন চাকন চেহারাটা চান্দিটা চচকচে
চরণের চামড়ার চটি, চীনা চশমা চোখে
চাচা চিরকালই চালাক চতুর চাটুকারিতায়।।

চাচায় চায়রে চা চানাচুর চাচী চিড়া-চাল
চাচা-চাচীর চেঁচাচেচি চলছে চিরকাল
চাছা চটা চেছে চাচা চাচীরে চটায়।।

চাচী চাচার চাল চলনে চটে চড়া চোখে চায়
চাচীর চোখের চাহনিতে চাচা চমকায়
চাচার চেয়ে চাঈ চালু চিন্তা-চেতনায়।

চাচায় চা চায়
চাচী চ্যাঁচায়
চাচীর চাবিতে চলে চাটুকার চাচায়।।



৪।পাঁঠা দিয়ে মহিষ দিয়ে
===============

পাঁঠা দিয়ে মহিষ দিয়ে
টাকা দিয়ে পয়সা দিয়ে
ভজন-পূজন করছো কার
ঈশ্বর কি ঘুষখোর অফিসার?
তোমার দু'টাকা প্রণামী পেয়ে
আড়াইশো বাতাসা খেয়ে
খুলে দেবেন স্বর্গের দ্বার।
ঈশ্বর কি ঘুষখোর অফিসার?

মন্দিরে চিনি সাজিয়ে কারে করো আহ্বান
এতই যদি চিনির ভক্ত হতেন হরি ভগবান
তবে তারে পাইতো আগে চিনি কলের ম্যানেজার।
ঈশ্বর কি ঘুষখোর অফিসার?

তারে মাইক লাগাইয়া চিৎকার করে ডাকো কি কারণে
তোমারা কি মনে করো ভগবান কানে কম শোনে
কেন অন্য ভাষায় ডাকো তারে বাংলা কি জানা নেই তার।
ঈশ্বর কি ঘুষখোর অফিসার?

কৃষ্ণ বলে ডাকলেই যদি কৃষ্ণকে পাওয়া যেতো
তবে যার ছেলের নাম কৃষ্ণ সেই তো কৃষ্ণকে আগে পেতো
আবার কৃষ্ণ গুণগান করে স্বর্গে যেতো টেপরেকর্ডার।
ঈশ্বর কি ঘুষখোর অফিসার?

কেউ স্বর্গ সুখ পাওয়ার আশায় তীর্থেরই পথে ঝোঁকে
নরক ভয় ঘন ঘন মাটিতে মাথা ঠোকে
বলো তারে খোঁজে ক'জন লোকে
নকুল কয় ভাবা দরকার।
ঈশ্বর কি ঘুষখোর অফিসার?

৫। বৃদ্ধাশ্রম (ছেলে আমার মস্ত মানুষ, মস্ত অফিসার)
===============================

শিল্পী- নচিকেতা

ছেলে আমার মস্ত মানুষ, মস্ত অফিসার
মস্ত ফ্ল্যাটে যায় না দেখা এপার ওপার।
নানান রকম জিনিস আর আসবাব দামী দামী
সবচেয়ে কম দামী ছিলাম একমাত্র আমি।
ছেলের আমার আমার প্রতি অগাধ সম্ভ্রম
আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম!

আমার ব্যবহারের সেই আলমারি আর আয়না
ওসব নাকি বেশ পুরনো, ফ্ল্যাটে রাখা যায় না।
ওর বাবার ছবি, ঘড়ি-ছড়ি, বিদেয় হলো তাড়াতাড়ি
ছেড়ে দিলো, কাকে খেলো, পোষা বুড়ো ময়না।
স্বামী-স্ত্রী আর আ্যালসেশিয়ান – জায়গা বড়ই কম
আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম!

নিজের হাতে ভাত খেতে পারতো নাকো খোকা
বলতাম আমি না থাকলে কী করবি রে বোকা?
ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদতো খোকা আমার কথা শুনে-
খোকা বোধ হয় আর কাঁদে না, নেই বুঝি আর মনে।
ছোট্টবেলায় স্বপ্ন দেখে উঠতো খোকা কেঁদে
দু’হাত দিয়ে বুকের কাছে রেখে দিতাম বেঁধে
দু’হাত আজো খুঁজে, ভুলে যায় যে একদম-
আমার ঠিকানা এখন বৃদ্ধাশ্রম!

খোকারও হয়েছে ছেলে, দু’বছর হলো
তার তো মাত্র বয়স পঁচিশ, ঠাকুর মুখ তোলো।
একশো বছর বাঁচতে চাই এখন আমার সাধ
পঁচিশ বছর পরে খোকার হবে ঊনষাট।
আশ্রমের এই ঘরটা ছোট, জায়গা অনেক বেশি-
খোকা-আমি দু’জনেতে থাকবো পাশাপাশি।
সেই দিনটার স্বপ্ন দেখি ভীষণ রকম
মুখোমুখি আমি, খোকা আর বৃদ্ধাশ্রম!
মুখোমুখি আমি, খোকা আর বৃদ্ধাশ্রম!
মুখোমুখি আমি, খোকা আর বৃদ্ধাশ্রম!



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.