নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পুরুষজন্ম

একটি পুরুষ হয়ে ওঠার বৃত্তান্ত

একজন পুরুষ

শৈশব থেকে এই মূহূর্ত পর্যন্ত আমি এক পুরুষ - এই বোধের জন্মের প্রতিটি মূহূর্ত

একজন পুরুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার পুরুষবোধ (পর্ব -3) : একটি মেয়ের হাত ধরা ও সচোক্ষে প্রথম নিরাভরন নারী

০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ রাত ২:৪৪

ক্লাশ টুর শেষের দিকে পাশের বাড়িতে এলো তৃপ্তি । আমার ক্লাশেই পড়ে, তবে অন্য স্কুলে। তৃপ্তিকে ঘিরে আমার প্রথম বউ ভাবনার জন্ম। একদিন পড়ার ফাকে লেখার খাতায় গোটা গোটা অরে নিজের অজান্তেই লিখে ফেললাম তৃপ্তি আমার বউ। লিখেই লেখাটার উপর পেন্সিলের ঘষায় পৃষ্ঠাটাই গেল ছিড়ে। তৃপ্তিরা ছিল দুই বোন। বড় বোন রাত্রি ছিল দুই ক্লাশ উপরে। দুই বোনই ছিলো আমার খেলার সঙ্গী। খেলায় খেলায় দিন পার হচ্ছিল দ্রুত। একদিন খেলার সময় আমি অজান্তে তৃপ্তির হাত ধরলে সে চিৎকার করে উঠে। আমি ভয়ে হাত ছেড়ে দিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে মাথা নেড়ে চুপ করে যায়।



এসময় আমাদের তিন তালায় আসেন এক অপ্সরার মতো ভাবী। দুধে আলতা রঙে তাকে কি যে ভালো লাগতো। ভদ্রমহিলার নাম এখন আর মনে নেই। কিন্তু এই মহিলাকে ঘিরে আমার মধ্যে প্রথম নারী বিষয়ক ঈর্ষার জন্ম। ভদ্রমহিলার স্বামীর প্রতি এখন আর সেই ঈর্ষা এখন আর নেই। মহিলাটির চেহারা মনে করবার চেষ্টা করলে যে ছবিটি ভেসে ওঠে তার সাথে ববিতার প্রথম দিককার ছবির মিল পাওয়া যায়। এই দম্পতি অল্প দিনের মধ্যেই কোথায় জানি চলে যান।



এ সময় একটি ঘটনা ঘটে। রাত্রি আমাকে প্রথম বড়দের ব্যাপার স্যাপার নিয়ে গল্প বলে। গল্পগুলো আমার মধ্যে কোন উত্তেজনা তৈরী করে নি। আমি কেবল রঙ করা পুতুলের মতো রাত্রির গল্প শুনে যেতাম। রাত্রিই আমার জীবনে প্রথম বাস্তবের নারী রহস্য দর্শন। এক মেঘলা দুপুরে আমি রাত্রিদের বাসায়, ঘরে কেউ নেই আমায় ফেলে কোথায় জানি গেল। আমি বসে আছি ওর অপোয়। হটাৎ শুনি ওর ডাক -আমি এগোতেই থমকে দাড়াই - রাত্রি দাড়িয়ে আছে পূর্ণ নিরাভরন দেহে।

আমার কিন্তু আশ্চর্য্যভাবে সবই স্বাভাবিক লাগছিল। আমি কেবল দাড়িয়ে ওকে দেখি - ও আশ্চর্য্য সাবলীলভাবে আমার সামনে বিনা কাপড়ে ঘুরে বেড়ায়। আমিও স্বাভাবিকভাবে বসে থাকি। একসময় কলিংবেলের শব্দে ওর গায়ে কাপড় ওঠে। আমি তখন ক্লাশ ফোরে রাত্রি সিক্সে। পরের দুই বছরে রাত্রির সেই নিরাভরন দেহের কথা আর পড়া হয় নি। কেবল নর নারীর গোপন অভিসারের গল্পে শ্রোতা হয়ে বসে থাকতে হয়েছিল। রাত্রি হারিয়ে গেল গোটা জীবনের জন্য, কেবল ইন্টার মিডিয়েট পরীার পর ওকে দেখেছিলাম রাস্তায় বান্ধবীদের সাথে দাড়িয়ে থাকতে। আমি না দেখে এড়িয়ে চলে যাবার মুখে খপ করে হাত চেপে ধরলো সে। আমায় না চিনার ভান করে চলে যাচ্ছিস- আমি কাষ্ঠ হাসি মুখে এনে চুপ করে দাড়িয়ে থাকি। সে বকা ঝকা করে আমায় বাসার ঠিকানা ধরিয়ে দিল। কিন্তু সেখানে আমার আর যাওয়া হয় নি। গেলে হয়তো আর একটা গল্পের জন্ম হতো। সে তো অনেক পরের কথা। এর মধ্যে এসেছিল - কচি। ষষ্ঠ শ্রেনীর বালক আমি তখন।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:১২

অতিথি বলেছেন: ভিন্ন ডাইমেনশনের লেখা। প্রতিটি ছেলের কথাই বলছেন প্রকারন্তরে। মেয়েরা পড়ে বেশী মজা পাবে নিঃসন্দেহে। তবে আমার আর সিরিজগুলো পড়তে ভাল লাগছে না। জানা কথা নতুন করে আর পড়ার কি আছে! বরঞ্চ লেখার স্টাইল নিয়ে বলি, মাঝারি গোছের, আরো ইম্প্রূভমেন্ট দরকার।

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:২০

অতিথি বলেছেন: ভালো হচ্ছে। লিখতে লিখতে স্টাইল আরো চমৎকার হবে।

৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:২৩

রাগ ইমন বলেছেন: লেখাটা আরো অনেক বেশি প্রান পেতো যদি "একজন পুরুষ হয়ে ওঠার" সবকটা ডাইমেনশনকে তুলে আনতে পারতেন।

জন্মের পর যৌনতার সাথে বা শরীরের সাথে পরিচয় হওয়া আর পুরুষ হয়ে ওঠার মাঝে ব্যাপক একটা ফাক আছে, যেটা আপনার বিষয় নির্বাচন আর বক্তব্যের মাঝেও পাচ্ছি।

একজন পুরুষের " শরীর এবং যৌনতার" বোধটাই কি "পুরুষত্ব"? বিশেষ করে বাংলাদেশে একজন শিশু কে জন্ম মুহূর্ত থেকে পুরুষ বানানো , মানে নারী থেকে আলাদা করা শুরু হয়।

উদাহরন, মেয়ে শিশু জন্মালে ১ মন আর ছেলে শিশু জন্মালে ২ মন মিষ্টি বিতরন।

পার্থক্য গুলো চোখে পড়তে হলে দৃষ্টি এবং মননকে আর একটু প্রসারিত করতে হবে। তাহলে হয়ত , মামীর এবং রাত্রির নিরাভরন শরীরের বাইরে, আরো অনেক অনেক উপকরন পাবেন, যা আপনাকে "পুরুষ" করে তুলেছে।

আশা করি "ধরতে" পারবেন , যা বোঝাতে চেয়েছি!

৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:২৭

রাগ ইমন বলেছেন: আর যৌনতার বোধটাকেই যদি শুধুমাত্র হাইলাইট করার ইচ্ছে থাকে, তাহলে "আমার পুরুষবোধ " না লিখে, লিখুন " আমার যৌনতাবোধ" ।"পুরুষ" আরো অনেক ব্যাপক ব্যাপার, আরও প্রসারিত সত্ত্বা !

৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:২৭

পথিক!!!!!!! বলেছেন: যাক অবশেষ ব্লগে একজন ক্লাসিকাল চটি লেখক ও পাওয়া গেলো। ........
তবে বাস্তবতার ছোঁয়া প্রবল ...তাই ভাল লাগল ।

৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:৩৩

অতিথি বলেছেন: ওরে রে, পথিক কি খুশি হইছে রে! এতদিন পরে তার অপেক্ষার দিন শ্যাষ হইলো, ব্লগে একজন চটি লেখক আইলো! পথিক ভাইরে আর কষ্ট কইরা জৈবনজ্বালায় গিয়া চটি পইড়া হাত চালাইতে হইবো না ... খাচ্চর পথিক, আপনি কবে শুধরাইবেন?

৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:৩৭

পথিক!!!!!!! বলেছেন: হায়রে ঠুকেমারি.........খুশির চিহ্ন কই দেখলেন বুঝলাম না। চটিরে চটি বলা কি অন্যায় নাকি। কি আশ্চর্য।
আপনে তো মনে হয় চামে চামে খুশি হইতে পছন্দ করেন। চটি বলায় ভয় পাইলেন আবার যদি ওর বিরুদ্ধে রব ওঠে। আপনার তখন চামে চামে খুশি হওয়া হইবনা।

নারী আকর্ষন করে --মহাসত্য , স্বীকার না করার কারণ দেখিনা।
চটি বিকর্ষন করেছে আজীবন , মহাসত্য -স্বীকার না করার কারন দেখিনা।

৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:৪৮

একজন পুরুষ বলেছেন: রাগ ইমনকে ধন্যবাদ- নিশ্চয়ই পুরুষবোধ কেবল যৌনতা নির্ভর নয়। বেড়ে ওঠার আরো অনেক অনুষঙ্গ থেকে পুরুষ চেতনা গড়ে ওঠে। কিন্তু বাসায় বা পরিবারে ছোট বা সমবয়সী বোন বা সঙ্গী না থাকলে আচরনগত পার্থক্য কে অনুভব করে পুরুষ বোধ তৈরী হয় না। অন্তত আমার ক্ষেত্রে তা ঘটে নি। আর এটা একেবারে ছোটবেলার ঘটনা বলছি। ছোটবেলায় ঠিক যেভাবে ঘটনাগুলো মনে হয়েছে সরলভাবে আমি তাই লিখবার চেষ্টা করেছি। আরো পরের যে সময় তাতে নিশ্চয় মনের মধ্যে বা চোখে কিংবা অভিজ্ঞতায় আরো অনেক ধরনের ঘটনাই ধরা পরেছে। যদি সেই সময় পর্যন্ত লেখা হয় তবে সেগুলোও আসবে।
প্রথমত আঙ্গিকটার দিক থেকে আমি সরলভাবে থাকার চেষ্টা করেছি -

৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:৫১

অতিথি বলেছেন: পুরুষ ভাই, আপনি রাগিমনের মন্তব্য পাত্তা দিবেন না। আপনি লিখবেন আপনার দর্শন। তাতে অন্য কারো দর্শন বা এক্সপেকটেশন এর সাথে মিললো কিনা, সেটা একেবারেই গৌণ ব্যাপার। আর লিখার তো মাত্র তৃতীয় পর্ব। এর মদঃ্যেই সবকিছু চাইলে কেমনে হবে!

চটি-টটি কোনো ব্যাপার না। কেউ মজা করে চটি বলতে পারে আবার কেউ শালীনতা গেলো বইলা। লিখার উদ্দেশ্য নিজের কাছে সৎ থাকলে লিইখা যান।

১০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ সকাল ১১:৩৫

অতিথি বলেছেন: লেখার মধ্যে একটা যায় যায় দিন ভাব আছে। চেনা চেনা লাগে। যায় যায় দিনে লিখছিলেন নাকি ভাইজান?

১১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ সকাল ১১:৫৫

অতিথি বলেছেন: দারুন !!খুব ভালো লাগছে !!!জীবনের প্রথম দিককার যৌন কেলেংকারিগুলোর কথা মনে পড়ছে।

১২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১২:০৪

অতিথি বলেছেন: এখনও মুরুবি্বদের দেখিয়া উত্তেজিত হইবার পর্বে আছেন। আশা করি অচিরেই মুরুবি্বদের ছাড়িয়া বয়োকনিষ্ঠাদের পাকড়াও করিবেন।

১৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১২:২২

অতিথি বলেছেন: আগের পর্বগুলো পড়িনি। এটাই প্রথম পড়লাম। সমালোচনাগুলো বেশি কঠোর মনে হয়েছে।
কৌশিক স্টাইলের যেকথা তুলেছেন সে বিষয়ে আমি চোরের মন্তব্যকেই সঠিক মানবো। ক্লাশ টু'র শিশুর চিন্তার সরলতা এই বাকভঙ্গিতে পাওয়া যায়। "তৃপ্তি আমার বউ" লেখা ও মুছে ফেলার দৃশ্যে তা উপস্থিত। অন্যদিকে কেউ যদি সেখানে এই প্রশ্ন তুলতো যে তৃপ্তির সাথে বিয়েতে আমার মা-বাবা রাজি হবেন না, তবে বুঝা যেত লেখক চরিত্রের পয়েন্ট অব ভিউ থেকে সরে গেছেন। সেদিক থেকে লেখকের ব্যাখ্যা-মন্তব্য আমার কাছে অনেক গ্রহনীয় লেগেছে।

রাগ-ইমন এই লেখাটি লিখলে হয়তো অন্যভাবে লিখতেন। কিন্তু আমার কাছে একধরনের ফ্রয়েডিয় অনুরণনে লেখা এই পর্বের কোথাও আমি যৌনতাবোধের বাড়াবাড়িত্ব দেখলাম না। তৃপ্তি আমার বউ বা দুধে আলতা বিবাহিতার জন্য ঈর্ষাবোধে যৌনতা দেখলেন কোথায়। এই শিশুটির মধ্যে প্রচ্ছন্ন যে যৌনতাবোধ আছে তাতো ভূমিষ্ঠ হওয়ার ক্ষণ থেকে মাতৃদেহের প্রতি আকর্ষণের মতই প্রাকৃতিক বোধ। আরোপিত কিছু নয়।

একে চটি বলাটা চটিকে অসম্মান। এ যদি চটি হয়, তবে লোলিটা বা লেডি চ্যাটার্লিজ লাভারকে কি বলবেন? এ পর্যন্ত এটি লেখকের পুরুষ হয়ে ওঠার একান্তবর্ণনাই হয়ে আছে। তবে লেখকের ইচ্ছে হলে তিনি একে চটি বা ইরোটিকার রূপ দিতে পারেন। তবে এখানে কোনো ইরোটিকা নেই, এটা জোর দিয়ে বলা যায়।

নিজের জীবনের এমন সব 'কাউকে যায় না বলা' একান্ত কথা তুলে রাখার যথার্থ জায়গা ব্লগ। একজন পুরুষ, স্বাধীনভাবে তুলে রাখুন আপনার জীবনের কুড়িয়ে পাওয়া বাহারি পাথরগুলো।
ধন্যবাদ।

১৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১২:৪৫

অতিথি বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায়।

১৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১২:৪৬

অতিথি বলেছেন: লগে একখানা ফটুকও দিয়েন।
অবশ্যই বর্ননার সাথে সংগতি রেখে।

১৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

রাগ ইমন বলেছেন: ক্লাস টু এর সরল চোখে ধরা পড়েনি, এটা যদি কার হয় তো কিছু বলার নেই, এই জন্যই বলেছিলাম যে , হয়ত আপনি "শরীর এবং সুক্ষ যৌন বোধটাকে" হাইলাইট করতে চাইছেন। আর কিছু বোঝার কথাও না। আমার কোনই আপত্তি নাই আপনার বিষয় বা সরল দৃষ্টিভঙ্গীর ব্যাপারে। আমার আপত্তিটা "নামে"। আরও অনেক কিছুর মতো, আপনার মাঝে "পুরুষত্ব" বোধটাও তখন তৈরী হওয়ার কথা তো নয়।

শিশুরা নিরপেক্ষ কৌতুহল নিয়েই দেখে। ঠিক পুরুষের চোখে দেখে না মনে হয়। ছোটদের সাথে আমরা বর বউ জাতীয় ঠাট্টা করি বলেই আপনি লিখতে পেরেছিলেন "তৃপ্তি আমার বউ" আবার লজ্জা পেয়ে মুছেওছিলেন। আমি সিওর , আপনি বুঝতেন না , বউ কি জিনিস, তাই না? আপনার পুরুষ হয়ে ওঠার পেছনে আরো অনেক কিছু ছিল।যেমন আপনার পোশাক ভিন্ন, আপনার খেলনা ভিন্ন, "তুমি একটা ছেলে , সুতরাং ব্যথা পেলে কাঁদবে না" ধরনের কথা শোনেননি? শুধু ছোট বোন না থাকলেও এগুলো দেখা হয়, শোনা হয় , আশে পাশে মেয়ে শিশু ছিল নিশ্চয়ই?

আসলে আমরা এক কিছুকে স্বাভাবিক বলে ধরে নেই, যে আমাদের মনেই থাকে না, এইটা ভিন্নতা, এইটা অন্য রকমও হতে পারতো।

আমি কিন্তু লেখা থামাতে বলিনি, বলেছি, নিজের বোধের কাছে সৎ থেকে আরও কিছু , যা আপনার মনে দাগ কেটেছিল, ধাক্কা দিয়েছিল, তাও লিখতে! সেই সবও তো পুরুষ হয়ে ওঠার অংশ, তাই না?

১৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:২২

রাগ ইমন বলেছেন: শোমচৌ, আপনার কোন মন্তব্য পড়ে এত হতাশ মনে হয় এর আগে হইনি!!!!

আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হলো, আপনি হয় তাড়াহুড়ায় আমার মন্তব্য ঠিক মত পড়েননি আর না হলে কোন কারনে বোঝেননি ! বরং "একজন পুরুষ" একটু বেটার বুঝেছেন।

আমি কোথায় বলেছি যে যৌনতার "বাড়াবাড়ি" আছে?

আর যৌনতা বলতে "সেক্সুয়াল আইডেনটিটি" বোঝায়। যৌন সঙ্গম বোঝায় না। " আই এ্যাম এ মেইল" আর " আই এ্যাম হাভিং সেক্স অর ফিলিং সেক্সুয়াল এট্রাকশন টুওয়ার্ডস এ ফিমেইল" এক জিনিস নয়, এটা কি আমার আপনাকে বুঝাতে হবে?

যৌনতা বোধকে আরোপিত বা অস্বাভাবিক বলার মত নির্বোধ ব্লগে থাকতেই পারে, তবে এই মনিহারটি আমায় সত্যিই সাজে না। দয়া করে , আমি যা বলিনি , আমার করা মন্তব্যে ভুল অর্থ আরোপ করবেন না।

আপনার মত একজন ব্লগার যখন কোন উদ্ভট মন্তব্য করে, তখন আশংকা না করে পারা যায় না, কারন আপনার মন্তব্য পড়ে কোন কোন অর্বাচীন ভেবে বসবে, " ও শোমচৌ বলেছে? তাহলে রাগ ইমন সত্যিই সে রকম কিছু বলেছে নিশ্চয়ই !!!"

১৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

অতিথি বলেছেন: হুমম..
খারাপ লাগছে না ।
কতজনেই বা পারে এরকম নিজের বড় হয়ে ওঠা তুলে ধরতে?

আমরা blog লিখি, তাতেও গুডি গুডি একটা ভাব ধরে থাকি।
যেন যেীনতা নিয়ে লেখা বিরাট অপকর্ম ...
চালিয়ে যান ।

১৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:৫০

একজন পুরুষ বলেছেন: রাগ ইমন যা বলেছেন তাতে যে পারস্পেটিভটা আছে তা বিচারের। জাজমেন্ট নিশ্চয়ই ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ একটি মেথড যেটর প্রয়োগে সভ্যতা এতটা আধূনিক হয়েছে। কিন্তু জাজমেন্টের বাইরে একটি ক্যারেক্টারের পারসোনাল এক্সপেরিয়েনস যা অনুভূতি এবং ব্যাক্তির পরিপাশর্্বকে তুলে ধরতে সাহায্য করে সেই পারস্পেকটিভেও লেখা হতে পারে। আপনি একটা লেখা লিখতে পারেন প্রকৃতিকে নির্ভর করে, আপনি একটি দীর্ঘতম লেখাও লিখে ফেলতে পারেন কোন একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে। আমি আসলে শোহাইল মোতাহিরের ভাষায় একটি শিশুর বেড়ে ওঠার প্রাকৃতিক বোধকেই চিত্রিত করতে চেয়েছি।আমি কোন সোশ্যাল এনালাইসিসে যেতে চাইনি। বিশ্লেষন বহূরৈখিক হতে পারে কিন্তু ঘটনা থেকে জাত অনুভূতি একরৈখিক হতে পারে।আর লেখাটিআসলে ঐ বয়সের কিছু অনুভূতির নিছক বণ- এর অতিরিক্ত কোন কিছু নয়।

২০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:৫১

একজন পুরুষ বলেছেন: বর্ণনা হবে

২১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ সকাল ১১:০৩

অতিথি বলেছেন: সেজন্য এটাকে পুরুষকথা বলা যায় না। এটাকে বড়জোর আপনার ছেলেবেলা, প্রেমবেলা, যৌনসচেতনতা বেলা ইত্যাদি রোজনামচা বলা যায়। পুরুষ অনুভূতিটা আপনার বর্ণনা অনুযায়ী যে বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকছে সেটা পরিপূর্ণ পুরুষের চিত্র নয়। আপনার আধিপত্য নির্মাণের বোধ, পুরুষতান্ত্রিকতার বোধ, অধিকার ও সম্মানের বোধ জন্মানো - এবিষয়গুলো যদি পরবতর্ী পর্বগুলোতে থাকে তবে নিঃসন্দেহে এটাকে পুরুষ জন্ম বা কথা বলে এপ্রিসিয়েট করতে পারবো।

২২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ সকাল ১১:৩৪

একজন পুরুষ বলেছেন: কৌশিক ধন্যবাদ-
ক্লাশ টু বা ফোরের একটি ছেলের কাছে নিশ্চয় আধিপত্য, অধিকার... ইত্যাদি ফ্যাক্টর বিষয়ক সচেতনতা আশা করতে পারেন না। খুব সিম্পলি আপনি ভাবুন আপনি কিভাবে একটা পুরুষ এই ব্যাপারটির ভেতর দিয়ে গেছেন। একটি মেয়ে বাচ্চার তুলনায় একটি ছেলে বাচ্চা যেসব ব্যাপারে আলাদা ট্রিটেড হয় তা আপনি এই বয়সে এসে বলতে পারেন কিন্তু আপনি যদি সেই বয়সে ফিরে যেতে চান সেই বয়সের চোখে সবকিছুদেখতে চান তবে এটাকি খুব সংকীর্ণ হবে?

২৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ সকাল ১১:৪৪

অতিথি বলেছেন: সেজন্যই বলেছি পরবতর্ীর্ পর্বগুলোতে যদি থাকে। সেক্ষেত্রে এটাকে পুরুষজন্মের প্রারম্ভিকা বলতে পারি।

২৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ দুপুর ২:৫১

টিয়াবাম বলেছেন: পুতু পুতু!

২৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৪:২৮

অতিথি বলেছেন: পরের পর্ব কবে আইবো?

২৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৫:৫১

রাগ ইমন বলেছেন: একজন পুরুষ, আমি কোন এনালাইসিসে যেতে বলিনি আপনাকে। কাউকে কাউকে ছোটবেলাতেই অনেক কিছু ধাক্কা দেয়। আপনার তখনকার কথা আপনি কিন্তু এখন মনে করে করেই লিখছেন। তখনকার শিশুটি তো লিখছে না! এখানে যে আপনার বড় বেলার কোন কিছু মিশে যাচ্ছে না, তার নিশ্চয়তা কি? এনি ওয়ে, আমার কথা হলো , যেটা আমি আগেও বলেছি এবার, নিজের অনুভূতির কাছে সৎ থেকে, মানে , আপনার যা মনে হয়েছিলো , যা অনুভব করেছিলান, সেটার প্রতি সম্পূর্ণ নির্ভেজাল থেকে লিখে যান।

আপনি কোন দৃষ্টিভঙ্গী থেকে লিখবেন, সেটা সম্পূর্ণই আপনার ব্যাপার!

পরের পর্ব গুলো ইন্টারেস্টিং হবে, আশা করি।

২৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:০৩

একজন পুরুষ বলেছেন: মনে করি লিখছি ঠিকই কিন্তু এখনকার চিন্তা এবং বিবেচনা যেন মিশে না যায় সে চেষ্টা আছে।আমি শুধু তখনকার অনুভূতিকে অনুসরন করার চেষ্টা করছি মাত্র

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.