![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ,আজকের কথাই লিখছি, আজ কোনো এক বার হবে, কোনো এক তারিখ, কয়েকদিন ধরে শুনতে শুনতে এখন ঠোঁটের আগায় অগাস্ট পেরিয়ে সেপ্টেম্বর চলে জানি, আবার এই ঠোটস্থ সেপ্টেম্বর ভুলতে ভুলতে পেরিয়ে যাবে অক্টোবরের প্রথম কিছু দিন। আবার দু হাজার একুশ ভুলতে ভুলতেই পেরিয়ে যাবে দুহাজার বাইশের কিছু মাস,দিন তারিখ ভুল হবে,হতেই থাকবে আমার,এন্ডলেস লুপ।
যাকগে, আজ সেপ্টেম্বরের কোনো এক তারিখ, চাঁদের বয়স আজ দুইদিন কিংবা তিনদিন। টানাপোড়েনের মাঝে লাস্ট সিগারেট টা গোল্ডলিফ না রয়্যাল ছিলো তাই ভুলে যাচ্ছি যেখানে, সেখানে চাঁদের আজকে ক'দিন সে হিসেব রাখা বিলাসিতা, আগে রাখা হতো, আগে পকেটের টানাপোড়েন কম ই ছিল তুলনামূলক,মনেরও। এইসব টানাপোড়েনের মাঝে পা টেনে টেনে হাটছি, প্রশ্বস্ত হাইওয়ে, সন্ধ্যেটা মিলিয়ে যাচ্ছে, আকাশে চাঁদের একাংশ দেখা যাচ্ছে, কিন্তু বাকি পুরো সারফেসটাও দৃশ্যমান। একটা বৃত্তের এককোনে পড়ে আছে ঝুলে। বাকি রিংটা ভেদ করে আকাশ দেখা যাচ্ছে নাকি সেটুকু ভ্রম,বুঝতে পারছিনা। যেমনটা মৃত্যু না এলে বুঝতে পারছিনা এই বেঁচে থাকাটা সত্য নাকি বিভ্রম। পাশাপাশি এটাও বুঝে উঠতে পারছিনা এই ক্রমশই নষ্ট হতে চলা হেডফোনের কোন কানে গান বাজছে। এক কানে গান শোনা টা বিরক্তিকর। অভ্যেস যা তা ই রইলো, কানে গান বাজছেনা, কিন্তু হেডফোন ঠিকই ঝুলে আছে। এই মুহুর্তে কেউ যদি আমাকে গাড়িচাপা দেয়, দায় ঠিকই কিন্তু আমার হেডফোনের ই হবে। আরে! চমৎকার আইডিয়া।
হাটছি,হাটতেই আছি। হাটতে ভালো লাগে। মৃত্যুর কাছাকাছি হাটতে আরো ভালো লাগে,প্রথম বার জানলাম। হাটতে হাটতে জীবনের শেষ প্রান্তে পৌছুতে পারে ক'জন? কিন্তু সবেতেই একটা অবলম্বন লাগে। মানুষের বাঁচতে হাজারটা অবলম্বন, মরে যেতেও,তবে তুলনামূলক কম। ইন্টারমিডিয়েট অব্দি অংক বেশ ভালোবাসতাম। পরে সাহিত্যে গিয়ে সূত্রাদি ভুলে গেছি, সাথে সাহিত্যটাও। অংক ভুলতে সাহিত্যের অবলম্বন, সাহিত্য ভুলতে কীসের? না না না,ডিস্ট্র্যাক্টেড হওয়া যাবেনা। সূত্র ছাড়াই শেষ বারের মতো অংক কষছি। অংকের ডাকটা এমন,
মনে করি, আমি এখন উদাসীন ভাবে গান শোনার প্রিটেন্ড করে করে রাস্তা পার হবো।
ক. সেক্ষেত্রে কোন গাড়ি এবং কতটুকু স্পীড পেলে মৃত্যুর সম্ভাবনার আছে?
খ. দায় হেডফোনের উপর পড়ার সম্ভাবনা কতটুকু আছে?
দূর থেকে দেখতে পাচ্ছি খুব তাড়া নিয়ে একটা দূরপাল্লার নাইটকোচ ছুটে আসছে। কোন কোম্পানির বাস তা বলবোনা, তবে হ্যাঁ, হেডফোনটা রিম্যাক্সের। আমি হেটে যাচ্ছি, কেউ একজন সতর্ক করার চেষ্টা করলো আমাকে, বলছে "অই ভাই,হেডফোন খুলেন,বাস আহে.............হি'জ লেট"
রাস্তায় পড়ে থেকে মৃদু হাসলাম। সম্ভবত শেষ হাসি,হাসতেও ভালোবাসি খুব। মৃত্যুর সম্ভাবনা জানিনা, তবে হেডফোনের দায় পাওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ,চাক্ষুষ সাক্ষ্য প্রমাণ। অংক কষে চলেছি, 'খ' অংশের উত্তর পেলাম। 'ক' অংশ অপেক্ষমাণ।
/////////////////////////
রিম্যাক্স/সেপ্টেম্বর -২০২১
-রাকিব খান
১১ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:৩৩
প্যারানরমাল পারসন বলেছেন: আমার নিজেরই হেডফোন নিয়ে চলার অভ্যেস,তবে সতর্কই থাকি সবসময়ই। তবে অনেক অসতর্ক মানুষ দেখেছি এটা সত্য। আর এমন সুন্দর মন্তব্যর জন্য অনেক ধন্যবাদ
২| ১১ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১৫
অক্পটে বলেছেন: কোন একটা অভ্যাস গ্রো করতে অবশ্যই অনেক সময় নেয়। সেই অভ্যাসের গোড়ায় পানি ঢালা বন্ধ করে দিলে ধীরে ধীরে সেই অভ্যাসটা ফিকে হয়। হেডফোনের ব্যপারে তেমন করে চেষ্টা করতে পারেন।
মূল কথা হল আপনি আমাদের মাঝে থাকুন সকল সময়, আপনার কবিতায় আমরা মুগ্ধ হতে চাই আরো বহুকাল।
১১ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৮
প্যারানরমাল পারসন বলেছেন: ভালোবাসা জানবেন সবসময়ই। ❤️
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:৩৭
অক্পটে বলেছেন: আপনাকে নিয়ে আমার চিন্তা বেড়ে গেল। এভাবে দায়ভার অন্যের উপর দিয়ে মরে যাবার কোন মানে হয় না। এই লেখাটার যেখানে প্রথম আপনি হেডফোনের কথা বললেন, তখনই ভেবে রেখেছিলাম আপনাকে সতর্ক করবো যে রাস্তাঘাটে হেডফোনের ব্যবহার মৃত্যুর অকারণ কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
লেখার শেষে এসে রীতিমতো ভয় পেয়ে গেলাম। কারণ এমন ভয়ই আমার হয়ে থাকে হেডফোন বিশিষ্ঠ কোন পথচারী দেখলে।
অভ্যাসটা বদলে ফেলা উচিত। কি বলেন। আমরা চাই আপনি অনেকদিন আমাদের মাঝে থেকে আপনার এই সাবলীল লেখা আমাদের উপহার দিন।