নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাট ফুলের সুবাস

১২ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১৭

শিরনামটাই অর্থহীন হল আমার জন্য!! কারণ আমি আজও এই ভাট ফুলের সুবাস পাইনি। ভাট ফুল দেখেছি অনেক,‌ কিছু ছবিও তুলেছি তবে সুবাস নেয়ার সৌভাগ্য হয়নি। অবশ্য এর একটি কারণও আছে। ভাট একটি বুনো ফুল, পথের ধারে জংলা যায়গায়, গায়ের মাঠের ধারে অযত্নে ফুটে থাকে এই ফুল। আদর করে কেউ বাগানে রোপণ করে না। আর ফুলটি সুবাস ছাড়ে রাতে, তাই কখনো এর সুবাস নেয়া হয়নি আমার।


(ভাট ফুল)



(ভাট ফুলের কলি)



(কলি আর ফুলের সমারহ)

ভাট আসলে গুল্ম জাতিয় দেশি বুনো ফুল। ভাটের গাছ খুব একটা বড় হয়না, ১-২ মিটার উচ্চতার ছোট ছোট গাছে তোড়ার মত ফুটে থাকতে দেখা যায় ভাট ফুল। মার্চ-এপ্রিল মাসে ফুল ফুটে। ভাট ফুলের রং ধবধবে সাদা। প্রতিটি ফুলে ৫টি করে পাপড়ি থাকে। পাপড়ির গোড়াতে থাকে সামান্য বেগুনী রঙের পোঁছ। ফুলের কেন্দ্র থেকে ৪টি করে ৩ সেন্টিমিটারের মত লম্বা মঞ্জুরি (পুংকেশর) ফুলের সামনের দিকে বেরিয়ে আসে, সামনের অংশে থাকে কালো দানার মত।


(ভাট ফুল ফুটে এভাবেই তোড়ার মত করে)







এই ফুলের অনেকগুলি বাংলা প্রচলিত নাম রয়েছে যেমন - ভাট ফুল, ভাইটা ফুল, ভাত ফুল, ঘেঁটু ফুল, ঘণ্টাকর্ণ ইত্যাদি। এছাড়াও আরো কিছু কমন নাম এর আছে, যেমন – Hill Glory Bower, নেপালি – রাজবেলি, সংস্কৃতি – ভান্ডিরা ইত্যাদি।



(স্বর্ণলতায় জড়িয়ে আছে ভাট ফুল)

বৈজ্ঞানিক নাম: Clerodendrum viscosum, গোত্র: Verbenaceae, রাজ্য: Plantae, পরিবার: Lamiaceae, গোত্র: Clerodendrum, প্রজাতি: infortunatum










যাইহোক কদিন আগে ৬/৩/২০১৬ইং তারিখে জয়দেবপুরের পরে ট্রেনের রাস্তার ধারে দেখলাম অজস্র ভাট ফুল ফুটে আছে। সঙ্গে থাকা Nikon D80 ক্যামেরা দিয়ে অনেকগুলি ছবি তুলে ছিলাম ভাট ফলের। আমার বৃদ্ধ-দুর্বল হয়ে যাওয়া ক্যামেরায় নিজের অপারগতার কারণে কোনরকমে চলনসই ছবি দিয়েই আজকের এই ছবি পোস্ট।


(ভাটের ঝোপ)

সব শেষে জীবনানন্দ দাশের একটি কবিতা

"কোথাও মঠের কাছে”
"কোথাও মঠের কাছে — যেইখানে ভাঙা মঠ নীল হয়ে আছে
শ্যাওলায় — অনেক গভীর ঘাস জমে গেছে বুকের ভিতর,
পাশে দীঘি মজে আছে — রূপালী মাছের কণ্ঠে কামনার স্বর
যেইখানে পটরানী আর তার রূপসী সখীরা শুনিয়াছে
বহু বহু দিন আগে — যেইখানে শঙ্খমালা কাঁথা বুনিয়াছে
সে কত শতাব্দী আগে মাছরাঙা — ঝিলমিল — কড়ি খেলা ঘর;
কোন যেন কুহকীর ঝাড়ফুঁকে ডুবে গেছে সব তারপর
একদিন আমি যাব দু-প্রহরে সেই দূর প্রান্তরের কাছে,
সেখানে মানুষ কেউ যায় নাকে — দেখা যায় বাঘিনীর ডোরা
বেতের বনের ফাঁকে — জারুল গাছের তলে রৌদ্র পোহায়
রূপসী মৃগীর মুখ দেখা যায়, — শাদা ভাঁট পুষ্পের তোড়া
আলোকতার পাশে গন্ধ ঢালে দ্রোণফু বাসকের গায়;
তবুও সেখানে আমি নিয়ে যাবো একদিন পাটকিলে ঘোড়া
যার রূপ জন্মে — জন্মে কাঁদায়েছে আমি তারে খুঁজিব সেথায়।"


সব্বাইকে ভাট ফুলের শুভেচ্ছা।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩০

প্রামানিক বলেছেন: এ ফুল তো অনেক দেখেছি ভাই কিন্তু নাম জানতাম না। আজ জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শুভেচ্ছা আপনাকে ভাট ফুলের প্রিয় প্রামানিক ভাই।

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭

কালনী নদী বলেছেন: বনফুল নামটাই বেশি ভাল লাগে :)

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হুম

৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯

তোমার আমার এইতো প্রেম ছোট গল্প বলেছেন:

পথের ধারে ফুটে যে ফুল তার শোভা
দু'দণ্ড সময় খুইয়ে কে বা নয়ন জুড়ায়ে দেখে,
পথে ফোঁটা ফুল পথেই পড়ে থাকে
ধূলো- ঝড়ে, অনাদরে পথের বাঁকেই সে রোজ ঝোরে পরে__


ভাঁটফুল নিয়ে লেখায় ভালো লাগা রেখে গেলাম...

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩১

বিদগ্ধ বলেছেন: প্রকৃতির কতকিছু যে আমাদের অজানা!

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ঠিক কথা।

৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯

পুলহ বলেছেন: অল্প পরিসরে এতো পূর্ণাঙ্গ একটা পোস্ট, সংগ্রহে না নিয়ে পারলাম না। ফটোগ্রাফি সম্পর্কে আমার খুব একটা ভালো ধারণা নাই, কিন্তু ছবিগুলা আমার কাছে মন-খারাপ-করা সুন্দর মনে হয়েছে :) ভাটফুলের সৌন্দর্যের সাথে ছবিগুলোতে মিশে ছিলো বিষণ্ণতা...
বিভূতিভূষণের লেখাতেও ভাটফুলের প্রসঙ্গ ঘুরে ফিরে অনেকবারই এসেছে। আর আপনি রুপসী বাংলার যে কবিতাটার উল্লেখ করলেন, সেটার কথা তো আর না-ই বা বললাম :)
অজানা অনেক কিছুই জানা হোল। পোস্টদাতাকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ :)
পোস্টে প্লাস :)
[ভাই কবিতার মাঝামাঝি এক জায়গায় আমার জানামতে লাইনটা এরকম হবে -
"যেইখানে শঙ্খমালা কাঁথা বুনিয়াছে
সে কত শতাব্দী আগে মাছরাঙা-ঝিলমিল — এঁকেছে কড়ির ঘর...", সুযোগমতন ঠিক করে নিয়েন। শুভকামনা। ]

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য প্রিয় পুলহ।
আমার ক্যমেরা (আসলে ল্যান্সটি) কাছ থেকে ফুলের ছবি তোলার উপযোগী ছিলো না।
বিভূতিভূষণের লেখা তেমন একটা পড়া হয়নি আমার তবে জীবন বাবুর কবিতার যে ত্রুটির কথা বললেন সেটা কিন্তু টেনে খুজে মিল পেলাম না। আ,মার দেয়া লাইনটাই ঠিক মনে হচ্ছে।

আপনাকে ভাট ফুলের শুভেচ্ছা।

৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট। ছবিগুলো সংগ্রহে রাখার মতো। অসংখ্য ধন্যবাদ।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় সোজোন বাদিয়া।

৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮

খোলা মনের কথা বলেছেন: আমাদের অঞ্চলে এটাকে ভাটী ফুল বলে। বুুনো ফুল হলেও সুন্দর। ব্লগে দেখার পর না থেমে পারলাম না। গন্ধটি ও চমৎকার। সব মিলে আপনাকে ধন্যবাদ এমন একটি সুন্দর ছবি পোষ্ট দেওয়ার জন্য। ভাল থাকবেন

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় খোলা মনের কথা।
আপনার জন্যও রইলো শুভকামনা।

৮| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২২

মেহবুবা বলেছেন: প্রিয় ফুল! প্রিয় তালিকায়!

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অসংখ্য ধন্যভাদ।

৯| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১

নাসিম আহমদ লস্কর বলেছেন: বেশ তথ্যমূলক লেখা৷

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১০| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৯

বিজন রয় বলেছেন: দৃষ্টি নন্দন।
++++

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

১১| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৮

জুবায়ের ইব্রাহীম বলেছেন: এই ফুল সম্পর্কে জানতাম না। জানা হল।
ধন্যবাদ।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৪৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শুভকামনা রইলো।

১২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৪

আমিই মিসির আলী বলেছেন: এই ফুলের সাথে পরিচয় অনেক ছোট বেলায়!
যখন আরবী পড়তে যেতাম সকালে তখন নজর কাড়তো!

কিন্তু আমি দুষ্টু বালক! ফুলের পুরো থোকনাটাই ছিঁড়ে নিয়ে যেতাম! :`>

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: একটি দুষ্টু বালকের দৃষ্টি অাকর্ষণ করতে পেরেছে সেটাই ভাট ফুলের বিরাট অর্জন।

১৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৮

উল্টা দূরবীন বলেছেন: খুব সুন্দর।।

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় উল্টা ভাই।

১৪| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ছবিগুলি দারূন এসেছে।। বর্ণনায় এসেছে প্রান।।

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় সচেতন।

১৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩৭

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: পথের ধারে প্রতিদিনই দেখি এফুল।

অনেক সুন্দর হয়েছে ছবিগুলি।

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ মতামতের জন্য প্রিয় রুহী অাপু।

১৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এ ফুল আমাদের বাড়ির আশে পাশে কত দেখেছি কিন্তু নাম জানতাম না ।ছবি গুলো খুব ভাল হয়েছে

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এমন কত বুনো ফুলই অাছে যার নাম অামরা জানি না।

১৭| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:১২

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: ছোটবেলায় অনেক দেখরছি এই ফুল,মনে হত পথের ধারে কত প্রাণবন্ত হয়ে ফুটে আছে।এ ফুল ছিড়ে একধরনের খেলাধুলার উপাদান হিসেবে থাকত।দারুণ পোস্ট
+++

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অামি দেখেছি কড়া রোদেও একটুও মাথা নত না করে ঝকমক করতে এই ভাট ফুলকে।

১৮| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: পগলা জগাই ,



বুড়ো হয়ে যাওয়া ক্যামেরায় তন্বী-তরুনী ভাটফুলের বুনো গন্ধ ছড়িয়ে গেলেন ।
প্রানবন্ত সব ছবি, সাথে লেখা পোষ্টটিকে অনন্য করেছে ।

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অাপনাকে তন্বী ভাট ফুলের শুভেচ্ছা।

১৯| ০৯ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

মেহবুবা বলেছেন: এত পছন্দের ফুল এটি; ইচ্ছে আছে লাগাবার যত্ন করে ।

১০ ই মে, ২০২০ সকাল ১০:৪২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শুভকামনা রইলো।

২০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৪৫

Abida-আবিদা বলেছেন: ব্লগার ফাহমিদা বারী আপু এই ভাঁটফুলের নামে একটা গল্পের বই প্রকাশ করতে যাচ্ছে। সুন্দর মোহনীয় ফুল।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
অভিনন্দন ও শুভকামনা ব্লগার ফাহমিদা বারী আপুর জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.