নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জসীমউদ্দিনের আসমানী কবিতা
আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও
রহিমুদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও
বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি
একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি।
নাম : ভেন্না বা রেঢ়ী
বোজ্ঞানিক নাম : Ricinus Communis
ছবি তোলার স্থান : কিশোরগঞ্জ।
তারিখ : ২৪/২/২০১৭ ইং
ক্যামেরা : Nikon D80
ভেন্না বহবর্ষজীবি উদ্ভিদ। ভেন্না গাছ ১০-১৫ ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। প্রায় ডালপালাওহীন গাছ, উপরের দিকে অল্পকটি ডাল হতে দেখা যায়। গাছের কাণ্ডের ভেরতটা ফাঁপা থাকে। কাণ্ডের বেড় ৫-৬ ইঞ্চি হতে পারে। কাণ্ডে ৫-৬ ইঞ্চি দূরে দূরে একটি করে গিঁট থাকে। প্রতিটা গিট থেকে বেরোয় একটা করে পাতা।
ভেন্না গাছ দেখতে কিছুটা পেঁপে গাছের মত, হালকা-পলকা গাছ পাতেও দেখতে অনেকটা ছোট পেঁপে পাতার মতই। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পাতার উদ্ভিদের মধ্যে ভেন্না একটি। লম্বা বোঁটা বা ডাঁটা যুক্ত সবুজ এই পাতার ব্যস এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত হতে পারে। বোঁটা দুই থেকে তিন ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। বোঁটার ভেতরটাও পেঁপে ঢাটার মতই ফাঁপা হয়। পাতার বাইরের কিনারে খাঁজকাটা খাঁজকাটা থাকে।
সাধারণত বর্ষাকালে ভেন্নার চারা গজায়। প্রতি বছর হেমন্ত ও শীতকালে ভেন্নার ফুল-ফল হয়। ভেন্না গাছের মাথায় থোকা থোকা লালচে ফুল হয়। ফলও হয় থোকা থোকা, একেকটা প্রায় এক ইঞ্চির মত। সবুজ ফলের গায়ে নরম নমর কাঁটা থাকে। কাটা এতোই নমর যে গায়ে ফোঁটে না।
ফলের ভিতরে ৩ বা ৪টা কালো বাদামী ছোপের বীজ থাকে। ভেন্নার এই বীজ থেকেই তৈরি হয় ক্যাস্টর অয়েল বা রেড়ীর তেল। ক্যাস্টর অয়েল বা রেড়ীর তেল অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। যাতদূর জানি এইতেল রান্নায়ও ব্যবহার হতে পারে। তাছাড়া চুলের জন্য খুবই উপকারী। নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া ত্বকের জন্যও বেশ কাজের এই তেল।
১১ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ পিন ভাই।
২| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০২
আলী প্রাণ বলেছেন: হ' ডোবা/পুকুর পাড়ে হইতো্। অজকাল দেখা পাইনা। সুন্দর পোষ্ট।
১১ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১
সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
১১ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সুমন কর ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:০০
সিফটিপিন বলেছেন: ভাল তথ্য দিয়েছেন ভাল লাগলো।
কবিতাংশটুকু পরে ছোট বেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন।
আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও,
রহিমুদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।
বাড়ি তো নয় পাখির বাসা-ভেন্না পাতার ছানি,
একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি।
একটুখানি হওয়া দিলেই ঘর নড়বড় করে,
তারি তলে আসমানীরা থাকে বছর ভরে।
পেটটি ভরে পায় না খেতে, বুকের ক’খান হাড়,
সাক্ষী দেছে অনাহারে কদিন গেছে তার।
মিষ্টি তাহার মুখটি হতে হাসির প্রদীপ-রাশি
থাপড়েতে নিবিয়ে গেছে দারুণ অভাব আসি।
পরণে তার শতেক তালির শতেক ছেঁড়া বাস,
সোনালী তার গার বরণের করছে উপহাস।
ভোমর-কালো চোখ দুটিতে নাই কৌতুক-হাসি,
সেখান দিয়ে গড়িয়ে পড়ে অশ্রু রাশি রাশি।
বাঁশীর মত সুরটি গলায় ক্ষয় হল তাই কেঁদে,
হয়নি সুযোগ লয় যে সে-সুর গানের সুরে বেঁধে।
আসমানীদের বাড়ির ধারে পদ্ম-পুকুর ভরে
ব্যাঙের ছানা শ্যাওলা-পানা কিল-বিল-বিল করে।
ম্যালেরিয়ার মশক সেথা বিষ গুলিছে জলে,
সেই জলেতে রান্না খাওয়া আসমানীদের চলে।
পেটটি তাহার দুলছে পিলেয়, নিতুই যে জ্বর তার,
বৈদ্য ডেকে ওষুধ করে পয়সা নাহি আর।
খোসমানী আর আসমানী যে রয় দুইটি দেশে,
কও তো যাদু, কারে নেবে অধিক ভালবেসে?