নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নজরুলের চন্দ্রপ্রীতি - ০১

০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ৩:৫৫



চাঁদের কতগুলি ডাকনাম আছে জানেন?

অম্ভোজ, অর্ণবোদ্ভব, ইন্দু, উড়ুপ, ঋক্ষেশ, এণকতিলক, ওষধিনাথ, ওষধিপতি, কলাধর, কলানাথ, কলানিধি, কলাভৃৎ, কান্তিভৃৎ, কুমুদনাথ, কুমুদপতু, কুমুদবান্ধব, কৌমুদীপতি, ক্ষীরাদ্ধিজ, ক্ষীরোদনন্দন, চন্দ্র, চন্দ্রক, চন্দ্রমা, চন্দ্রিমা, চাঁদ, ছায়াঙ্ক, তারাধিপ, তারাধিপতি, তারানাথ, তারাপতি, তারাপীড়, তুহিনাংশু, দ্বিজপতি, দ্বিজরাজ, দ্বিজেন্দ্র, নক্ষত্রপতি, নক্ষত্রাধিপতি, নক্ষত্রেশ, নিশাকর, নিশানাথ, নিশাপতি, নিশামণি, নিশারত্ন, নিশিকান্ত, নিশিনাথ, নিশিপতি, পক্ষচর, পক্ষজ, পক্ষধর, বিধু, মৃগাঙ্ক, যামিনীকান্ত, যামিনীনাথ, যামিনীপ্রকাশ, রজনীকর, রজনীকান্ত, রজনীপতি, রজনীরাজ, রজনীশ, রজনীসখা, রাকাপতি, রাকেশ, রাত্রিকর, রাত্রিমণি, রেবতীরমণ, শশধর, শশবিন্দু, শশভৃৎ, শশলক্ষণ, শশলাঞ্ছন, শশাঙ্ক, শশী, শিতরশ্মি, শীতকিরণ, শীতময়ূখ, শীতাংশু, শ্বেতধাম, সিতকর, সিতরশ্মি, সিতরুচি, সিতাংশু, সুধধার, সুধাংশু, সুধাকর, সুধাধামা, সুধানিধি, সুধাবর্ষী, সুধাময়, সোম, হরিণাঙ্ক, হিমকর, হিমকিরণ, হিমধামা, হিমাংশু ইত্যাদি।

চাঁদ নিয়ে ঘাটাঘাটি করার সময় হঠাৎ মাথায় এলো রবিবাবুর কোন কোন ছড়া-কবিতা-গানে চাঁদের উপস্থিতি আছে তা খুঁজে দেখি। প্রথম ৮টি পর্বে সেগুলি দেখিয়েছি। এরপর চাঁদের সমার্থক শব্দ চন্দ্র নিয়ে কবিতাংশ ৯ থেকে ১৫ তম পর্ব পর্যন্ত দিয়েছি। তারপর চাঁদের সমার্থক শব্দ শশীকে উপস্থাপন করেছি ১৬ ও ১৭তম পর্বে। ১৮তম পর্বে ছিলো ইন্দু[/sb নামের কবিতাংশ গুলি। আর সব শেষে ১৯ মত পর্বে ছিল চাঁদের আরেক নাম বিধু সংক্রান্ত কবিতাংশ।

এবার কাজী নজরুল ইসলাম তার কোন কোন ছড়া-কবিতা-গানে চাঁদেকে তুলে এনেছেন তার খোঁজ করলাম। এবার দেখুন কি কি পেলাম।


১।
মোহাম্মদের নাম জপেছিলি বুলবুলি তুই আগে।
তাই কিরে তোর কণ্ঠেরি গান, ওরে এমন মধুর লাগে।।
ওরে গোলাপ নিরিবিলি
নবীর কদম ছুঁয়েছিলি —
তাঁর কদমের খোশবু আজো তোর আতরে জাগে।।
মোর নবীরে লুকিয়ে দেখে
তাঁর পেশানির জ্যোতি মেখে,
ওরে ও চাঁদ রাঙলি কি তুই গভীর অনুরাগে।।
ওরে ভ্রমর তুই কি প্রথম
চুমেছিলি তাঁহার কদম,
গুনগুনিয়ে সেই খুশি কি জানাস রে গুলবাগে।।




২।
অনাদি কাল হতে অনন্তলোক গাহে তোমারি জয়।
আকাশ–বাতাস রবি–গ্রহ তারা চাঁদ, হে প্রেমময়।।
সমুদ্র–কল্লোল নির্ঝর–কলতান –
হে বিরাট, তোমার উদার জয়গান;



৩।
আস্‌তে যদি হে অতিথি
ছিল যখন শুক্লা তিথি
ফুটত চাঁপা, সেদিন যদি চৈতালী–চাঁদ হাসতে।।




৪।
যথা দিনে রাতে মিলন–রাসে
চাঁদ হাসে রে চাঁদের পাশে,
যার পথের ধূলায় ছড়িয়ে আছে শ্রীহরি–চন্দন।।



৫।
যে কলঙ্ক লয়ে হাসে চাঁদ নীল আকাশে,
যাহা লেখা থাকে শুধু প্রেমিকের ইতিহাসে,
দেবে চিরদিন নন্দন–লোক–চারী
তব সেই কলঙ্ক সে প্রেমের সম্মান।।




৬।
ফোটে যবে ফুল, ওঠে যবে চাঁদ
জাগে না সেথা কি প্রাণে কোন সাধ,
দেয় না কেহ গুরু গঞ্জনা সে দেশে বুঝি কুলবতী রে।।



৭।
যাও মেঘদূত, দিও প্রিয়ার হাতে
আমার বিরহ–লিপি লেখা কেয়া পাতে।।
আমার প্রিয়ার দিরঘ নিশাসে
থির হয়ে আছে মেঘ যে–দেশেরই আকাশে
আমার প্রিয়ার ম্লান মুখ হেরি’
ওঠে না চাঁদ আর যে–দেশে রাতে।।




৮।
আমার ভুবন কান পেতে রয় প্রিয়তম তব লাগিয়া
দীপ নিভে যায়, সকলে ঘুমায় মোর আঁখি রহে জাগিয়া।।
তারারে শুধাই, ‘কত দেরি আর
কখন আসিবে বিরহী আমার?’
ওরা বলে, ‘হের পথ চেয়ে তার নয়ন উঠেছে রাঙিয়া’।।
আসিতেছে সে কি মোর অভিসারে কাঁদিয়া শুধাই চাঁদে
মোর মুখপানে চেয়ে চেয়ে চাঁদ নীরবে শুধু কাঁদে।



৯।
কুল রাখ না–রাখ সে তুমি জান।
গোকুলে তোমার কাজ কুল ভোলানো।।
মহতের পিরিতি বালির বাঁধ সম।
কভু হাতে দাও দড়ি কভু চাঁদ আন।।




১০।
আমায় দিয়ে কারুর ক্ষতি হয় না যেন দুনিয়ায়,
আমি কারুর ভয় না করি, মোরেও কেহ ভয় না পায়, খোদা।
যবে মসজিদে যাই তোমারি টানে
যেন মন নাহি ধায় দুনিয়া পানে
আমি ঈদের চাঁদ দেখি যেন আসলে দুখের আঁধার রাত।।


আগামী পর্বে আরো ১০টি চন্দ্র পংক্তি থাকবে।


=================================================================
সিরিজের পুরনো পর্বগুলি দেখতে -
রবিবাবুর চন্দ্রকণা - ০১
রবিবাবুর চন্দ্রকণা - ০২
রবিবাবুর চন্দ্রকণা - ০৩
রবিবাবুর চন্দ্রকণা - ০৪
রবিবাবুর চন্দ্রকণা - ০৫
রবিবাবুর চন্দ্রকণা - ০৬
রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ০৭
রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ০৮
রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ০৯
রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ১০
রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ১১
রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ১২
রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ১৩
রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ১৪
রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ১৫
রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ১৬
রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ১৭
রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ১৮
রবিবাবুর চন্দ্রকণা – ১৯

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০২১ ভোর ৪:০৫

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: নজরুলের চাঁদপ্রীতি কিংবদন্তিতুল্য। তাঁর গান,গল্প, কবিতায় চাঁদ থাকবেই।

#তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয় সেকি মোর অপরাধ
চাঁদেরে হেরিয়া কাঁদে চকোরী বলে না তো কিছু চাঁদ।

# মোর প্রিয়া হবে এসো রাণী দেব খোপায় তারার ফুল
কর্ণে দোলাবো তৃতীয়া তিথির চৈতী চাঁদের দুল।

০৪ ঠা মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপাকে প্রিয় মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল।

২| ০৪ ঠা মে, ২০২১ সকাল ৮:১১

জটিল ভাই বলেছেন:



নজরুল,
সত্যিই অতুল!

০৪ ঠা মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৩| ০৪ ঠা মে, ২০২১ সকাল ৯:৪৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অসাধারণ

০৪ ঠা মে, ২০২১ দুপুর ১:৩৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শুকরিয়া

৪| ০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৪:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: সাধারণ মানুষের চেয়ে কবি সাহিত্যিকদের চন্দ্রপ্রীতি সব সময় বেশী থাকে।

০৪ ঠা মে, ২০২১ বিকাল ৫:৩৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ‌এইটা সঠিক বলেছেন।

৫| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ৮:৫৮

স্বর্ণবন্ধন বলেছেন: বাংলা সাহিত্যে কবিতায় চাঁদ বহুবার এসেছে! সম্ভবত অভিভূত হওয়ার মতো উপমা অথবা রূপক হিসেবে এসেছে। বহ সমার্থক নামে এসেছে সে! হেমন্তের মাঠে কুয়াশা আর চাঁদ, অঝোরে বৃষ্টি, এই দুইটি প্রাকৃতিক লীলা কবিদের বরাবরই মোহিত করেছে। হতে পারে এই গাঙ্গেয় বদ্বীপের আদিগন্ত সমতলে পাহাড় বা সমুদ্রের চেয়ে কবিদের হৃদয়ের কাছাকাছি ছিল চাঁদ! তারা জোছনা ও বরষায় বেড়ে উঠে আপ্লুত হয়, এর প্রেমেও পড়ে।

০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ১১:৩২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বাহ!! খুব ভালো বলেছেন। সুন্দর এই মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

৬| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ১১:৫৭

ঢুকিচেপা বলেছেন: আমি একটা রেখে গেলাম

০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১২:০২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.