নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

এপিটাফ – হুমায়ূন আহমেদ (কাহিনী সংক্ষেপ)

২৩ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪০

বইয়ের নাম : এপিটাফ
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : জুন ১৯৯৫
প্রকাশক : অন্যপ্রকাশ
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১২৬ টি



সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট


কাহিনী সংক্ষেপ :
স্কুল পড়ুয়া এক কিশোরীর গল্প এটা। মেয়েটির নাম নাতাশা। তার বাবা আর মায়ের মাঝে তেমন বনিবনা হচ্ছে না বলে তার অনেকটা আলাদা থাকেন বলা চলে। নাতাশার বাবা প্রথমে ভালো চাকরি করতেন। সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে আরেকটা চাকুরি নেন, আবার ছাড়েন। শেষে ব্যবসায় শুরু করেন, সেই সাথে শুরু করেন মদ্য পান। পরে অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে, স্ত্রীর গয়না চুরি করে নিয়ে বিক্রি করে ফেলে। বর্তমানে ব্যবসার জন্য তিনি বান্দরবনে আছে।

নাতাশার মা ছোট্ট একটি চাকরি করেন, কোন রকমে সংসার চলে। এই সময় নাতাশার অসুখটা ধরা পরে। তার ব্রেনে একটা টিউমার হয়েছে। দিন দিন সে শুকিয়ে যাচ্ছে। ডাক্তার বুঝতে পারছেন অবস্থা খুব খারাপ। দেশে অপারেশান সম্ভব না, এ্যামেরিকায় অপারেশান করাতে হবে। সব মিলিয়ে ১২/১৫ লাখ টাকা খরচ হবে। নাতাশার মা তার চেনা, পরিচিত, আত্মিয়, সবার কাছে টাকা ধার চেয়ে বেড়াচ্ছেন। নাতাশার নানা নানু কিছু টাকা দেয়, বড় ফুপার কাছ থেকে কিছু যোগার হয়। এভাবে নানান জনের কাছ থেকে টাকা জোগার হয়। তাদের ভিসা হয়ে যায়। যাওয়ার ডেটও ঠিক হয়।

নাতাশা তার অসুখের পর থেকে একটি ডায়রি লিখতে শুরু করে। সে বুঝতে পারে তার অসুখটা এতটাই খারাপ যে সে আর বাঁচবে না। নাতাশা তার নানান অভিজ্ঞতার কথা তার অনুভূতির কথা সেই ডাইরিতে লিখে রাখতে থাকে। শেষ দিকে যখন তাদের এ্যামেরিকায় যাওয়ার সময় হয়ে আসে তখন সে তার প্রিয়জনদের কাছে কিছু চিঠি লিখে রেখে যায়। প্রথম চিঠিটি লিখে তার বুয়াকে, তারপর তার নানু, বাবা আর মাকে।

কথা ছিলো নাতাশার মা তাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য যাবে, পরে যদি টাকা যোগার হয় তাহলে তার বাবা যাবে। কিন্তু নাতাশার মা যেদিন টিকিট নিয়ে আসেন সেদিন দেখা যায় তিনি তার জন্য টিকিট না কিনে নাতাশার বাবার জন্য টিকিট কিনে এনেছেন। তারপর দিন চলে আসে চলে যাওয়ার, গভীর রাতে নাতাশাকে বিদায় দিতে অনেক পরিচিত আর অত্মিয়রা হাজির হন এ্যায়ারপোর্টে। শুধু নাতাশার মা নাতাশার নানুকে নিয়ে এ্যায়ারপোর্টের বাইরে বসে থাকে।

----- সমাপ্ত -----


=======================================================================

আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ

আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ: আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়


তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ

ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনার বদৌলতে হুমায়ুন আহমেদের লেখার প্লটগুলো জানা হচ্ছে, ভালো; আমার পক্ষে হয়তো উনার বই পড়া সম্ভব হবে না।

২৩ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই ধরনের প্লটতো আপনার পছন্দের নয়, তাই পড়েন নি। আমি সাধারণ মানুষ, তাই এই সব হাবিজাহিই বেশী পছন্দ হয়। কঠিন বিষয় এড়িয়ে চলি।

২| ২৩ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন

২৩ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

৩| ২৩ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৩

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের বইগুলো আমার কাছে একটা গোলকধাঁধার মত মনে হয়। নাম দেখে আমি কখনই মনে করতে পারি না এটা আগে পড়েছি কিনা। ইন ফ্যাক্ট বইয়ের অর্ধেক পর্যন্ত কিংবা তিন-চতুর্থাংশ পড়া হয়ে গেলেও বুঝতে পারি না। গত বছর আমি এমন তার নির্বাসন বই টা পড়া শুরু করার পর বুঝতে পারিনি। গল্প যখন শেষের দিকে তখন বুঝলাম আমি এই বই এর আগে সম্ভবত আরও দুইবার পড়েছি।
যাই হোক, এই বইটা মে বি পড়া হয়নি। পড়া শুরু করলে বলতে পারবো পড়েছি কি পড়িনি।

২৩ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৫১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমার অতো পড়তে হয় না। অল্প কিছু পড়লেই বুঝে যাই পড়েছি, তবে পুরু কাহিনী মনে হতে অনেক সময় লাগে বলেই কাহিনী সংক্ষেপ লিখে রেখেছিলাম।

৪| ২৩ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৪১

কামাল১৮ বলেছেন: মোট কতগুলো বই লিখেছেন?

২৩ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৪৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ মোট কতটি বই লিখেছেন আমার সঠিক জানা নাই।
আমি মনে হয় উনার ২৬০টির মতো বই পড়েছি, এবং সেগুলির কাহিনী সংক্ষেপ লিখেছি রেখেছি।
সেখান থেকেই দিচ্ছি।

৫| ২৩ শে মে, ২০২১ রাত ১১:০৬

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: আমি এমনিতে বই পড়া হলে গুডরীডসে রেটিং দিয়ে রাখি। কিন্তু গুডরীডস ইউজ করার আগে হুমায়ুন আহমেদের যে বইগুলো পড়েছি সেগুলো তো আর রেটিং দেওয়া নেই। তাই বোঝা সম্ভব হয়না আগে থেকে পড়া কিনা।
যাই হোক, হুমায়ুন আহমেদের বই আমি পড়ি মূলত রিডার্স ব্লক কাটানোর জন্য। এমনিতে তার বই পড়া হয় কম।

২৪ শে মে, ২০২১ রাত ১২:০৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি প্রথমে ছাড়া ছাড়া পড়েছি। তার মৃত্যুর পরে একটা আবার প্রায় সবগুলি পড়ে ফেলেছি। এবছর আবার পড়েতে পারি। উনার বইয়ের কলেবর ছোট হয়, পড়তে বেশী সময় লাগে না।

৬| ২৩ শে মে, ২০২১ রাত ১১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: এই বইটা আমার ভীষন প্রিয়। প্রথম বার যখন পড়েছিলাম। খুব মন খারাপ হয়েছে।
হুমায়ূন আহমেদের সব গুলো বইয়ের নতুন প্রচছদ করেছে অনন্যা।

২৪ শে মে, ২০২১ রাত ১২:০৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: রিপ্রিন্ট হলেই প্রকাশকরা প্রচ্ছদ পালটে দেয়।
সম্ভবতো পাঠককে দ্বিধায় ফেলার জন্য।

৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:০১

Fahunk বলেছেন: গল্প শেষে দিলশাদের বদল সাজ্জাদের বিদেশ যাওয়ার কারনটা কি হতে পারে এটা পাঠকের চিরন্তন জিজ্ঞাসা!
উত্তরটা সহজ! দিলশাদের দুলাভাই! বাপ বেটী বিদেশে চিকিৎসা করবে আর এই দিকে ওয়াদুদুর সাহেব সুন্দরী শালীকে বাথটাবে নামিয়ে শুটিয়ে লাল করে দেবেন! হা হা!! আর দিলশাদেরই বা কি করার আছে.. প্রচুর ঋণ শোধ করতে হবে যে,,

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: যার যা বুঝ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.