নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভীষ্ম নিজ ছেলের মতো করে ধৃতরাষ্ট, পাণ্ডু ও বিদুরকে লালন পালন করলেন। ধৃতরাষ্ট্র অসাধারণ বলবন, পাণ্ডু তুখর তীরন্দাজ, এবং বিদুর প্রচন্ড ধর্ম পরায়ণ হল। কিন্তু ধৃতরাষ্ট্র জন্মান্ধ, বিদুর দাসীর গর্ভজাত, একারণে পাণ্ডুই রাজ হল।
ভীষ্ম গান্ধাররাজ সুবলের কন্যা গান্ধারীর সঙ্গে অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের বিবাহ দিলেন। অন্ধ স্বামীর পতি সম্মান দেখাতে পতিব্রতা গান্ধারী এক খণ্ড কাপড় ভাজ করে চোখের উপর বাঁধে নিলো।
বসুদেবের পিতা শূরের পৃথা (পৃথা বা কুন্তী কৃষ্ণের পিসী) নামে একটি মেয়ে ছিল। শূর তাঁর ফুপাত ভাই নিঃসন্তান কুন্তিভােজকে সেই মেয়েটি দিয়ে দেন। পালক পিতার নাম অনুসারে পৃথার অপর নাম হয় কুন্তী।
একদা ঋষি দূর্বাসা কুন্তীর বাড়িতে বেরাতে এলে কুন্তীর আপ্যায়নে সন্তুষ্ট হয়ে কুন্তীকে একটি মন্ত্র শিখিয়ে দেন। সেই মন্ত্র পাঠ করে যেকোনে দেবতাকে ডাকলে তাঁর সাথে মিলনে কুন্তী পুত্রলাভ করতে পারবে।
কৌতুহলবশে কুন্তী সূর্য দেবতাকে মন্ত্র পড়ে ডাকলো। ততক্ষণাত সূর্যদেব আবির্ভূত হয়ে বললেন তাঁর সাথে মিলনের ফলে কুন্তী পুত্র লাভ করবে এবং কুমারীই থাকবে। সূর্য দেবতা সঙ্গে মিলনে কবচ (বর্ম) ও কুণ্ডল সহ কুন্তীর একটি পুত্র জন্ম নিলো। (এই ছেলেটিই পরে কর্ণ নামে পরিচিত হয়।)
কুমারী মাতা কুন্তী কলঙ্কের ভয়ে তাঁর সদ্যজাত পুত্রকে একটি পাত্রে রেখে জলে ভাসিয়ে দিল। শূতবংশীয় অধিরথ ও তাঁর পত্নী রাধা শিশুটিকে দেখতে পেয়ে ঘরে নিয়ে গিয়ে বসুষেণ নাম দিয়ে নিজের ছেলের মত পালন করলেন। বসুষেণ বড় হয়ে সকল প্রকার অস্ত্রচালনা শিখলো। সে প্রতিদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের উপাসনা করতো। একদিন ব্রাহ্মণবেসে ইন্দ্র এসে বসুষেণের কাছে তাঁর কবচ চাইলো। বসুষেণ নিজের দেহ থেকে কবচটি কেটে দিয়ে দিলো। ইন্দ্র খুশী হয়ে তাঁকে শক্তি অস্ত্র দান করলেন। এই অস্ত্র যার উপরে নিক্ষেপ করা হবে সে অবশ্যই মারা যাবে। কিন্তু একজন নিহত হলেই অস্ত্রটি আবার ইন্দ্রের কাছে ফিরে যাবে।
কবচ কেটে দেওয়ার জন্য বসুষেণের নাম কর্ণ ও বৈকর্তন হয়।
রাজা কুন্তিভােজ তাঁর পালিতা কন্যা কুন্তীর বিবাহের জন্য স্বয়ংবরসভার আয়োজন করলেন। সেখানে কুন্তী রাজা পাণ্ডুর গলায় বরমালা পরালেন।
ভীষ্ম পাণ্ডুর আর একটি বিবাহ দিতে চাইলেন। তিনি মদ্রদেশের রাজা শল্যেকে বহু ধন-রত্ন দান করে তাঁর বোন মাদ্রীকে হস্তিনাপুরে এনে পাণ্ডুর সঙ্গে বিবাহ দিলেন।
অন্যদিকে দেবক রাজার শূদ্রা পত্নীর গর্ভে এক ব্রাহ্মণের ঔরসে একটি কন্যার জন্ম হয়েছিল। সেই কন্যার সঙ্গে বিদুরের বিবাহ হল।
মহারাজ পাণ্ডু নানা দেশ জয় করে বহু-রত্ন নিয়ে স্বরাজ্যে ফিরে সেই সমস্ত ধন-রত্ন ভীষ্ম, দুই মা ও বিদুরকে উপহার দিলেন। তারপর তিনি তার দুই পত্নী কুন্তী ও মাদ্রীকে সঙ্গে নিয়ে বনবিহারে গেলেন। কিছুদিন পরে কুন্তীর গর্ভে যুধিষ্ঠির জন্ম হলো। (যুধিষ্ঠিরের জন্ম রহস্য আগামী পর্বে জানা যাবে।)
অন্যদিকে ধৃতরাষ্ট্রের স্ত্রী গান্ধারীও গর্ভবতী ছিলেন। কিন্তু দু্ বছর পার হয়ে গেলেও তার গর্ভের সন্তান ভূমিষ্ঠ হচ্ছিলো না। কুন্তীর গর্ভে যুধিষ্ঠির জন্মের কথা জানতে পেরে গান্ধারী ঈর্ষান্বিত হয়ে পরলেন। অধির হয়ে শেষে গান্ধারী নিজের গর্ভপাত করলেন। তখন দেখতে পেলেন তার গর্ভে লোহার মতো শক্ত একখণ্ড মাংসপিণ্ড ছিলো। তিনি সেই মাংসপিণ্ডটি ফেলে দিতে যাচ্ছিলেন এমন সময় দ্বৈপায়ন ব্যাস এসে জানালেন তার আর্শীবাদে ধৃতরাষ্ট্রের স্ত্রী গান্ধারীর একশোটি পুত্র জন্ম নিবে। (গান্ধারীর সেবায় সন্তুষ্ট হয়ে দ্বৈপায়ন ব্যাস গান্ধারীকেও একশত পুত্রের বর দিয়েছিলেন।) দ্বৈপায়ন ব্যাস সেই মাংসপিণ্ডটিকে শীতল জলে ভিজিয়ে রাখতে বললেন। দ্বৈপায়ন ব্যাসের কথা মতো গান্ধারী মাংসপিণ্ডটিকে শীতল জলে ভিজালে সেখান থেকে বুড়ো আঙুলের মতো একশোটি ভ্রুণ শিশু আলাদা হয়ে এলো। এবার গান্ধারী সেই ভ্রুণ শিশু গুলিকে একটি একটি করে একশোতটি ঘীয়ে ভরা কলসে রেখে দিলো। ঠিক এক বছর পরে একটি কলসে দুর্যোধন জন্মগ্রহণ করলো। কুন্তীর গর্ভে সেদিনই ভীম জন্মগ্রহণ করলো।
দুর্যোধন জন্মেই গর্দভের মত কর্কশ কণ্ঠে চিৎকার করে উঠলো, সঙ্গে সঙ্গে শকুন-শিয়াল-কাকেরাও ডাকতে লাগল। আরো অন্যান্য অশুভ লক্ষণ দেখা গেল। ধৃতরাষ্ট্র ভীষ্ম ও বিদুর এবং অন্যান্য ব্রাহ্মণদের ডেকে জানালেন বংশের বড় রাজপুত্র যুধিষ্ঠির এর পরে ধৃতরাষ্ট্রের পুত্র দুর্যোধন রাজা হবে। কিন্তু ঠিক তখনই হিংস্র জন্তুরা আবার ডেকে উঠল। তাই শুনে বিদুর ও অন্যান্য ব্রাহ্মণেরা জানালো দুর্যোধন বংশ নাশ করবে। দুর্যোধনকে পরিত্যাগ করাই মঙ্গল। কিন্তু পুত্রস্নেহে অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র দুর্যোধনকে পরিত্যাগ করলেন না। এক মাসের মধ্যে ধৃতরাষ্ট্রের দুর্যোধন, দুঃশাসন দুঃসহ ইত্যাদি একশত পুত্র এবং দুঃশলা নামে একটি কন্যার জন্ম হল। গান্ধারী যখন গর্ভবতী ছিলেন তখন এক বৈশ্যা (ব্যবসায়ী সম্প্রদায়) ধৃতরাষ্ট্রের সেবা করত। তাঁর গর্ভে একটি ছেলে জন্মে তার নাম যুযুৎসু।
====================================================================
বিশেষ ঘোষণা : হিন্দুদের ধর্মীয় সাহিত্যের মহাকাব্য মহাভারতের কথা আমরা সকলেই জানি। আমি এটিকে পড়ছি একটি কল্পকাহিনীর সাহিত্য হিসেবে, ধর্মগ্রন্থ হিসেবে নয়। আমি মনে করি "যার যার বিশ্বাস তার তার কাছে। অন্যের বিশ্বাস বা ধর্মানুভূতিতে খোঁচা দেয়ার কোনো ইচ্ছে আমার নেই।" এই গ্রন্থে প্রচুর কল্পকাহিনী রয়েছে। সেগুলিই আমি এই সিরিজে পেশ করবো। যারা মহাভারত পড়েননি তারা এখান থেকে ধারাবাহিক ভাবে সেগুলি জেনে যাবেন। মনে রাখতে হবে আমার এই পোস্ট কোনো ভাবেই ধর্মীয় পোস্ট নয়।
লেখার সূত্র : কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাস কৃত মহাভারত : অনুবাদক - রাজশেখর বসু।
ছবির সূত্র : এই সিরিজে ব্যবহৃত সকল ছবি বিভিন্ন সাইট থেকে সংগৃহীত।
=================================================================
সিরিজের পুরনো পর্বগুলি দেখতে -
মহাভারতের গপ্পো - ০০১, মহাভারতের গপ্পো - ০০২, মহাভারতের গপ্পো - ০০৩, মহাভারতের গপ্পো - ০০৪
মহাভারতের গপ্পো - ০০৫, মহাভারতের গপ্পো - ০০৬, মহাভারতের গপ্পো - ০০৭, মহাভারতের গপ্পো - ০০৮
মহাভারতের গপ্পো - ০০৯, মহাভারতের গপ্পো - ০১০, মহাভারতের গপ্পো - ০১১, মহাভারতের গপ্পো - ০১২
মহাভারতের গপ্পো - ০১৩, মহাভারতের গপ্পো - ০১৪, মহাভারতের গপ্পো - ০১৫, মহাভারতের গপ্পো - ০১৬
মহাভারতের গপ্পো - ০১৭, মহাভারতের গপ্পো - ০১৮
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমারও জানা ছিলো না আগে।
এখন পড়ছি আর জানছি।
সিরিজ চলবে, সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ মন্তব্য ও + এর জন্য।
২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৯
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
এদের গয়নাগুলো কোন জ্যুয়েলারীতে পাওয়া যায়!!!!!!!
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ইভ্যালিতে পাওয়া যাইতে পারে
৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮
জুল ভার্ন বলেছেন: মহা ভারতে পড়েছিলাম-যা আপনার পোস্ট পড়ে আবার মনে পরলো।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:১৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মহাভারত থেকেই আমি শেয়ার করছি।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২০
শায়মা বলেছেন: ইভ্যালী!!!!!!!!!!
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: রাসেল সাবে খুব ভালো মানুষ।
উনার মুক্তির জন্য যত লোক রাস্তায় নেমেছে, হাসিনা-খালাদার মুক্তির জন্য ততো লোক পথে নামে নাই।
হুম
৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪৮
শায়মা বলেছেন: না না অন্য কোনো জ্যুয়েলারী থাকলে সেটা বলো। ইভ্যালীর প্যাচে পড়ে আবার মরবো নাকি???
থাক থাক জ্যুয়েলারী পরার দরকার নাই।
আমার আপন জ্যুয়েলার্সই ভালো।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ইভ্যালীরে পছন্দ না হইলে ইঅরেঞ্জ আছে, আলিশা মাঠ, উদয় মাঠ, ধামাকা অফার আছে, যেকোনো একটাতে অর্ডার দেয়া যায়। আর আগে টাকা দিতে না চাইলে আছে দারাজ। পার্সেল হাতে পেয়ে টাকা দিলেই হবে।
৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৬
শায়মা বলেছেন: এইসব কি???
আলিশা মাঠ শুনেছি উদয় মাঠ ধামা মাঠ শুনিনিতো!!!!!!!
পার্সেল হাতে পেয়েই দেবো টাকা??
না না পার্সেলে যদি সাপ থাকে। কোনো কোনো গয়না সাপের ডিজাইন এখন তার বদলে সত্যিকারের সাপ থাকলে তো বিপদ।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এমন আরো গোটাদশেক ছিলো, এখন সবাই ফুটেছে, দুই-একজন ফেঁসেছে।
দারাজ পার্সেল পাঠিয়েই টাকা নেয়। তবে পার্সেল খুলে দেখে নিতে পারবেন না, টাকা দিয়ে তারপর খুল তে হবে। ভিতরের জিনিন পছন্দ না হলে বা উলটা-পালটা জিনিস পেলে সেইটা নিজ দায়িত্বে দৌড়ঝাপ শুরু করতে হবে।
আমি প্রায় বছর ৪-৫ যাবত অনলাইনে কেনাকাটা করি টুকটাক জিনিস। অভিজ্ঞতা মিশ্র। খারাপও পেয়েছি, ভালোও পেয়েছি। দারাজ থেকে কেনাকাটা করিনা ওরা টাকা দেয়ার আগে জিনিস দেখতে দেয়না বলে। বাকিরা ঠিক আছে। জিনিস পছন্দ না হলে ডেলিভারি চার্জ দিয়ে ফেরত পাঠানো যায়। আজকে সকালেই ৩টা জিন্স ফেরত দিলাম কোয়ালিটি পছন্দ হয়নি বলে। গতকাল সন্ধ্যায় ৩ কেজি কাঁকড়া পেলাম, বেশ ভালো।
৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৪
শায়মা বলেছেন: হায়রে কি জ্বালা শপিং এও শান্তি নাই!!!!!!!!!!!!!
আমি অবশ্য ঘুরে ঘুরে শপিং এ বেশি বিশ্বাসী।
আসলে কেনা কাটার নামে ঘুরাগুরি তাও আবার একা একা।
আইস্ক্রিম আর ঘুরাঘুরি!!
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি আবার অলস মানুষ।
বেশীক্ষণ শপিংমলে হাঁটাহাঁটি করলে পায়ের গোড়ালি ব্যথা করে। তাই এখন আর ঈদের শপিঙ করতে বৌএর সাথে যাই না। অবশ্য এখন প্রায় বছর ৩-৪ যাবত বৌ-বাচ্চারাও ৬০%-৭০% শপিং অনলাইনেই সেরে ফেলে।
আমি শেষ করে শপিং মলে গিয়ে জামাকাপড় কিনেছি মনে নেই। বিশেষ হোম সার্ভিসের সুযোগ পেয়ে স্বভাব খারাপ হয়ে গেছে।
৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৫
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
তুমি দেখছি জেনেরেশন জি হয়ে যাচ্ছো!
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আরে না,
সিনিয়ার সিটিজেন হয়ে যাচ্ছি, মানে বুড়ো হয়ে যাচ্ছি। আর সাথে সাথে আরো বেশি মোটাও অলস।
৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দুর্যোধনের জন্ম বৃত্তান্ত জানা গেল ।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এমন আজব আজব অনেক জন্মকথন আছে মহাভারতে।
১০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৪১
শায়মা বলেছেন: ওহ তাই বলো।
বুড়া হতে থাকলেও মানুষ শিশুদের মত হয়ে যায়।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শিশুদের মতো হলে সমস্যা আছে।
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে
কখনোই জীবনকে পুরোপুরি গুছিয়ে তোলা হয়ে উঠে না।
গুছিয়ে তোলার চক্করে সময় হারিয়ে যায়, আমরা বুড়ো হয়ে যাই। বুড়ো হয়ে যাওয়ার আগে যদি কিছুটা সময় আদায় করে নেয়া যায় জীবনের কাছ থেকে সেটাই অনেক।
১১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৩
শায়মা বলেছেন: আসলে জীবনের সকল স্টেজই আনন্দের।
নয়ত একজন শিশি কি জানে বৃদ্ধকালে তার কি কি আনন্দ ছিলো?
সকল স্টেজ পার করে আসাই জীবনের আনন্দ!
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সেটাই, সময় বয়ে চলে। সময়কে পালাতে দেয়া যাবেনা। প্রতিটা মূহুর্ত নিংরে বাঁচতে হবে।
১২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
এখান থেকে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের চরিত্ররা যোগ হচ্ছে।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কিছুদিন পরেই যুদ্ধ শুরু হবে।
১৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০২
সপ্তম৮৪ বলেছেন: ছবিখান বেশ রসালো।
পোস্টে আঠারো খান প্লাস ( ১৮+)
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ইচ্ছে করে রসালো ছবি দিয়েছি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
মহাভারততো আঠেরোর উপরেই হবে
১৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: স্কুলে পড়ার সময় খুব চাচা চৌধুরী পড়তাম। ছোট ছোট লেখা থাকতো। আর থাকতো বড় বড় ছবি। খুব ভালো লাগতো।
আপনার পোষ্টে ছবি গুলো আমাকে আকর্ষন করে।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমিতো এখনো কমিক্স পড়ি
১৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৪৬
কামাল১৮ বলেছেন: অনেক আগে পড়া মহা ভারত আপনার মাধ্যমে আবার পড়ছি।ভালোই লাগছে।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি মোটামুটি নিয়মিত শেয়ার করে যাচ্ছি, সঙ্গেই থাকুন
১৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ২:৩২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আকর্ষণীয় লেখা ও ছবি। জানার মত লেখা
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কাহিনীর সাথে মিলিয়ে ছবিগুলি দেয়ার চেষ্টা করছি।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
১৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেকটা বসুষেণের মতই হজরত মুসাকে (আ) তার মা জন্মের পরেই একটা কাঠের বাক্সে শুইয়ে দিয়ে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করেন এবং ফেরাউনের ঘরেই তাকে মানুষ করেন।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হে, দুই কাহিনীতে শুধু শিশুপুত্রকে নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার এই অংশটুকুতে মিল আছে।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
১৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫০
জুন বলেছেন: কি যে জটিল, কি যে জটিল মাথা ঘুরতেছে জলদস্যু । কিন্ত কুন্তীর কথা পড়ে রবীন্দ্রনাথের লেখা কর্ন কুন্তী সংবাদ কবিতাটির কথা মনে পড়লো। অসম্ভব সুন্দর এই দীর্ঘ কবিতাটি যখনই পড়ি তখনই কল্পিত চরিত্র কর্নের জন্য মনটা বিষাদগ্রস্ত হয়ে উঠে।
মাত, করিওনা ভয়।
কহিলাম পান্ডবের হইবে বিজয়।
যে পক্ষের পরাজয়
সে পক্ষ ত্যাজিতে মোরে কোরোনা আহবান।
জয়ী হোক, রাজা হোক পান্ডব সন্তান---
আমি রব নিস্ফলের হতাশের দলে।
জন্মরাত্রে ফেলে গেছো মোরে ধরাতলে
নামহীন, গৃহহীন। আজিও তেমনি
আমারে নির্মম চিত্তে তেয়াগো জননী,
দীপ্তিহীন কীর্তিহীন পরাভব-' পরে।
শুধু এই আশীর্বাদ দিয়ে যাও মোরে,
জয়লোভে, যশলোভে রাজ্যলোভে, অয়ি
বীরের সদগতি হতে ভ্রষ্ট নাহি হই ।
+
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য আর কবিতাংশ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
মহাভারততো বিশাল ব্যাপার, সেখানে প্রতিটি চরিত্র নিয়ে আলাদা আলাদা বড়বড়কাহিনী আছে।
আমি সর্বচ্চো সংক্ষেপে পোস্টে করে যাচ্ছি।
১৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৫
জুন বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তর কর্নের সাথে মুসা নবীর একটা বড় পার্থক্য হলো কর্ন অবিবাহিতা মায়ের সন্তান। আর মুসা নবীকে তাঁর মা ভাসিয়েছিল কারন সেসময়ের মিশরের ফারাও ঘোষনা দিয়েছিল কোন বনি ইসরাইলের ঘরে পুত্র সন্তান হলে তাকে মেরে ফেলতে হবে। তাই তাঁর মা মেরে ফেলার বদলে ঝুড়িতে করে নীল নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছিল যা ফেরাউনের বোন তথা স্ত্রী হাসেপসুটস পেয়ে তাকে ছেলের মত পালন করেছিল ।
উল্লেখ্য সে সময় ফারাওদের মধ্যে ভাই বোনে বিয়ে হতো।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমিও বলেছি
"দুই কাহিনীতে শুধু শিশুপুত্রকে নদীতে ভাসিয়ে দেয়ার এই অংশটুকুতে মিল আছে।"
২০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৬
নতুন বলেছেন: হিন্দু ধর্মেও কুমারী মাতার সন্তান।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ঠিক কুমারীমাত নয়।
মুনি অথবা দেবতাদের সাথে মিলিতো হওয়ার পরেও কুমারী থাকা এবং সন্তান প্রসব করা।
এমন উদাহরণ মহাভারতে কয়েকটাই আছে।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
২১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪৯
সোহানী বলেছেন: শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
এদের গয়নাগুলো কোন জ্যুয়েলারীতে পাওয়া যায়!!!!!!!
হাহাহাহাহা.............. শায়মারে তোমারে নিয়া আর পারলাম না!! শুনো, দস্যু ভাই তোমারে ভুলভাল পথ দেখাচ্ছে। আসল জায়গার কথা তো বলেই নাই। তুমি এতো চিন্তা না করে পত্রপাঠ দুবাই চলে যাও । নিজের পকেটে কুলালে তা দিয়ে কিনবা আর না কুলালে সালমানের ১৮৬ নাম্বার বউ হয়ে গয়না-গাটি সব নিয়ে পরে প্লানেই ঢাকা... ।
দস্যু ব্রাদার, আপনার এ সিরিজ খুচরা খুচরা পড়ছি। পুরাটা ইচ্ছে করেই পড়ছি না কারন একবার শুরু করলে নেশা হয়ে যাবে আর থামতে পারবো না। সময় একটু কম তাই...........
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: গয়নার বিষয়ে ভালো বুদ্ধি দিয়েছেন আপনি।
আমি সিরিজটি একটু একটু করে পড়ে অনেকটা সময় নিয়ে সাজাচ্ছি। অলস সময়ের কোনো অভাব নাই আমার। কর্মমুক্ত মানুষ আমি।
পড়ে মাঝে মাঝে কেমন হচ্ছে জানিয়েন।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
২২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫১
শোভ বলেছেন: কাল্পনিক গল্প পড়ে ভালোই লাগল কিন্তু একটা ব্যাপার লক্ষ করলাম মানুষ যখন থেকে আধুনিক হতে শুরু করল তখন থেকেই পৃথিবীতে সব ধর্মের অবতার আসা বন্ধ হয়ে গেল ।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:১৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হিন্দু ধমে মনে হয় এখনো অবতার আসার সুযোগ আছে। ইসলাম ধর্মে নবী আসা শেষ হয়ে গেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
২৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার যে ক্যান নাম মনে থাকে না, একবার পড়ে পরের প্যারা শেষে আবার প্যাচ লেগে যায়। তবে ভাললাগে পড়তে।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমারও নাম মনে থাকে না।
বিশেষ করে কঠিন আর অপরিচিতো নাম হলে।
মহাভারতের বেশিরভাগ নাম অপরিচিত এবং কঠিনও বটে।
২৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:১২
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: মহাভারত একটা ইতিহাসের মতো। বিজয়ীরা যেমন ইতিহাস লেখে, তেমনি সাহিত্যেও বিজয়ীদের জয়-জয়কার। পাণ্ডবরা জিতেছে বলে ভিলেনদের নামও বিকৃত করে রেখেছে। নইলে কোন বাবা-মা তার ছেলেমেয়েদের নাম দুর্যোধন, দুঃশাসন, দুঃশলা এসব। অথচ খোঁজ নিয়ে জানা যায় এদের নাম সূর্যোধন, সুশাসন, সুঃশলা।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:২০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার বলেছেন।
নচিকেতার একটা গান "ইটস এ গেম" এর কথা মনে পরে গেলো -
বিজয়ীরা বরাবর ভগবান এখানেতে,
পরাজিতরাই পাপী এখানে
রাম যদি হেরে যেত, রামায়ন লেখা হত
রাবন দেবতা হত সেখানে
কেন পথ নিয়ে মাথাব্যাথা?
কেন পথ নিয়ে মাথা ব্যাথা, জেতাটাই বড় কথা
হেরে গেলেই শেম শেম
ইটস এ গেম, ইটস এ গেম।।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪০
অপু তানভীর বলেছেন: দুর্যোধনের জন্ম তাহলে এভাবে হয়েছিলো?
এটা জানা ছিল না !
পোস্ট প্লাস । সিরিজ এগিয়ে চলুক !