নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রাচীন স্থাপত্য দেখার আলাদাটা একটা আকর্ষণ আছে। আমি মাঝে মাঝেই সুযোগ হলে তাদের দেখতে বেরহই। প্রাচীন স্থাপনা গুলির মধ্যে মঠ বা স্মৃতি-মন্দির খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রাচীন মঠ বা স্মৃতি-মন্দিরগুলি আমাদের দেশের ইতিহাসেরই অংশ। চেষ্টা করবো মঠ গুলির সঠিক অবস্থান ও বর্তমান অবস্থার বর্ণনা করতে। সেই সাথে চেষ্টা করবো মঠ গুলির সামান্য ইতিহাস তুলে ধরতে। আজ আমরা দেখবো পালপাড়া মঠ বা স্মৃতি-মন্দিরটি।
পালপাড়া মঠ
বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার আড়াইহাজার থানার পিছনে উত্তর পাশে ছোট্ট গ্রাম পালপাড়া। পালেরা এখনো এই গ্রামে আছে কিনা আমার ঠিক জান নেই। এই পালপাড়াতেই একটি মঠ আছে। মঠটি পলপাড়ায় থাকার কারণেই এর নাম হয়েছে পালপাড়া মঠ।
দুঃখজনক হলেও সত্যি এই মঠটি সম্পর্কে তেমন কিছুই জানতে পারা যায় না। এই মঠঠির নির্মাতা সম্পর্কে সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে নির্মাণকালের একটি ফলক পাওয়া গেছে। সেই ফলকের তথ্য মতে মঠটির নির্মাণকাল বাংলা ১৩২২ সনের ১৫ই ফাল্গুন।
মঠটির উচ্চতা বেশ ভাইল। অনেকেই বলেন মাটি থেকে প্রায় ১২০ ফুটের মত হবে মঠটির উচ্চতা। তবে আমার সেটি মনে হয় না। যাইহোক, মঠটির নিচের অংশের প্রথম ভিত্তিটি চার কোনা বর্গাকারে নির্মিত।
এর উপর থেকে মঠের অংশটি ক্রমশ সূচালো হয়ে উঠে গেছে কেন্দ্রীয় বড় চূড়া বা রত্নটি। প্রথম মূল অংশের উপরের চার কোনায় চারটি ছোট রত্ন রয়েছে। (আমাদের মসজিদে যেমন গম্বুজ থাকে, মিনার থাকে। তেমনি মন্দিরে সেগুলিকে বলে রত্ন) এই হিসেবে পালপাড়া মঠটি আসলে পঞ্চরত্ন মঠ। কেন্দ্রীয় বড় রত্নের চূড়াতে একটি কলস আকৃতির শীর্ষচূড়া আছে।
মঠে সামনের দিকে একটি মাত্র প্রবেশপথ আছে এবং প্রবেশ পথের ঠিক সামনের দেয়ালে ও হাতের ডান দিকের দেয়ালে দুটি ছোট জানালার মত ছিল। মঠের ভিতরে প্রবেশ করলে ভিতরের অন্দর গোল ডোম দেখা যায়। ডোমের ভিতরে সরল কিন্তু সুন্দর কাজ করা আছে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রাচীন বলতে এখানে প্রচীন যুগকে বুঝানো হয়নি। প্রচীন বলতে এখানে বুঝানো হয়েছে -
অতীত, অতীতকালীন, আগেকার, কালজীর্ণ, জীর্ণ, দীর্ঘকাল ধরে বর্তমান, পুরাতন, পুরান, পুরানো, পূর্বকালীন, প্রত্ন, প্রাক্তন, বয়স্ক, বয়োবৃদ্ধ, বর্ষীয়ান, বহুকালের, বহুকেলে, বহুযুগ আগেকার, বার্ধক্যগ্রস্ত, বিগতকালের, মান্ধাতার আমলের, সাবেক, সাবেকী, সেকেলে, স্মরণাতীত, স্মরণাতীত কালের ইত্যাদি। আর মঠ বলতে স্মৃতি-মন্দিরকে বুঝানো হয়েছে।
ছবি তোলার তারিখ : ২৮/১০/২০১৬ ইং
অবস্থান : পালপাড়া, আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ, বাংলাদেশ।
GPS coordinates : 23°47'08.2"N 90°39'25.8"E
গুগল ম্যাপ : https://goo.gl/maps/rsR1mm6S1hmcAvmD7
তথ্য সূত্র : বাংলাপিডিয়া ও উইকিপিডিয়া, অন্তর্জাল।
বর্ণনা : নিজ
=================================================================
আরো দেখুন -
হেরিটেজ ট্যুর ২৫ : আড়াইহাজার - সোনারগাঁও
হেরিটেজ ট্যুর ২৬ : মানিকগঞ্জ - নাগরপুর
হেরিটেজ ট্যুর ২৮ : চাঁদপুর
হেরিটেজ ট্যুর ২৯ : নরসিংদী - কিশোরগঞ্জ
হেরিটেজ ট্যুর ৩১ : নরসিংদী - গাজীপুর
হেরিটেজ ট্যুর ৬৫ : নারায়ণগঞ্জ - মুন্সিগঞ্জ
=================================================================
মসজিদ দর্শন : ০১ : মহজমপুর শাহী মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০২ : ষাট গম্বুজ মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৩ : বিবি বেগনী মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৪ : চুনাখোলা মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৫ : নয় গম্বুজ মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৬ : জিন্দা পীর মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৭ : সিঙ্গাইর মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৮ : গোয়ালদি মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ০৯ : আবদুল হামিদ মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ১০ : পুরান বাজার জামে মসজিদ
মসজিদ দর্শন : ১১ : হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ
আমার দেখা প্রচীন মসজিদ – ১ম পর্ব
আমার দেখা প্রচীন মসজিদ – ২য় পর্ব
আমার দেখা প্রচীন মসজিদ – ৩য় পর্ব
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০১
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০২
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৩
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৪
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৫
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৬
বাংলার জমিদার বাড়ি সমগ্র - ০৭
জমিদার বাড়ি দর্শন : ০০১ : বালিয়াপাড়া জমিদার বাড়ি
আমার দেখা প্রচীন মন্দির সমগ্র - ০১
আমার দেখা প্রচীন মন্দির সমগ্র - ০২
আমার দেখা প্রচীন মন্দির সমগ্র - ০৩
বাংলার প্রাচীন মঠ (স্মৃতি-মন্দির) সমগ্র - ০১
বাংলার প্রাচীন মঠ (স্মৃতি-মন্দির) সমগ্র - ০২
বাংলার প্রাচীন মঠ (স্মৃতি-মন্দির) সমগ্র - ০৩
=================================================================
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৫১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- মঠটিতে তালা দেখেছেন কারণ সেটিকে নিশ্চয়ই তখন শিব মন্দির বা মনসা মন্দির হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিলো।
- সাধারণত আগের কালে ধনী কোনো হিন্দু মারা গেলে তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই স্মৃতিমন্দির (মঠ) গুলি নির্মাণ করা হতো।
২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩৯
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আহা ! সবকিছু কালের আবর্তে কিভাবে ঝির্ন চূর্ণ হয়ে ভেঙে পরে ! "দিন দিন আয়ুহীন, হীন বল দিন দিন, তবুও এ আশার নেশা মিটিলোনা একি দায় !"
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৫১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- খুবই সত্য কথা লিখেছেন। সব কিছুই সময়ের কাছে অসহায়।
৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:২৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা, সুন্দর ছবি। প্রাচীন ঐতিহ্যকে আমাদের সামনে তুলে ধরার এই শ্রমকে স্বাগত ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শুভ কামনা জলদস্যু ভাই।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৪০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
- আমি ঠিক করেছি এখন থেকে নিয়োমিত ভাবে পুরনো এইসব স্থাপনাগুলি সম্পর্কে লিখবো। এতোদিন যেগুলির একটি একটি করে ছবি দিয়েছি সেগুলিকে এখন বিস্তারিত ভাবে, একাধিক ছবি সহ উপস্থাপন করবো। আশা করি সাথেই থাকবেন।
৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৬
অপ্সরা বলেছেন: দয়ারামপুরের জমিদার বাড়ি ও তার গুপ্ত সুড়ঙ্গপথ নিয়ে লেখো ভাইয়া
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- নাটোরের দয়ারামপুর রাজবাড়ি?
- নাটোর গেলেও দয়ারামপুর রাজবাড়িতে আমার যাওয়া হয় নাই। আগামী শীতে বিবি-বাচ্চাদের নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে আছে।
৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রাচীণ গ্রামবাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য মঠ এখন হারিয়ে গিয়েছে। +
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:২৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এখনো কিছু কিছু টিকে আছে জরাজীর্ন অবস্থা। কিছু হয়তো বেতিক্রাম।
৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কেন যেন মঠ দেখলে আমার মধ্যে একটা অস্বস্তি কাজ করে।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:২৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- কিসের অস্বস্তি? মৃত্যুর? নাকি সাপের? অনেকেই মনে করে মঠের ভিতরে সাপ থাকে।
৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৪১
আখেনাটেন বলেছেন: বেশ। জানা হলো অনেক কিছু।
এগুলো যথাযথ সংস্কার করা দরকার ছিল.....
আপনি কী কখনও নওগাঁর পুরাতাত্ত্বিক স্থানগুলোতে গিয়েছেন?
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৫২
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- সংস্কারের চেয়েও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করাটা জরুরী ছিলো। নজর দেয়ার কেউ নেই। স্থানীয় লোকও এই সবের গুরুত্ব বুঝেন না।
- নওগাঁ আমি গিয়েছি অনেক বছর আগে, সেই ছাত্রাবস্থায়। এই শীতে ঐদিকে যাওয়অর ইচ্ছে আছে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়।
৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:২০
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি এগুলোকে সংরক্ষণের কথা ভাবছেন?
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:২৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- জ্বী না, আমি এগুলোকে সংরক্ষণের কথা ভাবছি না। এগুলি সংরক্ষণ করার ক্ষমতা আমার নেই। আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার নানা বাড়ি দাদা বাড়ির এলাকায় এমন অনেক প্রাচীন স্থাপত্য দেখা যায়।
আপনার ছবি বর্ণনা সুন্দর।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- সারা বাংলাতেই এই ধরনের মঠ বা স্মৃতি মন্দির ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাছাড়া, মন্দির, মসজিদ, জমিদার বাড়িও দেখা যায়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩১
অপ্সরা বলেছেন: জীবনে প্রথম মঠ দেখেছিলাম ফরিদপুরের মধুখালিতে ।
খুব ছোট্টবেলায়।
সেই মঠ তালাবদ্ধ থাকতো।
তার মাঝে কি হত বা কি হয়েছিলো কেউ বলেনি আমাকে কেউ জানতো না
সেই মঠ আজও এক প্রশ্নবোধক চিহ্ন হয়ে জেগে আছে আমার মাঝে।