নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তপন চৌধুরীর গাওয়া এই গানটি শোনেননি এমন গানপ্রিয় মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না।
পলাশ ফুটেছে শিমুল ফুটেছে এসেছে দারুন মাস
আমি জেনি গেছি তুমি আসিবেনা ফিরে মিটিবেনা পিয়াস...
----- তাজুল ইমাম -----
গায়কের পিয়াস না মিটলেও শিমুল শতশত পাখির পিয়াস মিটায়। আমি দেখেছি শিমুল গাছে শত শত শালিক, বুলবুলি, কাঠ শালিক, টিয়া পাখিকে বসে থাকতে। আর দেখেছি কাঠবিড়ালিদের শিমুল গাছে হামলে পরতে। তাবে শিমুল ফুলে তাদের তেমন কোনো আগ্রহ নেই। ওদের সমস্ত আগ্রহ কচি শিমুল ফলে। ওরা ফলগুলি কুটি কুটি করে খায়। তখন গাছের নিচে অপুষ্ট সাদা সাদা তুল তুষারের মতো ছড়িয়ে বিছিয়ে থাকে।
শিমুল
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : রক্ত শিমুল, লাল শিমুল,
সংস্কৃত নাম : শাল্মলী, মোচা, তূলিনী, কুক্কুটী, রক্তপুষ্পিকা, কণ্টকাঢ্যা, স্থূলফলা, পিচ্ছিলা, চিরজীবিনী।
Common Name : Silk Cotton tree, Bombax, Simal, red cotton tree, Kapok Tree.
Scientific Name : Bombax ceiba
হয়তো ফুটেনি ফুল রবীন্দ্র-সঙ্গীতে যতো আছে,
হয়তো গাহেনি পাখি অন্তর উদাস করা সুরে
বনের কুসুমগুলি ঘিরে । আকাশে মেলিয়া আঁখি
তবুও ফুটেছে জবা,–দূরন্ত শিমুল গাছে গাছে,
তার তলে ভালোবেসে বসে আছে বসন্তপথিক ।
----- নির্মলেন্দু গুণ -----
বাংলাদেশের প্রায় সব অংশেই শিমুল ফুলের দেখা মেলে। অনাদরে অবহেলায় কোনো রকম যত্ন ছাড়াই আমাদের দেশে ছিমুল গাছ জন্মে বনে বাদারে, পথের ধারে, মাঠের পাশে, পাহাড়ে। আমার জানা মতে পরিকল্পিতো ভাবে একটি মাত্র শিমুল বাগান আছে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের জাদুকাটা নদীর তীরে। আমাদের দেশে শিমুল সেইভাবে চাষ করা না হলেও মালয়, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ চীন, হংকং এবং তাইওয়ানে ব্যাপকভাবে এ গাছের চাষ হয় বলে শুনেছি।
শিমুল একটি পত্রঝড়া বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। একটি দ্রুত বর্ধনশীল গাছ। মাত্র ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে উচ্চতায় আশপাশের আম-কাঁঠাল জাতীয় ২০ থেকে ২৫ বছরের পূর্ণবয়স্ক বৃক্ষকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। ৫০ বছর বা তারও বেশীসময়ে গাছের পরিধি ২ থেকে ৩ মিটার এবং উচ্চতা ১৫ থেকে ৩০ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। পুরনো বিশাল শিমুল গাছের গোড়ায় অধিমূল বা ঠেসমূল বা রুট বাট্রেস থাকে। তখন সেই গাছগুলিকে দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। শিমুল গাছের মূল কাণ্ডের চারপাশে সুবিন্যস্ত হয়ে শাখা-প্রশাখা প্রসারিত হয়। অল্প বয়সী শিমুলগাছে কাণ্ডের গোড়ার দিকে মোটা মোটা বেঁটে কাঁটা থাকে। কাঁটাগুলির গোড়ার অংশ বেশ পুরু এবং অগ্রভাগ সূচালো। তবে বয়স্ক গাছে তেমন কাঁটা থাকে না।
আজ তাই দেখি আর বক্ষে আমার লক্ষ বাগের ফুল হাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!
আজ হাসল আগুন, শ্বসল ফাগুন,
মদন মারে খুন-মাখা তূণ
পলাশ অশোক শিমুল ঘায়েল
ফাগ লাগে ঐ দিক-বাসে
গো দিগ বালিকার পীতবাসে;
----- কাজী নজরুল ইসলাম -----
শিমুল গাছের পাতা শীতের শেষে ঝরে যায়, ফাল্গুনে ফুল ফোটে। লাল লাল বড় বড় পুষ্ট ফুলে যখন গাছ ছেয়ে যেতে শুরু করে তখনো গাছটি থাকে পাতাহীন। পত্রহীন গাছে লাল ফুলের এমন রূপ মুগ্ধ করে না এমন লোক পাওয়া ভার। তবে এই ফুলের কোনো সৌরভ নেই। সৌরভহীনতা ফুলের সৌন্দর্যের কোনো হানী করতে পারে নি। শিমুল ফুল গাঢ় লাল রঙের হলেও কখনো কখনো ফিকে লালও দেখা যায়। হলুদ রঙের শিমুল ফুলও দেখতে পাওয়া যায়। তবে তাদের সংখ্যা খুবই কম।
শিমুল ফুল ঘণ্টাকৃতির হয়। ফুলে বেশ পুরু পাঁচটি পাপড়ি থাকে। পাপড়ি গুলি সুসজ্জিত। একটি ফুল ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি লম্বা হতে পারে। ফুলের আকার আর পুরত্বের কারণে একটি শিমুল ফুলের ওজন ৩০ থেকে ৫০ গ্রাম হতে পারে। ফুলের অনেকগুলি পুংকেশের থাকে। স্ত্রীকেশর পুংকেশর অপেক্ষা লম্বায় বড় হয়।
সে বর্ষপঞ্জির সম্রাট বসন্ত
যৌবনের চঞ্চলতা তার তারুণ্যে অনন্ত
সে ভালবাসার এক ভাবুক যুবক
সে ভালবাসার এক প্রতীক প্রেমিক
তার ডালে ডালে পুঞ্জিত আম্রমুকুলে
পতঙ্গের আনাগোনা হয় ফুলে ফুলে
তার মুকুলিত বৃক্ষের মৌমাছির গুঞ্জনে
প্রকৃতির রুপে আনে রঙিন রঞ্জনে
কোকিল গায় তার উদাসী কুহুতানে
মৃদুমন্দ দক্ষিণায় ভরায় মনে প্রাণে
তার পুস্পভরা কৃষ্ণচুড়া অশোক শিমূলে
বিকশিত ডালে ভরা কাঞ্চন ফুলে।
----- অসীম চক্রবর্ত্তী -----
শিমুল গাছে মোচাকৃতি ফল হয়। বৈশাখ মাসে ফল পাকে এবং ফল ফেটে বীজ ও তুলা বের হয়ে আসে। বীজের রং কালো। শিমুল তুলায় উন্নতো মানের আরামদায়ক বালিশ, লেপ, তোশক, কুশন ইত্যাদি তৈরি করা হয়।
শিমুল আসলে এক ধরনের দেশি তুলা গাছ। এটি শিমুল তুলা নামে পরিচিত। শিমুল তুলার বেশ নাম ডাক ও চাহিদা রয়েছে দেশে।
শিমুল গাছের ছাল ঘা সারাতে সহায়তা করে। রক্ত আমাশয়ে দুর করে। ছাল ফোড়ার উপর প্রলেপ দিলে উপকার হয়। শিমুল চারার কচি মূল খুবই উপকারি ঔষধী।
'এবার যখন ঝরব মোরা ধরার বুকে
ঝরব তখন হাসিমুখে--
অফুরানের আঁচল ভ'রে
মরব মোরা প্রাণের সুখে।'
তুমি কে গো।-- "আমি শিমুল।'
তুমি কে গো।-- "কামিনী ফুল।'
তোমরা কে বা।-- "আমার নবীন পাতা গো
শালের বনে ভারে ভারে।'
----- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর -----
ছবি তোলার স্থান : কিশোরগঞ্জ, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ২৪/০২/২০১৭ ইং
তথ্য সূত্র : বাংলাপিডিয়া, উইকিপিডিয়া, অন্তর্জাল।
ছবি ও বর্ণনা : নিজ
=================================================================
আজি যত কুসুম কলি ফুটিলো কাননে
অশোক, অর্কিড, অলকানন্দা, অলকানন্দা (বেগুনী), অলকানন্দা (হলুদ), অ্যালামন্ডা (বেগুনী), আকন্দ, আমরুল, অপরাজিতা, আফ্রিকান টিউলিপ,
উগান্ডা শিখা, উর্বশী, উর্বসী, এরোমেটিক জুঁই, এ্যালামন্ডা (বেগুনী)
কলাবতী, কচুরিপানা ফুল, কসমস, কালো পঙ্গপাল, কর্ণফ্লাওয়ার, কন্টকলতা, ক্যালেনডুলা, কামান গোলা, কাগজ ফুল, কালো বাদুড় ফুল, কাঁটামুকুট, কন্টকমুকুট, কাঞ্চনার, খাড়া মুরালি
গাঁদা, গেন্ধা, গন্ধা, রক্তগাঁদা, গামারি, গামার, গাম্বার, গোলাপ, গোলাপি আমরুল, গ্লুকাস ক্যাসিয়া, গৌরিচৌরি, গিরিপুষ্প, গুলেটু, ঘোড়া চক্কর
চন্দ্রপ্রভা, চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (হালকা গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (সাদা), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (লালচে গোলাপি), চন্দ্রমুখী চন্দ্রমল্লিকা (কমলা), চন্দ্রমল্লিকা (হলুদ-সাদা), ছোটপানা
জবা, সাদা জবা, ঝুমকো জবা, লঙ্কা জবা, পঞ্চমুখী জবা, বহুদল জবা, রক্ত জবা, হলুদ জবা, ক্রিম জবা, গোলাপী জবা
জারবেরা, জ্যাকারান্ডা, ঝুমকোলতা, ঝুমকো জবা
ডালিয়া, তমাল, তারাঝরা
দাঁতরাঙ্গা, দাদমর্দন, দেবকাঞ্চন, দোলনচাঁপা, ধুতুরা
নাগেশ্বর, নাগচম্পা, নাগলিঙ্গম, নীল হুড়হুড়ে, নীল জ্যাকারান্ডা, নীল বনলতা, নীল লতা, নীল-পারুল, নীল-পারুল লতা, নয়নতারা,
পপী, পুন্নাগ, পারুল লতা, পঞ্চমুখী জবা, পুর্তলিকা, পুত্তলিকা, পটপটি
ফাল্গুনমঞ্জরী, ফুরুস (সাদা)
বরুণ, বড়নখা, বিড়াল নখা, বিলাই আঁচড়া, বাদুড় ফুল, বাগানবিলাস, বাসন্তীলতা, বোগেনভিলিয়া, বোতল ব্রাশ, ব্লিডিং হার্ট, বন পালং, বন তেজপাতা, ভাট ফুল
মাধবীলতা, মাধবিকা, মধুমঞ্জরি, মিয়ানমার ফুল,
রঙ্গন, রুক্সিনী, রক্তক, রুদ্রপলাশ, রাজ অশোক, রাজ অশোক, রাধীকা নাচন, রাধাচূড়া, রত্নগণ্ডি, রাণীচূড়া, রসুন্ধি লতা, রুয়েলিয়া, রক্ত জবা, রক্তকাঞ্চন, রক্তপুষ্পক
লতা মাধবী, লতা পারুল, লাল আকন্দ, লালকাঞ্চন
শাপলা (সাদা), শাপলা (লাল), শিউলি, শেফালি, শেফালিকা, শিবজটা, শিবঝুল, শ্বেত অপরাজিতা, শ্বেত পুষ্পা, শ্বেত অকন্দ
সন্ধ্যামালতী, সুলতান চাঁপা, সুখ মুরালি, সোনাপাতি, সিদ্ধেশ্বর, সিদ্ধেশ্বরা, সোকরে
হাতি জোলাপ,
অশোক ফুলের ছবি, নাগেশ্বর ও ভমর, পলাশ ফুটেছে......, ডালিয়া, ধুতরা ফুল, একটি দাঁতরাঙ্গা ফুল
মিষ্টি জলপাইয়ের ফুল, ডালের ফুল, চুকাই ফুল, চুকুর ফুল, সরষে ফুল, সর্রিষা ফুল, বিষকাটালি
বাংলাদেশের সংরক্ষিত উদ্ভিদের সচিত্র তালিকা, অশোক সমগ্র, কৃষ্ণচূড়া, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া ও কনকচূড়া বিতর্ক, পলাশ ও পারিজাত পরিচিতি, চাঁপা নিয়ে চাপাবাজি, আতা কাহিনী, বিলম্ব, মাছি ফাঁদ উদ্ভিদ, জল জমানি পাতা, শিউলি
=================================================================
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- পলাশের রূপ আসলেই মন ভরিয়ে দেয়।
২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আর একমাস পর থেকে শিমুল ফুল ফুঁটবে, এই ফুল আমার খুব ভালো লাগে।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- শিমুল ফুল আমারও পছন্দের ফুল।
৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৪
অধীতি বলেছেন: শিমুলের সাথে একটা সখ্যতা ছিল। সে অনেক আগে নদীর তীরের সেই একাকী গাছ, বর্ণিল রূপ নিয়ে ডুব দিয়েছিলো নদে।এরপর থেকে শুন্য জনপদের মত লাগত ঐ জায়গাটা।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আহা!
- ছোট বেলায় আমার বাড়ির কাছেই একটি বিশাল কদম গাছ ছিলো। একবার ফরিদপুর বেরাতে গিয়ে ৫-৬ দিন থেকে ফিরে এসে সব কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছিলো। লক্ষ্য করলাম কদম গাছটি কেটে ফেলেছে।
৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০১
কালো যাদুকর বলেছেন: শিমুল ফুল কেন নাম হল ৷ এমন সুন্দর ফুলের নাম হল ছেলেদের নামে ৷ বিষয়টি আজব মনে হচ্ছে। ছবিগুলো অসাধারন | ধন্যবাদ
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- নাম কেনো শিমুল তাতো জানি না!!
- তবে সংস্কৃত নাম গুলিতে মেয়েলি ভাব আছে। শাল্মলী,তূলিনী, কুক্কুটী, রক্তপুষ্পিকা, স্থূলফলা, পিচ্ছিলা, চিরজীবিনী।
৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
দেশের কোথায় জানি শিমুলের বাগান আছে?
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- অর্থাৎ লেখাটুকু পড়েননি আপনি!! পোষ্টেই লেখা আছা-
আমার জানা মতে পরিকল্পিতো ভাবে একটি মাত্র শিমুল বাগান আছে বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের জাদুকাটা নদীর তীরে।
৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫৩
অপু তানভীর বলেছেন: পাকড়া ফুল !
এই পাকড়া গাছে ভুত থাকে !
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- পাকড়া নামটা আগে শুনি নাই!!
৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: ছবির চেয়ে লেখা সুন্দর হয়েছে বেশি।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- লেখা ভালো হয়েছে জেনে আনন্দিত হলাম।
৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:২৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর ।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- শুকরিয়া
৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:২২
কামাল১৮ বলেছেন: আমি পুরনোদিনের গান শুনি।নতুনদের মাঝে সুমন,নচিকেতা বা এমন দুই এক জনের গান শুনি।রবীন্দ্র সংগীত বেশি শুনি।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমি জীবনমুখী গান বেশী শুনি।
১০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:৪৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
শিমুল নিয়ে খুব সুন্দর পোষ্ট। ছবির সাথে শিমুল নিয়ে বিশ্ব কবিসহ দেশ বরেন্য কবিদের কা্ব্যকথার
উদ্বৃতি সহ শিমুলের সৌন্দর্য ও গুণগাথার অপুর্ব সমাহার হয়েছে পোষ্টটিতে । দেখে ও পাঠে মুগ্ধ ।
শিমুল ফুল আগুন ঝড়া ফাগুনে দৃষ্টি নন্দন সৌন্দর্য দান, শীতের সম্বল লেপ, তোষক ও বালিশের জন্য
তুলা দান ও ভেষজ কাজে উপকার সাধনের পাশাপাশি আরো বহু উপকারী কাজে সহায়তা করে ।
ছোট বেলায় দেখেছি কৃষকরা দোন/ঢোঙ্গা দিয়ে খাল হতে পানি উত্তোলন করে তাদের জমিতে সেচ দিতো।
এখন আর আগের মতো এটা চোখে পড়ে না। তবে এখনও গ্রামাঞ্চলের কৃষকদেরকে দোন ও সেঁউতি দিয়ে পানি
উত্তোলন দেখতে পাওয়া যায়। এই দোন তখন শিমুল গাছের কান্ড হতে সুতার কা কাঠ মিস্ত্রি দিয়ে তৈরী
করা হতো । শিমুল গাছের কাঠ খুবই নরম প্রকৃতির থাকায় তখন শিমুল গাছ উল্লেখযোগ্য ভাবে এই ধরনের
দোন তৈরীতেই ব্যবহার করা হতো ।
ছবি সুত্র : banglanews24.com
আমাদের গ্রামের বাড়ীতেও এমন একটি দোন ছিল । মাঝে মধ্যে বড়দের সাথে আমিউ
এই দোন দিয়ে সেচ কর্মে অংশ নিয়েছি ছোটকালে , তখন খুব আনন্দ হতো ।
শিমুল ফুলে দিয়াশলাই এর কাঠির মত দেখতে পাওয়া সরু কাঠিগুলি দিয়ে ছেলে বেলায় কান
চুলকাতে বেশ আরাম পাওয়া যেতো ।
শিমুল কাঠের বহুল ব্যবহার ছিল দিয়াশলাই শিল্পে মেছের কাঠি তৈরীতে । এই
দিয়াশলাই শিল্পই গ্রাম বাংলার শিমুল গাছের বংশ বিনাশে কাজ করেছে বহুল ভাবে ।
ছোট বড় সকল গাছই দিয়াশলাই শিল্পের কাচামাল হিসাবে কিনে নিতো মিল মালিকেরা ।
তাই এখন গ্রামঞ্চলে শিমুল গাছ খুব কমই দেখা যায় ।
অবশ্য দেশের অনেক বৃক্ষ প্রমিকই এগিয়ে এসেছেন ফাগুনে আগুন ঝড়া শিমুলের বংশ বিকাশে । উল্লেখ্য
তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট (উত্তর) ইউনিয়নের সুদৃশ্য জাদুকাটা নদীর তীরঘেঁষে মানিগাঁও গ্রাম। সেখানে
দেশের এক বৃক্ষ প্রেমিক জয়নাল আবেদীনের ২ হাজার একর জমিতে প্রায় তিন হাজার শিমুল গাছ।
গাছে গাছে টকটকে লাল শিমুল ফুল যেমন আছে, তেমনই হালকা কমলা রঙের ফুলও আছে।
‘আহা আজি এ বসন্তে এত ফুল ফোটে, এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়’— বৃক্ষপ্রেমী জয়নাল আবেদীনের
শিমুল বাগানে গেলে সকলেরই মনে হবে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেন এখানে বসেই কথাগুলো লিখেছিলেন।
জয়নাল আবেদিনের মত এমন আরো বৃক্ষ প্রেমিকের হাত ধরে দেশ ভরে যাক শিমুলে আর শিমুলে
এ কামনাই করি । অতি মুল্যবান সুন্দর পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ । পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।
শুভেচ্ছা রইল
১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এক কথায় চমৎকার এই মন্তব্যের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই।
- পানি সেচের বিষয়টা জানা থাকলেও সেটি তৈরিতে শিমুল কাঠ ব্যবহার হয় তা জানা ছিলো না।
- দিয়াশলাই শিল্পে শিমুলের ব্যবহার এই পোস্টে লেখার জন্য স্থির করে রেখে ছিলাম। কোন ফাঁকে যেনো ভুলে গিয়ে আর লেখা হয়ে উঠেনি।
- তাহিরপুরের শিমুল বাগানের কথা আমি পোস্টে উল্লেখ করেছি। তবে সেখানে এখনো যাওয়ার সুযোগ আমার হয়নি।
- আবারও অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সবসময়।
১১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: ইশ্বরের দুনিয়াতে ঈশ্বরই সেরা। সেটা হোক, ফুলে বা ফলে। অথবা মানুষে।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আপনার এই মন্তব্য আমার মাথার অনেক অনেক উপর দিয়ে গেলো।
১২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৪
ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: শিমুল গাছ দেখি না কত বছর হলো।
ফুলগুলো দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমার এলাকায় কখনোই শিমুল গাছ ছিলো না। এখনো নেই। তবে আমার ছাদে এখন একটি শ্বেত শিমুলের গাছ আছে। গত বছর ফুলও ফুটেছিলো।
১৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
হ্যাঁ ,আমি দেখেছি তাহিরপুরের শিমুল বাগানের কথা উল্লেখ ছিল আপনার পোষ্টে ।
মন্তব্য লেখার সময় কথা সংক্ষেপ করতে গিয়ে এ পোষ্টে উল্লেখিত লেখার স্থলে
ভুল বশত উল্লেখ্য লেখা হয়েছে । এ অনিচ্ছাকৃত প্রমাদের জন্য দুঃখিত ।
শুভেচ্ছা রইল
১২ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- দুঃখিত হওয়অর কিছু নেই। ভালো থাকবেন সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: তপন চৌধুরীর গানটাও যেমন সুন্দর, তেমনি সুন্দর পলাশ ফুল!