নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিল ফুল

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১৯


তিল হচ্ছে তেল উৎপাদক এক প্রকার সপুষ্পক উদ্ভিদ। তিল বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান তৈলবীজ ফসল। তেলের জন্যই প্রধানত তিলের চাষ হয়।

তিল ফুল
Common Name : Black sesame flower, Sesame flower, Malabar Sesame, Sesame.
Scientific Name : Sesamum indicum

ভারতবর্ষ ও চীনে প্রাচীনকাল থেকেই তিলের চাষ হয়। তিলের অনেকগুলো স্বজাতি আফ্রিকায় এবং কয়েকটি ভারতের বিভন্ন স্থানে পাওয়া যায়।



তিল একবর্ষজীবি উদ্ভিদ। তিল গাছে ২ থেকে সাড়ে ৩ ফুট পর্যন্ত লম্বা হযতে পারে।
গাছের মূল কান্ড শক্ত ও সোজা। কান্ডের চারদিকে ছোট ছোট শাখা হয়।

পাতার রং ঘন সবুজ। পাতার আকাঁর লম্বাটে ভল্লাকার। পাতা ১.৬ থেকে ৫.৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা এবং ২ ইঞ্চি পর্যন্ত চওড়া হতে পারে। পাতার ঠিক গোড়ায় সাদা বা গোলাপি ফুল হয়। প্রতিটি ফুলে একটি করে ফল থাকে। ফলগুলি চার বা ততোধিক প্রকোষ্ঠে বিভক্ত থাকে। ফল পাকলে সেগুলির ভিতরে প্রচুর ক্ষুদ্র বীজ হয়। বীজগুলির আবরণ কালো। সাধারণভাবে বীজ থেকে স্বাদহীন ও বর্ণহীন খাদ্যোপযোগী তেল পাওয়া যায়।



তিল দেশের সর্বত্র জন্মালেও খুলনা, ফরিদপুর, পাবনা, বরিশাল, রাজশাহী, যশোর, কুমিল্লা, ঢাকা, রংপুর, সিলেট এবং ময়মনসিংহ প্রধান উৎপাদনকারী এলাকা।



বাংলাদেশের নানান খাবারে তিলের ব্যবহার রয়েছে।
কুষ্টিয়ার বিখ্যাত তিলের খাজার খবর আমরা সকলেই জানি। বার্গারে বনরুটির উপরে তিলের খাজা দেয়া হয়। কালো তিলের ভর্তা দিয়ে গরত ভাত অতি উপাদেয়।



তিলের অনেক ভেষজগুণ রয়েছে। কবিরাজি শাস্ত্রে কেশতেল হিসেবে এর বেশ কদর রয়েছে।
তিল রক্ত আমশয় ও সাধারণ আমাশয় ভাল করতে সাহায্য করে।
তিল ফোড়ার দূর করতে সাহায্য করে।
তিল পঁচা ক্ষত দূর করতে সাহায্য করে।
তিল দাঁত ও মাড়ির রোগ দূর করে।
তিল পবিত্র ও মাঙ্গলিক পঞ্চশস্যের অন্যতম। হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তিলের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য।



তিল নিয়ে বাংলায় অনেক প্রবাদ প্রবচন, বাগধারা চালু রয়েছে। যেমন-
তিল কুড়িয়ে তাল হয়।
তিলকে তাল করা।
হয় যদি তিলটা, কয় তবে তালটা।
তিল খাওয়া কঠিন বটে, কিন্তু মিষ্টি মুখ থেকে ফেল আরো কঠিন।
তাল প্রমাণ বাড়ে, তিল প্রমাণ কমে।
বুনলাম ধান, হল তিল, ফললো রুদ্রাক্ষ, খেলাম কিল।
ইত্যাদি।



ছবি তোলার স্থান : মুন্সিগঞ্জ, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ১৯/০৫/২০১৭ ইং

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: এক ধরনের তিল আছে। সেটা কালো। শরীরের জন্য খুব উপকারী।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- সঠিক বলেছেন আপনি।

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


তিল ও কালোজিরা একই প্রজাতির কিছু?

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৪০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- সম্ভবতো তারা আলাদা প্রজাতি।

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:১৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তিল ফুলের ভিতরে মৌমাছি ঢুঁকতো তখন আমি পিছন থেকে গিয়ে খপ করে মৌমাছির ঘাড় বরাবর ধরে ফুল সহ ছিড়ে আনতাম। ফুলের ভিতরে থাকার কারণে মৌমাছি হুল ফুঁটাতে পারতো না, তবে হুল ফুঁটানোর চেষ্টা করতো এবং হুল বের করে রাখতো, আমি তখন গামছা অথবা কাপড় জাতীয় কিছু মৌামাছির পিছনে ছোঁয়াতাম, তখন হুল ওই কাপড়ে আটকে যেতো; এক টান দিলে মৌমাছির পিছন থেকে হুল পুরোপুরি উঠে ওই কাপড়ে লেগে থাকতো। তারপর মৌমাছিটিকে ফুল থেকে বের করে একটা পাখা ছিড়ে ফেলতাম যাতে উড়ে পালাতে না পারে, তারপর ওকে হাতের মুঠোয় নিয়ে মানুষের মাঝে ছুড়ে দিতাম ভয় দেখানোর জন্য, আর বলতাম এটা আমার শিকারী মৌমাছি আমার অনুমুতি ছাড়া কাউকে হুল ফুঁটাবে না।

অনেকদিন পর তিল ফুলের ছবি দেখলাম, শেষ কবে তিল ফুল দেখেছিলাম ঠিক মনে নেই, তবে স্মৃতিগুলো এখনো স্পষ্ট।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৪৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এই ধরনের খেলার খবর জানা ছিলো না। তবে আমি ফড়িং নিয়ে খেলাতাম।

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৮

জুল ভার্ন বলেছেন: পোস্ট ভালো লেগেছে।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৪৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ভালো লাগা জানানোর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫৩

কামাল১৮ বলেছেন: কিট পতঙ্গ বা পশু পাখির সাথে নিষ্ঠুর আচরন করা ঠিক না।
তিল এতো উপকারী আগে জানতাম না।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- সঠিক বলেছনে আপনি কিট পতঙ্গ বা পশু পাখির সাথে নিষ্ঠুর আচরন করা ঠিক না। তবে কিনা ছোট বেলায় এইসব নিষ্ঠুর বলে মনে হতো না।

৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১৫

সোনাগাজী বলেছেন:




একর প্রতি কি পরিমাণ তিল হয়; কিলো কত দামে বিক্রয় হয়?

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৩১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ২০১০ সালে বিশ্বব্যাপী তিল বীজের গড় ফলন ছিল প্রতি হেক্টরে ০.৪৯ মেট্রিক টন।
২০১০ সালে বিশ্বে তিল বীজ খামারের সবচেয়ে উৎপাদনশীল দেশ হেক্টর প্রতি ৫.৫ টন ফলন গড়ে ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
ইতালি সর্বাধিক হেক্টর প্রতি ৭.২ টন জাতীয় গড় ফলন উৎপাদন করে।
সূত্র : উইকি

বর্তমান উৎপাদন ও দাম সরম্পর্কে কোনো তথ্য জানা নাই।

৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:০০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



তিল ফুল , তিল হতে বিভিন্ন ধরনের খাবার ও তিলের বিবিধ ভেষজ গুণ
নিয়ে খুব সুন্দর একটি সচিত্র পোষ্ট । দেখে ও পাঠে ভাল লাগল ।

তিলকে হাইলাইট করে সামুর পাতায় ২০১৬ তে একটি বেশ বড় অকারের
লেখা পোষ্ট করেছিলাম । সেখানে অন্য একটি বিষয়ের সাথে তিল ও তিল
গাছের একটি সম্ভাবনাময়ি ব্যবহারের কথা বিশদভাবে সচিত্র তুলে
ধরেছিলাম । সময় পেলে নীচের লিংক ফলো করে দেখতে পারেন ।
Click This Link target='_blank' >মেস্তা পাট ও তিলকে তাল দিয়ে বাংলার ভাগ্যাকাশে করা যায় নব দিগন্তের সুচনা

শুভেচ্ছা রইল



১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৫৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাই প্রিয় ডঃ এম এ আলী।
- আপনার পোস্টটি অবশ্য পড়ে দেখবো।

৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


সামুতে থাকা লিংকটি এখানে কেন আসতেছেনা বুঝতে পারলামনা ।
যাহোক উপরে বর্ণিত লিংকটি দেয়ার চেষ্টা করলাম । জানিনা
এবারো আসবে কিনা ।
তিলকে তাল দিয়ে বাংলার ভাগ্যাকাশে করা যায় নব দিগন্তের সুচনা

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- লিংক শেয়ার করার ফর্মেটটি আপনি ভুল লিখেছিলেন বলে এমনটা হয়েছিলো।

৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

এবার উপরের মন্তব্যে লিংকটি এসেছে , তবে টাইটেলকে একটু ছেটে ফেলে ছোট করতে হয়েছে ।
মনে হয় টাইটেলে শব্দ সংখ্যার কোন সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে ।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- লিংক শেয়ার করার ফর্মেটটি আপনি ভুল লিখেছিলেন বলে এমনটা হয়েছিলো।

১০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন:
- সঠিক বলেছেন আপনি।

বাড়ির কাজ কেমন চলছে?

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- অর্ধেক গ্রেড বিম শেষ হয়েছে।
- লিফ্ট আর সিঁড়ির চারটি পিলারের বেইজ আগামীকাল ঢালাই দিবো। এর পর আর একটি বেইজ বাকি থাকবে।
- ৭৭ হাজার লিটারের পানির টাংকির তলা ও চারপাশের দেয়ালের ফিনিসিংএর কাজ শেষ হয়েছে, আগামী সপ্তায় টাংকির ছাদ ঢালাই হবে।

১১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্যাকরণে প্রশ্ন আসত তিল নিয়ে। 'তিলে তৈল আছে' আর 'তিলে তৈল হয়' এই দুই বাক্যে কারক দুই রকমের হত বাক্যের ধরণ অনুযায়ী। একটা হল অধিকরন কারক আরেকটা হল অপাদান কারক। তিলের সাথে এভাবেই পরিচয় হয়েছে।

বরিশাল অঞ্চলে তিল চাষ হয় এখনও। তিলের তেল স্বাস্থ্যের জন্য ভালো মনে হয়।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- বাংলা ব্যাকরণে আমি খুবই দূর্বল ছিলাম। এখনো দূর্বলই আছি।
তবে এটি সত্যি 'তিলে তৈল আছে' আর 'তিলে তৈল হয়' সকল ছাত্র-ছা্ত্রীদেরই পড়তে হয়েছে।

১২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০৬

বীরশ্রী বলেছেন:

১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- সামুতে স্বাগতম।

১৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৫১

জগতারন বলেছেন:
জ্যাক স্মিথ -এর মন্তব্য আর মনের স্মরনগুলো একই।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- বেশ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.