নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাওয়া খানা পুকুর

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:১৭


মানিকগঞ্জের বালিয়াটি জমিদার বাড়ির কথা ভ্রমণ প্রিয় প্রায় সকলেই জানেন এবং গেছেন। চমৎকার একটি জমিদারবাড়ি সেটি তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ভবন, জাদুঘর, পিছনের ঘাটলা পুকুর নিয়ে খুব চমৎকার একটি জমিদার বাড়ি এটি। বালিয়াটি জমিদার বাড়ি সম্পর্কে অন্য একটি পেস্টে বিস্তারাত লিখবো। আজকে আপনাদের সন্ধান দিবো বালিয়াটির জমিদার হীরালাল রায় চৌধুরীর নির্মাণ করা একটি হাওয়া খানার।



১৯ শতকের প্রথম দিকে মানিকগঞ্জের বালিয়াটির জমিদার হীরালাল রায় চৌধুরী সাটুরিয়া থেকে বালিয়াটির প্রবেশ পথে কাউন্নারা গ্রামো পুকুরের মাঝখানে নির্মাণ করেন একটি প্রমোদ ভবন হাওয়া খানা। সেখানে চলতো নর্তকীদের নাচগান আর পানাহার। সাটুরিয়া বাসস্টপ থেকে বালিয়াটি রাজবাড়ির দিকে ১.৩ কিলোমিটার গেলে হাতের বামে দেখতে পাবেন ডি সি পার্ক। আর হাতের ডান দিকে একটি কাঁচা পায়ে চলা পথ চলে গেছে। সেই পথে মিনিট কয়েক হাঁটলেই পেয়ে যাবেন রহস্যময় সুন্দর এই হাওয়া খানা পুকুরটি।



যতদূর জানতে পেরেছি তিনি এমন দুটি হাওয়া খানা তৈরি করেছিলেন। পথের পশ্চিম পাশের একটিকে বর্তমানে রূপান্তর করা হয়েছে ডি সি পার্কে। আর পথের পূর্ব পাশের অপরটির ধ্বংসাবশেষ এখনো রয়ে গেছে। পুকুরের দুই পারের শান বাঁধানো ঘাট এখনো ব্যবহার করছে এলাকাবাসী। মূলত স্নান আর কাপড় ধোয়ার কাজে ব্যবহার হচ্ছে হাওয়া খানা পুকুরটি এখন।





পুকুরটি উত্তর-দক্ষিণে লম্বায় প্রায় ২৪০ ফুট, আর পূর্ব-পশ্চিমে ১৫২ ফুটের মতো। পুকুরের পশ্চিম বাহুর মাঝামাঝি একটি, এবং পূর্ব বাহুর মাঝামাঝি একটি করে বড়সর ঘাটলা রয়েছে। ঘাটলার মেঝে চিনিটুকরির সুন্দর কারুকাজময়। দুপাশে রয়েছে বসার ব্যবস্থা। ঘাটের বড় বড় ধাপের সিঁড়ি গুলি নেমে গেছে পুকুরের জলের তলে।





পুকুরের ঠিক মাঝখানে একটি চারকোনা বর্গাকার ইমারতে ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। এটির প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ ছিলো সম্ভবতো ১২ ফুট করে। ধ্বংসাবশেষের উপরে জন্মেছে প্রচুর গাছ-গাছালির ঝোপ। এটিই ছিলো বালিয়াটির জমিদার হীরালাল রায় চৌধুরীর হাওয়া খানা। সময়ের প্রবাহে আভিজাত্যের প্রতীক এই হাওয়া খানাটি এখন অবহেলা অযত্নে ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে।





ছবি তোলার তারিখ : ২৫শে নভেম্বর ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ।
অবস্থান : কাউন্নারা গ্রাম, সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ, বাংলাদেশ।
GPS coordinates : 23°58'53.1"N 90°02'19.1"E
গুগল ম্যাপ : হাওয়া খানা পুকুর
তথ্য সূত্র : স্থানীয় লোকজনের বয়ান।
ছবি ও বর্ণনা : নিজ।

=================================================================
আরো দেখুন -
মরুভূমির জলদস্যুর ভ্রমণ বিলাস
=================================================================

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৪২

রিফাত হোসেন বলেছেন: +

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- শুকরিয়া

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: পুরোনো কথা মনে পড়ে গেলো, আমি ২০১৮ তে গিয়েছিলাম।
দারুণ সব ছবি তুলেছেন।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এমনই দেখেছিলেন তখন?
- ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

কামাল১৮ বলেছেন: এই প্রায়এর মধ্যে আমি নাই।এই প্রমোধ ভবনে কান পাতলে এখনো শুনতে পাবেন হাজারো অসহায় নারীর কান্না।আপনারও এমন একটি প্রমোদ ভবন আছে।সেখানে কারো কান্না শুনতে না পেলেও দুটি কুকুরের অনেক খুনসুিটির স্মৃতি আছে এখানে। সেটি যারা না দেখেছে তারা বুঝতে পারবে না।
সব রাজা বা জমিদার দের হয় প্রমোদ ভবন নয়তো রংমহল ছিলো।তাদের না ছিলো ব্যবসা বানিজ্য না ছিল চাকরি বাকরি।তাদের সময় কাটতে প্রমোদ ভবনে আর শিকার করে।কি এক বাহারি দিন গেছে তাদের।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আহা, তেমন জীবন যদি আমাদেরও কাটানোর সুযোগ হতো!!

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


হাওয়াখানা পরিস্কার করে কফিশপ চালু করলে ভালো হবে।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- ঐখানে কফিশপ চলবে না।

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

বিষাদ সময় বলেছেন: আপনার পোস্ট গুলো চুপিসারে পড়ে চলে যায়। ছবি পোস্ট দুটোই বেশ ভালো লাগে। তবে শুধু ভাল লাগলো টাইপের মন্তব্য করতে ভালো লাগেনা দেখে মন্তব্য করা হয়না। ভেবে দেখলাম একবারে মন্তব্য না করাটাও অন্যায়। তাই হাজিরা দেয়া।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- যাইহোক এবার অন্ততো মন্তব্য করায় হাজারো ধন্যবাদ রইলো। ভালো থাকবেন, শুভকামনা রইলো।

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বরিশালের দুর্গা সাগর গিয়েছেন? বিশাল দিঘির মাঝখানে একটা ছোট দ্বীপ। এই বিশাল দিঘি নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৫০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- দূর্গাসাগরে এখনো যাওয়া হয়ে যায়নি। আগামীতে যাওয়ার ইচ্ছে আছে।

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:১০

কিরকুট বলেছেন: পুকুর দেখেই তো ইচ্ছা হচ্ছে ঝাপ দেই।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমি সাঁতার জানি না, তাই হাঁটুপানিতেই ঝাঁপাঝাপি শেষ করতে হয়। আপনি সাঁতার জানেন তো?

৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: পুকুরটা যেমন মিটমিটে, তেমনি ছবি গুলোও। ঝলমলে ভাব নেই।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এই সব আমার অদক্ষতার ফলাফল।

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কী সুন্দর পুকুরটা
যত্নের অভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:০০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- সামান্য কিছু যত্ন নিলেই চমৎকার একটা পরিবেশ তৈরি করার সম্ভব ছিলো।

১০| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৭:৫৪

আমি সাজিদ বলেছেন: আহা ইতিহাস !

১১ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:২৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:



- আরো কত কি দেখার বাকি!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.