নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যু

মরুভূমির জলদস্যুর বাগানে নিমন্ত্রণ আপনাকে।

মরুভূমির জলদস্যু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিশীথিনী – হুমায়ূন আহমেদ (কাহিনী সংক্ষেপ)

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৪০

বইয়ের নাম : নিশীথিনী
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
লেখার ধরন : মিসির আলি বিষয়ক উপন্যাস
প্রথম প্রকাশ : ১৯৮৬
প্রকাশক : প্রতীক প্রকাশনী
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১০১ টি



সতর্কীকরণ : কাহিনী সংক্ষেপটি স্পয়লার দোষে দুষ্ট


কাহিনী সংক্ষেপ :
নিশীথিনী হচ্ছে দেবী উপন্যাসের পরের অংশ। কেউ কেউ একে দেবী পার্ট টু বলতে যায়। আসলে এটি তা নয়।

ফিরোজ তার বন্ধুর গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে গিয়ে গাছের উপরে একটি চশমা পড়া লোককে দেখে প্রচন্ড ভয় পেয়ে অসুস্থ হয়ে পরে। মিসির আলি তাকে চিকিৎসা করে অনেকটা ভালো করে তোলে। ফিরোজ যে লোকটিকে গাছ থেকে নামতে দেখে তার পরনে ছিলো একটি কালো পেন্ট আর চোখে ছিলো সোনালী ফ্রেমের চশমা। কিন্তু গায়ে কোট শার্ট ছিলো না। মিসির আলি আরো কিছু তথ্য জোগাড়ের জন্য ফিরজের বন্ধুর সেই গ্রামের বাড়িতে যায়। সেখানে তিনি দেখতে পান একটি বন্ধ ঘরে ফিরোজের দেখা লোকটির একটি ছবি। তিনি ছিলেন ফিরোজের বন্ধুর পূর্বপুরুষদের একজন। তিনি খুবই অত্যাচারী জমিদার ছিলেন। একদিন ক্ষিপ্ত প্রজারা তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে।

মিসির আলি বুঝতে পারে এই গল্প শুনেই ফিরোজের মাঝে একটি দ্বৈত সত্ত্বা তৈরি হয়েছে। তাই ফিরোজ মাঝে মাঝেই হাতে একটা লোহার রড নিয়ে পাগলামী শুরু করে।

এদিকে মিসির আলির পুরনো ছাত্রী নিলু মিসির আলিকে জানায় যে সামনেই মিসির আলির খুব বড় বিপদ হবে। (দেবী উপন্যাসে দেখা যায় রানুর দেবী নিলুর কাছে চলে আসে।) সেই দেবীর অলৌকিক ক্ষমতা বলে নিলু মিসির আলির বিপদ বুঝতে পারে।

অন্যদিকে তখন ফিরোজের পাগলামী খুব বেড়ে যায়। প্রতিদিন রাতেই সে লোহার রড নিয়ে পথে নামে আর নিরিহ লোকদের পিটিয়ে মেরে ফেলে। একদিন রাতে সে উপস্থিত হয় মিসির আলির বাড়িতে, হাতে সেই লোহার রড নিয়ে। নিলু তখন তার দেবীকে পাঠায় মিসির আলিকে বাঁচাতে। দেবী নিলুকে ছেড়ে মিসির আলিকে বাঁচাতে আসে।

----- সমাপ্ত -----


=======================================================================

আমার লেখা হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ

আমার লেখা অন্যান্য কাহিনী সংক্ষেপ সমূহ:
ভয়ংকর সুন্দর (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
মিশর রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
খালি জাহাজের রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভূপাল রহস্য (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড় চূড়ায় আতঙ্ক (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সবুজ দ্বীপের রাজা (কাকাবাবু) - সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়


তিতাস একটি নদীর নাম - অদ্বৈত মল্লবর্মণ

ফার ফ্রম দ্য ম্যাডিং ক্রাউড - টমাজ হার্ডি
কালো বিড়াল - খসরু চৌধুরী

কেষ্ট কবির কষ্টগুলো - ইসমোনাক
কেষ্ট কবির কনফারেন্স - ইসমোনাক
কেষ্ট কবি - ইসমোনাক

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৪:০৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: কালো প্যান্ট ?
ফিরোজ প্যান্টের কোন রং বলেনি?

এমন দৃশ্য দেখলে আমিও ভয় পেতাম। দেবীর চেয়ে নিশীথিনী আমার ভালো লেখেছে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:১৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- কালো প্যান্টের কথা বলে নি!! হয়তো আমিই ভুল করে ফেলেছি।
- মিসির আলির প্রায় লেখাই আমার কাছে ভালো লেগেছে।

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৭:২২

কামাল১৮ বলেছেন: যদিও পড়া হয়নাই,সংক্ষেপে কাহিনী পড়ে বুঝলাম,হুমায়ূনের অনেক গল্পের মতো এই গল্পেও মনস্তাত্তিক বিশ্লেষণ আছে।তার এই দিকটি আমার খুব ভালো লাগে।তার অনেক নাটক আমার অনেক বার দেখা।মানুষের এই দিকটা নিয়ে তার ভালো পড়াশুনা ছিলো।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:১৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমার ধারনা হুমায়ূন আহমেদ খুই ভালো পর্যবেক্ষক ছিলেন।
- সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:১৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


হুমায়নের গুরু কে ছিলো?

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:১৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমার জানা নেই।

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৩১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ গল্পে নিশীথিনী কে? ফিরোজ প্রতিরাতে রড নিয়ে বের হয়। কিন্তু সে নিশীথিনী না, কারণ, ফিরোজ পুংলিংগ। আর কাউকে রাতে বের হওয়ার তথ্য পেলাম না। হয়ত মিস করেছি তাহলে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:১৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- সম্ভবতো নীলুর সাথে যে থাকে সেই নিশীথিনী। 8-|

৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:০০

রাজীব নুর বলেছেন: আমি হুমায়ূন আহমেদের সব গুলো বইই অনেকবার করে পড়েছি। কিন্তু এই 'নিশীথিনী' বইটা পড়েছি সবচেয়ে বেশি।
অতি চমৎকার একটা বই। স্বয়ং জাহানারা ইমাম বলেছেন, হুমায়ূন আহমেদের সব লেখা ভেসে গেলেও মিসির আলি কে নিয়ে লেখা বই গুলো আজীবন টিকে থাকবে।

এরকম চমৎকার একটা বইয়ের কাহিনী আরী সুন্দর করে লেখা উচিৎ ছিলো ভাইসাহেব।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:২৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমিও হুমায়ূন আহমেদের প্রায় সবগুলি বই একাধিকবার করে পড়েছি। মিসির আলি আর হিমু হুমায়ূন আহমেদেকে পাঠকের সামনে বাঁচিয়ে রাখবে।

- আমি খুব একটা ভালো লিখতে পারি না ভাইজান।
- উপন্যাসগুলি পড়ার সময়ে কোনো রকমে এই রিভিউ গুলি লিখে রেখেছিলাম। তখন মনে হয়েছিলো এইটুকু পড়লেই পুরো কাহিনী মনে পরে যাবে; কিন্তু এখন দেখছি খুব একটা মনে পরছে না। এখন নতুন করে আবার পড়ে লিখলে সম্ভবতো আরো একটু ভালো লিখা যাবে। সেটা আর হয়ে উঠছে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.