![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোনদিকে যাচ্ছি আমরা!
-----------------------
ওদের নাম -- তৌহিদুল ইসলাম অর্নব, জুবায়ের আহমেদ ও মোহাম্মদ আসিফ রানা।
Desperately Seeking Uncensored (DSU) নামক ফেসবুক গ্রুপের তিন অ্যাডমিন।
এদের বয়স ১৯-২১ বছরের মধ্যে। এই বয়সে 'অনলাইন ধর্ষক' হিসেবে এরা এখন বিচারের কাঠগড়ায়।
হাজতই এদের যথার্থ জায়গা!
ভাবতেই অবাক লাগে, এই বয়সে, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমরা ছাত্র রাজনীতি ও আন্দোলন করতাম। একটা সফল আন্দোলন করার পর মনে মনে ভাবতাম, 'এতো অল্প বয়সে আমরা এতো কিছু পারি!'
না, সবাই রাজনীতি করত না। কেউ হয়তো শুধু কবিতা বলেই গ্যালারিভরা দর্শকের মন জয় করে নিত। কিংবা একটা সফল নাটক মঞ্চায়নের পর গ্রিনরুমেই সেকি রাজ্যের আনন্দ। আর গানে, নাচে প্রাণ জুড়ানোর কথা তো না বললেও চলছে!
কেউ হয়তো ভালো বিতর্ক করত। কেউ শুধু বক্তৃতা দিয়েই জমিয়ে দিত, কাঁপিয়ে দিত সমাবেশ।
আড্ডা জমিয়ে দিতেও কারও কারও ছিল জুড়ি মেলা ভার। কেউ কেউ শুধু ভালো ছাত্রত্বের গুণেই হয়ে উঠত জনপ্রিয়।
এসবের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের একটা বড় প্রজন্ম বড় হয়েছে। এসবের মধ্য দিয়েই ক্লাসরুম থেকে করিডোরে সম্পর্কের বিনি সুতোয় মালা গেঁথেছে ছেলে মেয়েরা।
ওই বয়সেই। অল্প সে বয়স। যে বয়সের সাফল্যে মনটা ভরে উঠত এই অনুভূতি যে, 'এতো অল্প বয়সে আমরা এতো কিছু পারি!'
এরাও পারে। কিন্তু জন্মের কী নিদারুণ অপচয়!
বিজ্ঞান কত কিছু দিল। অথচ কেড়েও তো নিল অনেক কিছু।
শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, নৈতিকতা, মূল্যবোধ-- এসব আজ হারিয়ে গেছে যেন এই অনলাইনের যুগে।
এই যে সদ্য কৈশোরোত্তীর্ণ তিনটা ছেলের কথা বলা হচ্ছে, ফেসবুকের ওই DSU গ্রুপটা ব্যবহার করে এতদিন এরা কী করত? মেয়েদের ব্যক্তিগত ছবিতে অশ্লীল মন্তব্য করত। আর মেয়েদের আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দিত অনলাইনে। মেয়েদের ছবি ভাইরাল করত। করত ব্ল্যাকমেইল।
আমি তো ভাবতেই পারি না, আমার আত্মার আত্মীয় যে কোন নারীর মুখ কোন এক ন্যুড বডিতে বসিয়ে ফটোশপ করে ইন্টারনেটে ভাইরাল করা হচ্ছে। তার পর ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে।
কোন দিকে যাচ্ছি আমরা! কোথায় যাচ্ছে সামাজিক মূল্যবোধ!
এরা রীতিমতো দুর্বিষহ করে তুলেছিল নারীদের জীবন। কত মেয়ের জীবনপ্রদীপ এরা অন্ধকার করে তুলেছে কে জানে!
এদের মতো পুরুষের বর্বরতা নারীকে কতটা রক্ষণাত্মক বানিয়ে ফেলছে তা অবশ্যই ভেবে দেখা দরকার।
অাধুনিকতার নামে ইন্টারনেটের এই পুরুষতান্ত্রিক প্রাদুর্ভাব নারীকে আদতেই অসহায় বানিয়ে দিয়েছে!
এই তিনজনও নারীদের অসহায় বানিয়েছে দিনের পর দিন। আশার বিষয়, ইন্টারনেট তথা অনলাইনের মাধ্যমেই, এই আমরাই নারীর সহায় ও সহযোদ্ধা হতে পারি।
এই কালপ্রিটদের ছবিও ভাইরাল করে একইভাবে এদের প্রকাশ্যে লজ্জা দিন। থুথু উপরে ফেললে যে তা নিজের গায়েই পড়ে, সেটাই বুঝুক এরা!
প্রতিরোধ মুখ বুঁজে হয় না, মুখ খুলুন। প্রত্যাঘাত করুন। আঘাতে আঘাতে এদের জর্জরিত করুন।
#france_make_them_femous!
২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৫:২৬
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
এটা বিজ্ঞান বা ইন্টারনেটের কোন দোষ না। বিজ্ঞান বা ইন্টারনেটের জন্ম হয়েছিল মানুষের ভালোর জন্যই। অমঙ্গলের জন্য।
এদেরকে নৈতিক শিক্ষাটা দেওয়া হয়নি। দোষটা অবশ্যই তাদের অভিভাবকদের। এদের জনপ্রিয়তা অর্জনের দিকে ঝোঁক বেশি। এই ঝোঁকটার জন্যই তারা এত নিচে নামতে পেরেছে। নৈতিক শিক্ষা পরিপূর্ণ ভাবে এদেরকে দিলে এরাও ভাল হয়ে চলতো।
৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:১০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি ব্লগ নাম পরিবর্তনের জন্য [email protected] ঠিকানায় দ্রুত মেইল করুন।
৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
এগুলো ইয়াবার মিয়াবার বজ্য
৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:১৭
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: শুধু আমাদের সচেতনার অভাব। আমাদের সন্তাদের শিক্ষা দিতে হবে যে শিক্ষায় শিক্ষিত ছিল আমাদের বাপ দাদারা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:২১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই জন্যই ছোট থেকেই ধর্মীয় ভাবে বড় করতে হবে সন্তানদের...