![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের সমাজে এত এত প্রকারের মতবাদের মানুষ আছে তা হয়ত আমাদের কল্পনার বাইরে। আমার কাছে তো মাঝে মাঝে মনে হয় যত গুলা মানুষ ঠিক তত রকমেরই মত। আর হয়ত এই কারনেই সমাজের এত বিশৃংখলা।
উদাহরন স্বরুপ: আজ শুক্রবার জুমার নামাজ পরতে গেলাম, তো যতারীতি লেট হয়ে গেল, হুজুর নামাজের জন্য দাড়ালেন এবং সবাই একসাথে দাড়িয়ে গেল আর আমি অপেক্ষা করছি সামনে একটু ফাকা হলেই সেখানে ঢুকে পরব। যায়গা পেলাম দুজনের মাঝখানে, দুজনেই জায়নামাজে সামান্য ফাকা রেখেছিল, আমি ভাবতেছি জায়নামাজ বিছাব কি না। শেষ পর্যন্ত বিছালাম দুজুনের জায়নামাজের মাঝখানে, মানে দুইজনের জায়নামাজের উপর একরকম। নামাজ শুরু করলাম, কিন্তু আমার মানষিক প্রবলেম শুরু হয়ে গেল। ভাবতেছি কাজটা কেমন করলাম, আমারটার নিচে তো ময়লা থাকতে পারে লোক দুইজন আমাকে যায়গা দিছে আমি তাদের জায়নামাজ ময়লা করতেছি বা একরকম দখল স্টাইলে আছি। এই খানে আমরা তিনজন না চারজন আছি, আমরা তিনজন আর পাঠক আপনি। প্রথমে পাঠক আপনাকে দিয়েই শুরু করি। আপনি ভাবছেন ১. এটা কোন আলোচনার বিষয় হল, ২. না দেখি এ লেখক কোথায় গিয়ে থামে, ব্যাপারটায় আমিও মাঝে মাঝে পরি দেখি কোন সমাধান পাই কিনা, এছাড়াও আরও মিনিমাম ১০ টা বিষয় মাথায় আসতে পারে। সেই বিষয়ে না যাই তাহলে গরুর রচনা নদীর রচনায় মুভ করতে পারে।
আমার ডান পাশের জনের মাথায় রাগে মাথায় আসতে পারে:
১. লোকটাকে যায়গা দেওয়াই ভুল হইছে, ২. দু্ই এক মিনিটের বিষয় ব্যাপার না, ৩. নামাজ শেষে কিছু একটা বলব আরও চার পাচটা বিষয় হতে পারে, আবার কিছু নাও ও হতে পারে।
একই ভাবে বাম পাশের লোকটার ও এমন হতে পারে।
আসলে লেখাটা ভাল হচ্ছেনা যখন মাথায় আসছিল তখনই লিখে ফেললে ভাল হত।
নাকি ভাল হচ্ছে?
তো যা বলছিলাম আমার মনে হয় ওই দুই লোক যদি আমার উপর রাগ করেও থাকে আমি আসার সময় বলে আসলে তারা আর রাগ করত না। কিন্তু আমি কিছুই বলিনি কারন আমার কাছে মনে হচ্ছিল এটা ক্ষমা চাওয়ার মত কিছু না, আমি যদি এ নিয়ে কথা বলতাম তাহলে লোক দুজন আমাকে পাগল ভাবত।
আসলে কনফিউশান আর মতামত এ দুটি শব্দ ই মানুষের লাইফের জন্য কাল [ প্যারা {বাধা(প্রতিবন্ধকতা)} ] স্বরুপ। যারা এই দুটি জিনিস এর ব্যাপারটা ওভার কাম করতে পেরেছে তারাই জীবনে গেইনার।
আমি মানুষ হিসাবে কেমন পাঠক এতক্ষনে হয়ত বুঝে ফেলছেন।যে কোন ডিসিশানে এত বেশি নেগেটিভ পজিটিভ ভাবি, এটা কখনও খুবই কাজে আসে আবার কখনও গো টু রি সাইকেল বিন।
ক্যারিয়ার ক্ষেত্রে মতামত আরও বেশি ইমপরটেন্ট। উদাহরন স্বরুপ: বস আমার কাছে মতামত চাইলেন, আমার মাথায় অনেক মতামত আছে, কিন্তু আমি শেয়ার করতে পারিনা কারন তিনি সবার সামনে আমকে লজ্জায় ফেলতে পারেন। যদিও আমি ১০০ ভাগ জানি আমাকে পুর্ন যুক্তি তুলে ধরার ফ্রিডম দিলে আমি প্রমান করতে পারব আমি রাইট, বাট সে সুযোগ আমি পাব না। আমার মনে হয়, এটা বিরাট ভুল করে বসরা।
তাহলে কি বসরা এরকম ভুল করে বিধায় তারা বস!!??
আসলে সমাজে যেমন মধ্যবিত্ত আছে কোম্পানিতে থাকে, এই মধ্যবিত্তরা সবসময় প্রসটিজকেই প্রধান্য দেয় বিধায় তারা খুব স্লো আগায়।
আবার এক এক বস এক এক স্ট্রেটেজি তে আগায়, কেউ এ্যাপ্রিশিয়েশান প্রসেস এ আগায় আবার কেউ রিজেকশান প্রসেস এ আগায়।
আমি নিজে কিন্তু বস হিসাবে ওরকম না, আমি এ্যাপ্রিশিয়েশান প্রসেস এ আগাই।
এখানে দু্ইটার পিছনেই যুক্তি আছে..... চলবে......
©somewhere in net ltd.