নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমরা খুব লম্বা সময় দুনিয়াতে পার করি।

গোলাম রাব্বি

আমি একজন প্রাকটিক্যাল মানুষ।

গোলাম রাব্বি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পয়েন্ট অফ ভিউ

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১৪

আমি প্রতিদিন বাসে করে, কখনও রিক্সা, রেয়ার টাইম সি এন জি করে অফিসে যাই। আমার অফিস তেজগাও নাবিস্কো এলাকা। খুবই বাজে লোকেশান, মনে হয় প্রতিদিন একটা যু্দ্ধ করি অফিসে যাওয়ার জন্য। আগে তাল তলা দিয়ে যেতাম, কিন্তু ওখানে কোন বাস থামায় না এখন। বাধ্য হয়েই শ্যাওড়া পাড়া এসে লাইনে দাড়িয়ে দাড়াই হিমাচল এবং অালিফ বাসের। লাইন এর সাইজ অবশ্য একটা ট্রেন এর চেয়ে কম না। ওরা অত ব্যাস্ত সময়ে মাত্র ৪-৬ লোক উঠায় অথচ আরও ৬০ জন লোক এর অফিস এর সময় চলে আসছে। বাস ওয়ালারা চাইলেই অল্প কয়েকটা বাস দিয়ে সব যাত্রী উঠিয়ে নিতে পারে। কিন্তু ক্যান নিতে পারেনা জানেন? আমাদের মত আরও কিছু যাত্রী আছে যারা দাড়ানো যাত্রী উঠলেই ড্রাইভার হেল্পার এর সাথে চড়াও হয়। অথচ যাত্রী দাড়ানো অবস্থায় উঠলে বসা যাত্রীদের কোন সমস্যাই হয়না। কিন্তু কেন তারা এ্টা করে আমার বুঝে আসেনা। তাদের মন্তব্য হচ্ছে এটা সিটিং সার্ভিস এটায় কেন দাড়ানো যাত্রী থাকবে। আচ্ছা দাড়ানো যাত্রী থাকলে সমস্যা কি? আর আপনি যেমন তারাতারি অফিসে পৌছানোর জন্য ড্রাইভার কে তাড়া দেন, আপনার মত আরও অনেক এ্যামপ্লয়ি আছে যাদের রেগুলার টাইম থেকে আপনার তুলনায় অধা ঘন্টা বা এক ঘন্টা দেরি করে অফিসে পৌছাবে শুধু আপনাদের মত যাত্রীদের কারনে। ওই লাইনে আপনাকেও দাড়াতে হবে। তখন হয়ত ফিল হবে। বাস যেখান থেকে ছাড়ে এবং যেখানে গিয়ে পৌছায় মনে হয় গাড়ি যেন তাদের। কোথাও থেকে যাত্রী তুলতে দিবেনা, কিন্তু ক্যান। মাঝ পথের যাত্রীরা কি যাত্রী না?
আমাদের মানুষ গুলো বিশেষ করে ঢাকার মানুষগুলো খুবই সেলফিস টাইপের। আমি বুঝতেছি কাজের অনেক প্রেসার, সংসারে ঝামেলা আর কত সমস্যা আছে, তাই বাধ্য হয়ে যায় সেলফিস হওয়ার জন্য। কিন্তু একটু কি পজিটিভ হওয়া যায়না?
কি এমন ক্ষতি হয় একটু ভদ্রতা দেখালে, কি এমন ক্ষতি একটু কাউকে সাহয্য করলে?
আমাদের মাথায় কেন আসেনা আজ এই শহরে যত মানুষ আছে তারা যদি প্রতিদিন একটা পজিটিভ কাজ করে কত গুলো পজিটিভ হয় কাজ হয় হিসাব করে দেখছেন? আমাদের মাথায় সব সময় একটা জিনিস ই কাজ করে আমি না হয় করলাম, বাকি তো কেউ করবে না।
কিন্তু আপনি কি লক্ষ্য করে দেখছেন আপনি প্রতিদিন একটা করে পজিটিভ কাজ করলে আপনার মাস শেষে ৩০ টা পজিটিভ কাজ জমা হল!!
এগুলোর ফিড ব্যাক আপনি অবশ্যই পাবেন। একটু ভেবে দেখেছেন আমার আপনার মত নেগেটিভ লোকদের জন্যই এই ঢাকা টা আজ সেলফিস ঢাকা! আমি লিখছি আমাকে নিয়ে ও সমালোচনা হবে বা কোন পাঠক ভাববে হেহ, কোথা থেকে যে আসে এরা, মনে হয় প্রথম এসেছে ( সার্ফ এক্সেলের এ্যাড এর মত)। সবাই ভাবছেন হয়ত: আমি কি প্রতিদিন একটা পজিটিভ কাজ করি? হয়ত আমার ৩০ টা পজিটিভ কাজ হয়না সব মাসে, মিনিমাম ২০ টা করতে কাজ অবশ্যই হয়। তবে বেশির ভাগই সময়ই ৩০ প্লাস হয়। একটা উদাহরন দেই?
একদিন লাইনে দাড়িয়ে আছি বাসের জন্য। আমি লক্ষ্য করলাম পুরো লাইনটা ফুটপাত বাদ দিয়ে রাস্তায় এসে লাইন বানিয়েছে। ট্রাফিক বেচারা একটু পর পর হেটে যাচ্ছে কিন্তু যাত্রীদের বলতে মনে হয় সাহস পাচ্ছে না। আমি উদ্দ্যোগ নিলাম। আমি লাইনের মাঝামাঝি পজিশানে। পিছনের যাত্রীকে বলে আমি সামনে অগ্রসর হলাম। প্রথম জনকে বললাম রাস্তা ছেড়ে ফুটপাতে ওঠার জন্য কিন্তু তাকে এক্সপ্লেইন করতে হবে। তা ও করলাম কিন্তু তার পছন্দ হল না। আমি এর পর দ্বিতীয় জনকে বললাম, সে ও তেমন পাত্তা দিল না। মেজাজ যে কি পরিমান গরম হচ্ছে বুঝাতে পারব না। মানুষ এমন ক্যান? তৃতীয় জন আমাকে হেল্প করল এবং সে ও আমার সাথে সবাইকে রিকোয়েস্ট করল, এরপর দেখলাম আরও কিছু লোক বলাবলি করার পর সবাই ফুটপাতে উঠল শুধু সামনের লোকটা তখনও উঠেনি, যেখানে পুরো লাইন ফুটপাতে উঠে গেছে। এবার সবাই সার্কাস দেখছে এবং মুচকি হাসছে ওই লোকটা এখন কি করে দেখে। আমি টাইম দেখছি ১০ সেকেন্ড-১৫ সেকেন্ড-২০ সেকেন্ড... টুই করে ফুটপাতে উঠে গেছেন ভয়ানক ফাউল লোকটা।
.......... পরে লিখব আরও কিছু পজিটিভ কাজের নমুনা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০১

হানিফঢাকা বলেছেন: এইটার গ্রহনযোগ্য একমাত্র সমাধান হচ্ছে সিটিং সার্ভিস তুলে দিয়ে এই সব বাস গুলিকে দাড়িয়ে যাত্রী নিতে দেওয়া এবং এর জন্য ভাড়া কমানো। তাহলে সবার উপকার হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.