নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিটা মানুষ যেমন স্বতন্ত্র, ঠিক তেমনি প্রতিটি জাতিরও তাদের নিজস্ব একটা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য আছে। ১৯৭১ সালে আমরা শুধু একটা ভূখন্ডের জন্য যুদ্ধ করি নাই। আমাদের নিজস্ব একটা দেশ হবে, সে দেশের মানুষ উচ্চ শিক্ষা লাভ করবে, অর্থনৈতীক মুক্তি আসবে, দারিদ্রতা থাকবে না, সবাই সমান চিকিৎসার সুযোগ পাবে ও আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি আছে সেটা আমরা বুকে লালন করবো একান্ত আমাদের মতো করে। এ আশা নিয়েই সবাই যুদ্ধে গিয়েছিল। একটা জাতিকে ধ্বংস করতে হলে সে জাতির প্রথমে সংকৃতিকে ধ্বংস করতে হয়। যার জন্য পাকিস্তানি জঙ্গীরা প্রথমেই আমাদের প্রাণের ষ্পন্দণ বাংগালী সংস্কৃতির উপরে হামলা করেছিল। পহেলা বৈশাখ পালন করা যাবেনা। রবীন্দ্র সংগীত শোনা যাবেনা। রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন পালন করা যাবেনা ইত্যাদি। বাংগালী সংস্কৃতি বলতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিম বঙ্গ, আসাম,ত্রিপুরা, গণমানুষের সাহিত্য, সংগীত, নৃত্য, ভোজনরীতি, পোশাক, উৎসব ইত্যাদির মিথস্ক্রিয়াকে বোঝানো হয়ে থাকে। বাংলাদেশের রয়েছে শত শত বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। বাংলাদেশের সংস্কৃতি স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বমহিমায় উজ্জ্বল। বাংলাদেশ পৃথিবীর সমৃদ্ধ সংস্কৃতির ধারণকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।
আজ আমরা এক বিজাতীয় সংস্কৃতি পালন করতে শুরু করেছি। যে সংস্কৃতির সাথে আমাদের মন মনন ও আত্বার সাথে কোন সম্পর্ক্য নাই। স্বাধীনতার পরাজিত অপশক্তি সুকৌশলে ধর্মের নামে আমাদের এক অপসংকৃতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা আমাদের নিজস্বতা হারাবো। আরবী দানবদের সভ্যতা ইতিমধ্যে যারা গ্রহন করেছে তাদের কি অবস্থা তা হার হারে টের পাচ্ছে আফগানীস্তান, পাকিস্তান। এখনই রুখতে হবে বিজাতীয় আরবী সংস্কৃতি। এখন আরেকটা সংস্কৃতিক আন্দোলন দরকার,প্রয়োজন হলে আরেকটা সংস্কৃতিক যুদ্ধ করতে হবে আমাদের।
©somewhere in net ltd.