![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্মের নামে নারী বিদ্বেষ ও মৌলবাদীদের মুখোশ উন্মোচণ
আজকের পৃথিবীতে ধর্ম মানুষের আত্মিক পরিশুদ্ধি ও নৈতিক উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যম হওয়া উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ধর্মকে ব্যবহার করছে এক ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে বিশেষ করে নারীদের বিরুদ্ধে নিপীড়নের হাতিয়ার রূপে। বাংলাদেশেও এক শ্রেণির তথাকথিত ইসলামপন্থী মৌলবাদী আজ ইসলাম ফোবিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তারা যেন ধর্ম নয়, বর্বরতা প্রচার করতে মঞ্চে উঠে আসে।
এই মৌলবাদীরা নারীদের নিয়ে যে ভাষায় কথা বলে, তা শুধু অশালীন নয়, চূড়ান্ত অপমানজনক। তাদের কথাবার্তা শুনে মনে হয় যেন তারা কোনো নারী গর্ভে জন্ম নেয়নি। এরা ভুলে যায়, একজন নারী একজন মা এই সমাজের প্রতিটি পুরুষের প্রথম শিক্ষক, প্রথম আশ্রয়। অথচ তারা নারীদের পোশাক, চুল, চলন-বলনকে কেন্দ্র করে ঘৃণা ছড়ায়, অপমান করে, হেয় করে। এ কোন ধর্ম শিক্ষা দেয় যে, একজন নারীকে তার শরীর দিয়ে মাপতে হবে? যে ধর্ম 'মা' কে বেহেশতের চাবির চেয়েও সম্মানজনক আসনে বসায়, সেই ধর্মের নাম ভাঙিয়ে নারীদের পায়ে শেকল পরাতে চায় এই মৌলবাদীরা?
তাদের ভণ্ডামি এখানেই শেষ নয়। তারা ক্ষমতায় এলে শরিয়া আইনের নামে মধ্যযুগীয় বর্বরতা কায়েম করার স্বপ্ন দেখে। তারা চায় মেয়েরা স্কুলে না যাক, রাস্তায় না বের হোক, ঘরে বন্দী থাকুক। তারা চায় ইরানের মতো নারীরা যদি চুল ঢাকতে ভুলে যায়, তাহলে তাকে গ্রেফতার করা হবে, নির্যাতন করে মাথা নত করা হবে। অথচ ইসলাম শিক্ষা দেয় জ্ঞান অর্জন করা নারী-পুরুষ সবার জন্য ফরজ। ইসলাম কখনোই নারীকে দাসী বানায়নি; বানিয়েছে সম্মানিত সঙ্গী, জ্ঞান অন্বেষণকারী, সমাজগঠনের অন্যতম স্তম্ভ।
আমরা স্পষ্ট করে বলছি বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ, মানবিক, প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। এই রাষ্ট্রে নারীরা শুধু ভোট দিয়ে সরকার গঠন করেন না, তারা দেশ চালান, যুদ্ধ করেন, চিকিৎসা দেন, শিক্ষা দেন তাদের বাদ দিয়ে সভ্যতা চলে না। কাজেই যারা নারীদের শেকলে বাঁধতে চায়, তারা রাষ্ট্রের শত্রু, মানবতার শত্রু। তারা ইসলাম নয়, বর্বরতা চায়। আর বর্বরতা এই দেশের মাটি কোনোদিন মেনে নেয়নি, আজও নেবে না।
আমরা এই মৌলবাদীদের স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই তোমাদের ধর্মের মুখোশ পরে নারীঘৃণার রাজনীতি আর চলবে না। যারা নারীকে হেয় করে, তারা ধর্ম নয়, বিকৃত মানসিকতার ধারক। এই বাংলার নারী শুধু ঘরের চার দেয়ালের মধ্যে আবদ্ধ থাকবে না সে আকাশ ছোঁবে, রাষ্ট্র গড়বে, ইতিহাস লিখবে।
নারীর সম্মান মানেই সমাজের সম্মান। নারীকে অবজ্ঞা মানে নিজের জন্মকেই অবজ্ঞা করা। মৌলবাদীদের এই লজ্জাজনক, অসভ্য ও মিথ্যাচারে আমরা ক্ষুব্ধ, আমরা জেগে আছি আর আমরা দাতভাঙা জবাব দেব। কলম দিয়ে, যুক্তি দিয়ে, মানুষের ভালোবাসা দিয়ে।
নারী-মায়ের মর্যাদা:
এক সাহাবী রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করেন, কার সঙ্গে সবচেয়ে উত্তম ব্যবহার করবো?
তিনি উত্তর দেন: “তোমার মা।”
দ্বিতীয়বারেও বললেন “তোমার মা।”
তৃতীয়বারেও বললেন “তোমার মা।”
চতুর্থবার বললেন: “তারপর তোমার বাবা।”
(সহীহ বুখারী)
২| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ৭:৩৪
যামিনী সুধা বলেছেন:
মোল্লারা অশিক্ষিত ও বেদুইন মানসিকতার মানুষ, ওদের কথার কোন মুল্য নেই। নবী নারী নিয়ে কি বলেছেন, উহাও সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই; উনি বেদুইন যুগে আরবে বাস করেছিলেন, সভ্যতা দেখেননি।
৩| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ৭:৩৭
যামিনী সুধা বলেছেন:
আজকের এই যুগে, নারীর অধিকার নিয়ে কথা বলতে সাহাবী মাহাবী টানছেন কেন? আপনাকে টানতে হবে বেগম রোকেয়া, ইন্দিরা গান্ধীর মতো মহিলাকে।
৪| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ৮:৪১
কামাল১৮ বলেছেন: প্রতিটা মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
৫| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ৯:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: মোল্লারা যে কুৎসিত মানসিকতার সেটা আবারও প্রমান হলো।
৬| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ৯:৩৪
Sulaiman hossain বলেছেন: বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। এখানে আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে জনগণের ধর্মীয় অনুভূতি, সামাজিক ঐতিহ্য এবং পারিবারিক কাঠামোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা জরুরি। নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত আইনটি যেভাবে রচিত হয়েছে, তা শুধু ইসলামবিরোধী নয়, এটি পুরো সমাজব্যবস্থার ভিত্তিকে নড়বড়ে করে দেবে। আমাদের সজাগ থাকতে হবে, সচেতন হতে হবে এবং ইসলামি চিন্তাবিদ, আলেম ও সমাজপতিদের এগিয়ে আসতে হবে এ ধরনের চক্রান্ত প্রতিহত করতে।
৭| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ১০:৪৭
Sulaiman hossain বলেছেন: নিন্দা জানাই বুদ্ধিজীবীদের নৈতিক বিপর্যয়ে
আমরা গভীর উদ্বেগ ও দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, সমাজে নারীর প্রকৃত অধিকার ও মর্যাদার প্রশ্নে যখন সাধারণ মানুষ সঠিক দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় থাকে, তখন একদল তথাকথিত বুদ্ধিজীবী নারী কমিশনের নাম ব্যবহার করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এদের অবস্থান স্পষ্টতই পক্ষপাতদুষ্ট, একপেশে ও বাস্তবতা-বিবর্জিত।
এই বুদ্ধিজীবীরা নারী-অধিকারের নামে এমন সব অবস্থান নিচ্ছেন, যা পরিবারব্যবস্থা, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সামাজিক সাম্যকে বিনষ্ট করছে। তারা তথাকথিত আধুনিকতার নামে ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে নারীর মর্যাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন। অথচ একজন নারীর প্রকৃত সম্মান, নিরাপত্তা ও অধিকার ইসলামী বিধানে পূর্ণভাবে সংরক্ষিত।
আমরা মনে করি, এই বুদ্ধিজীবীদের কথিত প্রগতিশীলতা আসলে একটি গভীর সংকটের বহিঃপ্রকাশ—যেখানে নৈতিকতা, ধর্মীয় জ্ঞান ও বাস্তবতাবোধ হারিয়ে গেছে। নারী কমিশনের পৃষ্ঠপোষকতায় যেসব বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য ও অবস্থান নেওয়া হচ্ছে, তা সরাসরি সমাজের স্থিতিশীলতা ও ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি হুমকি।
অতএব, আমরা এই বিভ্রান্তিকর বুদ্ধিজীবীচক্রের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, এবং সর্বস্তরের চিন্তাশীল মানুষকে আহ্বান করছি—সত্য, ন্যায় ও ইসলামী আদর্শের আলোকে নারীর অধিকার সংরক্ষণের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হোন।
৮| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ দুপুর ১:০৭
কু-ক-রা বলেছেন: উহা (যামিনী সুধা) পাঁদগাজী
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা মে, ২০২৫ সকাল ৭:২৭
নকল কাক বলেছেন: এছারাও যারা নিজেদের "প্রগতিশীল" পরিচয় দিয়ে নারী অধিকার নিয়ে উচ্চস্বরে তত্ত্ব দাঁড় করান, তাদের অনেকের কথামালা আর বাস্তব আচরণের মধ্যে বিস্তর ফারাক। এদের অনেকে নারী স্বাধীনতা নিয়ে বক্তৃতা দেন, ধর্মীয় মূল্যবোধকে পশ্চাৎপদ বলেও নিন্দা করেন, অথচ তাদের নিজেদের ঘরের কাজের মেয়েটির প্রতি ন্যূনতম মানবিক আচরণ করতেও ব্যর্থ হন। অনেক সময় সেই গৃহপরিচারিকা হয় অপ্রাপ্তবয়স্ক, আর তার ওপর চলে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। এই তথাকথিত প্রগতিশীলরা আসলে সুবিধাবাদী; ধর্ম বা নারী-স্বাধীনতা কোনোটি নিয়েই তাদের আগ্রহ আন্তরিক নয়। ধর্মকে আক্রমণের লক্ষ্য বানিয়ে তারা নিজেদের জন্য সামাজিক ও রাজনৈতিক সুবিধা অর্জনের চেষ্টা করেন। এ কারণেই তাদের বক্তব্য ও কার্যকলাপের মধ্যে থাকে বিস্তর বিভাজন, তারা সমস্যার সামগ্রিকতা নয়, বরং আংশিক ও পক্ষপাতদুষ্ট ব্যাখ্যা দিয়ে সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন।