নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ভালবাসার স্বাধীনতা: সমকামী সম্পর্ক অপরাধ নয়, এটি মানবাধিকার"

১৮ ই মে, ২০২৫ ভোর ৬:২৩

"ভালবাসার স্বাধীনতা: সমকামী সম্পর্ক অপরাধ নয়, এটি মানবাধিকার"

ভূমিকা
ভালোবাসা এমন এক মানবিক অনুভূতি যা জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, যৌনতা বা ভৌগোলিক সীমারেখা মানে না। তবুও, একবিংশ শতাব্দীর প্রগতিশীল যুগেও অনেক দেশে সমকামীতা (homosexuality) অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এটি শুধু আইনি নয়, বরং সামাজিক ও সাংস্কৃতিকভাবে অপমান ও বৈষম্যের জন্ম দিচ্ছে। প্রশ্ন হলো একজন মানুষ কাকে ভালোবাসবে বা কার সঙ্গে জীবন কাটাবে, তা কীভাবে রাষ্ট্র, সমাজ বা সংস্কৃতি নির্ধারণ করতে পারে? ব্যক্তি তার যৌন অভিমুখতা ও জীবনসঙ্গী নির্বাচনের স্বাধীনতায় কেন বাধাগ্রস্ত হবে?

ব্যক্তিস্বাধীনতা ও মানবাধিকার
জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা (Universal Declaration of Human Rights) ১৯৪৮ সালের ১ম অনুচ্ছেদে ঘোষণা করে "সব মানুষ স্বাধীনভাবে এবং সমান মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।" এই ঘোষণার আলোকে বলা যায়, প্রতিটি ব্যক্তির রয়েছে নিজস্ব পছন্দ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার, যার মধ্যে যৌন অভিমুখতা ও জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার স্বাধীনতাও অন্তর্ভুক্ত।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো যেমন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, বহু বছর ধরে বলছে সমকামীতা কোনো "অপরাধ" নয়, বরং সমকামীদের প্রতি বৈষম্যই হচ্ছে মানবাধিকার লঙ্ঘন।

আইনি অগ্রগতি: উদাহরণ কিছু দেশের
অনেক দেশ ইতোমধ্যেই সমকামী সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিয়ে আইনি বৈধতা দিয়েছে, যেমন

যুক্তরাষ্ট্র: ২০১৫ সালে Obergefell v. Hodges মামলায় মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট রায় দেন যে সমকামীদের বিবাহের অধিকার সংবিধানসম্মত।

ভারত: ২০১৮ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট Section 377 বাতিল করে জানায়, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সম্মতিকৃত সমকামী সম্পর্ক আর কোনো ফৌজদারি অপরাধ নয়।

নেপাল: দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম উদার দেশ হিসেবে নেপাল সমলিঙ্গ সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং সেখানে তৃতীয় লিঙ্গকেও আইনি মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে।

কানাডা, স্পেন, আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা সহ বহু দেশ সমলিঙ্গ বিবাহ আইনি বৈধতা দিয়েছে এবং একইসঙ্গে সমকামী দম্পতিদের দত্তক নেওয়ার অধিকারও দিয়েছে।

বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ
বিশ্বখ্যাত মনোবিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান American Psychological Association (APA) এবং World Health Organization (WHO) পরিষ্কারভাবে বলেছে সমকামীতা কোনো রোগ বা বিকৃতি নয়। WHO ১৯৯০ সালেই সমকামীতাকে রোগের তালিকা থেকে সরিয়ে দেয়। ফলে, একে "সুস্থতা" থেকে বিচ্যুতি হিসেবে দেখা পুরোটাই অবৈজ্ঞানিক ও বৈষম্যমূলক।

ধর্ম ও সংস্কৃতির ভুল ব্যাখ্যা
ধর্ম ও সংস্কৃতি অনেকসময় যৌনতার বিষয়ে রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি প্রচার করে, কিন্তু ইতিহাস ও প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বহু সংস্কৃতি ও সভ্যতায় সমকামীতার অস্তিত্ব ছিল। যেমন:

ভারতীয় পৌরাণিক সাহিত্যে সমকামীতার উল্লেখ পাওয়া যায় (যেমন: কুন্নুরের খাজুরাহোর মন্দিরে সমকামী সম্পর্কের চিত্রকর্ম)।

গ্রিক ও রোমান সভ্যতায় সমকামী সম্পর্ক ছিল প্রচলিত ও সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য।

জাপানের সামুরাই সংস্কৃতিতেও সমলিঙ্গ ভালোবাসার ইতিহাস রয়েছে।

সমাজের দায়িত্ব: ভালোবাসাকে অপরাধ না করে, গ্রহণযোগ্যতা তৈরি
সমাজের উচিত তার সদস্যদের ভিন্নতা গ্রহণ করা। ভালোবাসা যদি সম্মতিতে হয়, তাতে কারও ক্ষতি না হয় তাহলে সেটিকে অপরাধ বলা নয়, বরং স্বাধীনতা হিসেবে মান্যতা দেওয়া উচিত।
একজন মানুষ কিভাবে জীবনযাপন করবে, কাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করবে এটা নির্ধারণ করার অধিকার একান্তভাবে সেই ব্যক্তির। এই সিদ্ধান্ত সমাজ বা রাষ্ট্র নয়, ব্যক্তিই নেবে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইসলামে সমকাম সম্পূর্ণ রূপে নিষিদ্ধ।

২| ১৮ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:১৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে।

৩| ১৮ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:১৫

তানবির আহমেদ বলেছেন: আপনি "ভালোবাসা", "স্বাধীনতা" ও "মানবাধিকার" শব্দগুলো এমনভাবে ব্যবহার করা করেছেন, যেন এগুলোর কোনো সীমা, কাঠামো বা দায়বদ্ধতা নেই। বিশেষ করে সমকামীতা বা যৌন অভিমুখতার বৈধতা নিয়ে যেসব যুক্তি তুলে ধরেছেন, সেগুলোর বেশিরভাগই একতরফাভাবে ব্যক্তিস্বাধীনতা ও মানবাধিকারের নামে সমাজ, সংস্কৃতি ও ধর্মের ভূমিকাকে উপেক্ষা করে।

ব্যক্তি স্বাধীন—এ কথা যেমন সত্য, তেমনি সেই ব্যক্তির আচরণ সমাজে কী প্রভাব ফেলবে, সেটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানবাধিকারেরও একটি সামাজিক প্রেক্ষাপট, দায় ও সীমা থাকে। যদি ব্যক্তি স্বাধীনতার নামে সব কিছু বৈধ হয়ে যায়, তাহলে সমাজ তার শালীনতা, নৈতিকতা ও নিয়ন্ত্রণ হারাবে।
আপনি পশ্চিমা দেশের (যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জার্মানি) কিছু আইনগত স্বীকৃতিকে দেখিয়ে বোঝাতে চেয়েছেন সমকামীতা বৈধ, উন্নত ও ন্যায্য। ভাই, একটি দেশের আইন বা সামাজিক রীতি কি অন্য দেশের ধর্ম, সংস্কৃতি, জনসংখ্যা ও মূল্যবোধের সাথে তুলনা করা উচিত? যা একটি দেশে বৈধ, তা অন্য দেশে নাও হতে পারে। আইনি বৈধতা কখনোই একক নৈতিক মানদণ্ড হতে পারে না।
আপনি প্রাচীন মন্দির, সামুরাই সংস্কৃতি, প্রাচীন সভ্যতার দৃষ্টান্ত টেনে সমকামী ভালোবাসাকে ‘স্বাভাবিক’ দেখানোর চেষ্টা করেছেন। ভাই বলেন তো, ইতিহাসে যুদ্ধ, দাসত্ব, নারী নিপীড়নও প্রচলিত ছিল—তা কি তাই বলে গ্রহণযোগ্য? কোনো ধর্মগ্রন্থে বা ভাস্কর্যে কিছু উল্লেখ থাকলেই, তা অনুমোদনের প্রমাণ হয় না।
সবশেষে বলতে চাই, যদি “ভালোবাসা” "যৌন অভিমুখতা" বা “স্বাধীনতা”কে কোনো কাঠামো ছাড়াই বৈধতা দেওয়া হয়, তাহলে সমাজে নৈতিক নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে। এটা সবাইকে বুঝতে হবে যে "ভালোবাসা বা সম্পর্কেরও একটি প্রাকৃতিক ও নৈতিক কাঠামো রয়েছে।" যদি যৌন অভিমুখতা সম্পূর্ণ ব্যক্তিস্বাধীন হয়, তাহলে ভবিষ্যতে পেডোফিলিয়া, ইনসেস্ট, রোবট বা প্রাণীর প্রতি যৌন আকর্ষণকেও কি কেউ বৈধতার দাবি করবে না?

৪| ১৮ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:৪০

কামাল১৮ বলেছেন: সমকামিতা জিনগত বিষয়।বৈজ্ঞানিক ব্যাখা আছে এর।মানুষের ইচ্ছা নিরপেক্ষ একটা সাভাবিক কাজকর্ম।আমি ইচ্ছা করলেই সমকামি হতে পারবোনা আবার একজন সমকামি ইচ্ছা করলেই তার থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেনা।

৫| ১৮ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:২৩

নতুন বলেছেন: সমকামী দের মানবিক অধিকার দিতে হবে সেটা ঠিক আছে। শুধু্‌ই যৌনতার চয়েসের জন্য সমকামীদের সাজা দেবার বিপক্ষে আমিও।

কিন্তু আপনার কি রুচির বিকৃতি ঘটেছে যে ছেলেদের এই রকমের কদর্জ ছবি পোস্টে যোগ করলেন।

প্লিজ ছবি সরিয়ে নিন। এইগুলি দেখলে তো সেইদিন মুডই নস্ট হয়ে যায়।

৬| ১৮ ই মে, ২০২৫ দুপুর ১:৫৩

কাঁউটাল বলেছেন: শয়তানি ব্লগ

৭| ১৯ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:১০

রাজীব নুর বলেছেন: !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.