নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি বিপন্ন জাতির আর্তনাদ: ইউনূসের শাসনে ধ্বংসের পথে বাংলাদে।

০৩ রা জুন, ২০২৫ রাত ১১:২৪

একটি বিপন্ন জাতির আর্তনাদ: ইউনূসের শাসনে ধ্বংসের পথে বাংলাদেশ
===========================================
দেশ এক নতুন "ত্রাণকর্তা" পেয়েছে, কিন্তু সেই ত্রাণকর্তা যে জাতিকে ত্রাসের মধ্যে ঠেলে দেবে, তা বুঝতে অনেকের সময় লাগেনি। ইউনূস সাহেব যখন রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করলেন, একদল বুদ্ধিজীবী ও তথাকথিত আতেল গোষ্ঠী উল্লাসে মেতেছিলেন বলেছিলেন, "বাংলাদেশ এবার জাপান-সিঙ্গাপুর হবে।" কিন্তু সময়ের চাকায় খুব দ্রুতই সেই অলীক স্বপ্নের খোলস খুলে পড়েছে।
আজ যখন দেখছি, দেশের কুখ্যাত দুর্নীতিবাজ, ধর্ষক, খুনী, চোরাকারবারী, রাজাকার এবং সন্ত্রাসীদের জেল থেকে মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে, তখন প্রশ্ন জাগে এই কি ছিল পরিবর্তন? শেখ হাসিনার উপর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের খালাস দিয়ে কি আমরা স্বাধীনতার চেতনার প্রতি চরম অবমাননা করিনি?
দেশ আজ নিরাপত্তাহীনতার জ্বলন্ত চিত্র। প্রতিদিনই গণমাধ্যমে শিরোনাম হয় খুন, ধর্ষণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজি। একের পর এক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ, হত্যাকাণ্ড সবই ঘটছে প্রশাসনের নীরব দর্শকের ভূমিকার মাঝে। আজ পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী নিরব; কেউ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বরং অনেক সময় তাদের পক্ষপাতিত্বে এসব অরাজকতা আরও উৎসাহিত হচ্ছে।
নিরাপত্তার শূন্যতায় প্রতিটি মানুষ আতঙ্কিত
আজ সাধারণ মানুষ নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির নেতাকর্মীরা যেখানেই আছেন, টার্গেট কিলিং চলছে। কেউ প্রতিবাদ করলে হয় পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে, নয়তো গায়েবি মামলা দিয়ে জেলে পুরে দেয়া হচ্ছে। এমনকি জেলখানা ও আদালতের মত নিরাপদ স্থানেও সরকারবিরোধী লোকদের উপর হামলা হচ্ছে। কোনো মিডিয়া স্বাধীনভাবে এসব প্রকাশ করতে পারছে না। করলেই জেল-জরিমানার ভয়।
শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ ধ্বংসের মুখে
সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে শিক্ষাক্ষেত্রে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নেই পড়াশোনার পরিবেশ। ছাত্ররা অটোপাস দাবি করছে, শিক্ষকরা নীরব কারণ রাষ্ট্র তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে না। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে সৃষ্টি করা হয়েছে চরম হতাশা, অবিশ্বাস আর অন্ধকার ভবিষ্যৎ। একটি পরিকল্পিত অপচেষ্টা চলছে একটি প্রজন্মকে শিক্ষা বিমুখ করে তোলার।
আরো ভয়াবহ বিষয় হলো, দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতার পক্ষের আদর্শে বিশ্বাসী সম্মানিত শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের হাতেই লাঞ্ছিত করা হয়েছে। ক্লাসরুম থেকে টেনে-হিঁচড়ে জুতা পিটা করে বের করে অপমানিত করা হয়েছে। যারা বছরের পর বছর দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার কাজে নিয়োজিত ছিলেন, তাদের এভাবে অপমান করা শুধু একজন ব্যক্তির নয়, গোটা জাতির মেরুদণ্ডে লাথি মারা। এই ঘটনা আমাদের জাতি হিসেবে গভীর লজ্জায় ফেলে দেয়।
দুর্নীতিবিরোধী নাটকের ভেতরের মুখোশ
সবচেয়ে প্রশ্নবিদ্ধ বিষয় হলো যাদের বিরুদ্ধে দিনের পর দিন দুর্নীতির পাহাড়সম অভিযোগ আনা হয়েছে, সেই বিগত সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের বিরুদ্ধে একটি মামলারও রায় এই সরকারের আদালতে এখনো দেয়া হয়নি।
প্রশ্ন জাগে,আদালত যদি স্বাধীন থাকে, তবে কেন একটি মামলারও বিচার শেষ হলো না?
আর যদি কেউ প্রকৃত দোষীই হয়ে থাকে, তবে কেন তাদের রাতের আঁধারে গোপনে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া হলো?
এটাই আজ মানুষ বুঝে গেছে সবকিছুই ছিল ইউনূসের এক সুপরিকল্পিত নাটক। দুর্নীতিবিরোধী স্লোগান ছিল একটি মোড়ক, যার আড়ালে নিজ স্বার্থ রক্ষা ও বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করাই ছিল মূল লক্ষ্য। বিচার চাইবার নামে কেবল রাজনৈতিক প্রতিশোধের সংস্কৃতি চালু হয়েছে সত্যিকারের বিচার বা ন্যায়বিচার নয়।
ব্যক্তিগত স্বার্থে রাষ্ট্রের অপব্যবহার
যেখানে দেশের মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে, সেখানে ইউনূস সাহেব নিজের করবাবদ প্রায় ৭০০ কোটি টাকা মওকুফ করে নিয়েছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের প্রায় ৪৫০০ কোটি টাকার মামলা ক্ষমতার জোরে বাতিল করেছেন। তাঁর ছায়াতলে থাকা সহযোগীদের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক বানানো হয়েছে। যেই ইউনূস দুর্নীতিবিরোধী স্লোগান দিয়ে এসেছিলেন, তিনিই আজ দুর্নীতির রোল মডেল।
এই নৃশংসতা কে ঠেকাবে? কার জন্য এই নৈরাজ্য?
একটি প্রজন্মের হৃদয়বিদারক দীর্ঘশ্বাস
আজ মানুষ বলছে --- "আগে ভালো ছিলাম।" উন্নয়ন হয়তো সবাই উপভোগ করেনি, কিন্তু বর্তমান যে অনিয়ন্ত্রিত, দিশাহীন এক ধ্বংসযাত্রা তা অতীতের চেয়ে হাজার গুণ ভয়ানক। আজ বাংলাদেশ কাঁদছে চিকিৎসা নেই, শিক্ষা নেই, কর্মসংস্থান নেই, আর নেই কথা বলার স্বাধীনতা। রাষ্ট্র চলছে গুটিকয়েক সুবিধাভোগীর স্বার্থে।

সমাপ্তি নয়, শুরু হওয়া দরকার প্রতিবাদের
এই লেখা নিছক কোনো দলীয় অবস্থান নয়। এটি সেই সমস্ত নাগরিকের মনের ভাষা, যারা দেশটাকে ভালোবাসে, যারা চায় একটি নিরাপদ, উন্নত ও মানবিক রাষ্ট্র। প্রয়োজন সত্য উচ্চারণ, প্রয়োজন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অটল অবস্থান, প্রয়োজন সেই বাংলাদেশ যার জন্য লাখো শহীদ প্রাণ দিয়েছিলেন।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০২৫ রাত ১১:৪৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সবার মতামতের ভিত্তিতেই যেহেতু উনাকে প্রধাণ উপদেষ্টা করা হয়েছে, উনাকে থাকতে দেন আগামী জুন পর্যন্ত।
এই দেশের মানুষ খুবই অস্থির!!

২| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ রাত ১২:৩৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ড.ইউনূসের কারো উপর কন্ট্রোল নেই। উহাকে সবদোষ দিয়ে অলংকৃত করা ঠিক নয়। এনসিপিকে বললে তারা কথা শোনে না,বিএনপি কথা শোনে না, সরকারি কর্মকর্তা ও আইনশৃংখলা বাহিনী কথা শোনে না। জামায়াত কথা শোনে না। ইসলামিক দলগুলো কথা শোনে না।

৩| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ রাত ১২:৫৭

রিফাত হোসেন বলেছেন: এটাতো মনে হচ্ছে আপনার আর্তনাদ।

৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ রাত ১:০৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: বাংলাদেশের 'শ' কই?

৫| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ রাত ১:১১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: রিফাত হোসেন বলেছেন: এটা তো মনে হচ্ছে আপনার আর্তনাদ। আপনি সমন্বয়ক নাকি বিম্পি নাকি জামায়াত? এরা ছাড়া তো আর কেউ ভালো আছে দেখছি না।

৬| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সকাল ৯:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: নির্বাচনের আগে অনেক কিছুই হবে।
হরতাল হবে, জ্বালাও পোড়াও হবে। মানুষ হত্যা হবে।

৭| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সকাল ১০:১৬

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনার আর্তনাদের আকাশ বাতাস ভারী হচ্ছে।

৮| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সকাল ১০:২০

কামাল১৮ বলেছেন: আমরা এক সোনার পাথর বাটি পেয়েছি।।সে যা না আমরা তার কাছথেকে তাই আশা করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.