![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতা যদি মুক্তিযোদ্ধা না হন, তবে রাজাকারই কি মুক্তিযোদ্ধা?"
রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে যারা এক সময় দেশের নাম বদলাতে চেয়েছিল, জাতীয় সংগীত বদলানোর ষড়যন্ত্র করেছিল, আজ তারাই আবার ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতাকে মুক্তিযোদ্ধা নয়, 'সহযোগী' বলার অপচেষ্টা করছে। এটি নিছক একটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নয় এটি হলো জাতির আত্মপরিচয় মুছে ফেলার এক ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ।
যিনি “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” বলে বাঙালিকে জাগিয়ে তুলেছিলেন, যাঁর নামে যুদ্ধ হয়েছিল, যাঁর অনুপস্থিতিতে গঠিত হয়েছিল মুজিবনগর সরকার তাঁকে কীভাবে মুক্তিযুদ্ধের বাইরে রাখা যায়?
তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মনসুর আলী, কামারুজ্জামান যাঁদের কৌশল, নেতৃত্ব, প্রশাসনিক প্রজ্ঞা ছাড়া যুদ্ধ চালানোই সম্ভব হতো না, তাঁদের ‘সহযোগী’ বলা এক ভয়ানক ইতিহাস বিকৃতি।
জাতি জানে, যুদ্ধ শুধু রাইফেল নিয়ে লড়াই নয় যুদ্ধ কৌশলের, নেতৃত্বের, ত্যাগের এবং সর্বোচ্চ রাজনৈতিক চেতনাবোধের। মুক্তিযুদ্ধের সূচনা ও রূপদান করেছিলেন যারা, তাঁরাই যদি মুক্তিযোদ্ধা না হন, তবে রাজাকারদের বিচারও একদিন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠবে।
এ কথা ইতিহাস জানে জাতির শত্রুরা অনেকবার বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। তাঁর প্রতিকৃতি নামিয়ে, তাঁর ভাষণ নিষিদ্ধ করে, তাঁর জন্মদিন চাপা দিতে চেয়েছে। তবু ব্যর্থ হয়েছে। কারণ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সমার্থক এটিই চিরন্তন সত্য।
আজ আবার নতুন করে সেই চক্রান্ত আইনি চাদরে মোড়ানো ইতিহাস বদলানোর অপচেষ্টা।
কিন্তু জাতি এই ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করবে না। ৭১ এর উত্তরাধিকার কেউ দলিল দিয়ে বাতিল করতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধ কোনো দপ্তরের ছাপানো সার্টিফিকেটে সীমাবদ্ধ নয়, এটি জাতির রক্তমাখা আত্মপরিচয়।
‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে চিহ্নিত ৪ শ্রেণি:
বিদেশে পেশাজীবী অবদানকারী বাংলাদেশি নাগরিক:
যেমন: প্রবাসে জনমত গঠন, লবিং, গণমাধ্যমে প্রচারণা চালানো ইত্যাদি।
মুজিবনগর সরকারের অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারী:
যেমন: প্রশাসনিক দপ্তরে কর্মরত সচিব, দূতাবাসের কর্মকর্তা, স্টাফ সদস্য।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র, সাংবাদিক ও কলাকুশলী:
যেমন: শিল্পী, আবৃত্তিকার, সংবাদ পাঠক, গীতিকার, সাংবাদিক যারা প্রচারণায় ভূমিকা রেখেছেন।
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল:
যারা দেশ-বিদেশে খেলে মুক্তিযুদ্ধের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছেন। তারাও মুক্তিযোদ্ধা যদি না হয় তবে কারা মুক্তিযোদ্ধা??
২| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সকাল ১০:১৪
কামাল১৮ বলেছেন: জাতি আজ দুই ভাগে বিভক্ত।স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ও স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি।
৩| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সকাল ১০:২১
আহলান বলেছেন: এসব নিয়ে রাজনীতি না করে আমরা নিজে ভালো হই, অন্যকে ভালো হতে সহায়তা করুন। তারা মুক্তিযোদ্ধা কেনো আরো বড় কিছু হোক তাতে কারোর কিছু যায় আসে না। আপনি আমি কি দূর্নীতি মুক্ত ভারত গোলামী মুক্ত দেশ পেলাম কিনা সেটা দেখেন। সিঙগাপুর আর আমরা একই সময়ে স্বাধীন। আজ তারা কই আর আমরা কই। তার বলি এসব কূটক্যাচাল বাদ দিয়ে পরিষ্কার মানুষ হবার চেষ্টা করেন।
৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সকাল ১১:০৪
কলাবাগান১ বলেছেন: রাজাকার সারমেয়দের কাছে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ হল কূটক্যাচাল....এরা ১৯৭১, মুক্তিযুদ্ধ এসব শব্দ শুনতেই পারে না..।মনে হয় এই সব শব্দ না..এক একটা হল এদের গালে চপোটাঘাত।
যার নামে মুক্তিযুদ্ধ, তার নামই বাদ....তবে কি গোলাম আযম এর নাম উঠবে মুক্তিযোদ্ধার নামের লিস্টে???
৫| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন:
৬| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৫৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ভুল তথ্য ছাড়াচ্ছেন, বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই আছেন।
বঙ্গবন্ধু–তাজউদ্দীনসহ মুজিবনগর সরকারের সদস্যরা হবেন ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’, অন্যরা সহযোগী
৭| ০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪
রাসেল বলেছেন: যে দেশের রাজনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক, দেশপ্রেমিকরা মুক্তিযোদ্ধা এবং দেশপ্রেম নিয়ে মারামারি, কাটাকাটি, তর্কযুদ্ধ করে না; তারা কি দেশের মঙ্গল করে না?
এই ধরনের নাটকের প্রয়োজন নেই।
৮| ০৫ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশ এবং শেখ মুজিব মিলেমিশে একাকার।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুন, ২০২৫ সকাল ১০:০৪
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনি কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন?