![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিরীহ প্রাণী কুরবানী: ত্যাগ না নির্মমতা?
প্রতি বছর ঈদুল আজহার সময় মুসলিম বিশ্বে কোটি কোটি পশু কুরবানী হয়। ধর্মীয়ভাবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ, যার মাধ্যমে মুসলিমরা মহান আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও আত্মত্যাগের প্রতীকস্বরূপ কুরবানী দেন। কিন্তু এর বিপরীতে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন: নিরীহ প্রাণীর জীবনহানির মধ্য দিয়ে কিসের ত্যাগ? কিসের মহিমা?
ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, কুরবানীর প্রথা শুরু হয় প্রায় চার হাজার বছর আগে। হযরত ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহর আদেশে স্বপ্নে তাঁর প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আঃ)-কে কুরবানী করতে প্রস্তুত হন। আল্লাহ তাঁর এই আনুগত্য ও আত্মনিবেদন দেখে ইসমাইলের পরিবর্তে একটি পশু পাঠান, এবং সেই পশু কুরবানী করা হয়। এই ঘটনাই মুসলিমদের জন্য আত্মত্যাগ ও ঈমানের পরীক্ষার প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।
ইসলামে কুরবানী কেবল পশু জবাই নয়; বরং এটি আত্মশুদ্ধি, দরিদ্রের সহায়তা, এবং নিজের লোভ-লালসার উপর নিয়ন্ত্রণের এক অনুশীলন। কুরবানীকৃত পশুর মাংস দরিদ্র, আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বণ্টন করা হয় এটি একটি সামাজিক সমবেদনার প্রতীক।
নৈতিক ও পরিবেশগত প্রশ্ন
তবে এই প্রথা নিয়ে নানাবিধ প্রশ্ন উঠেছে আধুনিক সময়ের অনেক মানুষের মধ্যে।
পশুরা তো নিজের ইচ্ছায় মৃত্যুবরণ করছে না। এটি কি নির্মমতা নয়?
আমরা কি আত্মত্যাগের নাম করে অন্য এক নিরীহ প্রাণীর জীবন হরণ করছি না?
প্রতি বছর কোটি কোটি পশু হত্যা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে না?
বিশেষ করে নগরজীবনে খোলা রাস্তায় পশু জবাই, রক্ত-আবর্জনার স্তূপ, ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।
বিকল্প চিন্তা ও আধুনিক প্রস্তাবনা
আজকের দিনে কিছু মানুষ মনে করেন, ত্যাগের আসল অর্থ হতে পারে:
অসহায় মানুষের জন্য অর্থ ব্যয়
বৃক্ষরোপণ বা প্রাণী সুরক্ষায় কাজ করা
বহু ইসলামি চিন্তাবিদও বলছেন, প্রথা নয়, মূল শিক্ষাটি ধরতে হবে: ত্যাগ, সহমর্মিতা ও আত্মনিবেদন। এ জন্য পশুহত্যা একমাত্র উপায় কি না, তা নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।
একদিকে ধর্মীয় ঐতিহ্য ও বিশ্বাস, অন্যদিকে নৈতিকতা ও সমবেদনার প্রশ্ন এই দুইয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে কুরবানীর বিতর্ক। একে পুরোপুরি বাতিল না করে, এর অন্তর্নিহিত শিক্ষা কীভাবে আরও মানবিকভাবে পালিত হতে পারে, সেই আলোচনাই হতে পারে সময়ের দাবি।
ত্যাগ কি শুধু রক্তে হয়? না কি হৃদয়ের গভীরতার মধ্য দিয়েই প্রকৃত ত্যাগ প্রকাশ পায়?
২| ০৬ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মানুষ কি সাধারণ সময়ে মুরগী-হাস-গোরু -ছাগল খায় না? কুরবানীতে অনেক মানুষের ইনকাম ভালো হয়। চামড়া পাওয়া যায়। একটা স্বল্পমেয়াদি বিজনেস মডেল আছে।
৩| ০৬ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইসলামের বিধান কুরবানী পালন করলে কারো কোনো ক্ষতি হয় না। যদি এই উছিলায় কেউ গরীবদের মাংস বিতরণ করে উহা উত্তম কাজ।।
৪| ০৬ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৪
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: সত্যি বলেছেন ,আমারও তাই মনে হয় । একটা অবলা জীব কে হত্যা করে কি ভাবে কুরবানি হয়।
৫| ০৬ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৮
নাহল তরকারি বলেছেন: যারা বলতাছে নীরিহ প্রাণী হত্যা করা ঠিক না। তারা কি ফার্স্ট ফুডের দোকানে বিফ বার্গার খায় না?
৬| ০৬ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:৪৯
কামাল১৮ বলেছেন: নির্মমতা
৭| ০৭ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৪:০৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সবই নবী ইব্রাহিমের স্বপ্নর খেলা।
তিনি যা দেখেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:২৫
শাহ আজিজ বলেছেন: ভিন্ন ভাবনার ব্যাপারটি আমার ভেতরে অনেক আগে থেকেই কাজ করছে । একটি নিস্পাপ প্রাণী হত্যার বিনিময়ে আপনি নিজ পাপ মোচন করছেন ।