![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্ষুধার ঈশ্বর ও নীরব পৃথিবী
“যে ঈশ্বর একটা ক্ষুধার্ত শিশুকে একমুঠো খাবার দিতে পারেন না, তাকে আমি দয়ালু বলি কোন আক্কেলে?” এই প্রশ্ন আজ শুধু ঈশ্বরের প্রতি নয়, বরং সমগ্র মানব সভ্যতার বিবেকের প্রতি এক নির্মম জিজ্ঞাসা।
২১ শতকের পৃথিবীতে যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, চাঁদের শহর কিংবা বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বানানো সম্ভব, সেখানে প্রতিদিন প্রায় ২৫,০০০ মানুষ শুধু ক্ষুধার কারণে মারা যাচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ৯,০০০ শিশু, যাদের বয়স পাঁচ বছরের নিচে। আর প্রতিদিন ৮৩ কোটি মানুষ পেটে ক্ষুধা নিয়ে ঘুমাতে যায়। এসব তথ্য জাতিসংঘের FAO, UNICEF ও WFP-এর ২০২৩ সালের প্রতিবেদন থেকে।
এটা খাদ্যের অভাব নয়, এটা বৈষম্যের ফল। পৃথিবীতে পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপন্ন হয় যাতে প্রতিটি মানুষ তিনবার খেতে পারে। তবুও, যুদ্ধ, দুর্নীতি, দুর্যোগ ও বৈষম্যমূলক অর্থনৈতিক নীতির কারণে কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে।
বিপরীতে, উন্নত দেশগুলোতে প্রতিদিন লক্ষ টন খাদ্য নষ্ট হয়। যুদ্ধের পেছনে বছরে খরচ হয় দেড় ট্রিলিয়ন ডলার, অথচ বৈশ্বিক ক্ষুধা দূরীকরণে দরকার মাত্র ৪০ বিলিয়ন ডলার।
একটি ক্ষুধার্ত শিশুর কান্না কেবল তার ব্যক্তিগত দুর্ভাগ্য নয়, এটি মানব সভ্যতার চরম ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। আমাদের উন্নয়ন, ধর্ম, রাজনীতি সব অসার, যদি আমরা ক্ষুধার্ত পেটে ঘুমাতে যাওয়া মানুষের মুখে একমুঠো খাবার তুলে দিতে না পারি।
এখনই সময় একটি মানবিক, ন্যায্য পৃথিবী গড়ার। ক্ষুধামুক্ত সমাজ কল্পনা নয়, বরং সদিচ্ছা, সমবেদনা ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগেই তা সম্ভব।
– সম্পাদকীয় কলমে
(তথ্যসূত্র: FAO, WFP, UNICEF 2023)
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫২
নাহল তরকারি বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা তো ঠিকই পযাপ্ত পরিচমান খাদ্য দেয়। আমরাই তো অপচয় করি। পাশে বাসার প্রতিবেশি খেয়েছেন কিনা আমরাই তো খোজ নেই না। আমাদের কামের খালার ঘরে চাউল, ডাইল আছে কি না, আমরাই তো খোজ নেই না। এটা কিন্তু আমাদের দোষ। শুধু শুধু উপর ওয়ালাকে দোষ দিয়ে লাভ নাই। আপনার কোন এক ব্লগে কমেন্ট করেছিলাম যে, ১ আগষ্ট থেকে ৫ আগষ্ট কি হয়েছিলো, সেটা নিয়ে লেখতে। আপনি লিখতাছেন না।