নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১

সালাউদ্দিন রাব্বী

রাবব১৯৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বাসের স্বাধীনতা বনাম চাপিয়ে দেওয়া মতবাদ:

১৮ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:৫৩

বিশ্বাসের স্বাধীনতা বনাম চাপিয়ে দেওয়া মতবাদ:
=============================
বিশ্বাস তা হোক ধর্মীয়, রাজনৈতিক কিংবা আদর্শগত প্রতিটি মানুষের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং নিঃসন্দেহে ব্যক্তিগত বিষয়। একজনের কাছে যা পবিত্র, তা আরেকজনের কাছে হতে পারে গুরুত্বহীন। কেউ ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন, কেউ করেন না। কেউ সমাজতন্ত্রে আস্থা রাখেন, কেউ পুঁজিবাদে। এই বিশ্বাসের বহুবিধ রূপই মানব সভ্যতার সৌন্দর্য।

কিন্তু বিশ্বব্যাপী আজ যে অস্থিরতা, সংঘাত ও হিংসার বিস্তার ঘটছে, তার মূল কারণই হচ্ছে এই বিশ্বাসকে জোর করে অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়াস।

বিশ্বাসের স্বাধীনতা: একটি মৌলিক মানবাধিকার
জাতিসংঘের সাধারণ মানবাধিকার ঘোষণার (UDHR, 1948) ১৮ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে:
অর্থাৎ, প্রত্যেক মানুষ তার নিজের মতাদর্শ অনুসারে চিন্তা, বিশ্বাস ও ধর্ম পালন করার অধিকার রাখে। কিন্তু এই অধিকার তখনই টিকে থাকে, যখন কেউ তা অন্যের উপর জোর করে চাপিয়ে দেয় না।

বিশ্বাস চাপিয়ে দেওয়ার ভয়াবহ উদাহরণ
মধ্যপ্রাচ্যে ধর্মীয় মতাদর্শের নামে যুদ্ধ ও গোষ্ঠী সংঘর্ষ (যেমন, শিয়া-সুন্নি বিভাজন)।
দক্ষিণ এশিয়ায় ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের উত্থানে সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন।
চীন ও মিয়ানমারে ধর্মীয় জাতিগোষ্ঠীর ওপর দমন (উইঘুর মুসলিম, রোহিঙ্গা)।
পশ্চিমা বিশ্বে ইসলামভীতি, শরণার্থী বিদ্বেষ, এবং অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বৈষম্য।
এই সব ঘটনাই প্রমাণ করে বিশ্বাসকে যদি অস্ত্র বানানো হয়, তবে তা শান্তির নয়, বরং অশান্তির কারণ হয়।

রাষ্ট্র ও সমাজের দায়িত্ব
রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো সব নাগরিককে সমান অধিকার দেওয়া, যেন কেউ ধর্ম বা মতাদর্শের কারণে বৈষম্যের শিকার না হয়।
যখন কোনো রাষ্ট্র নিজস্ব ধর্ম বা আদর্শ অন্যের উপর চাপিয়ে দিতে চায়, তখনই জন্ম নেয় গুম, খুন, জেল-জুলুম আর বাকস্বাধীনতা হরণ।

সমাধানের পথ
১. সহনশীলতা ও ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা করা।
২. শিক্ষা ব্যবস্থায় সহাবস্থানের মূল্যবোধ অন্তর্ভুক্ত করা।
৩. আন্তর্জাতিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ।
৪. সংলাপ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বাড়ানো।

আমি আপনার বিশ্বাসকে সম্মান করি। কিন্তু সেই বিশ্বাস যদি আপনি আমার উপর জোর করে চাপিয়ে দেন, তাহলে সেটা বিশ্বাস নয়, বরং নিপীড়ন। এই মানসিকতার কারণেই আজ বিশ্বজুড়ে ধর্ম, আদর্শ ও জাতিগত সহিংসতা বাড়ছে।
তাই আমাদের এখন সবচেয়ে জরুরি সহনশীলতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসের স্বাধীনতার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়া।
নিজের বিশ্বাসকে লালন করুন, কিন্তু অন্যের উপর চাপিয়ে দেবেন না। বিশ্বাস হোক শান্তির, অশান্তির নয়।

লেখক পরিচিতি:
মোঃ সালাউদ্দিন রাব্বী
সভাপতি, সংখ্যালঘু বাচাও আন্দোলন
(একটি অলাভজনক সংগঠন, যা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু, দরিদ্র ও নিপীড়িত জনগণের আইনি সহায়তা দিয়ে থাকে)

যোগাযোগ: [email protected]
বাংলাদেশ

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:১১

কামাল১৮ বলেছেন: যুক্তিহীন বিশ্বাস যত অশান্তির মূল।যুক্তি প্রমান সহ বিশ্বাস করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.