![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাংস্কৃতি রক্ষার ডাক : স্বাধীনতার শক্তিকে এক কাতারে আনতে হবে।
আজকের বাংলাদেশে এক ভয়াবহ সংকট ঘনিয়ে এসেছে। সে সংকট রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কিংবা কেবল সামাজিক নয়, এটি আমাদের অস্তিত্বের সংকট। জাতির প্রাণশক্তি যে সাংস্কৃতি, আজ তা পরিকল্পিতভাবে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হচ্ছে। নাটক নেই, সিনেমা নেই, গান নেই, গানের অনুষ্ঠান নেই।যা আছে তা কেবলই বিজাতীয় এক সংস্কৃতির চাপিয়ে দেওয়া রূপ, যা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আমাদের কণ্ঠ রুদ্ধ করছে। এ্যারাবিক বিজাতীয় সাংস্কৃতিক চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলে।
কোথায় গেল সেই সাংস্কৃতিক কর্মীরা, যারা মঞ্চে দাঁড়িয়ে একদিন অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঝড় তুলেছিলেন? কোথায় গেল সেই শিল্পীরা, যাদের কণ্ঠে এদেশের মানুষ মুক্তির গান শুনেছিল? তারা যেন হারিয়ে গেছে, অথবা ভয়ে মুখ লুকিয়ে আছেন। অথচ ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় পাকিস্তানি শাসকেরা যখন প্রথম আমাদের সাংস্কৃতির উপর আঘাত করেছিল, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের গর্জন সেই আঘাতকে প্রতিহত করেছিল। কারণ বাঙালি জানত, ভাষা ও সংস্কৃতি হারালে জাতি আর জাতি থাকে না।
আজও একই চক্রান্ত চলছে। একই কৌশল একটি জাতিকে ধ্বংস করতে হলে প্রথমে তার সাংস্কৃতি ভেঙে দাও, তার আত্মপরিচয়কে মুছে দাও, তাকে নিজের শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন করে দাও। সেই চক্রান্ত এখন ভিন্ন রূপে, ভিন্ন ছদ্মবেশে আমাদের উপর নেমে এসেছে। আমরা যদি এখনই প্রতিরোধ গড়ে না তুলি, তবে আমাদের আগামী প্রজন্ম আর মুক্ত গলায় রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইবে না, মঞ্চে সেলিম আল দীনের নাটক মঞ্চস্থ হবে না, কিংবা লোকসংগীতের বেদনার সুরে আর কেউ আন্দোলিত হবে না।
এই অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না। চলতে দেওয়া যায় না। আজ সময় এসেছে সাংস্কৃতিকে রক্ষার জন্য স্বাধীনতার সকল শক্তিকে এক কাতারে দাঁড় করাবার। যে শক্তি ১৯৭১-এ পাকিস্তানি শাসকদের পতন ঘটিয়েছিল, সেই শক্তি আবারও জেগে উঠতে হবে। সাংস্কৃতি শুধু গান, নাচ, বা নাটক নয়; এটি জাতির আত্মা, এটি মুক্তির প্রেরণা, এটি আমাদের অস্তিত্বের মূলে প্রোথিত শেকড়।
আজ যদি আমরা নীরব থাকি, কাল আমাদের সন্তানরা প্রশ্ন করবে “তোমরা কী করে তোমাদের ভাষা, তোমাদের গান, তোমাদের ইতিহাস বিক্রি করে দিলে?” সেই প্রশ্নের উত্তর আমরা দিতে পারব না।
তাই আজই শপথ নিতে হবে।
আমরা আমাদের সংস্কৃতি বাঁচাবো।
আমরা আমাদের মাটি ও মানুষকে ভালোবাসব।
আমরা আমাদের শিল্প, সাহিত্য, নাটক, সিনেমা ও গানকে পুনরুজ্জীবিত করব।
বাংলাদেশের সাংস্কৃতি রক্ষার এই লড়াই কোনো একটি দলের নয়, কোনো একটি সম্প্রদায়ের নয়,এটি সমগ্র জাতির লড়াই। স্বাধীনতার শক্তি, মুক্তিকামী প্রতিটি মানুষকে আজ ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
কারণ, সাংস্কৃতি রক্ষাই হচ্ছে স্বাধীনতা রক্ষা। আর স্বাধীনতা রক্ষাই হচ্ছে বাংলাদেশ রক্ষা।
২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩৩
আলামিন১০৪ বলেছেন: কেন? গাঁজা আছে না?
৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৯
মাথা পাগলা বলেছেন: ঠাকুর সাহেব মনে হয় আপনাদের জন্যই তোতা কাহিনী লিখেছিলেন। যাই হোক, কথায় কথায় ৫০ বছরের মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে নিজের ব্যার্থতা আড়াল করে স্বান্তনা দেয়া যায় কিন্তু সফল হওয়া যায় না। আমার কথা ভুল বুঝবেন না। যুগ পাল্টিয়েছে, মানুষের চিন্তা-ভাবনা-সংস্কৃতি সব কিছুতেই চেঞ্জ এসেছে। রাজনীতিতে নতুনত্ব, সৃষ্টিশীলতা আনার চেষ্টা করুন। বর্তমান দেশের অবস্থা ভালো না। কেউই বলতে পারবে না সামনের বছর কি হতে যাচ্ছে। পরিস্থিতি শান্ত হলে ৭১ - বিরোধি ব্যাপারগুলো সব ঠিক হয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করি। বর্তমান সমস্যাগুলো নিয়ে বেশি কথা বললে লীগ বেশি লাভবান হবে বলে মনে করি।
৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:২৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
দেশের প্রতি যদি ভালোবাসা কিছু অবশিষ্ট থাকে, আওয়ামী লীগের ব্যবসা বন্ধ করে দিন।
৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: গাঁজা খাবেন খান কিন্তু ভালো দেখে খান।
৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৩
বিজন রয় বলেছেন: দেশে এখন নতুন সংস্কৃতি আসবে।
৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫২
আমি নই বলেছেন: আপনারা এখনও জনগনের পালসটাই বুঝতে পারলেন না। নতুন প্রজন্মকে বোঝার ক্ষমতাও নাই। যাইহোক বস্তাপচা কথা আর জুজুর ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।
৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপানরা যে করাপশন করেছেন সেটার বিচার হোক আপনি চান কিনা ? আওয়ামি লিগ যা ভেলকি দেখানোর সেটা দেখিয়ে ফেলেছে । শেখ হাসিনার জাদু শেষ । এখন আমরা ইউনুস সাহেবের জাদু দেখবো।