![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশে মৌলবাদী হুমকি এবং নারীর স্বাধীনতার সংকট।
--------------------------------------------------------------
আজও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে মেয়েরা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জীবন থেকে বাধ্যতামূলকভাবে বঞ্চিত। পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরান এবং বাংলাদেশ কোনো দেশই নারীর পূর্ণ স্বাধীনতা স্বীকার করেনি। কন্যাশিশুর গর্ভপাত, জন্মের পর হত্যার ঘটনা বা শিক্ষালাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা সবই শোচনীয় বাস্তবতা। আফগানিস্তানে মেয়েদের লেখালিখি ও স্কুল-কলেজে প্রবেশ নিষিদ্ধ। ইরানে হিজাবের সামান্য লঙ্ঘনও পুলিশি নির্যাতন ও হত্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা সেই তালেবানি পদধ্বনি শুনছি। মৌলবাদীরা নারীর স্বাধীনতা দমন করে রাষ্ট্রীয় শক্তি অর্জনের চেষ্টা করছে। তারা চায় সমাজকে এমন এক সংস্কারে বাধ্য করতে, যেখানে নারীর শিক্ষা, চাকরি, স্বপ্ন সবই শৃঙ্খলিত ও নিয়ন্ত্রিত।
মৌলবাদী রাষ্ট্র: শিক্ষাহীন, দমনমূলক, সহিংস
ইতিহাস প্রমাণ করেছে, মৌলবাদী শক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসলে সমাজে গণতন্ত্র এবং মুক্ত চিন্তাভাবনা বিপন্ন হয়। পাকিস্তান ও আফগানিস্তান এই সতর্কবার্তা দিয়েছে--
১।নারীর শিক্ষা ও কর্মসংস্থান বন্ধ।
২।প্রকাশ্য আন্দোলন, সাহিত্য ও গণমাধ্যম সেন্সর।
৩।রাষ্ট্রীয় সহিংসতা ও নারীর প্রতি নির্যাতন বৃদ্ধি।
৪।গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার সংকুচিত হওয়া।
বাংলাদেশও এই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু মৌলবাদী সংগঠন নারীর শিক্ষা, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ও সামাজিক অধিকার হরণে সক্রিয়। যদি এরা ক্ষমতায় আসে, তা মানে আইনের শর্তে নারীর অধিকার দমন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান দুর্বল, স্বাধীন চিন্তক ও সাংবাদিকদের ওপর চাপ। আমাদের দেশের ভবিষ্যত তখন অন্ধকারময়।
মৌলবাদী শক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে সম্ভাব্য ভয়াবহ পরিণতি
১।নারীর শিক্ষা ও কর্মসংস্থান বন্ধ।
২।গৃহস্থ ও সমাজে নারীর স্বাধীনতা শূন্য।
৩।প্রকাশ্য আন্দোলন, সাহিত্য ও চিন্তাধারায় সেন্সর।
৪।সহিংসতা, হত্যা, নির্যাতন বৃদ্ধি।
৫।গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার অভাব।
প্রতিবাদ: একত্রিত শক্তিই রক্ষা করতে পারে স্বাধীনতা
মৌলবাদী শক্তিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসানো মানে স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের ওপর সরাসরি আক্রমণ। আমাদের দায়িত্ব হলো সতর্ক থাকা, প্রতিবাদী শক্তিকে একত্রিত করা এবং সমাজকে মুক্ত, সমান ও শিক্ষিত রাখার জন্য লড়াই করা।
নারীর অধিকার রক্ষা না করলে, বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদের সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্য বন্ধ না করলে, মেয়েরা আবারও জীবন্ত বন্দি, শিক্ষাহীন, ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হবে। এই লড়াই শুধু নারীর নয়, পুরো সমাজের, গণতন্ত্রের এবং মানবতার। আজ আমাদের প্রতিবাদ না হলে, কাল আমাদের আগামী প্রজন্ম সেই শৃঙ্খলিত, দমনমূলক সমাজে জন্ম নেবে।
২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:০৯
নতুন বলেছেন: সমাজে বোরকার প্রচলনে বোঝাযায় নারীরা কট্টরবাদী চাপ আছে।
নারীরা যেই হারে বাইরে বোরকা পরে সেই সংখক নারীরা সবাই ৫ ওয়াক্ত নামাজ পরে না।
তার অর্থ হচ্ছে নারীরা বাইরে বোরকা পরে সামাজের চাপে। আল্লাহের ভয়ে না। ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ। ফরজ বাদ দিয়ে বোরকা মানুষ আল্লাহের ভয়ে পরেনা।
দেশের মানুষকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। নতুবা মোল্যারা পুরানো শিক্ষায় সবাইকে ডিপ্রেস্ড করে ফেলবে।
কয়েকদিন আগে এক মা তার মেয়েকে রোকাইয়া করার জন্য রাকির ডেকে নিয়ে আসে, পরে সেই ধর্মীয় রোকাইয়ার এক্সপাট মা এবং মেয়ে দুজনকেই হত্যা করে।
অজ্ঞতা কতটুকু গভীর হলে সমাজে মানুষ এমন কিছু করতে পারে।
৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সব দোষ শেখ হাসিনার।
৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০
আলামিন১০৪ বলেছেন: মৌলবাদ বলে কোন শব্দ ইসলামে নেই, ইসলাম নারীদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিযেছে, তাঁরা যুদ্ধের ময়দানে যুদ্ধ পর্যন্ত করেছে! আপনি কী বলতে চান একটু বিস্তারিত উদাহরণ দিন তো..সম্পত্তিতে অধিকার বিষয়ে আমি ইতোমধ্যে একটা ব্যাখ্যা দিয়েছি, পড়ে আসতে পারেন
৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৬
বিজন রয় বলেছেন: বাংলাদেশে মৌলবাদী হুমকি তৈরী হয়েছিল সেই ২০০১ সাল থেকে।
৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বিজন রয়@এটা সবসময় ছিলো।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৭
বিজন রয় বলেছেন: সবে শুরু।
আরো আসছে।