| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বাধীনতা বিরোধীদের রাষ্ট্রবিরোধী প্রপাগান্ডার নগ্ন উৎসব।
--------------------------------------------------------
আজ বাংলাদেশের টেলিভিশন পর্দা খুললেই, পত্রিকা উল্টালেই একটি ভয়ংকর চিত্র চোখে পড়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের ডেকে ডেকে এনে পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগবিরোধী নয় শুধু, স্বাধীনতাবিরোধী ও বাংলাদেশবিরোধী প্রপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। এটি আর মতের বহুত্ব নয়; এটি সুপরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় বিভ্রান্তি।
যারা ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে, যারা শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই রাষ্ট্রের জন্মে বিশ্বাস করে না, তারাই আজ “বিশ্লেষক”, “বুদ্ধিজীবী” ও “মতামতদাতা” সেজে প্রধান মিডিয়ায় জায়গা পাচ্ছে। এরা ইতিহাস বিকৃত করে, মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করে এবং পাকিস্তানি বয়ানকে বাংলাদেশি রূপ দিয়ে পরিবেশন করছে। এটি সাংবাদিকতা নয় এটি সক্রিয় দেশবিরোধী প্রচার।
আরও লজ্জাজনক ও দুঃখজনক হলো শত্রুদেশ পাকিস্তান থেকে হাজার হাজার মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়ে রাষ্ট্রীয় খরচে আপ্যায়ন করা হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে, আমাদের জনগণের টাকায়, পরাজিত দখলদার রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে। এটি কূটনীতি নয় এটি আত্মসমর্পণের সংস্কৃতি।
এর চূড়ান্ত অপমান ঘটেছে যখন আমাদের পবিত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে, যেখানে একসময় স্বাধীনতার শপথ উচ্চারিত হয়েছিল, সেখানে পাকিস্তানি রাষ্ট্রের প্রধান ও বাংলাদেশের গণহত্যার রাজনৈতিক স্থপতি জিন্নার জন্মদিন পালন করা হয়। এটি কোনো সাংস্কৃতিক বিনিময় নয় এটি শহীদদের কবরে লাথি মারা।
এর পেছনে যে মিডিয়া দালালরা আছে, তাদের ভূমিকা ইতিহাসে চিহ্নিত হবে। যারা ক্ষমতার লোভে বা আদর্শিক দালালির কারণে দেশের বিরুদ্ধে মাইক্রোফোন ব্যবহার করছে, তারা সাংবাদিক নয় তারা তথ্যযুদ্ধের সৈনিক। রাষ্ট্রের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা বিশ্বাসঘাতকতারই আরেক নাম।
একটি স্বাধীন দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে তবে সেই স্বাধীনতার অর্থ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ধ্বংসের লাইসেন্স নয়। যারা স্বাধীনতার মূলস্তম্ভ ভাঙতে চায়, তাদের মুখোশ জনগণ চিনে ফেলেছে।
এই মাটিতে ইতিহাস কথা বলবে। এই মাটিতে প্রশ্ন উঠবে এবং এই মাটিতেই একদিন জবাবদিহি হবে। কারণ বাংলাদেশের ইতিহাস একটাই শিক্ষা দেয়। যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, সময় তাদের ক্ষমা করে 
২|
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪৮
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এ পরিস্থিতি হবে আর কেউ না বুঝলেও শেখ হাসিনা বুঝেছিলেন। অথচ ত্বরিত পদক্ষেপ নিতে ভুল করেছেন।
৩|
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পাক সার জমিন বাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখজনক।