![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সর্বস্বত্ত লেখকের
বেহেস্ত সম্পর্কে আমি যতটুকু জানি তা হলো বেহেস্ত হেরেমেরই অন্যরূপ। আমরা জানি আগের দিনের রাজা বাদশাদের হেরেম থাকতো (এখনও হয়তো অনেকের আছে)। সেখানে মদ আর নৃত্যগীতের আসর জমত। অসংখ্য রমণীদের মাঝ থেকে রাজা যখন ইচ্ছা তাকে ভোগ করতে পারতেন। বেহেস্তের স্বরূপ কী অনেকটা এই রকমের নয়? সেখানকার অধিবাসীদের জন্য হেরেমেরই মতোই মদ, নৃত্যগীত আর অসংখ্য হুরের ব্যবস্থা কী করা হয়নি? আর একটা জিনিস আমি বুঝি না দুনিয়াতে যে বিষয়গুলো ঘৃণিত অথবা ধর্মের দ্বারাই অননুমোদিত বেহেস্তে তা অনুমোদন করা হলো কী করে? তাহলে দুনিয়াতে যারা এগুলো করতেন বা এখনও করেন তারা কী অন্যায় করছেন?
তবে আমার কাছে বেহেস্তের যে বিষয়টা সবচেয়ে বেশি বেদনাদায়ক মনে হয় তা হচ্ছে বেহেস্তবাসীর স্ত্রীর বিষয়টি। যতদূর জানি একজন বেহেস্তবাসীর স্ত্রী যদি বেহেস্তে যান তবে তিনি তার অসংখ্য হুর স্ত্রীর মতোই ঐ লোকের স্ত্রীর মর্যাদা লাভ করবেন। আমরা দুনিয়াতে দেখি যে, একজন স্ত্রী তার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রীকেই মেনে নিতে চান না। সেখানে তিনি তার স্বামীর এতগুলো হুর প্রাপ্তীকে কীভাবে মেনে নেবেন তা ভাবতে গেলেও কষ্ট লাগে। সবচেয়ে বড় কথা, সম অধিকারের দাবী তুলে স্ত্রীরাও যদি স্বামীর হুরেদের মতো নিজেরাও খোদার কাছে পুরুষ হুর দাবী করেন তখন খোদা কী করবেন?
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৫১
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: আমার কোনো সমস্যা নাই। আমার কাছে মনে হইলো বেহেস্তের ধারণা হতে হয়তো হেরেমের সৃষ্টি হইছে কিংবা হেরেমের ধারণা হতে বেহেস্তর সৃষ্টি হইছে। বিষয়টা শুধু শেয়ার করলাম।
২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৫৫
সূর্যবাসী বলেছেন: এটা কোনো বিষয় না...মৌ লোভীদের মতে। তাদের ভাষ্য -কোনো সতী মহিলা কি তার স্বামী ব্যতীত অন্য কাউকে চাইতে পারে?
কিন্তু মজান বিষয় হলো জামাই বাবারা কিন্তু পারে। এই হলো ধর্মের সততা..........। যাই হোক, মহিলাদের জন্য আমার সাজেশন হলো তারা নবী এবং পূণ্যআলা লোকদের সাথে খাতির করুক,বেহেশতে গিয়া তখন আল্লাহ কিংবা জামাই কেউ-ই কিছু বলতে পারবে না।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:০২
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: ভাল সাজেশন।
৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:০২
দ্বিতীয়নাম বলেছেন: যাই করুক পর্দা-হেজাব কইর্যা করতে হইবো।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ২:০৪
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: বেহেস্তেও?
৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:১২
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: একটু আগে একটা পোস্টে লেখা হলো সামীকে ব্যান করা হয়েছে। সে আমার প্রিয় ব্লগারেদের একজন। যতদুর জানি সে কলম বিরতিতে ছিলো, ব্যান হয়েছে এটা জানা ছিল না। যদি সেটা করা হয়ে থাকে অবশ্যই অন্যায় করা হয়েছে। তীব্র প্রতিবাদ
৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:১৬
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: যারা ধর্মীয় বিষয় নিয়ে পোস্ট করেন বা জ্ঞান দেন তারা কেন আমার এই লেখাটির প্রতিবাদ করছেন না বা খণ্ডন করছেন না তা বুঝতে পারছিনা। তাদের কী কোন যুক্তি নেই।
৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৪০
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: এই ব্লগটি সাম্প্রতিক দেখেছেন এমন অনেকের মধ্যেই যারা ধর্ম নিয়ে আলোচনা করেন এবং যুক্তি দেখান তারাও আছেন। কিন্তু পোস্টটির প্রতিবাদ করে কেউ কিছু লেখলেন না। তবে তারা আমার এই পোস্টের বক্তব্যের সাথে সহমত।
৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৫
মদন বলেছেন: "ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: এই ব্লগটি সাম্প্রতিক দেখেছেন এমন অনেকের মধ্যেই যারা ধর্ম নিয়ে আলোচনা করেন এবং যুক্তি দেখান তারাও আছেন। কিন্তু পোস্টটির প্রতিবাদ করে কেউ কিছু লেখলেন না। তবে তারা আমার এই পোস্টের বক্তব্যের সাথে সহমত।"
বিপক্ষে কিছু না বলা মানেই সহমত আপনাকে কে বললো??
একজন মানুষ তার জীবনের অর্ধেক সময় পড়ালেখা করে কাটিয়ে দেয়। উদ্দেশ্য কি? সাধারনত একটি ভাল চাকরী/ব্যবসা করে বাকি জীবন আরামে কাটানো।
আপনি পড়ালেখা না করেতো পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন না। অর্থাত কিছু পেতে হলে তার জন্য শ্রম মেধা দিতে হয়। তেমনি পরকালের বেহেস্তের বিষয়টি হলো তাদের জন্য যারা আল্লাহর দেয়া বিধান মতো চলবে আল্লাহ তার প্রতিদান হিসেবে বেহেস্ত দিবেন। যেমন আপনি সারা বছর চাকরি করে বছর শেষে আপনার কাজের রেজাল্ট হিসেবে প্রমোশন/ডিমোশন পেয়ে থাকেন।
ধর্মতে বিশ্বাসের ভিত্তি অনেক শক্ত হতে হয়। যুক্তি থাকবে কিন্তু সকল ক্ষেত্রে নয়। কারন মানুষের জ্ঞান আপেক্ষিক।
আমার যুক্তি হয়তো সুন্দর হয় নাই (সীমিত জ্ঞানের কারনে)
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:০১
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: আপনার কথার সূত্র ধরেই বলে আপনার বক্তব্যটি বিশ্বাস থেকে উৎগত, যুক্তি থেকে নয়। কাজেই আপনার কাছে কোনো যুক্তি নেই। কিছু বিষয় আছে যা সার্বজনীনভাবেই খারাপ। সার্বজনীনভাবে আপনি যেটা পৃথিবীতে অনুমোদন দেননি বা খারাপ বলছেন বেহেস্ত সেটা ভালো হলো কীভাবে।
৮| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৭
মদন বলেছেন: আর আমারো তাই ধারনা, বেহেস্তের বর্ননা থেকেই হেরেমের উতপত্তি হতে পারে....
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:০৩
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: তাহলে আপনি স্বীকার করলেন হেরেম আর বেহেস্তের বিয়টি সমার্থক।
৯| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:০৯
মদন বলেছেন: " কিছু বিষয় আছে যা সার্বজনীনভাবেই খারাপ। সার্বজনীনভাবে আপনি যেটা পৃথিবীতে অনুমোদন দেননি বা খারাপ বলছেন বেহেস্ত সেটা ভালো হলো কীভাবে।"
একটি ছেলেকে পড়ালেখা বাদদিয়ে ঘুরে বেড়ানোকে কি আমরা সার্বজনীনভাবেই খারাপ বলি না? অথচ সেই ছেলেই যদি লেখা পড়া শেষ করে তখন কি তাকে আর পড়ালিখা সংক্রান্ত ইস্যুতে চাপ সৃষ্টি করি?
সব কিছুর জন্যই নির্ধারিত সময় আছে। স্কুল জীবনের প্রেমের মজা আপনি বৃদ্ধ কালে পাবেন না ।
কারো বাবা যদি প্রতিদিন সকালে অফিসের জন্য বের হয় আর বিকেলে বাসায় ফিরে, পেপার পড়ে, টিভি দেখে সময় কাটায় আর তার ছেলেক টিভি দেখতে না করে, পড়তে বসতে বলে তখন সেই ছেলের মনে কি হয়? মনে হয় বাবা নিজে টিভি দেখছে তাতে দোষ নেই আর আমি দেখলেই দোষ ।
নির্ধারিত কর্ম, নির্ধারিত সময়, নির্ধারিত রেজাল্ট
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:১৪
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: কিন্তু মদ, নৃত্যগীত কিংবা একজনের এতো স্ত্রী এটা কী ভোগবাদীতা বা সার্বজননীন খারাপের পর্যায়ে পড়েনা? বিশেষ বয়সে মদ খাওয়াটা কী এলাও করা যায়?
১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৮
মামু বলেছেন: পুষ্টে কিচু ব্যাপারে সটিক জ্ঞান না নিয়াই বড় বড় কতা কইয়া ফ্যালাচেন।
বেহেস্ত মানুষ এ রুপ হবে না নারী না পুরুষ, অর্থাৎ ওই খানে নারী বা পুরুষ বলে কিচু থাকবে না। সবাই হবে পুরুষ রুপ ধারী। কিন্তু তাতেও কিছু বর্তমান থ্যাইক্যা পার্থক্য থাকব।
যেমন মানুষের হাগামুতা হইব না... যত কিচুই খাউক নে ক্যান।
প্রত্যকটা মানুষ মূলত আলোর মত তৌরি হবে, যাদের কোন ছায়া থাকবে না।
সুতরাং একটা বতমান দুনিয়ার নারীও নারী থাকবে না, সে হবে পুরুষ রুপ ধারী। সুতরাং তার ভোগ ফুর্তির জন্য তো হুরপড়ী দরকার, হে নারী থাকলে হুরপরি দিয়া কি করব?
( দুনিয়াতে যে বিষয়গুলো ঘৃণিত অথবা ধর্মের দ্বারাই অননুমোদিত বেহেস্তে তা অনুমোদন করা হলো কী করে? )
দুনিয়াটা তো পরিক্ষার জন্য এখানে তাই অনেক কিচু নিষিদ্ধ। আর পরকালে তো মানুষ বর্তমান মানুষের মত থাকব না, তাই ওই খানে অনেক কিচু জায়েজ।
আপনার বর্তমানের অনেক কাজ আচে করতে পারেন না, আবার একটা সময় হইল তা করতে পারেন।
স্বর্গে তো মানুষের হাগামুতা হইব না, সুতরাং সবকিচু জায়েজ...
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৩৯
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: সবই পুরুষ রূপধারী। বিষয়টা কী অনেক সেম সেক্সের মতো। খোলাসা করবেন।
১১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৯
মদন বলেছেন: মোর খোদারে.. আমি কেমনে কইতাম?????
মদ আমরা খাইয়া মাতলামি করি আর বাইরের দেশের লোক মদ খায় আমাগো কোক পেপসির মতো।
তাড়ি(খেজুর/তালের গাজানো রস) খাওয়া এক জিনিস আর ওয়াইন খাওয়া আরেক জিনিস। তাড়ির তুলনায় ওয়াইন অনেক সিকিউরড/রিফাইন্ড (ধারনা থাইকা কইলাম )। কাজেই ধরে নেন বেহেস্তের মদ সুপার রিফাইন্ড থাকবো যাতে আপনার ক্ষতি না হয়, পেট না কামড়ায়
।
মদ, নৃত্য, নারী... জ্বী ভোগবাদীতা। আপনি ভোগ করতে পারবেন বলেই তো জীবনের অর্ধেক সময় ধরে কষ্ট করে লেখা পড়া করেন, চাকরী করেন। ভোগের জন্য আপনাকে ত্যাগ স্বীকার করতে হচ্ছে। যত ত্যাগ ততো ভোগ। আপনি যদি বনে জঙ্গলে চলে যান, যেখানে সমাজ নেই, কালচার নেই। সেখানে ত্যাগ ও কম কাজেই ভোগের সুযোগ ও কম।
ভাই আমি আর পারুম না, অন্য কাউরে কন
আল্লাহ যা কইছে মাইনা নিছি। যতটুকু পারি মাইনা চলি। এতে আমার ভালো ছাড়া খারাপ হয় নাই এখনও। মাঝে মাঝে ফাকিঝুকি মারি (স্বভাবের দোষ)।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৪২
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: কিন্তু মদ খাইয়া যদি বেহেস্তে সবাই মাতলামি করে দেয় একজনের বরাদ্ধকৃত হুর নিয়া আরেকজনে টানাটানি করে, তখন কী হবে।
১২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ বিকাল ৪:৫৮
মামু বলেছেন: (( ভোগের জন্য আপনাকে ত্যাগ স্বীকার করতে হচ্ছে। যত ত্যাগ ততো ভোগ। ))
কতাডায় মজা পাইলাম.. কুবই বাস্তব কতা
১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৮ সকাল ৯:৪৮
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: বুঝলাম, কিন্তু সবাই পুরুষ হইয়া যাইবো বিষয়টা বুঝলাম না। এটা কী জন্ম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য.............. সেম সেক্স হইলেতো আর...............
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জানুয়ারি, ২০০৮ দুপুর ১:৪৬
দ্বিতীয়নাম বলেছেন: আমাগো পুরুষগো মনের কামনা বাসনা পুরনের জন্য বেহেশত। এই খানে একজন ভোগ করবো আর একজন ভোগীত (এই টা কোন শব্দ হইলো?) হইবো, এইটাই নিয়ম। আর কেউ যদি ভোগীত হইয়া সুখ পায়, তাহলে আপনার কি?
আরব বাদশাহগো মজা ইহকালে হারেম পাইতেছে আবার হারাম শরীফের তত্বাবধায়ক হিসাবে পরকালেো হারেম পাইবো!