নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিপ ভ্যান উইন্কেল

তোমার অস্তিত্বে সন্দিহান, তবু্ও সদাই তোমায় খুঁজি

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন

সর্বস্বত্ত লেখকের

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার মা, আমার ঈশ্বর।

১৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:২৬

তর্কাতীতভাবেই আমি অসামাজিক। সামাজিক কোন অনুষ্ঠান আমাকে টানেনা। শেষবার কবে কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম তা স্পষ্ট মনে নেই। অবশ্য এটা আমাকে মোটেই আন্দোলিত করেনা যে আমার কোন বন্ধু নেই। দীর্ঘ ২৯ বৎসরের জীবনে আমি কোন বন্ধু তৈরি করতে পারিনি।ভবিষ্যতে পারবো তেমন কোন ভরসা নেই, প্রচেষ্টাও নেই।প্রথার বাইরে যে দু'চার জন বন্ধু আছেন তা এই ব্লগকেন্দ্রিকই। সম্পর্কগুলো ভার্চুয়াল, ঠিক এই কারণে বোধ করি এখন পর্যন্ত টিকে আছে। জীবনের চরম মুহুর্তগুলোকে একাকীত্বের সাথে উপভোগ করি, তা আনন্দেরই হোক বা দুর্যোগেরই হোক।



মানুষ হিসেবে আমি চরম নৈরাশ্যবাদী এবং চূড়ান্ত নেতিবাচক মনোভাবের অধিকারী। মানুষের মাঝে আমি ভালো কিছু দেখিনা, আশাও করিনা। ধর্মবিশ্বাসে আমি নাস্তিক। তবু ঈশ্বরের অবাধ্যতার কারণে অপদার্থ মানুষগুলোকে তিনি স্বর্গ হতে বহিস্কার করেছেন-- এই বক্তব্য আমাকে কম নাড়া দেয়না। মানুষের আচরণে প্রচলিত এই মিথও মাঝে মাঝে বিশ্বাসে পরিণত হয়।



মানুষ হিসেবে আমি মোটেও নস্টালজিক নই। পুরনো স্মৃতিগুলো এখন আর আমাকে তাড়িত করেনা। ভবিষ্যৎকে নিয়েও কোন স্বপ্ন দেখিনা। কিন্তু বললেই কী স্মৃতি বা স্বপ্ন থেকে মুক্তি আছে? জীবনতো স্বপ্ন আর স্মৃতির সমন্বয়েই গঠিত।



মনস্তাত্ত্বিক এই পরিবর্তন কোন একক ঘটনাকে কেন্দ্র করে নয়। এই ঢাকা শহরের বেশিরভাগ স্কুল, কলেজই কোন না কোন নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহ্রত হওয়ার কারণে আমার পদচারণায় ধন্য হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মহাখালীতে অবস্থিত এক প্রতিষ্ঠানে লিখিত পরীক্ষা পরবর্তী মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে গিয়েছিলাম। মৌখিক পরীক্ষার সময়ে কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী কিছু কাগজ ফটোকপি করতে হয়। এর ফলে বাড়ি ফিরবার জন্য যে টাকাটা বরাদ্দ ছিলো তা শেষ হয়ে যায়। মহাখালী থেকে আমার বাড়ির দুরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। পায়ে হেঁটে এমন দুরত্ব অতিক্রম অসম্ভব। তাই ভাড়া না থাকা সত্ত্বেও লজ্জাকে সংকোচিত করে একটি বাসে চড়লাম। একটু পরেই কনট্রাক্টর ভাড়া চাইলে আমি আদ্যোপান্ত সব খুলে বললাম। চেহারায় মারাত্বক রকমের একটি বিজ্ঞতা এনে সে বলল, "পুরা রাস্তাটাই যদি আপনে আমার ঘাড়ে চইড়া যান তাইলোতো আমার ঘাড় ভাইঙ্গা যাইবো। আপনি সামনের স্টপিজে নাইমা পুরা রাস্তাটা ভাগ ভাগ কইরা কয়েকজনের ঘাড়ে চইড়া যান। তাইলে সবাই দম ফালানোর চান্স পাইবো"। বাসে অনেক ভদ্রলোক (অন্তত পোশাকে) থাকলেও কেউ আমাকে প্রোটেক্ট করতে এগিয়ে আসেননি। অগত্যা সামনের স্টপিজে নেমে পড়লাম। লজ্জাকে পুনরায় সংকোচন করে নতুন করে কোন বাসে ওঠে নতুন মোড়কের কোন অপমান সহ্য করার মতো কোন যোগ্যতা ছিলোনা বলেই বোধ করি পুরো রাস্তাটাই হেটে আসলাম। এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন অবশ্য পরবর্তীতে আরো বেশ কয়েকবার হয়েছিলাম। বিষয়টা অনেকটা স্বাভাবিকতার পর্যায়ে চলে এসছিলো।



বন্ধু-বান্ধবের আড্ডায় আর আগের মতো স্বতঃস্ফুর্তভাবে গৃহীত হচ্ছিলামনা। এ কারণ সম্ভবতো এ ধরণের আড্ডায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হলে যে রসদ যোগানোর প্রয়োজন তার সামর্থ্য আমার ছিলোনা। তাই চরম কোন পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার আগেই আড্ডার অভ্যাসটা পরিত্যাগ করলাম। একজন মানুষকে সম্ভবতো সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসতাম। 'সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসতাম' এই উপলব্ধিটা আরো জোরদার হলো যখন তার বিয়োগ পরবর্তী সময়ে বহুদিন আমার বাম হাতটাতে কোন বোধ পেতামনা। কিন্তু একটা সময় প্রকাশিত হলো এই বোধটা সম্পূর্ণই এক তরফা। কারণ মাস ছয়েক পরে তার সঙ্গে যখন আমার দেখা হলো তখন এটা বুঝতে মোটেও অসুবিধা হলোনা যে তার মতো উচ্ছল রমণী পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই।



আমার দিন শুরু হতো বাবার বকুনি খেয়ে। দিন শেষ হতো একই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে। বাবার এ আচরণ কোন অবস্থায়ই বাড়াবাড়ি বা অযৌক্তিক ছিলোনা। পৃথিবীর সব পিতাই ঐ অবস্থায় এরূপ আচরণ করতেন। ষাটোর্ধ্ব বয়সের একজন মানুষ জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে যখন পুত্রের উপর নির্ভর করে নিশ্চিত মনে বিশ্রামে যাওয়ার কথা তখনো পুত্রের অপদার্থতার কারণে তাঁকে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে যেতে হচ্ছে। কাজেই এমন অপদার্থ পুত্রেকে বকা দেয়াটা তার অধিকারের পর্যায়েই ছিলো।



স্রষ্টার প্রতি বিশ্বাসটা একসময় খুব শক্তিশালীই ছিলো। বকুনি পর্ব শেষ হলে রোজরাত্রে বালিশে মুখ গুজে অশ্রুসিক্ত নয়নে ঈশ্বরের কাছে সাহায্য চাইতাম। এ অবস্থায় মাঝে মধ্যেই একটা কোমল স্নেহময় হাতের পরশ পাওয়ামাত্রই নিজেকে সামলে নিতাম। মনে হতো, আমার কান্না শুনে ঈশ্বর হয়তো স্ব-শরীরে আমাকে স্বান্ত্বনা দিতে চলে এসেছেন। চোখের জল মুছে অনেক আশা নিয়ে অচেনা আগন্তুকের দিকে তাকাতাম। দেখতাম,না এতো ঈশ্বর নন। শীয়রের পাশে আমারই মতো অস্রুসিক্ত নয়নে আমার মাথায় হাত হাত রেখে বসে আছেন এক রমণী, আমার মা। বুঝলাম, ইশ্বরতো দূরের কথা মা ছাড়া এই মুহুর্তে আমার মাথায় হাত বুলাবে এমন ফুরসত কোন ইতর প্রাণীরও নেই।



আমার দিন বদলে গেছে তা আমি বলিনা। তবে মেরুদন্ডটা একটু সোজা হইছে। 'মেরুদন্ড সোজা হওয়ার' এই প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে ধাপে আমি বুঝেছি, জগতে আসলে বন্ধু কিংবা ঈশ্বর বলে কিছু নেই। আর আদৌতে যদিও থেকে থাকে তবে এসবের সব রূপ একজনের মাঝেই সীমাবদ্ধ। আমার মা, আমার একমাত্র বন্ধু। আমার মা, আমার ঈশ্বর।

মন্তব্য ৬৫ টি রেটিং +১৭/-৪

মন্তব্য (৬৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৯

নেমেসিস বলেছেন:





[ অফটপিকঃ শুক্রবার আসেন বসুন্ধরায় ]

১৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৪

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: কখন? সঠিক সময়টা বলবেন? আপনি আসবেন?

সময়টা বলেন। চেষ্টা করবো। প্রমিজ করতে পারিনা।

২| ১৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৬

সাঈদ সৌদিআরব বলেছেন:
এই সামান্য কষ্টের কারনে নাস্তিক হয়ে গেলেন? এতই ঠুনকো আপনার বিশ্বাস? মানুষের চাওয়া পাওয়ার উপর নির্ভর করে আত্মতৃপ্তি। চেয়ে দেখুন, সমাজে আপনার চেয়ে খারাপ অবস্থায় অনেক লোক বসাবাস করছে। তাদের সাথে আপনি আপনাকে তুলনা করেন। যার একটি হাত নেই, একটি চোখ নেই, হয়ত দুটোই চোখ নেই, যে হাঁটতে পারে না, যার পা নেই আপনি তাদের সাথে আপনাকে তুলনা করেন। আপনিতো তাদের চেয়ে অনেক ভাল আছেন। চলতে পারেন দেখতে পারেন কথা বলতে পারেন সব পারেন। শুধু প্রয়োজন একটু প্রচেষ্টা ভিন্ন ভাবে। একভাবে না হলে অন্য ভাবে। এটাইতো জীবন।
আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম আপনি আর্থিক কারনে কষ্ট পেয়েছেন এবং নাস্তিক হয়ে গেলেন। আরে! অর্থই কি সব? না সব নয়। হয়ত আপনি ঐ ধরনের পরিস্থিতিতে পড়েন নাই তাই বুঝতে পারেন নাই। যাক অর্থই যদি আপনার কাছে সব হয়ে থাকে তাহলে দেন, আপনার দুটি চোখ আমাকে দেন, আমি আপনাকে এক কোটি টাকা দেব। আপনার একটি হাত দেন আমি আপনাকে অনেক অর্থ দেব। আপনি দিবেন? না দেবেন না। তার মানে আপনি তো অনেক ধনী। আপনার কাছে কোটি টাকার চেয়েও মুল্যবান জিনিস আছে।
আশা করি কি বুঝাতে চেয়েছি বুঝতে পেরেছেন। জীবনে চাওয়া পাওয়াকে কম করেন। যে কোন কষ্টকে কষ্ট বলে মনে করবেন না। সহজ ভাবে মেনে নিন। তখন আর কোন কষ্ট থাকবে না। থাকবে না কোন হতাসা।

আপনার শুভ কামনা করি।

১৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৪

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: বিশ্বাসটা সম্পূর্ণই আমার ব্যক্তিগত, যতোক্ষণ পর্যন্ত তা অন্যের ক্ষতি না হয়ে দাড়ায়। আপনার সুদীর্ঘ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। তবে নাস্তিকতার পক্ষে প্রমাণ দিলেও কয়েকশত দেয়া যায়। যেহেতু আমার এই পোস্টের উদ্দেশ্য তা নয় তাই আলোচনাটা সেদিকে বাড়াতে চাইনা।

৩| ১৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৮

প্রণব আচার্য্য বলেছেন: আমার মা, আমার ঈশ্বর

১৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:৩১

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: হুম!

৪| ১৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৭

মদন বলেছেন: ইশ্বর হয়তো আপনার মায়ের ছায়ায় আপনাকে সান্তনা জুগিয়েছে।

১৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৫:০২

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: কী জানি। তবে যা ছোয়া যায় তাই সত্যি। ঈশ্বরকে ছোয় যায়না, দেখা যায়না। মাকে ছোয়া যায়। তাই ঈশ্বরের চেয়ে মাকেই সত্য বলে জানি।

৫| ১৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৫:১৪

নেমেসিস বলেছেন: থাকবো রাত আট টা পর্যন্ত । এর মাঝে আসেন ।

১৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৫:১৫

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। তবে পিস্তল টিস্তল আইনেন না। আমার হার্টের সমস্যা আছে। বাম হাতটা এখনো ঠিকভাবে কাজ করেনা।

৬| ১৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৫:২৫

নেমেসিস বলেছেন: ঠিস আসে

১৭ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৫:২৬

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: ধন্যবাদ। ভরসা পাইলাম।

৭| ১৭ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩

মখআলমগীর বলেছেন: ভাল লাগল লেখাটা

১৮ ই জুন, ২০০৮ সকাল ৮:৫১

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ১৭ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

পাপী বলেছেন: জোশ হইছে!! ফেভ এ রাখলাম। বস আপনি এখন কি করেন জানতে পারি।
আপনার মেসেন্জার এর আইডি দিয়েন যদি প্রবলেম না থাকে।

১৮ ই জুন, ২০০৮ সকাল ৮:৫৩

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: সরি, জানাতে পারলাম না। তবে মেসেঞ্জার আইডি

[email protected]

৯| ১৭ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩

পাপী বলেছেন: ইশ্বরতো দূরের কথা মা ছাড়া এই মুহুর্তে আমার মাথায় হাত বুলাবে এমন ফুরসত কোন ইতর প্রাণীরও নেই।

আমার দিন বদলে গেছে তা আমি বলিনা। তবে মেরুদন্ডটা একটু সোজা হইছে। 'মেরুদন্ড সোজা হওয়ার' এই প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে ধাপে আমি বুঝেছি, জগতে আসলে বন্ধু কিংবা ঈশ্বর বলে কিছু নেই। আর আদৌতে যদিও থেকে থাকে তবে এসবের সব রূপ একজনের মাঝেই সীমাবদ্ধ। আমার মা, আমার একমাত্র বন্ধু। আমার মা, আমার ঈশ্বর।

--সিম্পলি কিলড মি..!!

১৮ ই জুন, ২০০৮ সকাল ৮:৫৬

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: আসলে ব্লগে হালকা কথার পোস্ট না হলে কেউ মনোযোগ দিয়ে পড়েনা। অনেক চেষ্টা করেও সে রকম লেখা লেখতে পারিনা। তারপরেও দু'চার জন আমার লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়েন। তাদের কাছে আমি সব সময়ই কৃতজ্ঞ।

আপনার এই মন্তব্যই প্রমাণ করে আপনি কতোটা গুরুত্ব মনোযোগ দিয়ে আমার লেখাটি পড়েছেন। আপনাকে ধন্যবাদ। কৃতজ্ঞ থাকলাম।

১০| ১৭ ই জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

পাপী বলেছেন: সৌদি আরব টপিকটার টাইটেল দেইখা তারপর প্যাঁচাল পাইরো..। বালসাল

১৮ ই জুন, ২০০৮ সকাল ৮:৫৭

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: আমিও ওনাকে সে রকমই বলেছি।

১১| ১৮ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১২:০৬

সবাক বলেছেন: শক্তিশালী লেখা।

নিয়মিত হবো।

১৮ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১:৫৯

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১২| ১৮ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ১:০৮

ইলা বলেছেন: +

১৮ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৫৯

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: শুধুই প্লাস। আরও কিছু কইলে তৃপ্তি পাইতাম। নাকি অহনও ভাষা পুরাপুরি শিখেন নাই। অপেক্ষায় থাকলাম, ভাষা শেখা শেষ হইলে হয়তো কিছু বলবেন।

১৩| ১৮ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ২:২৯

বাবুয়া বলেছেন: আপনি ভাল লেখেন।

১৮ ই জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৩৭

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: অনেক, অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৫১

সাঈদ সৌদিআরব বলেছেন:
বেশি কিছু আর লিখার প্রয়োজন অনুভব করছি না। তবে আল্লাহর কাছে বলি- "হে আল্লাহ্ এদের সবাইকে হেদায়াত কর"

১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:০৯

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: ভাই! আমিও আপনাকে কিছু বলার প্রয়োজন বোধ করছিনা। মানুষকে প্রথমতো তার নিজের হেদায়েতের কথা চিন্তা করা উচিৎ। তারপরে অন্যের কথা। আপনি যেমন মনে করছেন আপনি সত্যের পথে আছেন। তেমনি আমিও মনে করি আমি সত্যের পথে আছি।

আপনার মন্তব্যটি অফ-টপিক। তাই বিষয়টি নিয়ে বেশি আগাতে চাইনা। টপিক রিলেটেড পোস্টে এটা নিয়ে আবার আমাদের আলাপ হবে বলে আশা করি।

ধন্যবাদ।

১৫| ১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:৫৬

মদন বলেছেন: সফটওয়্যারকে ছোয়া যায় না, সফটওয়্যার সত্যি... ;)

১৮ ই জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:১১

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: কিন্তু আমরা হার্ডওয়ারকেই বেশি গুরুত্ব দেই।

১৬| ১৯ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৩৬

মদন বলেছেন: হার্ডওয়্যারকে চালায় সফটওয়্যার ;)
আপনার ঈশ্বরেও একজন ঈশ্বর আছেন। বিশ্বাস না হলে আপনার ঈশ্বরকে(মা) জিজ্ঞেস করুন :)

১৯ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৪২

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: হার্ডওয়ারকে ভাইরাস নষ্ট করতে পারেনা, সফটওয়ারকে পারে। তো আপনার সেই সফটওয়ার (ঈশ্বর) ও কী ভাইরাসের আক্রমণে নষ্ট হয়?

কলা বাদ দিয়া কবে থাইকা সফটওয়ার বিশেষজ্ঞ হইছোন?

১৭| ১৯ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৫২

মদন বলেছেন: সিআইএইচ ভাইরাস এর কারনে কত কম্পিউটার(হার্ডওয়্যার সহ) নষ্ট হইছিল ভাইজান কি ভুইল্লা গেছেন?
না, আমার সৃষ্টিকর্তা ভাইরাসের আক্রমন থেকে মুক্ত। ;)

১৯ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৫৫

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: তো এরূপ ভাইরাস মুক্ত সফটওয়ারটা (ঈশ্বর) বানাইল কে? রামায়নের বান্দর বাহিনী?

১৮| ১৯ শে জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৫৮

মদন বলেছেন: সেইটা জানিনা বইলাই তো আমি সৃষ্টিকর্তার অনুগত ;)

১৯ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০২

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: আপনার মন্তব্য সত্য, তেব শুধু আপনার ক্ষেত্রে। কারণ বান্দরেরা না জাইনা অনুগত থাকতে পারে, কোন সমস্যা নাই। কোন মানুষ সব সময়ই জানতে চায়, তারপরে অনুগত হয়।

১৯| ১৯ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:০৬

রাতিফ বলেছেন: চিন্তাশীল এবং গঠনমূলক লিখা............দারুণ লাগলো।


ভালো থাকুন।

১৯ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৩:১২

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: অনেক, অনেক ধন্যবাদ।

শুভেচ্ছা রইলো।

২০| ১৯ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:০৯

অদ্ভুত আঁধার এক বলেছেন: অসাধারন লেখা......
অনেক বিষয় ভাববার সুযোগ করে দেয়।
ভাল থাকুন সবসময়।

১৯ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:৪৬

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: অনেক, অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২১| ২২ শে জুন, ২০০৮ সকাল ৮:৫৯

না বলা কথা বলেছেন: একটা চমৎকার লিখা পড়লাম।

২২ শে জুন, ২০০৮ সকাল ৯:৪৫

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: অনেক, অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২২| ২৯ শে জুন, ২০০৮ সকাল ১১:০০

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন:
purota porlam.chuye gelo

২৯ শে জুন, ২০০৮ সকাল ১১:২১

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: এবার বলুন, না পড়েই মাইনাসটা কেন দিয়েছিলেন।

Just take it as a polite inquiry.

২৩| ২৯ শে জুন, ২০০৮ সকাল ১১:০৮

সীমান্ত আহমেদ বলেছেন: লেখাটার পিছনে যে দরদ তা আসলেই হৃদয়কে ছুয়ে যায়।
অনেক ধন্যবাদ।ভালো থাকবেন।



২৯ শে জুন, ২০০৮ সকাল ১১:২১

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

২৪| ২৯ শে জুন, ২০০৮ সকাল ১১:২৩

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: সেজন্য দুঃখিত , আপনার কবিতা ভালো লাগেনি । কিন্তু এই পোস্টে রেটিং করে সাথে সাথে মনে হয়েছে ভুল হয়ে গেছে । কিছু মনে করবেন না ।

২৯ শে জুন, ২০০৮ সকাল ১১:৩২

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: সব লেখা ভালো লাগবে এমন কোন কথা নেই। অনেক ভালো লেখকেও সব লেখা ভালো লাগেনা। আর এটাতো সত্যি যে আমি ভালো লেখিওনা।

তবে তার প্রতিক্রিয়াস্বরূপ অন্য পোস্টগুলো না পড়েই মাইনাস দেয়াটা হাস্যকর।

২৫| ২৯ শে জুন, ২০০৮ সকাল ১১:২৪

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আমার ব্লগে আপনাকে প্রশ্ন রেখেছি , দয়া করে সেটার একটা জবাব দেবেন

২৯ শে জুন, ২০০৮ সকাল ১১:২৯

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: দিয়েছি।

২৬| ০৬ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ৮:৪০

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: হৃদয় ছোঁয়া লেখা....................
খুব ভালো লাগলো।
শুভকামনা আর শুভেচ্ছা স্বপন...........।

০৬ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ৮:৪২

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: অনেকদিন পরে আপনার মন্তব্য পেলাম। কেমন আছেন?

আপনাকেও শুভেচ্ছা।

২৭| ১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:১৫

যীশূ বলেছেন: অসাধারণ।

আর কিছু বলবো না।

১০ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:৫২

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: অনেক, অনেক ধন্যবাদ।

২৮| ১৭ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ১০:২৪

অন্তিম বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন আপনি। জীবনের কঠিন বাস্তবতা গুলো যখন আমাদের সামনে এসে দাড়ায় তখন আমরা কাতর হই কিন্তু কিছু করার থাকে না।
ভাল থাকবেন।

১৭ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ১০:৫২

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।

২৯| ২৫ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ২:২৭

পাগলাকানা বলেছেন: এই রকম আত্মবিশ্লেষনধর্মী খুবই বিরল। অসাধারন লেখা

২৭ শে জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:২৫

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: অনেক, অনেক ধন্যবাদ।

৩০| ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৪৬

মুহিব বলেছেন: কাজ মানুষকে কনফিডেন্ট করে। সামাজিক অবস্থা যোগ্যতরের জন্য - এইটা মানতেই হয়। আমাদের দিনও এভাবেই গেছে।

২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:০৮

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: সেটাই।

৩১| ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ২:৫৮

মেসবাহ য়াযাদ বলেছেন: লেখাটা অনেকদিন পর পড়ার জন্য অপরাধবোধ হচ্ছে...ভালো লাগলো। অনেক ভালো...

২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:০৮

ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: অনেক, অনেক ধন্যবাদ।

৩২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:১৩

মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: আমার মা, আমার ঈশ্বর।

৩৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:০৮

িদনবদল বলেছেন: মানুষ হিসেবে আমি চরম নৈরাশ্যবাদী এবং চূড়ান্ত নেতিবাচক মনোভাবের অধিকারী। মানুষের মাঝে আমি ভালো কিছু দেখিনা, আশাও করিনা। ধর্মবিশ্বাসে আমি নাস্তি।

............তা ভাই আপ্নারা ভাল কিছু কিভাবে দেবেন।
লয্জা ও ঘ্রিনা।

৩৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:০৯

িদনবদল বলেছেন: মানুষ হিসেবে আমি চরম নৈরাশ্যবাদী এবং চূড়ান্ত নেতিবাচক মনোভাবের অধিকারী। মানুষের মাঝে আমি ভালো কিছু দেখিনা, আশাও করিনা। ধর্মবিশ্বাসে আমি নাস্তি।

............তা ভাই আপ্নারা ভাল কিছু কিভাবে দেবেন।
লয্জা ও ঘ্রিনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.