![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শালীনতা বা অশ্লীলতা পরিবেশ,ধর্মীয় রীতি-নীতি, বয়স ও স্থানভেদে আলাদা হতেই পারে।যেমন ইউরোপ- আমেরিকার দেশগুলোর শালীনতা আর মুসলিম দেশগুলোর শালীনতার ভিন্নতা ।
পোশাক পরিধানে ব্যক্তির বয়স ,দৈহিক গড়ন, আরামদায়কতা ও শারীরিক অবয়বের প্রাধান্য থাকাটা যেমন বিবেচ্য বিষয় তেমনি স্থান বা পরিবেশ টা মুল্যায়ণ করাও জরুরী ।
চারমাস বয়সী একটা মেয়ে বাচ্চা কে শাড়ি পরিয়ে রাখাটা যেমন সমীচীন নয়,তেমনি মৃত ব্যক্তির সৎকার অনুষ্ঠানে জাঁকজমক পোশাক পরিধান করাও রুচিশীলতার পরিচায়ক নয়।
কে কি ধরনের পোশাক পরবে সেটা একান্তই যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার ।
কিন্তু পরিধেয় পোশাকটি যদি তার নিজস্ব স্বকীয়তা হারায় তাহলে পোশাক পরিধানের উদ্দেশ্যও ব্যর্থ হয়ে যাবে।
দামী পোশাক কিংবা আধুনিক পোশাক মানেই দেখতে সুন্দর লাগবে , এমন টি ভাবা নিতান্তই বোকামী ।বরং মার্জিত ও শরীরের সাথে মানানসই পোশাক সকল স্থানে ,সব-সময় , সকলের কাছেই সমাদৃত ,পোশাকের দাম যা ই হোক ।
সু-প্রাচীন কাল থেকেই লজ্জা নিবারণ ,নিরাপত্তা ও সৌন্দর্যের জন্য পোশাকের ব্যবহার পরিলক্ষিত হয় ,যাতে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে বিচিত্রতার স্পর্শ লাগছে প্রতিনিয়ত। তাই বলে , অতিরঞ্জিত পোশাক মানেই স্মার্ট লাগবে ,সবাই বাহবা দিবে এমনটি নয় ।
একবিংশ শতাব্দীতেও আমাদের পোশাকে রুচিশীলতার ছোয়া না থাকলে ,শিক্ষা ,প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্থহীন হয়ে পরবে ।
অন্যের নিকট নিজে আকর্ষণীয় করা ,নিরাপত্তা ও লজ্জা নিবারণের উপকরণ পোশাক কারো বিকৃত মস্তিষ্কের পরিচায়ক না হোক , পোশাক হোক মার্জিত রুচি ও সুন্দর অবয়বের পরিচায়ক ।
©somewhere in net ltd.