নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনাবিল ভালবাসা প্রদর্শন করতে আমাদের শহীদদের প্রতি এক দিকে পুষ্প হাতে প্রভাত ফেরির উপচে পড়া ভিড় শহীদ মিনারে, অন্যদিকে আরেক শহীদের স্তম্ভ ও তার স্মরণ ভাস্কর্যে লাথি! তাই টিএসসি'স রাজু ভাস্কর্যের মোড়ে শহীদ রাজু ভাস্কর্য বেদীর লৌহ বাঁধা টপকে উৎসুক জনতা জুতো পায়ে এক পা রাজু ভাস্কর্যে রেখে, অন্য পা মাটিতে ঠেকিয়ে বিমূর্ত চিত্তে ছবি তুলছে! সেখানে আমাদের প্রশাসনিক ভূমিকা ব্যাখ্যা করলে হয়তো আবার মনে হবে যে সেখানে নিয়োগকৃত ছিল এক দল পোশাক ধারণকৃত রাষ্ট্রীয় গুণ্ডা বাহিনী। আজকে সকালে আমরা আমাদের কলেজের স্থায়ী শহীদ মিনারে প্রভাত ফেরি করে কয়েক জন বন্ধু মিলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাই। পরে টিএসসি'র মোড়ে যেতেই দেখি শহীদ রাজুর আত্মত্যাগ এবং ভাস্কর্যকে এই ভাবে অপমান করা হচ্ছিল। প্রথমত নিজেরা কয়েকবার বলেছি, না পেরে পুলিশদের জানাতে যাই। প্রথম যাকে জানাই, সে বলল, “ঐ স্যারকে জানাও।” পরের জন অস্বাভাবিক ক্রোধান্বিত হয়ে বলল, “তা আমাদের কি? তোমরা যাও।” আমি বলেছিলাম, “শহীদের অপমানে আপনার কিছু আসে যায় না? যাই হোক, লোকজন সরাতে আপনার সাপোর্ট লাগবে। এক জন কন্সট্যবল পাঠান।” সে আরও রেগে বলল, “ঐ খানে ওসি স্যার আছে, তাকে বলেন।” তাই করলাম। পরে ওসি বলল যে ঠিক আছে, দুজনকে নিয়ে যাও। তাই তাকে আমি স্যালূট জানাচ্ছি এখন। কিছুটা সময় আমরা তিনজন এক সাথেই দাড়িয়ে ছিলাম, যাতে কেউ আর ভিতরে প্রবেশ না করে। পরে ফিরে এসেছি। হয়তো, এখন আবার ওই একই অবস্থা। কিন্তু কিছুটা সময়তো শহীদকে সময় দিতে পেড়েছি, সেটাই আমার আজকের সাফল্য। বৈশাখী চ্যানেলের সাংবাদিক উসুফ ভাইয়াকে এবং যমুনা টিভির আরেক সাংবাদিক কে প্রাণ খুলে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর রাসেল এবং সিদ্দিক কে ধন্যবাদ সব চেয়ে বেশি জানাচ্ছি পাশে থাকার জন্য।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০২
রাফিন জয় বলেছেন: দলিল হচ্ছে হচ্ছে স্বীয় চেতনায় তথা নিজের মূল্যবোধ!
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১১
মিঃ আতিক বলেছেন: শহিদ মিনারে, রাজু ভাস্কারজ্যে লাথি দিলে শহিদের আত্মা কষ্ট পাবে এ কথার প্রমান কি? আপনার কাছে কোন দলিল থাকলে প্রকাশ করবেন প্লিজ।