নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটু গভীর ঘটনা। যা সচরাচর ইতিহাসের পাতায় দেখতে পাওয়া যায় না। ১৯৫২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের উত্তাল সময়, পাকিস্তান সরকারের ১৪৪ ধারা জারির কথা জানতে পেরেই 'সর্বদলীয় রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদের' একটা বৈঠক করা হল। বৈঠকে সদস্যদের বাকবিতণ্ডা চলছিলো মোটা মোটি ভাবে। ২১ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ তৎসময়ের আগামিকাল, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি 'রাষ্ট্র-ভাষা' দিবস ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে পালন করা হবে না কি না?
কমিটির ১৬ সদস্যের মধ্যে ১১ জনের রায় হচ্ছে রাষ্ট্র ঘোষিত ১৪৪ ধারা মেনে নিয়ে নির্বাচন অবধি অপেক্ষা করা। কিন্তু বাকি ৫ জনের ৪ জন মতামত দিলো যে, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ না করা হলে আগামিতে আন্দোলন শ্লথ হয়ে পড়বে এবং সামনে আর কোন আন্দোলন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে অগ্রসর হবে না। বাকি একজন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে।
পরে কমিটির সিদ্ধান্তে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত সাধারণ ছাত্র জনতার মাঝে জানানো হল। সাধারণ ছাত্র জনতা উৎসুক ও ক্ষিপ্রতার সাথে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নেয় এবং পরদিন ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে সবাই জড় হতে শুরু করে। বলার অপেক্ষা না রাখে পরে কি ঘটেছিলো। "লোহিত গঙ্গা বহেছিল সেদিন পিচ ঢালা পথে।" পেয়েছিলাম রক্ত স্নাত ২১ ফেব্রুয়ারি।
১৪৪ ভঙ্গে যারা মতামত দিয়েছিলো, তারা ছিল চার জন কমিউনিস্ট নেতা আব্দুল মতিন (আবদুল মতিন), অলি আহাদ, গোলাম মাওলা এবং শামসুল আলম।
ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সাধারণ ছাত্র সমাজ একটা গণ ছাত্র সংগঠনের অভাব বোধ করে। পূর্ব পাকিস্তানে লেজুড়বৃত্তি ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি গণ ছাত্র সংগঠনের প্রয়োজন বোধে ভাষা আন্দোলনের অকুতোভয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলনের অগ্রপথিক ভাষা মতিনের নেতৃত্বে ১৯৫২ সালের ২৬ এপ্রিল গঠন করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। ভাষা সৈনিকদের নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: বড় দুঃসময় গিয়েছে আমাদের।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: