নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাফিও ইসলাম

রাফিও ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

দানবাধিকার

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২২

এক দেশে এক, না রাজা নয় ছিল দানব। সেই দানব দেখতে যেমনি হোক না কেন তার ভেতরটা ছিল ভয়ানক নির্মম। কোনো এক কালে সেই দেশে উত্তাল সময় উপস্থিত হল, জাগরণের ঢেউ উঠল। এক মাহাপুরুষের ডাক শুনে দেশবাসী স্বাধীনতার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়লো। দানবটি দেশের স্বাধীনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে গিয়ে অত্যাচারী বেয়নেটধারী শয়তানকে সমর্থন করে বসল। শয়তানকে সবরকম সহায়তা দিল দেশের নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে খড়গ চালাতে। নিজের চামড়া বাঁচানোর জন্য আশ্রয় নিল ধর্মের। কোটি মানুষকে করলো দেশ ছাড়া। শয়তান এবং দানবের হাতে লাখ লাখ নিরীহ নারী, পুরুষ, শিশু মারা পড়ল। নির্যাতিত হল লাখো নারী। বহুকাল পরে দেশটির জন্মের বিরুদ্ধে অপরাধ করা দানবটির সেই দেশের মাটিতেই শাস্তি হল ৯০ বছরের কারাদণ্ড। যে বন্য দানবতা নিয়ে এক কালে মানবতাকে ভূলুণ্ঠিত করেছিল সেই কিনা পেল মানবতার শাস্তি। ঘটনা এখানেই থেমে থাকলো না। কোনো এক আন্তর্জাতিক সংস্থা মানবাধিকার মানবাধিকার বলে চেঁচিয়ে উঠল। অথচ সেই আন্তর্জাতিক সংস্থা দেশটির জন্ম যুদ্ধের সময় সব হারিয়ে ফেলা মানুষগুলোর খোঁজ করেনি, বাবা-মা হারানো অসহায় শিশু গুলোর কান্না শোনে নি, সম্মান হারানো নারীদের মানবতার আশ্রয় দেওয়ার কথা বলে নি, যুদ্ধে পঙ্গু হওয়া অসহায় মানুষগুলোর কথা বলে নি। সংগ্রামের পর পরই জন্ম নেওয়া যুদ্ধশিশুরাও কালের অতলে হারিয়ে গেল, যারা জানে নি বাবা-মার পরিচয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি মানবাধিকার মানবের জন্য প্রযোজ্য করে নি করেছে দানবের জন্য, যা কিনা দানবাধিকার।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

রাজীব দে সরকার বলেছেন:
ভালো বলেছেন

দানবের জন্য কোন করুণা নাই

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৩

রাফিও ইসলাম বলেছেন: তাই যেন হয়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.