নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাফিও ইসলাম

রাফিও ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছাগু সেপিয়েন্স

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০৩

পৃথিবীতে হোমো সেপিয়েন্স এর আবির্ভাব হয়েছিল আনুমানিক ২.৫ মিলিয়ন বছর আগে। হোমো সেপিয়েন্স শব্দটি ল্যাটিন। যার বাংলা অর্থ “জ্ঞানী মানুষ”(ওয়াইজ ম্যান)। তবে এইতো কিছুদিন হল বাংলাদেশে নতুন একটি মানব প্রজাতির আবির্ভাব ঘটেছে। এরা হচ্ছে ছাগু (হাগুর সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই)। সুইডিশ বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াসের নিয়মে যদি নামকরণ করি তাহলে দ্বাড়ায় ছাগু সেপিয়েন্স । হোমো সেপিয়েন্স এর অর্থ আমরা জানলেও এই ছাগু সেপিয়েন্স এর অর্থ এখনো অজানা। তবে আক্ষরিক অর্থ যাই হোক না কেনো এদের চরিত্রের একটা দিক সম্পর্কে আমরা সবাই কিছুটা জানি। সেটা হল ছাগুপনা। ছাগল যেমন সবকিছুতে মুখ দেয়, যাই পায় কামড়ানোর চেষ্টা করে এরাও তেমনি ইনিয়ে-বিনিয়ে কিছু একটা বলার চেষ্টা করে। সমস্যা হচ্ছে সোজা কথায় এরা উত্তর দেয় না। কোনো এক ব্লগে পড়েছিলাম ছাগু চেনার উপায়। যেটা হচ্ছে কে.পি. টেস্ট, যার মানে কাঁঠাল পাতা টেস্ট। কে.পি. পজিটিভ ধরা পরলে সে ছাগু। তবে, কিন্তু, এটা না হয়ে ওটা, এমন না হয়ে তেমন, আগে কেনো হল না, এতোদিন পরে কেনো এই ধরণের শব্দগুলো এরা খুব ব্যবহার করে। এবং এরা কথা ঘুরাতে খুব পছন্দ করে। এক জিনিসে আরেক জিনিস ঢুকিয়ে দিতে তাদের জুড়ি নেই। এদের সাথে কথা বলতে গেলে কখনো টপিকস্ ঠিক থাকে না। দুনিয়ার সব কথা শেষ করে এসে যেই লাউ সেই কদুই রয়ে যায়। এরা থাকে সবসময়ই বিপদের মধ্যে। না পারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে অস্বীকার করতে, না পারে মনের কথাটা খুলে বলতে। তারা বেশিরভাগই একটি দলের সাপোর্টার (শিবিররা সরাসরি বিরোধিতা করে)। সেই দলটি যদি জামায়াত শিবিরের সাথে না থাকতো তবে তারা কী করতো? তখনো কী তারা ছাগুপনা করতো? নাকি তখন এই বিচারকে সমর্থন করতো? সেই দলটি আজ যদি এই বিচারকে হুট করে সমর্থন করা শুরু করে তবে কী তারাও এই বিচারকে সমর্থন করা শুরু করবে? কোনো এক ছাগু একবার আমার সামনে বলেছিল ৪০বছর আগের ঘটনা নিয়ে এখন বিচার করা কী প্রয়োজন? আমি তখন তাকে বলেছিলাম ৪০বছর আগে যদি এই যুদ্ধাপরাধীরা আপনার বাবাকে মারতো তবে কী আপনি এই কথাটি বলতেন? তখন তিনি চুপ মেরে গিয়েছিলেন। মোক্ষম উত্তর দিতে পারলে এরা চুপ মেরে যায়, বুঝে যায় কথা বলে সুবিধা হবে না। অন্য কোথাও গিয়ে হয়তো আবার ইনিয়ে বিনিয়ে একই ধরণের কথা বলার চেষ্টা করবে। বিচার শুরু করার সাথে সাথেই ছাগুরা হৈ চৈ শুরু করলো আন্তর্জাতিক মান নিয়ে। তারা নিজেরা কী বোঝে আন্তর্জাতিক মান জিনিসটা কী? বাংলাদেশের বাকি সব আইন কী আন্তর্জাতিক মানের? বাকি সব আইন যদি আন্তর্জাতিক মানের না হয় তবে এই আইনকে কেনো আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে? তারা এই আন্তর্জাতিক মান কথাটা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলে, কিন্তু একবারও কী বলেছে কী কী থাকলে এবং কী কী না থাকলে আন্তর্জাতিক মানের হবে? আর তারা যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন কেনো এটাকে আন্তর্জাতিক মানের করলো না? তারা তো পাঁচ পাঁচ দশ বছর সময় পেয়েছিল। ফাঁসি কার্যকর হলে হয়তো তখনো বলবে ফাঁসি আন্তর্জাতিক মানের হয়নি, আন্তর্জাতিক মানের ফাঁসি দিতে হবে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:৩১

রাজ্জাক রাজ বলেছেন: হাম্বা। হাম্বা সেপিয়েন্স ।

Typed with Panini Keypad

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৫২

চলতি নিয়ম বলেছেন: এক জিনিসে আরেক জিনিস ঢুকিয়ে দিতে তাদের জুড়ি নেই।

প্রমান পাইছেন? ;)

২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০৫

রাফিও ইসলাম বলেছেন: ...হাতে নাতে...

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

সাদ আরেফিন বলেছেন: ছাগু তিন প্রকার: ছাগু, হাম্বাছাগু, কুত্তাছাগু

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩

সাদ আরেফিন বলেছেন: ছাগু তিন প্রকার: ছাগু, হাম্বাছাগু, কুত্তাছাগু আপনি কি এই দলের মধ্যে পড়েন ???

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.