![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
..সুযোগ পেলে চলে যাবো শহর ছেড়ে দুরে / কষ্টগুলো ফেলে যাবো পাশের আস্তাকুড়ে!
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী’,
গানটার আগে এর ইতিহাস জানা থাকা দরকারী।
আমাদের গায়ে বাঙ্গালীর ঘ্রাণ, রক্তও তাই বলে,
কিন্তু স্বভাবে বাঙ্গালী হই নি, চলছি যে যার তালে।
ইতিহাস নাকি বোরিং বিষয়, যারা পড়েছেন জানেন,
ইতিহাস ছাড়া পরিচয় নাই, এটা আশা করি মানেন।
বাঙ্গালী আমার পরিচয় আর একুশ আমার ইতিহাস,
এর বিনিময়ে রক্ত ঢেলেছি, পড়েছে ভাইয়ের লাশ।
কত কথা আর ভাব বিনিময় করছি বাংলা ভাষায়,
লোকজন সব বাংলায় হাসে, কেদেঁ-টেদে বুক ভাসায়।
বাংলায় হাসা, বাংলায় কাঁদা, হয় কি কখনো এটা?
আমরা বাঙ্গালী, মুখ বলি যা যা বাংলায় হয় সেটা।
একটু ভাবুন, এই যে একুশ এর গুরুত্ব কত!
সেদিন না এলে, বাংলা না বলে উর্দু বলতে হত!
‘ক্যায়া বাত হ্যায়? ক্যায়ছা হে তু? কাহা যারাহাহে হুজুর?
হামারা পেয়ারা পাকিস্তান মে হাম লোগ ছাব মজুর’!
এসব কথাই বলতাম আমরা, সমীকরণটা সোজা,
আমাদের কাছে সেটা হয়ে যেত খুব বড় এক বোঝা!
আল্লাহর কাছে কোটি শুকরিয়া, বেচেঁছি উর্দু থেকে,
আমার সঙ্গে একমত নয় হাত তোলেন আছে কে কে?
হিন্দি উর্দু মার প্যাঁচ লাগে ঘটনা অনেক আগের,
যেই সময়ের ঘটনা বলছি, সময় দেশ বিভাগের।
সাতচল্লিশে ধর্মের নামে দাঙ্গা লাগিয়ে ঘরে,
শেষ গুটি চেলে ইংরেজ দল কৌশলে কেটে পড়ে,
উপমহাদেশ ভাগ হয়ে যায় ভারত পাকিস্তানে,
পাকিস্তানেরও দুটো ভাগ হয় ভারত আসে মাঝখানে।
পশ্চিম একটা পুর্ব একটা ভিন্ন দুইটা জাতি,
ভাষাও ভিন্ন, আচার আচরন, দু’টা দুই সংস্কৃতি।
পশ্চিমে তারা শাসক হয়ে গেল, শুরু হয়ে গেল শাসন,
আমরা সংখ্যালঘিষ্ট তাই শুনলাম ওদের ভাষণ।
আমরা খাটছি ফসল দিচ্ছি, ওরা ঐ দেশে খাচ্ছে,
চোখের আড়ালে সম্পদগুলো ঐ দেশে চলে যাচ্ছে!
আমরা শ্রমিক, আমরা মজুর, দিচ্ছি তাদের খাজনা,
অধিকার পাবো? আয়েশ করবো? এটা আমাদের কাজ না!
ঠিক এই ভাবে এক দুই করে বানর উঠে গেল কাধেঁ,
ভাবলো কিভাবে ভাষা কেড়ে নিয়ে আমাদের মুখ বাধে!
বলল, উর্দু ভাষা হবে এই পুর্ব পাকিস্তানে,
এই দেশটার মানুষগুলো কি ওদের এই কথা মানে!
কারফিউ দিল, সাথে দিল ধারা একশ চুয়াল্লিশে,
মারবে? মারুক! আমরা বাঙ্গালী! আমাদের ভয় কিসে?
নামলো মিছিল, বায়ান্ন-এর একুশে ফেব্রুয়ারী-
স্লোগানে স্লোগানে ঢাকা মেডিকেলে রাজপথ হল ভারী।
‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ এইটা সবার দাবী,
পাকিস্তানের চেলা চামচারা যা চলে কই যাবি!
আসলো কমান্ড, গর্জে উঠলো পুলিশের রাইফেল,
ভাষার যুদ্ধে আমরা জিতেছি, ওরা হল ভাই ফেল।
নিরস্ত্র ঐ ছাত্রের দল যারা ছিল মিছিলেতে,
ভাষার জন্য গুলির সামনে বুকটা দিয়েছে পেতে।
রফিক, বরকত, সালাম, জব্বার, শফিউর আরো কত,
নাম না জানা ছাত্রের দল ছিল আরো শত শত।
নিরস্ত্র হাতে প্রাণ দিয়ে দিল শহীদরা গেল জিতে,
ভাষার জন্য এমন যুদ্ধ! নজীর আছে পৃথিবীতে?
এর পালাক্রমে একাত্তর আর এসেছে মুক্তিযুদ্ধ,
হয়েছি স্বাধীন, শোষনের দ্বার চিরতরে হল রুদ্ধ।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি আর স্রদ্ধা,
আদায় করেছি আমরা বাঙ্গালী, আমরা মুক্তিযোদ্ধা।
ভাইয়েরা আমার, ঋণী করে গেলে, দিলে তোমাদের প্রাণ,
আজকে আমরা স্বাধীন, গাইছি তোমাদের নিয়ে গান।।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮
রফিক এরশাদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপুনি
শুনে খুব খুশি লাগছে
আপনার ভালো লাগে বলেই তো আবার সামু তে লেখা শুরু করলাম! আপনার জন্যই লিখি
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২২
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া আমি মুগ্ধ!
প্রিয়তে রেখে দিচ্ছি!
আমার বাচ্চাদের পড়ে শুনাবো!