নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কেউ না আমি কেউ না

খাঁজা বাবা

বল বীর – বল উন্নত মম শির! শির নেহারি’আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!

খাঁজা বাবা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আফগানিস্তান ও শতাব্দির ইতিহাসঃ পর্ব ৫

০১ লা জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৪৩



আফগানিস্তান ও শতাব্দির ইতিহাসঃ পর্ব ১
আফগানিস্তান ও শতাব্দির ইতিহাসঃ পর্ব ২
আফগানিস্তান ও শতাব্দির ইতিহাসঃ পর্ব ৩
আফগানিস্তান ও শতাব্দির ইতিহাসঃ পর্ব ৪

১৯৯৬ সালে তালিবান কাবুল দখল করে আফগানিস্তানকে ইসলামিক এমিরেটস ও অফ আফগানিস্তান হিসেবে ঘোষনা করে এবং শরিয়া আইন জাড়ি করে। তালিবান মতাদর্শ শরিয়া আইন, পশতুন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ধারা ও দেওবন্দী মতবাদের সংমিশ্রনে একটি নতুন উদ্ভাবিত মতবাদ। শুরুর দিকে তালেবান নীতি ও আদর্শ মৌদুদী ও জামায়াত ই ইসলামী দ্বারা প্রভাবিত হলেও পরবর্তীতে মুফতি রশিদ আহমদ লুধিইয়ানভি দ্বারা ব্যপক ভাবে প্রভাবিত হয়।

প্রায় ২০ বছরের গৃহযুদ্ধে আফগানিস্তান তখন ধ্বংশস্তুপ। তখন আফগানিস্তানের অর্থনীতি ও অবকাঠামোর অবস্থা খুবই করুণ। দেশের কোথায় তখন পানির সাপ্লাই নেই, রাস্তা নেই, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, বাসস্থান, খাবার, পানিয় জল, টেলিফোন সংযোগ সব কিছুই প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। শিশু মৃত্যুহার, স্বাস্থ্য, মানব সম্পদ সবকিছুর অবস্থাই দূর্দশাগ্রস্থ। একদিকে দেশে কাজ নেই অন্যদিকে যুদ্ধে পরিবার প্রধান নিহত হওয়ায় বিধবা প্রধান পরিবারের সংখ্যা দাড়ায় আনুমানিক ৯৮০০০। যাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সহায়তা প্রয়োজন ছিল।

এমন সময় সদ্য গঠিত তালিবান সরকারের সামনে ছিল তিনটি প্রধান চ্যালেঞ্জ। যার মধ্যে দেশে শরিয়া আইনের প্রতিষ্ঠা ও শৃংখলা ফিরিয়ে আনা, অর্থনীতি ও অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সমগ্র দেশে নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করা। গৃহযুদ্ধে জর্জরিত আফগানিস্থানে তখন খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ও অবকাঠামো উন্নয়নে পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না। তাদের প্রয়োজন ছিল বিদেশি সহায়তার। কিছু এন জি ও শহরাঞ্চলে খাদ্য ও স্বাস্থ্য খাতে কাজ করলেও তা ছিল অপ্রতুল। অন্যদিকে তালিবান সরকার এন জি ও গুলোর উপর আস্থা রাখতে না পারায় তারা সেগুলোকে শহরাঞ্চলের বাইরে কাজ করার অনুমতি দেয় নি। ততদিনে রাশিয়া অর্থনৈতিক ভাবে দূর্বল হয়ে পড়ায় এবং মোজাহিদ দের কাছে মার খাওয়ায় তারা তালিবানের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ায়নি। অন্যদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ায় এ অঞ্চলে ইউরোপ ও আমেরিকার কার্যসিদ্ধি হয়ে যায় ফলে তারাও এ অঞ্চলের উপর আগ্রহ হাড়িয়ে ফেলে এবং তাদের থেকেও কোন প্রকার সাহায্য পাওয়া যায় নি।

তালিবান সরকার শহরগুলোতে কঠোরভাবে তাদের আইন বাস্তবায়ন করতে শুরু করে এবং গ্রামাঞ্চলে জিরগা ব্যবস্থা উৎসাহিত করে যার মাধ্যমে তালিবান আইন বাস্তবায়ন হবে। ফলে গ্রামাঞ্চলে তালিবান নিয়ন্ত্রন ছিল পরোক্ষ বা সামান্য। তালিবান সরকার এ সময় দূর্নীতি ও অইসলামিক, অনৈতিক কর্মকান্ড দমনে কঠোর হয়। নারীদের প্রতিও তাদের কঠোরতা প্রকাশ পায়। অভিবাবক ছাড়া নারীদের রাস্তায় বের হওয়া নিষিদ্ধ করা হয়। নারীদের কর্মসংস্থান হাসপাতাল গুলোতে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে, সেখানে নারী রোগিদের পুরুষ ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা নিষিদ্ধ ছিল। তালিবান ক্ষমতা নেয়ার আগে বেশিরভাহ প্রাথিমিক বিদ্যালয়ে নারীরা শিক্ষাদানে জড়িত ছিলেন। নারীদের নিষিদ্ধ করার ফলে শিক্ষকের অভাবে প্রচুর স্কুল বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। উচ্চ শিক্ষায় নারীদের নিরুৎসাহিত করা হতে থাকে। নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতেই এ ব্যবস্থা বলে তালিবানের পক্ষ থেকে প্রচার করা হতে থাকে।

জাতীসংঘের সহায়তা কার্যক্রমে নিযুক্ত মহিলাদের বোরকা পড়তে বলা হয় এবং পুরুষদের সাথে কথা বলার সময় পর্দার আড়ালে থেকে কথা বলতে বলা হয়। ফলে জাতিসংঘ মুসলিম মহিলাদের নিয়োগ দেয়া শুরু করে, কিন্তু এখানে তালিবান বিদেশী মহিলাদের আফগানিস্তানে আসার জন্য সাথে মাহরাম বা স্বামী থাকার শর্ত দেয়। ফলে ১৯৯৮ সালে জাতিসংঘ তার কার্যক্রম ঘুচিয়ে চলে যায়। ( জাতিসংঘ নারীদের পরিবর্তে পুরুষদের কেন নিয়োগ দেয়নি তা বোধগম্য নয়)

তালিবান এসময়ে ছবি আঁকা, মুর্তিবানানো, বাদ্যযন্ত্র বাজানো, গান গাওয়ার মত সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বন্ধ করে দেয়। চলচিত্র, টেলিভিশন, স্যাটেলাইট চ্যানেল নিশিদ্ধ করা হয়। বাচ্চাদের ঘুড়ি ওড়ানো, দাবা খেলার মত বিষয় গুলোতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তাকে মারধর করা হত বলে বিভিন্ন মাধ্যমে দাবি হয়। দূরবর্তী অঞ্চলগুলোতে কোথাও কোথাও খ্রীষ্ট ধর্ম প্রচারের অভিযোগে বিদেশি সাহায্য কর্মীদের হত্যা করা হয় এবং পোলিও টিকা কার্যক্রমের আড়ালে গুপ্তচড়বৃত্তির অভিযোগ এনে তা বন্ধ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। কোথাও কোথাও নারীরা একা ঘর থেকে বের হলে মারধরের অভিযোগ পাওয়া যায়। দূরবর্তী অনেক এলাকার তালিবান ও আরব আল কায়দা নেতাদের বিরুদ্ধে পশতু ব্যতিত হাজারা ও অন্যান্য উপজাতীয় নারীদের কিডন্যাপ করে যৌনদাশি ও গৃহকর্মী হিসেবে পাকিস্থানে পাচারের অভিযোগ আছে। আবার অনেক তালিবান নেতা এসব কার্যক্রম প্রতিহত করেছেন বলেও বলা হয়ে থাকে। তালিবান সরকার আফগানিস্তানের ঐতিহ্যবাহী বালকপ্রিতি বা বালকের যৌন দাসত্ব (ঘেটুপুত্র) বন্ধ করে দেয়।

১৯৯৮ সালে তালিবান পুলি খুমরি পাবলিক লাইব্রেরি ধ্বংশ করে যাতে ৫৫০০০ এর বেশি বই ও পাণ্ডুলিপি সংরক্ষিত ছিল। ১৯৯৯ সালে মোল্লা ওমর একটি ডিক্রি জাড়ি করেন যাতে ৬ শতকে তৈরি বাহামিয়ানের বুদ্ধ মুর্তি ধ্বংশ না করতে বলা হয়। ২০০১ সালে তিনি আর একটি ডিক্রিতে দেশের সব মুর্তি ধ্বংশ করার আদেশ দেন। তখন এ মুর্তি গুলি ভেঙ্গে ফেলা হয়। এ সময় জাতীয় জাদুঘরে রক্ষিত ২৭৫০ টি শিল্প কর্ম ধ্বংশ করা হয়।

উত্তরাঞ্চলের নিয়ন্ত্রন গ্রহন করতে গিয়ে তালিবান বেশ কয়েকটি গনহত্যা চালায় বলে অভিযোগ। পাকিস্তান এ কাজে প্রত্যক্ষভাবে তাদের সহায়তা করেছে বলে অভিযোগ আছে। তালিবানের শাসনামলে আভ্যন্তরিন সংঘর্ষে ৪ লাখ মানুষ প্রান হারায় বলে মনে করা হয়।

জনগনের নিরাপত্তা ও শরিয়া আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তালিবান ক্ষমতায় আসলেও তাদের দিকে নারীর প্রতি বৈষম্য ও নির্যাতনের ব্যপক অভিযোগ ওঠে। মূলত শহরাঞ্চলের বাইরে তালিবানের নিয়ন্ত্রন দূর্বল থাকায় অনেক অতিউৎসাহী নেতা নারী নির্যাতন ও প্রচুর স্কুল কলেজ ধ্বংশ করেছে বলে মনে করা হয়। আর যতটা না করেছে তার চেয়ে পশ্চিমা গনমাধ্যম আরো বেশি তা প্রচার করেছে বলে তালিবানের পক্ষ থেকে বলা হয়। তবে কিছু পশ্চিমা নারী সাংবাদিক ও সাহায্য কর্মী তালিবানের হাতে তাদের গ্রেফতারের পরের ঘটনাবলি বর্ননা করতে গিয়ে বলেছেন তালিবান তাদের সাথে যে ভাল ব্যবহার করেছে তা ছিল তাদের কাছে অপ্রত্যাশিত। তারা পূর্বে তালিবান সম্পর্কে যা শুনেছেন তার সাথে তাদের সাথে করা আচরনের কোন মিল নেই। এদের মধ্যে একজন যুভনে রিডলে, যিনি একজন ব্রিটিশ নারী সাংবাদিক ছিলেন এবং কর্মসূত্রে আফগানিস্তানে গিয়ে তালিবানের হাতে বন্দী হন। পরিবর্তীতে তিনি ইসলাম গ্রহন করেন।

২০০০ সালে ওসামা বিল লাদেনকে আশ্রয় দানের দায়ে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেয়। ২০০১ সালে টুইন টাওয়ারে হামলার অভিযোগে আফগানিস্তানে হামলা চালায় এবং তালিবান শ্বাসনের অবসান ঘটায়। এরপর পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট বুরহানুদ্দিন রব্বানীকে আবার ক্ষমতায় বসায়।

( এ সময়ে দেশে নির্ভরযোগ্য কোন সংবাদ মাধ্যম না থাকায় ও বিদেশি সাংবাদিকদের কার্যক্রমে বাধা থাকায় নির্ভরযোগ্য তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায় না। )
চলবে………

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৬

সোনাগাজী বলেছেন:


শরীয়া আইনের প্রনেতা কে?

০১ লা জুন, ২০২২ রাত ৯:১৪

খাঁজা বাবা বলেছেন: শরীয়া আইন আল্লাহ প্রদত্ত গাইডলাইন।
আমার জানা মতে আল্লাহ ব্যাসিক গাইডল্লাইন প্রদান করেছেন। স্থান, কাল ও অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আইনের মূল বিষয় অপরিবর্তিত রেখে কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনার সুযোগ আছে। তালিবান যে শরীয়া আইন প্রবর্তন করেছে তা ইসলামী আইন, পশতু রীতিনীতি ও দেওবন্দ দ্বারা প্রভাবিত শরীয়া আইন। তারা একটু নতুন মতবাদ তৈরি করেছিল যা পরবর্তীতে কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছিল। তালেবান প্রবর্তিত শরীয়া আইন ভুল বা সঠিক, বা তার প্রয়োগে সমস্যা ছিল কিনা তা ভিন্ন আলোচনা। তালেবান আইন সম্পর্কে আমার পূর্ন ধারনা না থাকলে সব হয়তো ভাল ছিল না, আবার অনেক কিছু হয়ত ভাল ছিল। আমাদের দেশেও সব আইন ভাল তা বলা যায় না। সব আইন জনকল্যানে ব্যবহৃত হচ্ছে এমন না।

২| ০১ লা জুন, ২০২২ রাত ৮:০৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

তালেবান এখন পর্যন্ত কত মানুষ হত্যা করেছে আনুমানিক??

০১ লা জুন, ২০২২ রাত ৯:২০

খাঁজা বাবা বলেছেন: আমার মনে হয় আনুমানিক ৪-৫ লাখ। তবে তালেবানের চেয়ে সোভিয়েত ও আমেরিকা কয়েকগুন বেশি মেরেছে। পূর্ববর্তী শাসকেরাও কম যায় নাই।

৩| ০১ লা জুন, ২০২২ রাত ৯:৪০

সোনাগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন: শরীয়া আইন আল্লাহ প্রদত্ত গাইডলাইন।

-আল্লাহ কি বিবিধ জাতিকে বিবিধ ধর্মের লোকদর বিবিধ গাইডলাইন দিয়েছেন, নাকি অনেকগুলো আল্লাহ আছন?

০১ লা জুন, ২০২২ রাত ৯:৫০

খাঁজা বাবা বলেছেন: এগুলো বোকা সোকা মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য অবিশ্বাসীদের খুবই ব্যসিক লেভেলের প্রশ্ন। উত্তর ও সহজ।
আল্লাহ একজনই। তিনি যুগে যুগে মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী গাইডলাইন পাঠিয়েছেন আবার প্রয়োজন অনুযায়ী গাইডলাইন আপডেট করেছেন। যারা পরবর্তী আপডেট গ্রহন করেননি তারা পূর্ববর্তী ভার্সনে থেকে গেছেন, যা আল্লাহ বাতিল করেছেন। অনেকে তাদের কাছে প্রদত্ত গাইডলাইন নিজেরা মোডিফাই করেছেন।
আল্লাহ সবার জন্যই একই গাইডলাইন দিয়েছেন।

৪| ০১ লা জুন, ২০২২ রাত ৯:৪২

সোনাগাজী বলেছেন:


গাইডলাইন ও আইন কি একই জিনিষ?

০১ লা জুন, ২০২২ রাত ৯:৫১

খাঁজা বাবা বলেছেন: শব্দগত অর্থ বিবেচনা করলে তো আলাদা, আবার এক ও বলতে পারেন অনেক ক্ষেত্রে। :)

৫| ০১ লা জুন, ২০২২ রাত ১০:১৭

সোনাগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন: এগুলো বোকা সোকা মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য অবিশ্বাসীদের খুবই ব্যসিক লেভেলের প্রশ্ন। উত্তর ও সহজ।
আল্লাহ একজনই। তিনি যুগে যুগে মানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী গাইডলাইন পাঠিয়েছেন আবার প্রয়োজন অনুযায়ী গাইডলাইন আপডেট করেছেন।

-এই সায়েন্স ও টেকনোলোজীর যুগে উনার আপডেট আসবে?

০২ রা জুন, ২০২২ দুপুর ১:১১

খাঁজা বাবা বলেছেন: জ্বি না লাস্ট আপডেট এসে গেছে। এর পর সংস্কার প্রয়োজন হলে ইজমা, কিয়াসের সুযোগ আছে।
তবে ব্যসিক ঠিক থাকবে। :)

৬| ০১ লা জুন, ২০২২ রাত ১১:১৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


সমাজতন্ত্রের ছাদের নিচে মানুষ বেশি মরেছে, মোড়লের (আমেরিকা) ছাদেও মরেছে, দুইটি বিশ্বযুদ্ধে মরেছে, ধর্মযুদ্ধেও মানুষ মরেছে।

০২ রা জুন, ২০২২ সকাল ৯:২২

খাঁজা বাবা বলেছেন: মানুষ সবাই মেরেছে। কেউ ধর্মের কারনে, কেউ রাজনীতির কারনে, কেউ লোভে পড়ে। মংগলরা এক সময় পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ মানুষ মেরে ফেলেছে, ক্রুসেডে মানুষ মরেছে, দুটি বিশ্বযুদ্ধে মানুষ মরেছে। পাকিস্তানীরা আমাদের মেরেছে, আমরাও তাদের মেরে তাড়িয়েছি।

৭| ০১ লা জুন, ২০২২ রাত ১১:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: আফগানিস্থানের নারীদের নিয়ে শুধু একটা পোষ্ট দিন। প্লীজ।

০২ রা জুন, ২০২২ দুপুর ১:০৫

খাঁজা বাবা বলেছেন: তালিবান জমানায় আফগানিস্তানে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় নারী। এই পর্বে সে কথাই তো লিখলাম। :-B

৮| ০২ রা জুন, ২০২২ রাত ১২:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শরিয়া আইনের কিছু অপপ্রয়োগ আফগানিস্তানে মনে হয় ঘটে থাকে তাদের এই ব্যাপারে জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার অভাবের কারণে। যেমন ইসলাম কখনও নারী শিক্ষাকে নিষিদ্ধ করেনি। কিন্তু তালিবান নিষিদ্ধ করেছে। এরকম আরও কিছু ক্ষেত্রে তারা ভুল করছে শরিয়া আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে। এটার সুযোগ পশ্চিমারা নিচ্ছে।

বালকদের যৌন দাসত্ব (ঘেটুপুত্র) সমস্যা সম্ভবত পাকিস্তানেও এখনও আছে। এটা পাকিস্তানের জন্যও একটা সামাজিক সমস্যা। ইসলামিক মনভাবাপন্ন কোন সমাজে এই ধরণের প্রথা কিভাবে টিকে থাকে সেটাই আশ্চর্যের বিষয়। এই ধরণের কিছু কু প্রথা কোন কোন মুসলমান সমাজে থাকার কারণে ইসলাম ধর্ম নিন্দিত হয়। নিজের সুবিধামত ইসলাম মানার কারণে এরকম হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের এই ধরণের বিপরীতমুখী কার্যকলাপের কারণে ইসলাম সম্পর্কে খারাপ ধারণার জন্ম হচ্ছে। তালিবান সত্যই এই কু প্রথার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে থাকলে একটা ভালো কাজ করেছে।

০২ রা জুন, ২০২২ দুপুর ১:০৯

খাঁজা বাবা বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শরিয়া আইনের কিছু অপপ্রয়োগ আফগানিস্তানে মনে হয় ঘটে থাকে তাদের এই ব্যাপারে জ্ঞান এবং প্রজ্ঞার অভাবের কারণে। যেমন ইসলাম কখনও নারী শিক্ষাকে নিষিদ্ধ করেনি। কিন্তু তালিবান নিষিদ্ধ করেছে। এরকম আরও কিছু ক্ষেত্রে তারা ভুল করছে শরিয়া আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে। এটার সুযোগ পশ্চিমারা নিচ্ছে।


ঘেটুপুত্র ব্যপারটা বাংলাদেশেও একসময় ছিল। এ নিয়ে একটা চলচিত্র ও হয়েছিল।

৯| ০২ রা জুন, ২০২২ রাত ২:১৭

গরল বলেছেন: আফগানিস্তান নিয়ে আপনার সিরিজগুলো সেই ছোটবেলা থেকে টিভিতে দেখা নিত্যদিনের খবর গুলোই যেন মনে করিয়ে দিল। ছোট থেকে বড় হয়ে উঠেছি আফগানিস্তানের এই পরিবর্তন দেখতে দেখতে। ভালো লাগলো আফগানিস্তান সিরিজটা।

০২ রা জুন, ২০২২ দুপুর ১:০৭

খাঁজা বাবা বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে আফগানিস্তানে গত ৪০ বছরে তেমন কোন পরিবর্তন হয় নি। এক জায়গায়ই আটকে আছে।

১০| ০২ রা জুন, ২০২২ দুপুর ২:০৩

বিটপি বলেছেন: বামিয়ান প্রদেশে মূর্তি ভাঙা নিয়ে একটা স্টোরি আছে। সেসময় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আফগান শিশুদের জন্য গুড়া দুধ বরাদ্দ দেয়ার একটা বিল পাস হয়। পরবর্তীতে সেটা আফগানিস্তানে অবস্থিত মূর্তিগুলো রক্ষার ফান্ডে রূপান্তরিত হয়। জীবিত শিশুদের দুধ দেবার পরিবর্তে প্রাণহীন মূর্তির জন্য অর্থ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত তালিবানদের ক্ষিপ্ত করে তোলে এবং তার জেরেই বামিয়ান প্রদেশে থাকা মূর্তিগুলোকে তারা ধ্বংস করে ফেলে।

০২ রা জুন, ২০২২ দুপুর ২:৫৬

খাঁজা বাবা বলেছেন: হতে পারে, আমার জানা ছিল না।
প্রথমে মোল্লা ওমর মূর্তি না ভাংগার জন্য ডিক্রি দিয়েছিলেন, পরে ভাংগার জন্য ডিক্রি দেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.