![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বল বীর – বল উন্নত মম শির! শির নেহারি’আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রির!
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর রাশিয়া অর্থনৈতিক দিক থেকে যেমন দূর্বল হয়ে পরে তেমনি প্রযুক্তি ক্ষেত্রেও পিছিয়ে পরে। ফলাফল বিশ্ব রাজনীতিতেও পিছিয়ে পরে। রাশিয়ার শক্তির মধ্যে অবশিষ্ট ছিল আগে থেকেই বানিয়ে রাখা কিছু পরমানু বোমা, পুরনো প্রযুক্তি ও জাতীসংঘে ভেটো ক্ষমতা। এই শক্তি কাজে লাগিয়ে রাশিয়া আমেরিকা বিরোধী কিছু দেশে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়। বিশেষ করে পুতিন ক্ষমতায় আসার পর আবার বিশ্বকে দুই ক্ষমতা কেন্দ্রের স্বপ্ন দেখায়।
কিন্তু পুতিনের রাশিয়া কখনো তার কোন মিত্রের পাশে তার পূর্নাংগ শক্তি নিয়ে পাশে দাঁড়ায় নি। বরং সুযোগ পেলে বন্ধুত্বকে আমেরিকার কাছে বেচে দিয়েছে। যারা রাশিয়ার উপর ভর্শা করেছে তারাও ধংশ হয়েছে। রাশিয়ার সামনে লিবিয়া, ইরাক, সিরিয়া পুরোপুরি ধংশ হয়ে গেছে, মিশরের মুরসির সরকারের পতন হয়ে আবার আমেরিকা পন্থী সরকার এসেছে, কিন্তু রাশিয়া তেমন ভাবে পাশে দাঁড়ায় নি। উপরে উপরে বন্ধুত্ব করেছে। আবার রাশিয়া আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা এড়ানো, বা কোন বানিজ্য চুক্তির লোভে মিত্রের হাত ছেড়ে দিয়েছে, এমনকি জাতসঙ্ঘেও পাশে দাঁড়ায় নি।
এমন আচরন রাশিয়া এখন ইরানের সাথেও করছে। ইতিমধ্যে হয়তো রাশিয়া ইরান কে বেচে দিয়েছে। যার প্রমান দেখি আর্মেনিয়ার মধ্য দিয়ে আমেরিকার আজারবাইজান করিডোরে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরানকে তেমন কোন সহায়তা না করার মধ্যে। ইরানকে আধুনিক এয়ার ডিফেন্স ও ফাইটার জেট না দেয়ার মধ্যে।
রাশিয়া হয়তো ইতিমধ্যে ইরানকে ডেড হর্স ধরে নিয়েছে। তাই ইরানি অনুমতি না নিয়েই ইরানি ড্রোনের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কারখানা সম্প্রসারন করছে। পুতিনের আলাস্কা সফরে হয়তো ইরান বিষয়ে ডিল ফাইনাল হবে। ইউক্রেনের পরবর্তে ইরান।
রাশিয়ার এই সাময়িক লাভের পলিসিতে, রাশিয়া দিনকে দিন মিত্র হারিয়ে আরো দূর্বল হয়ে যাচ্ছে। সব শেষ হয়ে যাওয়ার পর এক সময় হয়তো রাশিয়ার নাম্বার আসবে।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৫৩
খাঁজা বাবা বলেছেন: হ্যাঁ
কিন্তু আমেরিকা, ইজরাইলের চেয়ে দূর্বল।
২| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৫৫
মেঘনা বলেছেন: বাংলাদেশের উচিত রাশিয়ার পক্ষে থাকা, অথচ ইউনুস সরকার আমেরিকা সাথে দাসত্যের গোপন চুক্তি করল।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:২৭
খাঁজা বাবা বলেছেন: রাশিয়ার পক্ষে থাকার কোনো যৌক্তিকতা নেই। থাকলে বলেন।
৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:১২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: রাশিয়ার পুতিন একজন স্বৈরাচার । বাঙলাদেশের মিডিয়া রাশিয়া কে আমেরিকার সাথে লড়ছে দেখে মহান করে দেখায় । রাশিয়া বাংলাদেশ থেকে লোক নিবে শুনে মানুষ যে খুশি হয়েছিলো । পরে দেখা যায় ওয়ার করাতে তাদের কামলা নিবে রাশিয়া । রাশিয়ার নিজের দেশে মানবাধিকার বলতে কিছুই নাই। আপনি পুতিন কে নিয়ে খারাপ কথা বললেই ৮ বছরের জেল। মুসলিম পরিচয় পাইলে জেলে যে কঠিন টরচার করে তা নিয়ে সংবাদে এসেছে। বিরোধি দলের নেতাদের কতভাবে মারা যায় সেটা শিখতে হলে পুতিনের কাছে যেতে হবে । বাঙলাদেশের মানুষ মুখে যাই বলুক মনে তাদের স্বৈরাচারি শাসন বেশি ভালো লাগে। পুতিন আবার সমকামিদের দেখতে পারে না। বাঙলার মানুষ তাকে সে কারণে ভালো পায়। পুতিন ভালো বাট হাসিনা খারাপ।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:২৬
খাঁজা বাবা বলেছেন: পুতিন একজন স্বৈরাচার, তাতে কোন সন্দেহ নেই। তবে বেশিরভাগ রাশিয়ানের সাপোর্ট এখনো পুতিনের পক্ষে কারন পুতিন এখনো রাশিয়াকে বিশ্ব মঞ্চে টিকিয়ে রেখেছে।
রাশিয়া গনতান্ত্রিক হলেই যে আমেরিকা রাশিয়াকে উন্মুক্ত করে দেবে, রাশিয়ার বন্ধু হবে এমন নয়। আমেরিকার চুড়ান্ত লক্ষ্য রাশিয়াকে টুকরো টুকরো করে ধংশ করা। রাশিয়ানরা সেটা বোঝে।
৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:৪৩
মেঘনা বলেছেন: রাশিয়ার র-টা বাদ দিলে হয়ে যায় এশিয়া। এই কারণেও রাশিয়ার পক্ষ নেওয়া যায়। আর রাশিয়া মানে তো শুধু পুতিন না, রাশিয়ার সমাজ জনগণ রাশিয়ার বিদেশ নীতি আমাদের পক্ষে যায়। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শুধু রাশিয়ান সরকার নয় রাশিয়ার জনগণও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল। রাশিয়া পৃথিবীতে গরিব মানুষের জন্য অনেক কিছু করেছে। তারা সম্মান পাওয়ার যোগ্য।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:০৩
খাঁজা বাবা বলেছেন: শুধু রাশিয়া নয়, কারো বিপক্ষেই যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার সাথে বেশি মাখামাখি বিপদের কারন হতে পারে।
যেমন ভারত এখন বিপদে পরেছে।
৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:৫০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পুতিন স্বৈরাচার, কিন্তু অনেক রাশিয়ান তাকে সমর্থন করে কারণ তিনি ৯০-এর দশকের বিশৃঙ্খলার পর স্থিতি ও “জাতীয় গৌরব” ফিরিয়ে এনেছেন, আর রাষ্ট্রীয় প্রোপাগান্ডা খুব শক্তিশালী। আমেরিকা রাশিয়াকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দুর্বল রাখতে চায় টুকরো টুকরো করে ধ্বংস করা মূল লক্ষ্য নয়, এটা পুতিনের বয়ানের অংশ। আপনি পুতিন কে বুঝতে আলেকজেনডার দুগিনের ফিলোসফি পড়েন। পরথম আলু তে দুগিনের ফিলসোফি নিয়ে লেখা আছে ।
১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:০১
খাঁজা বাবা বলেছেন: তথ্যের জন্য ধন্যবাদ
পড়ার চেষ্টা করব
৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪
নতুন নকিব বলেছেন:
ভ্লাদিমির পুতিন একজন চিহ্ণিত স্বৈরাচার। শুধু স্বৈরাচারই নন, তিনি একজন যুদ্ধাপরাধীও। ইউক্রেনের হাজারও নিরপরাধ সাধারণ নাগরিকদের হত্যার দায় পুতিন কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। পোস্টের বিশ্লেষন ভালো লেগেছে। আপনি যথার্থ বলেছেন। ধন্যবাদ।
১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:০৯
খাঁজা বাবা বলেছেন: ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য যতটা পুতিন দায়ী, তার চেয়ে বেশি দায়ী জেলেনোস্কী ও বাইডেন। রাশিয়ার নিরাপত্তা তারা হুমকির মুখে ফেলেছিল। খুব সহযেই জেলেনোস্কী যুদ্ধ টা এড়াতে পারতেন।
৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:০৪
কামাল১৮ বলেছেন: ভারত কেমন বিপদে পড়েছে।ভারত বরং আমেরিকার খপ্পর থেকে বের হয়ে এসে ভালোই করেছে।টেরিফ কমানোর জন্য ভারত একবছরের জন্যও অনুরোধ করেনি।বরং বড় রকমের ব্যবসা বন্ধ করে আমেরিকাকে বিপদে পেলেছে।সেই সব ব্যবসা চলেযাচ্ছ্ ইউরোপ রাশিয়া,চীন।ভারত অনেক বড় আমদানী কারক দেশ।
১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:১৪
খাঁজা বাবা বলেছেন: আমেরিকা ভারতের উপর ট্যারিফ দিয়েছে, ভারত নতুন করে কোন ট্যারিফ দেয় নি। আমেরিকায় ভারতের রপ্তানি ১০-১৫ বিলিয়ন ডলার কমতে পারে, আমেরিকার ভারতে রপ্তানি খুব একটা কমবে না, আর যদি কমেও তা তারা অন্যান্য দেশ থেকে তুলে ফেলতে পারবে।
চীনকে মোকাবেলায় আমেরিকার ভারতকে দরকার নেই, বরং ভারতের আমেরিকাকে দরকার। চীনের বিরুদ্ধে ভারত রাশিয়াকে পাশে পাবে না। আমেরিকা যতই মারুক, আমেরিকার কাছে ভারতকে যেতে হবে।
৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৪৯
বিজন রয় বলেছেন: শেখ হাসিনা আর পুতিনের মধ্যে পার্থক্য কি কি?
১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:১৭
খাঁজা বাবা বলেছেন: দুইজনই ডিক্টেটর। হাসিনা দেশের সম্পদ সদলবলে লুট করে পাচার করেছে, পুতিন লুট করলেও দেশেই রেখেছে। পুতিন নিজ দেশের জন্য কাজ করার চেষ্টা করছে, পদ্ধতি হয়তো খারাপ। হাসিনা শুধু ব্যক্তিগত এজেন্ডা নিয়ে কাজ করেছে।
৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:০২
রাজীব নুর বলেছেন: আসল সমস্যা হলো ক্ষমতায়।
ক্ষমতা মানুষকে নষ্ট করে দেয়। হোক সে পুতিন, হোক সে শেখ হাসিনা।
১৭ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:১৯
খাঁজা বাবা বলেছেন: ক্ষমতার গরম সহ্য করা কঠিন।
তাই সিষ্টেমেটিকালি ক্ষমতার ব্যলেন্স দরকার।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ১:৫১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ২০০ কোটি মুসলিমের চেয়ে পুতিন শক্তিশালী।