নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাহেন রঙ্গন

আমার কবিতা - কোন জীবনদর্শন বা সত্যানুসন্ধানের জন্য নয়, বরং আমার জীবনের সামগ্রিক দর্পণ। আমার আবেগানুভূতির স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ। আমার ছুটে চলা, হোঁচট খাওয়া আবার উঠে দাঁড়াবার কাব্যিক বিবরণ, দ্যোতনা। যার প্রত্যেকটি বর্ণ সত্য। কেননা ঐ মুহূর্তে এর চে' বড় কোন সত্য আমার জানা ছিল না।

রাহেন রঙ্গন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিলভার ক্রাইসিস : রিগডের ক্রোধ

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২০

এ্যাডভার্টাইজমেন্টের জন্য একটা রূপালী মাছের দরকার। কিন্তু অমন মাছ পৃথিবীতে বিরল। অনেক খুঁজেপেতে একটা পাওয়া গেলো। ল্যাবে গবেষণা করতে গিয়ে হুট করে গলে ওর পেটে থেকে রক্ত বের হয়ে এলো। বুঝা গেলো, ওইটা দানবাকৃতির মশা। আমরা নদীর মাছ ধরে ধরে একটা একটা করে পরখ করে দেখতে লাগলাম। অতিরিক্ত গবেষণার অভিশাপে মাছের প্রজাতিগুলো লোপ পেতে শুরু করলো। কিন্তু কোনক্রমেই সেই মাছ আর পাওয়া গেল না। সিলভারকর্প মাছ মরে হাফ হয়ে গেল। পৃথিবীতে শুরু হলো, সিলভার ক্রাইসিস।

....................

নদী ফুঁসে উঠলো ক্রোধে। তীরের সবগুলো ঘরবাড়িকে নদী গিলে ফেলতে শুরু করলো। বিল্ডিংগুলো থেকে সিলভারের জিনিসগুলো নিংড়ে বের করে নিতে লাগলো।

....................

মানুষগুলো ভয়ে বিল্ডিং ছেড়ে নদীর পাড় ধরে পালাতে শুরু করলো। চতুর মানুষগুলো নিজেদের জলজ প্রাণী বলে দাবী করতে লাগলো নদীর কাছে। তারা পানিতে মিশে বাস করতে লাগলো। ওদের চেহারা বিভিন্ন মাছের মত হয়ে গেল।

কারো মুখে বোয়াল মাছের মত বিশাল সুঁড়। কারো কারো দাঁত হাঙরের মত ধারালো এবং সূঁচালো। সমস্যা হলো আমার। আমি মনুষ্যত্বের মায়া ছাড়তে পারলাম না। তাই মানুষ রয়ে গেলাম। কিন্তু মামুছগুলো একই সাথে মাছ, আর ভিতরে ভিতরে মানুষ। আর সুযোগ পেলেই মাছ খায়। নদীর আসল মাছ প্রায় শেষের পথে। নকল মাছে ভরপুর। আমি মানুষ থাকতে চাই বলে নদীর পথ ধরে পালাতে লাগলাম। মামুছগুলোর কাছে মানবিক আশ্রয় চাইলাম। কিন্তু আমাকে ওরা নদী ও মাছে দূত ভেবে আক্রমণ করলো। আমাকে গভীর পানিতে টেনে লামালো। ধারালো দাঁত দিয়ে কামড় বসালো আমার কাঁধে। কিন্তু ওদের মাঝে একটা ভালো মামুছ ছিল। আক্রমণকারীকে ভালো মামুছ এক ঝটকায় সরিয়ে দিলো।

....................

বুদ্ধি করে বললো, নদীতে খাবার মাছ কই আছে একমাত্র ওই জানে। ওকে খেয়ে ফেললে কেউ আর মাছের সন্ধান পাবে না। শুধু জলজ লতাপাতা খেয়ে বাঁচতে হবে। আর আমরা দিনদিন অনেক দুর্বল হয়ে পড়বো। আমি ছাড়া পেলাম। কিন্তু দুষ্টু মামুছ’কে ভালো মামুছটা ছাড়লো না। সিলভারের হার্পুনে ট্রিগার চাপল। ছররার মত গুলি বের হয়ে

দুষ্টু মামুছের সারা গায়ে জালের মত ছড়িয়ে পড়লো। বন্দী করে রাখলো পাতালপুরীতে।

....................

দুষ্টু মামুছ কী করে জানি সিলভারের জাল কেটে বেরিয়ে আসে।

এরপর ঘটতে থাকে একের পর এক ভয়ঙ্কর বিভীষিকাময় ঘটনাগুলো।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪১

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: এটা কি কল্প গল্প?

তবে পড়তে ভাল লাগছিলো।

২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪৬

রাহেন রঙ্গন বলেছেন: কল্প গল্পের মত দুঃস্বপ্ন। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.